নিউইয়র্ক ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পুষ্টিগুণে ভরা আমড়া

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:২৫:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৪
  • / ৩৪১৫ বার পঠিত

দেশীয় ফলের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় পুষ্টিগুণে ভরা আমড়া।সহজলভ্য মজার স্বাদের এই ফলটি পছন্দ করেন ছোট-বড় সকলেই। শুধু ফল হিসেবেই নয় চাটনি, ভর্তা, তরকারি হিসেবেও এর অনেক কদর।আমড়া সারা বছরেই বাজারে পাওয়া যায়। তবে বর্ষা ঋতুতে বেশি থাকে। সাধারণ ফল বিক্রেতাদের কাছে তো বটেই, ভ্রাম্যমাণ ফল ও আচার বিক্রেতাদের কাছেও মেলে এই ফল। লবণ-মরিচের গুঁড়ো দিয়ে মেখে খেতে খুবই চমৎকার। বর্তমানে বাজারে এই ফলের বেশ আধিক্য। আসুন জেনে নিই আমড়ার পুষ্টিগুণ:

প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায় আছে- ৪৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ০.২ গ্রাম আমিষ, ০.১ গ্রাম চর্বি, ১২.৪ গ্রাম শর্করা, ৫৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৬৭ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ০.৩ মিলিগ্রাম আয়রন, ২০৫ আইইউ ক্যারোটিন, ০.০৫ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.০২ মিলিগ্রাম রিবোফ্লেভিন, ৩৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।

আমড়া শরীরের রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। স্ট্রোক ও হৃদরোধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমড়াতে রয়েছে ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম যা মাড়ি ও দাঁতের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। আমড়ার আঁশ বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সক্ষম।এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। খাওয়ার অরুচি ও শরীরের অতিরিক্ত উত্তাপকে নিষ্কাশনে সাহায্য করে আমড়া। আমড়ার গুণে ত্বক, নখ ও চুল সুন্দর থাকে। ত্বকের নানা রোগও প্রতিরোধ করে। এছাড়া খিঁচুনি, পিত্ত ও কফ নাশক হিসেবে আমড়ার ব্যবহার বহুল প্রচলিত। তাই সাধ্যের মধ্যে পাওয়া এই পুষ্টির আধার আমড়া আমাদের কসুস্থতার জন্য খাওয়া উচিৎ পর্যাপ্ত পরিমাণে।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

পুষ্টিগুণে ভরা আমড়া

প্রকাশের সময় : ১১:২৫:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৪

দেশীয় ফলের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় পুষ্টিগুণে ভরা আমড়া।সহজলভ্য মজার স্বাদের এই ফলটি পছন্দ করেন ছোট-বড় সকলেই। শুধু ফল হিসেবেই নয় চাটনি, ভর্তা, তরকারি হিসেবেও এর অনেক কদর।আমড়া সারা বছরেই বাজারে পাওয়া যায়। তবে বর্ষা ঋতুতে বেশি থাকে। সাধারণ ফল বিক্রেতাদের কাছে তো বটেই, ভ্রাম্যমাণ ফল ও আচার বিক্রেতাদের কাছেও মেলে এই ফল। লবণ-মরিচের গুঁড়ো দিয়ে মেখে খেতে খুবই চমৎকার। বর্তমানে বাজারে এই ফলের বেশ আধিক্য। আসুন জেনে নিই আমড়ার পুষ্টিগুণ:

প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায় আছে- ৪৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ০.২ গ্রাম আমিষ, ০.১ গ্রাম চর্বি, ১২.৪ গ্রাম শর্করা, ৫৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৬৭ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ০.৩ মিলিগ্রাম আয়রন, ২০৫ আইইউ ক্যারোটিন, ০.০৫ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.০২ মিলিগ্রাম রিবোফ্লেভিন, ৩৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।

আমড়া শরীরের রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। স্ট্রোক ও হৃদরোধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমড়াতে রয়েছে ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম যা মাড়ি ও দাঁতের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। আমড়ার আঁশ বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সক্ষম।এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। খাওয়ার অরুচি ও শরীরের অতিরিক্ত উত্তাপকে নিষ্কাশনে সাহায্য করে আমড়া। আমড়ার গুণে ত্বক, নখ ও চুল সুন্দর থাকে। ত্বকের নানা রোগও প্রতিরোধ করে। এছাড়া খিঁচুনি, পিত্ত ও কফ নাশক হিসেবে আমড়ার ব্যবহার বহুল প্রচলিত। তাই সাধ্যের মধ্যে পাওয়া এই পুষ্টির আধার আমড়া আমাদের কসুস্থতার জন্য খাওয়া উচিৎ পর্যাপ্ত পরিমাণে।