ঢাকা: ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) প্রথা অনুযায়ী সাংবাদিক সন্তোষ মন্ডলের পরিবারকে অর্থ সহায়তা ও সন্তানদের পড়ালেখার জন্য সহযোগিতা করা হবে। এ ছাড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে তিন দিনের শোক পালন করা হবে। ২৪ জুন শুক্রবার দুপুরে ডিআরইউয়ে সাংবাদিক সন্তোষ মন্ডলকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংগঠনের সভাপতি জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ডিআরইউয়ের প্রথা অনুযায়ী কোনো সদস্য প্রয়াত হলে তার পরিবারের পাশে দাঁড়ায় সংগঠনটি। দাদার ক্ষেত্রেও তাই হবে। আমরা কিছুদিনের মধ্যেই তার পরিবারের হাতে তিন লাখ টাকা তুলে দেব এবং তার সন্তানদের পড়াশোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা শিক্ষাবৃত্তি এ বছর থেকেই দেওয়া হবে। আর তার মৃত্যুতে ডিআরইউ তিনদিনের শোক প্রস্তাব কর্মসূচি নিয়েছে। এই তিনদিন সবাই কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।’
তার মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ও খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতি।
এ ছাড়া সন্তোষ মন্ডলকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন, কলামিস্ট ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স।
তার এক সময়ের কর্মস্থল চ্যানেল আই, পুলিশের আইজিপি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকেও ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান, সংগঠনের সভাপতি জামাল উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, প্রাক্তন সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান ও ইলিয়াস হোসেনসহ নেতারা।
এ ছাড়া সন্তোষ মন্ডলের বড় ভাই মহিতোষ কুমার মন্ডল, ছেলে স্বাগতসহ তার নিকটাত্মীয় কয়েকজন সেখানে ছিলেন।
ডিআরইউয়ের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সন্তোষ মন্ডলকে তার বাসভবন কাঁটাবনের কনকর্ড এম্পোরিয়াম প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়। সেখানে তার প্রিয়জনেরা শ্রদ্ধা জানাবেন। শুক্রবার দুপুরের পর পুস্তকলা শ্মশানঘাটে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
এর আগে শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ পৌঁছে। সেখান থেকে দুপুর ১২টায় ডিআরইউতে তার মরদেহ আনা হয়। (রাইজিংবিডি ডট কম)