নিউইয়র্ক ০৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আসছে ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১৪ বার পঠিত

নির্বাচন-পরবর্তী নতুন সরকারের প্রথম দিকে বাজেট সংস্কারের জন্য এখন উপযুক্ত সময়। দেশের অর্থনীতি নানা প্রতিকূলতা ও সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হলে গুণগত মানের সরকরি ব্যয় ব্যবস্থাপনা, স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় রাজস্ব আয় বাড়ানো এবং ব্যাংক খাতে দুরবস্থা দূর করতে হবে। এ সবই এখন বাজেট সংস্কারের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর প্রেস ক্লাবে রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশান ফর ডেভেলপমেন্ট (র‌্যাপিড) আয়োজিত আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব কথা বলেন জাতীয় সংসদ সদস্য, অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী নেতা ও বাজেট বিশেষজ্ঞরা। র‌্যাপিড চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী।

বাজেট ও সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেটের আকার হবে আট লাখ কোটি টাকার। নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরি করার কাজ শুরু করেছি।
প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, পঞ্চবার্ষিকীসহ অন্যান্য পরিকল্পনা অনুযায়ী বাজেট প্রণয়ন করা হয়। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি কমানোর প্রক্রিয়ায় সুদহার বাড়ানো হয়েছে। সরকার কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে আগ্রহী।

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রকৃত অর্থে মুক্ত অর্থনীতির অনুসারী না, আমরা কল্যাণকর অর্থনীতির অনুসারী। কল্যাণ অর্থনীতিতে চলছে বাংলাদেশ। আসন্ন বাজেটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিফলন ঘটবে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের ১১টি বিষয় বাজেটে প্রতিফলিত হয়। এর বাইরেও সরকারের কিছু বিষয় আছে, সেগুলোও মাথায় রেখে বাজেট করা হবে।’

নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে ভূমির খাজনা আদায়ে তহশিল অফিস আছে। আর জেলা পর্যায় পর্যন্ত কর কর্মকর্তা আছেন। উপজেলা পর্যায়েও মানুষের আয় বেড়েছে, করদাতা বাড়েনি। করখেলাপিদের বা দুর্নীতিগ্রস্তদের বাড়তি সুযোগ দেওয়ায় সাধারণ করদাতারা নিরুৎসাহ হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাজেটে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে যা করার আছে তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে নজর দিতে হবে।

উচ্চ প্রবৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা অর্জনে টানা বাজেট ঘাটতি মেটাতে এত দিন সক্ষম হয়েছে সরকার। তবে আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানো ও সরকারি ব্যয় কমানো মুখোমুখি অবস্থানে থাকবে বলে জানান বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান র‌্যাপিডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আগামী বাজেটে সম্প্রসারণমূলক নীতিতে থাকলে মূল্যস্ফীতি কমানো চ্যালেঞ্জ হবে। আগামী বাজেটে বড় সংস্কার প্রয়োজন। নির্বাচনের আগে সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল। নির্বাচনের পরে এখন সংস্কার করার উপযুক্ত সময়, যাতে বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সহজ হয়।

আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাজেটে সংখ্যার বাইরে গিয়ে গুণগত মানের দিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে যাতে বাজেট ব্যয় বাড়ানো যায়। বিনিময়হার ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। বাজেট ব্যয় ব্যবস্থাপনা আরো বাড়ানোর জন্য সংস্কারের প্রস্তাব দেন এই অর্থনীতিবিদ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র‌্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক ড. এম আবু ইউসুফ। তিনি বলেন, দেশে এখনো পরোক্ষ কর অনেক বেশি। উন্নত বিশ্বে প্রত্যক্ষ কর বেশি। এত দিন এসব সংস্কার আনা যায়নি। এখন নির্বাচনের পরে সংস্কার করার সুযোগ অনেক বেশি।

তিনি বলেন, ১২০টি দেশে ওপেন বাজেট ইনডেক্স হয়। তবে বাংলাদেশে অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের সঙ্গে অনেক বেশি প্রাক-বাজেট আলোচনা হয়। কিন্তু বাজেটে এর প্রতিফলন দেখা যায় না। এ ক্ষেত্রে বাজেট ফলোআপ থাকলে কাজে আসত। ২০০৯-১০ অথবছরের চেয়ে বাজেটের আকার আট গুণ বেড়েছে কিন্তু ওই হারে রাজস্ব বাড়েনি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিয়েও উদ্বিগ্ন। বছরের শেষ সময়ে তড়িঘড়ি না করে বছরজুড়ে বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এ ছাড় আগামী দুই বছর পর উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ধারাবাহিকতা বিবেচনায় বাজেটে নগদ সহায়তা ও ভর্তুকি নিয়ে এখন নজর দেওয়া প্রয়োজন।

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, বাজেটে অনেক বেশি সংস্কার প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সংসদীয় কমিটির সংশ্লিষ্টতা বাড়াতে হবে, যাতে বাজেট বাস্তবায়নের সময় ধরতে পারে। তিনি বলেন, এনবিআরের কর আদায় প্রক্রিয়া অনলাইন করার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সব প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে এনফোর্সমেন্ট বাড়াতে হবে ।

আলোচনায় ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগামী বাজেটে সংস্কারের মাধ্যমে পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে আমরা ব্যবসা করতে পারি। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে না পারলে কর দেওয়ার ক্ষমতা কমে যাবে।’ তিনি বলেন, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি কর বাড়ানোর জন্য যথার্থ হবে না। এ অবস্থায় আগামী বাজেটে কার্যকর করহার কমানো গেলে অনেকটা ভালো হবে। তাঁর মতে, ব্যবসার ওপর করের চাপ বাড়লে অর্থনীতি নিতে পারবে না। এ বছর ব্যবসা করতে না পারলে ট্যাক্স ও কর্মসংস্থান কমবে।

বিশ্বের কোথাও এমন বাজেট প্রণয়ন হয় না। বাংলাদেশের মতো এমন বড় বাজেট বত্তৃদ্ধতা কোথাও নেই। এই বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়া সংস্কারের দাবি জানান প্রথম আলোর অনলাইনের প্রধান শওকত হোসেন মাসুম। আর মূল্যস্ফীতি কমাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্ক কমানোর দাবি জানান ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মৃধা। সূত্র : কালের কণ্ঠ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আসছে ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট

প্রকাশের সময় : ০১:০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

নির্বাচন-পরবর্তী নতুন সরকারের প্রথম দিকে বাজেট সংস্কারের জন্য এখন উপযুক্ত সময়। দেশের অর্থনীতি নানা প্রতিকূলতা ও সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হলে গুণগত মানের সরকরি ব্যয় ব্যবস্থাপনা, স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় রাজস্ব আয় বাড়ানো এবং ব্যাংক খাতে দুরবস্থা দূর করতে হবে। এ সবই এখন বাজেট সংস্কারের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর প্রেস ক্লাবে রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশান ফর ডেভেলপমেন্ট (র‌্যাপিড) আয়োজিত আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব কথা বলেন জাতীয় সংসদ সদস্য, অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী নেতা ও বাজেট বিশেষজ্ঞরা। র‌্যাপিড চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী।

বাজেট ও সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেটের আকার হবে আট লাখ কোটি টাকার। নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরি করার কাজ শুরু করেছি।
প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, পঞ্চবার্ষিকীসহ অন্যান্য পরিকল্পনা অনুযায়ী বাজেট প্রণয়ন করা হয়। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি কমানোর প্রক্রিয়ায় সুদহার বাড়ানো হয়েছে। সরকার কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে আগ্রহী।

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রকৃত অর্থে মুক্ত অর্থনীতির অনুসারী না, আমরা কল্যাণকর অর্থনীতির অনুসারী। কল্যাণ অর্থনীতিতে চলছে বাংলাদেশ। আসন্ন বাজেটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিফলন ঘটবে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের ১১টি বিষয় বাজেটে প্রতিফলিত হয়। এর বাইরেও সরকারের কিছু বিষয় আছে, সেগুলোও মাথায় রেখে বাজেট করা হবে।’

নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে ভূমির খাজনা আদায়ে তহশিল অফিস আছে। আর জেলা পর্যায় পর্যন্ত কর কর্মকর্তা আছেন। উপজেলা পর্যায়েও মানুষের আয় বেড়েছে, করদাতা বাড়েনি। করখেলাপিদের বা দুর্নীতিগ্রস্তদের বাড়তি সুযোগ দেওয়ায় সাধারণ করদাতারা নিরুৎসাহ হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাজেটে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে যা করার আছে তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে নজর দিতে হবে।

উচ্চ প্রবৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা অর্জনে টানা বাজেট ঘাটতি মেটাতে এত দিন সক্ষম হয়েছে সরকার। তবে আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানো ও সরকারি ব্যয় কমানো মুখোমুখি অবস্থানে থাকবে বলে জানান বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান র‌্যাপিডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আগামী বাজেটে সম্প্রসারণমূলক নীতিতে থাকলে মূল্যস্ফীতি কমানো চ্যালেঞ্জ হবে। আগামী বাজেটে বড় সংস্কার প্রয়োজন। নির্বাচনের আগে সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল। নির্বাচনের পরে এখন সংস্কার করার উপযুক্ত সময়, যাতে বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সহজ হয়।

আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাজেটে সংখ্যার বাইরে গিয়ে গুণগত মানের দিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে যাতে বাজেট ব্যয় বাড়ানো যায়। বিনিময়হার ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। বাজেট ব্যয় ব্যবস্থাপনা আরো বাড়ানোর জন্য সংস্কারের প্রস্তাব দেন এই অর্থনীতিবিদ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র‌্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক ড. এম আবু ইউসুফ। তিনি বলেন, দেশে এখনো পরোক্ষ কর অনেক বেশি। উন্নত বিশ্বে প্রত্যক্ষ কর বেশি। এত দিন এসব সংস্কার আনা যায়নি। এখন নির্বাচনের পরে সংস্কার করার সুযোগ অনেক বেশি।

তিনি বলেন, ১২০টি দেশে ওপেন বাজেট ইনডেক্স হয়। তবে বাংলাদেশে অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের সঙ্গে অনেক বেশি প্রাক-বাজেট আলোচনা হয়। কিন্তু বাজেটে এর প্রতিফলন দেখা যায় না। এ ক্ষেত্রে বাজেট ফলোআপ থাকলে কাজে আসত। ২০০৯-১০ অথবছরের চেয়ে বাজেটের আকার আট গুণ বেড়েছে কিন্তু ওই হারে রাজস্ব বাড়েনি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিয়েও উদ্বিগ্ন। বছরের শেষ সময়ে তড়িঘড়ি না করে বছরজুড়ে বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এ ছাড় আগামী দুই বছর পর উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ধারাবাহিকতা বিবেচনায় বাজেটে নগদ সহায়তা ও ভর্তুকি নিয়ে এখন নজর দেওয়া প্রয়োজন।

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, বাজেটে অনেক বেশি সংস্কার প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সংসদীয় কমিটির সংশ্লিষ্টতা বাড়াতে হবে, যাতে বাজেট বাস্তবায়নের সময় ধরতে পারে। তিনি বলেন, এনবিআরের কর আদায় প্রক্রিয়া অনলাইন করার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সব প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে এনফোর্সমেন্ট বাড়াতে হবে ।

আলোচনায় ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগামী বাজেটে সংস্কারের মাধ্যমে পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে আমরা ব্যবসা করতে পারি। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে না পারলে কর দেওয়ার ক্ষমতা কমে যাবে।’ তিনি বলেন, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি কর বাড়ানোর জন্য যথার্থ হবে না। এ অবস্থায় আগামী বাজেটে কার্যকর করহার কমানো গেলে অনেকটা ভালো হবে। তাঁর মতে, ব্যবসার ওপর করের চাপ বাড়লে অর্থনীতি নিতে পারবে না। এ বছর ব্যবসা করতে না পারলে ট্যাক্স ও কর্মসংস্থান কমবে।

বিশ্বের কোথাও এমন বাজেট প্রণয়ন হয় না। বাংলাদেশের মতো এমন বড় বাজেট বত্তৃদ্ধতা কোথাও নেই। এই বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়া সংস্কারের দাবি জানান প্রথম আলোর অনলাইনের প্রধান শওকত হোসেন মাসুম। আর মূল্যস্ফীতি কমাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্ক কমানোর দাবি জানান ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মৃধা। সূত্র : কালের কণ্ঠ।