নিউইয়র্ক ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কের প্রেসনোট : টাইম টিভি’র টাইম পলিটিক্স নিয়ে কথা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
  • / ৬৭৯ বার পঠিত

নিউইয়র্ক থেকে সম্প্রচারিত টাইম টেলিভিশন-এর সম্প্রচারের বয়স প্রায় এক বছর হতে চললো। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও টাইম টিভিসহআরো কয়েকটি বাংলাদেশী মালিকানাধীন টিভি চ্যানেল সম্প্রচারিত হচ্ছে নিউইয়র্ক থেকে। নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত প্রায় দুই ডজনের মতো প্রিন্ট মিডিয়ার (পত্রিকা) পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য সুখবর বটেই। তবে সচেতন মহলের প্রশ্ন রয়েছে কমিউনিটিতে এতো মিডিয়া প্রয়োজন আছে কিনা। নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটির ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াগুলোর মধ্যে টাইম টিভি আর টিবিএন২৪ চ্যানেল দুটো বেশ প্রস্তুতি নিয়েই সম্প্রচারে এসেছে। এই চ্যানেল দুটো ইতিমধ্যেই কমিউনিটি নির্ভর বেশ কটি নিয়মিত অনুষ্ঠানও শুরু করেছে। তবে অতি সম্প্রতি সম্প্রচারিত টাইম টিভির ‘টাইম পলিটিক্স’ নিয়ে কমিউনিটিতে নানা কথা উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে ঢাকার বিভিন্ন টিভির ‘টক শো’র আলোকে অনুষ্ঠিত টাইম টিভির ‘টাইম পলিটিক্স’ অনুষ্টানের মান আর অনুষ্ঠানের আলোচকদের মান ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও। সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সাকীর উপস্থাপনায় যাকে-তাকে এই অনুষ্ঠানে অতিথি করে আলোচনা করা অনুষ্ঠানটি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সচেতন প্রবাসীদের মতে গত প্রায় দুই সপ্তাহের অনুষ্ঠানে এপর্যন্ত যারা এই অনুষ্ঠানে অতিথি হয়েছেন তাদের মতে ২/১জন ছাড়া অন্য অতিথির কি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বা সঙ্কট নিরসনে কোন ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে বা তাদের বক্তব্য কি কমিউনিটি গ্রহণ করেছে বা করছে? এতে অনুষ্ঠানটির মান কমছে বৈ বাড়ছে না। যেখানে প্রবাসের বিভিন্ন রাজনেতিক দলগুলোর মূল দলের শীর্ষ নেতারাই প্রশ্নবিদ্ধ সেখানে দলগুলোর অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা কতটুকু গ্রহণযোগ্য তাও বিবেচনার দাবী রাখে। অনুষ্ঠানটিতে একজন পিএইচডি ডিগ্রীধারীর সাথে আরেকজন পিএইডি ডিগ্রীধারী বিশেষজ্ঞ বা এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের সাথে আরেকজন অধ্যাপক অতিথিই শ্রেয় নয় কি? সচেতন আর অভিজ্ঞমহলের মতে যাকে-তাকে আলোচক না করে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গকে আলোচক হিসেবে অতিথি করলে অনুষ্ঠানটি যেমন সমৃদ্ধ হবে তেমনী দর্শক-শ্রোতামহলে আরো প্রশংসিত হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে বাংলাদেশের টিভিগুলোর টক শো’র আলোচকদের কথাই যেখানে সমালোচিত, উপেক্ষিত সেখানে নিউইয়র্কের টিভিগুলোর টক শো’র কি অবস্থা হতে পারে তা বলাই বাহুল্য। আমরা টাইম টিভির ‘টাইম পলিটিক্স’ অনুষ্ঠানটিকে নিরুৎসাহিত নয় বরং উৎসাহিত করইে অনুষ্ঠানটিকে আরো সমৃদ্ধ ও মানসম্মত করতে পদক্ষেপ আর পরিকল্পনা নিতে টাইম টিভি কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি ভাববার অনুরোধ রাখতে চাই। শুধু শুধু আলোচনার জন্য আলোচনা নয় বা মুখচেনা কতিপয় ব্যক্তিবর্গের বাহবা পাবার জন্য নয়, বরং সত্যিকারের গ্রহণযোগ্য অনুষ্ঠানের জন্যই টাইম টিভির ‘টাইম পলিটিক্স’ অনুষ্ঠান ঢেলে সাজানো দরকার।
২. সাপ্তাহিক আজকাল-এ ইতিপূর্বে প্রকাশিত ‘মোদী-হাসিনা’র ফোনালাপ বিষয়ের রিপোটের প্রেক্ষিতে ঢাকার দৈনিক আসাদের সময়-এ রিপোর্ট প্রকাশের পর সরকারের প্রতিবাদের মুখে আমাদের সময় পরবর্তীতে রিপোর্ট প্রত্যাহার করে নিলেও আজকাল কর্তৃপক্ষ রিপোর্টের স্বপক্ষে কোন ব্যাখা দেয়নি। অবশ্য আজকাল-এর রিপোর্টের ব্যাপারে গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রতিবাদ জানানো হয়েছে কিনা তাও জানা যায়নি। তবে যেহেতু খবরটি ঢাকায় প্রকাশের পর সরকারের মুখপাত্র খবরটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলেছে সেবেক্ষত্রে নিউইয়র্ক তথা উত্তর আমেরিকা’র পাঠকের প্রত্যাশা ছিলো খবরটির বিষয়ে আজকাল তার অবস্থান ব্যাখা করবে।
৩. নিউইয়র্ক থেকে আরো একটি পত্রিকা বাজারে আসছে বলে জোর কথা শুনা যাচ্ছে কমিউনিটিতে। নিউইয়র্কের এবটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় রিপোটিং কাম বানিজ্যিক বিভাগে কর্মরত একজন এই পত্রিকার উদ্যোক্তা বলে জানা গেছে। তবে নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটি যখন প্রায় দুই ডজন পত্রিকার ভারে ভারাক্রান্ত, সেখানে এই মিডিয়াগুওলোর প্রকাশনা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্টদের হিমসিম খেতে হচ্ছে সেখানে নতুন পত্রিকা কতটুকু সম্ভাবনার দ্বার খুলতে পারবে সেটাই প্রশ্ন।
৪. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সেক্রেটারী, লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক আমিনুল হক বাদশা গত ৯ ফেব্রুয়ারী সোমবার লন্ডনে ইন্তেকাল করেছেন। তার ইন্তেকালে আমরা গভীর শোক এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি। সেই সাথে ম্যানহাটানস্থ মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাপ্তাহিক রানার এর প্রধান সম্পাদক তাসের মাহমুদের আশু রোগমুক্তি কামনা করছি। গুরুতর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ২ ফেব্রুয়ারী থেকে ঐ হাসপাতারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১৩ ফেব্রুয়ারী’২০১৫ (সাপ্তাহিক পরিচয়)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিউইয়র্কের প্রেসনোট : টাইম টিভি’র টাইম পলিটিক্স নিয়ে কথা

প্রকাশের সময় : ১১:৪৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৫

নিউইয়র্ক থেকে সম্প্রচারিত টাইম টেলিভিশন-এর সম্প্রচারের বয়স প্রায় এক বছর হতে চললো। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও টাইম টিভিসহআরো কয়েকটি বাংলাদেশী মালিকানাধীন টিভি চ্যানেল সম্প্রচারিত হচ্ছে নিউইয়র্ক থেকে। নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত প্রায় দুই ডজনের মতো প্রিন্ট মিডিয়ার (পত্রিকা) পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য সুখবর বটেই। তবে সচেতন মহলের প্রশ্ন রয়েছে কমিউনিটিতে এতো মিডিয়া প্রয়োজন আছে কিনা। নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটির ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াগুলোর মধ্যে টাইম টিভি আর টিবিএন২৪ চ্যানেল দুটো বেশ প্রস্তুতি নিয়েই সম্প্রচারে এসেছে। এই চ্যানেল দুটো ইতিমধ্যেই কমিউনিটি নির্ভর বেশ কটি নিয়মিত অনুষ্ঠানও শুরু করেছে। তবে অতি সম্প্রতি সম্প্রচারিত টাইম টিভির ‘টাইম পলিটিক্স’ নিয়ে কমিউনিটিতে নানা কথা উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে ঢাকার বিভিন্ন টিভির ‘টক শো’র আলোকে অনুষ্ঠিত টাইম টিভির ‘টাইম পলিটিক্স’ অনুষ্টানের মান আর অনুষ্ঠানের আলোচকদের মান ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও। সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সাকীর উপস্থাপনায় যাকে-তাকে এই অনুষ্ঠানে অতিথি করে আলোচনা করা অনুষ্ঠানটি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সচেতন প্রবাসীদের মতে গত প্রায় দুই সপ্তাহের অনুষ্ঠানে এপর্যন্ত যারা এই অনুষ্ঠানে অতিথি হয়েছেন তাদের মতে ২/১জন ছাড়া অন্য অতিথির কি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বা সঙ্কট নিরসনে কোন ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে বা তাদের বক্তব্য কি কমিউনিটি গ্রহণ করেছে বা করছে? এতে অনুষ্ঠানটির মান কমছে বৈ বাড়ছে না। যেখানে প্রবাসের বিভিন্ন রাজনেতিক দলগুলোর মূল দলের শীর্ষ নেতারাই প্রশ্নবিদ্ধ সেখানে দলগুলোর অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা কতটুকু গ্রহণযোগ্য তাও বিবেচনার দাবী রাখে। অনুষ্ঠানটিতে একজন পিএইচডি ডিগ্রীধারীর সাথে আরেকজন পিএইডি ডিগ্রীধারী বিশেষজ্ঞ বা এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের সাথে আরেকজন অধ্যাপক অতিথিই শ্রেয় নয় কি? সচেতন আর অভিজ্ঞমহলের মতে যাকে-তাকে আলোচক না করে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গকে আলোচক হিসেবে অতিথি করলে অনুষ্ঠানটি যেমন সমৃদ্ধ হবে তেমনী দর্শক-শ্রোতামহলে আরো প্রশংসিত হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে বাংলাদেশের টিভিগুলোর টক শো’র আলোচকদের কথাই যেখানে সমালোচিত, উপেক্ষিত সেখানে নিউইয়র্কের টিভিগুলোর টক শো’র কি অবস্থা হতে পারে তা বলাই বাহুল্য। আমরা টাইম টিভির ‘টাইম পলিটিক্স’ অনুষ্ঠানটিকে নিরুৎসাহিত নয় বরং উৎসাহিত করইে অনুষ্ঠানটিকে আরো সমৃদ্ধ ও মানসম্মত করতে পদক্ষেপ আর পরিকল্পনা নিতে টাইম টিভি কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি ভাববার অনুরোধ রাখতে চাই। শুধু শুধু আলোচনার জন্য আলোচনা নয় বা মুখচেনা কতিপয় ব্যক্তিবর্গের বাহবা পাবার জন্য নয়, বরং সত্যিকারের গ্রহণযোগ্য অনুষ্ঠানের জন্যই টাইম টিভির ‘টাইম পলিটিক্স’ অনুষ্ঠান ঢেলে সাজানো দরকার।
২. সাপ্তাহিক আজকাল-এ ইতিপূর্বে প্রকাশিত ‘মোদী-হাসিনা’র ফোনালাপ বিষয়ের রিপোটের প্রেক্ষিতে ঢাকার দৈনিক আসাদের সময়-এ রিপোর্ট প্রকাশের পর সরকারের প্রতিবাদের মুখে আমাদের সময় পরবর্তীতে রিপোর্ট প্রত্যাহার করে নিলেও আজকাল কর্তৃপক্ষ রিপোর্টের স্বপক্ষে কোন ব্যাখা দেয়নি। অবশ্য আজকাল-এর রিপোর্টের ব্যাপারে গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রতিবাদ জানানো হয়েছে কিনা তাও জানা যায়নি। তবে যেহেতু খবরটি ঢাকায় প্রকাশের পর সরকারের মুখপাত্র খবরটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলেছে সেবেক্ষত্রে নিউইয়র্ক তথা উত্তর আমেরিকা’র পাঠকের প্রত্যাশা ছিলো খবরটির বিষয়ে আজকাল তার অবস্থান ব্যাখা করবে।
৩. নিউইয়র্ক থেকে আরো একটি পত্রিকা বাজারে আসছে বলে জোর কথা শুনা যাচ্ছে কমিউনিটিতে। নিউইয়র্কের এবটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় রিপোটিং কাম বানিজ্যিক বিভাগে কর্মরত একজন এই পত্রিকার উদ্যোক্তা বলে জানা গেছে। তবে নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটি যখন প্রায় দুই ডজন পত্রিকার ভারে ভারাক্রান্ত, সেখানে এই মিডিয়াগুওলোর প্রকাশনা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্টদের হিমসিম খেতে হচ্ছে সেখানে নতুন পত্রিকা কতটুকু সম্ভাবনার দ্বার খুলতে পারবে সেটাই প্রশ্ন।
৪. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সেক্রেটারী, লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক আমিনুল হক বাদশা গত ৯ ফেব্রুয়ারী সোমবার লন্ডনে ইন্তেকাল করেছেন। তার ইন্তেকালে আমরা গভীর শোক এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি। সেই সাথে ম্যানহাটানস্থ মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাপ্তাহিক রানার এর প্রধান সম্পাদক তাসের মাহমুদের আশু রোগমুক্তি কামনা করছি। গুরুতর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ২ ফেব্রুয়ারী থেকে ঐ হাসপাতারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১৩ ফেব্রুয়ারী’২০১৫ (সাপ্তাহিক পরিচয়)