নিউইয়র্ক ০২:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

খেরসন থেকে বেসামরিকদের উদ্ধারের অনুমোদন দিলেন পুতিন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৪৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২
  • / ১ বার পঠিত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন খেরসনের কিছু অংশ থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার অনুমোদন দিয়েছেন। কিয়েভের বাহিনী কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর নগরীর দিকে ক্রমাগত অগ্রসর হচ্ছে। এমন অবস্থায় ইউক্রেনের হামলা থেকে বাঁচতে বিপজ্জনক এলাকায় বসবাসকারী বেসামরিকদের রাশিয়ার অন্যত্র চলে যেতে বলেছেন পুতিন। শুক্রবার তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে বেসামরিক জনগণের ভোগান্তি হওয়া উচিত নয়। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে বলা হয়, এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার মানুষকে খেরসন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন আক্রমণের পর সহজেই খেরসনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় রাশিয়া। এটিই এখন পর্যন্ত দেশটির সবথেকে বড় অর্জন। তবে এই শহর ফেরত নিতে গত কয়েক মাস ধরে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। এতে খেরসনের বিভিন্ন বেসামরিক ভবন ও বাড়িতে গোলা এসে পড়ছে। এমন অবস্থায় পুতিন খেরসনবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, গোলাগুলি এবং আক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়া উচিত।

পুতিন এমন সময় এই মন্তব্য করলেন যখন বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, রাশিয়ার সেনারাও খেরসন ছেড়ে যাচ্ছে।

খেরসনের একজন কর্মকর্তা রুশ গণমাধ্যমকে বলেন, মস্কো এই অঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে পারে। যদিও একে ফাঁদ মনে করছে ইউক্রেন। তাদের ধারণা, রাশিয়ার সেনারা খেরসনের প্রধান শহরেই আছে এবং ইউক্রেনের আক্রমণের জন্য অপেক্ষা করছে।
গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম বেসামরিক নাগরিকদের খেরসন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সেসময়ই রুশ বাহিনী খেরসনে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে চলে যায়। সামরিক কমান্ডাররা বলেন, সামনে ইউক্রেনের বাহিনীর সঙ্গে ভয়াবহ যুদ্ধ হতে পারে, তাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই তাদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। রেড স্কয়ারে শুক্রবারের বক্তৃতার সময় পুতিন আরও বলেন, ইউক্রেনে মোট ৩ লাখ ১৮ হাজার নতুন সেনা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪৯ হাজার সেনা ইতিমধ্যেই যুদ্ধে অংশ নিতে শুরু করেছে।

এদিকে রাশিয়ার বেসরকারী সামরিক কোম্পানি ওয়াগনার গ্রুপ সেন্ট পিটার্সবার্গে তার প্রথম অফিসিয়াল সদর দপ্তর খুলেছে। ওয়াগনারের যোদ্ধারা ইউক্রেনে রাশিয়ান অভিযানে বড় ভূমিকা রাখছে। ওয়াগনার সৈন্যরা সিরিয়া, লিবিয়া এবং অন্যান্য স্থানেও যুদ্ধ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে।

রাশিয়া খেরসনসহ ইউক্রেনের মোট চার অঞ্চলকে গণভোটের মাধ্যমে নিজের সঙ্গে যুক্ত করেছে। যদিও ওই গণভোটকে স্বীকৃতি দেয়নি পশ্চিমা দেশগুলো। এর আগে গণভোটের মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয় রুশ ভাষাভাষী অঞ্চল ক্রাইমিয়াও। সম্প্রতি ইউক্রেন জুড়ে বেসামরিক অবকাঠামোতে রাশিয়ার ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলায় ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে ইউক্রেনজুড়ে অন্তত ৪৫ লাখ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বিচ্ছিন্ন। এছাড়া যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ আছে সেখানেও দিনের অল্প সময় বিদ্যুৎ থাকছে।

 

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

খেরসন থেকে বেসামরিকদের উদ্ধারের অনুমোদন দিলেন পুতিন

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন খেরসনের কিছু অংশ থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার অনুমোদন দিয়েছেন। কিয়েভের বাহিনী কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর নগরীর দিকে ক্রমাগত অগ্রসর হচ্ছে। এমন অবস্থায় ইউক্রেনের হামলা থেকে বাঁচতে বিপজ্জনক এলাকায় বসবাসকারী বেসামরিকদের রাশিয়ার অন্যত্র চলে যেতে বলেছেন পুতিন। শুক্রবার তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে বেসামরিক জনগণের ভোগান্তি হওয়া উচিত নয়। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে বলা হয়, এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার মানুষকে খেরসন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন আক্রমণের পর সহজেই খেরসনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় রাশিয়া। এটিই এখন পর্যন্ত দেশটির সবথেকে বড় অর্জন। তবে এই শহর ফেরত নিতে গত কয়েক মাস ধরে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। এতে খেরসনের বিভিন্ন বেসামরিক ভবন ও বাড়িতে গোলা এসে পড়ছে। এমন অবস্থায় পুতিন খেরসনবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, গোলাগুলি এবং আক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়া উচিত।

পুতিন এমন সময় এই মন্তব্য করলেন যখন বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, রাশিয়ার সেনারাও খেরসন ছেড়ে যাচ্ছে।

খেরসনের একজন কর্মকর্তা রুশ গণমাধ্যমকে বলেন, মস্কো এই অঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে পারে। যদিও একে ফাঁদ মনে করছে ইউক্রেন। তাদের ধারণা, রাশিয়ার সেনারা খেরসনের প্রধান শহরেই আছে এবং ইউক্রেনের আক্রমণের জন্য অপেক্ষা করছে।
গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম বেসামরিক নাগরিকদের খেরসন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সেসময়ই রুশ বাহিনী খেরসনে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে চলে যায়। সামরিক কমান্ডাররা বলেন, সামনে ইউক্রেনের বাহিনীর সঙ্গে ভয়াবহ যুদ্ধ হতে পারে, তাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই তাদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। রেড স্কয়ারে শুক্রবারের বক্তৃতার সময় পুতিন আরও বলেন, ইউক্রেনে মোট ৩ লাখ ১৮ হাজার নতুন সেনা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪৯ হাজার সেনা ইতিমধ্যেই যুদ্ধে অংশ নিতে শুরু করেছে।

এদিকে রাশিয়ার বেসরকারী সামরিক কোম্পানি ওয়াগনার গ্রুপ সেন্ট পিটার্সবার্গে তার প্রথম অফিসিয়াল সদর দপ্তর খুলেছে। ওয়াগনারের যোদ্ধারা ইউক্রেনে রাশিয়ান অভিযানে বড় ভূমিকা রাখছে। ওয়াগনার সৈন্যরা সিরিয়া, লিবিয়া এবং অন্যান্য স্থানেও যুদ্ধ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে।

রাশিয়া খেরসনসহ ইউক্রেনের মোট চার অঞ্চলকে গণভোটের মাধ্যমে নিজের সঙ্গে যুক্ত করেছে। যদিও ওই গণভোটকে স্বীকৃতি দেয়নি পশ্চিমা দেশগুলো। এর আগে গণভোটের মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয় রুশ ভাষাভাষী অঞ্চল ক্রাইমিয়াও। সম্প্রতি ইউক্রেন জুড়ে বেসামরিক অবকাঠামোতে রাশিয়ার ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলায় ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে ইউক্রেনজুড়ে অন্তত ৪৫ লাখ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বিচ্ছিন্ন। এছাড়া যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ আছে সেখানেও দিনের অল্প সময় বিদ্যুৎ থাকছে।