মোনালিসা। দেশে-প্রবাসে আলোচিত মডেল। কয়েক বছর ধরে নিউইয়র্ক প্রবাসী। সম্প্রতি তাকে নিয়ে লেখা বিশেষ করে মোনালিসাকে ছোট করে দেখায় তার ভক্ত আর মিডিয়ার পাঠকদের আহুত করেছে। প্রথমে দৈনিক মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী নিউইয়র্ক সফরকালীন সময়ে টাইম টেলিভশনে কর্মরত অবস্থায় মোনালিসার সাথে কথা হয়। এরপর মতিউর রহমান চৌধুরী দেশে ফিরে মানবজমিনে মোনালিসাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনটিতে মোনালিসাকে পজেটিভ আকারে তুলে ধরা হয়। পরবর্তীতে চলতি মাসের প্রথম দিকে প্রথমে দৈনিক ইত্তেফাক-এর মোনালিসাকে নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। ইত্তেফাক-এর প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর প্রায় একই প্রতিবেদন দৈনিক যুগান্তর-এ প্রকাশিত হয়। ইত্তেফাক ও যুগান্তরের প্রতিবেদনটির পর নিউইয়র্কে থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক আজকাল ঐ দুই প্রতিবেদনের আলোকে দৃশ্যত: একটি পজেটিভ নিউজ করে। কিন্তু মোনালিসা সম্পর্কিত খবর কমিউনিতে আরো বেশী আলোচিত হয় গত সোমবার প্রকাশিত সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকায় মোনালিসা সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর। বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত খবরটি যে ঢাকায় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কাট এন্ড পেস্ট তা না বুঝার কোন কারণ নেই। আর প্রতিবেদনটি কোন রকম সম্পাদনা ব্যতিরেকেই বাংলা পত্রিকায় ছাপা হয়েছে তা খবরটিই বলে দিচ্ছে। কেননা, প্রতিবেদনটি বাংলা পত্রিকার জন্য স্ব-বিরোধী ছাড়া আর কিছু নেই। প্রতিবেদনটি প্রকাশের ফলে প্রশ্ন উঠেছে বাংলা পত্রিকা’র সম্পাদনা বিভাগের দূর্বলতা নিয়ে। কেউ কেউ বলছেন, বাংলা পত্রিকা’র সম্পাদকের দায়িত্ব কি?
বাংলা পত্রিকা আর টাইম টেলিভিশন একই হাউজের দুটি মিডিয়া। মডেল মোনালিসা টাইম টেলিভিশনে কর্মরত ছিলেন। তার ভক্ত-সমর্থকদের দাবী মোনালিসা খারপ কি করেছেন? তিনি তো চুরি করছেন না বা লুকোচুরি করে অন্যায় কিছু করছেন না! বরং প্রবাসী জীবনের বাস্তবতা মেনেই তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন। তার ক্যারিয়ারের সফলতা ছোট করে দেখার কোন কারণ নেই। মোনালিসার ভক্ত-সমর্থকদের প্রশ্ন তাকে নিয়ে হচ্ছেটা কি?
২. সাপ্তাহিক আজকাল-এর সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিক মনজুর আহমদ-এর নিয়োগ আর সম্পাদক আহমেদ মুসা’র বিদায় সম্পর্কে সাপ্তাহিক পরিচয়-এর প্রেসনোট প্রকাশের পর প্রেসনোটটি পাঠক মহলে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। পাঠক মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে কি কারণে বা কোন ব্যর্থতায় আহমেদ মুসা’র মতো একজন লেখককে আজকাল-এর সম্পাদক পদ থেকে বিদায় নিতে হলো। রাতের আধারেই কেন আহমেদ মুসাকে বিদায় জানানো হলো? সে সম্পর্কে আজকাল-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তি কোন কথা না লিখে নতুন নিয়োগকৃত সম্পাদক মনজুর আহমদ সম্পর্কে বিস্তর তথ্য তুলে ধরা হলো। কিন্তু এতো তথ্যের মধ্যেও বলা হলো না সাংবাদিক মনজুর আহমদ অধুনালুপ্ত ‘কথা’ একটি পত্রিকার দুই সপ্তাহের সম্পাদক ছিলেন। সাপ্তাহিক কথা নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত হতো এবং পত্রিকাটি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকদের মিডিয়া ছিলো। আজকাল-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মনজুর আহমদ জাতীয় প্রেসক্লাব ও বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি থাকলেও তিনি নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচনে জুনিয়র সাংবাদিক মাহফুজুর রহমানের কাছে গোপন ভোটে হেরে যান তা বলা হয়নি। পরিচয়-এর কাছে পাঠকদের প্রশ্ন কেন এই লুকোচুরি?
৩. বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেক লীগ গত ৭ ডিসেম্বর রোববার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের একটি রেষ্টুরেন্টে আলোচনা সভার আয়োজন করে। ঐ সভায় উপস্থিত সাপ্তাহিক ঠিকানা’র সাবেক সম্পাদক ও সিওও, বাংলাদেশের কৃতি অ্যাথলেট সাঈদ-উর রব-এর দীর্ঘক্ষণ উপস্থিতি অনেকের কাছে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কেননা, সাপ্তাহিক ঠিকানা’র দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে সাঈদ-উর রব দু’একটি অনুষ্ঠান ছাড়া কোন রাজনৈতিক দল বা অঙ্গ সংগঠনগুলোর সভা-সমাবেশে উপস্থিত থাকতেন না। কিন্তু হঠাৎ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি (প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে অনুষ্ঠানের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত) কমিউনিটিতে প্রশ্ন উঠেছে ‘রব সভাই কি আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছেন’?
চলতি সপ্তাহে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পরিচয়-এর ‘পরিচয়-কে কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী : সব জায়গাতেই কিছু দুষ্টলোক থাকে, যুক্তরাষ্ট্রে আহ্বায়ক কমিটি ছাড়া যুবলীগের কোন কমিটি নেই’, সাপ্তহিক বাংলা পত্রিকাসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত বার্তা সংস্থা ইউএনএ’র ‘নিউইয়র্কের অ্যাওয়ার্ড সমাচার’, সাপ্তাহিক ঠিকানা’র ‘জাদুকর এস রহমান লাপাত্তা?’ ও প্রেমিকার মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী গ্রেফতার’ শীর্ষক প্রতিবেদন পাঠক মহলে আলোচিত হয়েছে।
১২ ডিসেম্বর’২০১৪ (সাপ্তাহিক পরিচয়)