টাইম টিভি পরিদর্শনে জার্মানীর ১১ সাংবাদিক
- প্রকাশের সময় : ০৮:০৯:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০১৫
- / ৫১৫ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী কমিউনিটির ক্ষমতায়ন ও এগিয়ে যাওয়ায় গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখছে টাইম টেলিভিশন। প্রথমবারের মতো কোন কমিউনিটির টিভি চ্যানেল পরিদর্শনে এসে এই অভিমত জানালেন জার্মানির ১১জন সাংবাদিক। কমিউনিটি নির্ভর টাইম টেলিভিশন ও বাংলা পত্রিকা মিডিয়া হাউজের কর্মকান্ডকে সাধুবাদও জানান তারা। এছাড়াও টাইম টেলিভিশনের নিউজ বুলেটিন, এনসিএ প্রোগ্রাম, ইমেগ্রেশন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প-সংষ্কৃতির বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচারের মধ্যদিয়ে টাইম টেলিভিশনের অগ্রযাত্রায় সাফল্য কামনা করেন জার্মান সাংবাদিকরা। গেল ৬ এপ্রিল সোমবার দুপুরে টাইম টেলিভিশন পরিদর্শনে এলে জার্মানির ১১জন সাংবাদিককে অভ্যর্থনা জানান, টাইম টেলিভিশনের সিইও আবু তাহের, বার্তা প্রধান আবিদুর রহিম, সিনিয়র সাংবাদিক মনির হায়দার ও শিবলী চৌধুরী কায়েস’সহ টাইম টেলিভিশন এবং বাংলা পত্রিকার সাংবাদিক ও কর্মকর্তারা।
১১ জন সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন নিউ আমেরিকান মিডিয়া’র নিউইয়র্ক ব্যুরো চীফ এনথোনি এডভিনকুলার। এসময়ে তারা বিভিন্ন বিষয়ে খোলা-মেলা কথা বলেন। আমেরিকার মাটিতে বাংলাদেশী কমিউনিটি নির্ভর টাইম টেলিভিশন ও বাংলা-পত্রিকার অবদানকে সাধুবাদ জানান তারা। বলেন, এধরণের মিডিয়া হাউজ বাংলাদেশী অভিবাসীদের জন্য অনেক বড় অর্জন।এরপর অংশ নেন টাইম টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান টাইম টকে। সরাসরি সম্প্রচারিত এই অনুষ্ঠানে উঠে আসে জামার্নি তথা ইউরোপ ও আমেরকিার ইমিগ্রেশন বিষয়টিও। টাইম টক অনুষ্ঠানে আলাপচারিতায় জার্মানির মুসলিম সম্প্রদায়ের বর্তমান অবস্থাও তুলে ধরেন তারা। বলেন, জার্মানিতে অসংখ্য মুসলিম অভিবাসী রয়েছেন। তারেদর সাথে আমাদের সম্পর্কও বেশ ভালো। জার্মানির মুসলিমরা অনেক উদারপন্থি এবং আধুনিক। কিন্তু কিছু কিছু এলাকার কট্টর জার্মানরা মুসলমানদের ভয়ের চোখে দেখেন।”
অনুষ্ঠান শেষে টাইম টিভি ও বাংলা পত্রিকার নিউজ রুমে চায়ের আড্ডায় গল্পে-গানে মেতে উঠেন অতিথিরা। এসময়ে টাইম টেলিভিশনের অনুষ্ঠান বিভাগের বিউটি দাস একটি দেশাতœবোধক গান পরিবেশন করেন। উপস্থিত টাইম টিভি ও বাংলা পত্রিকার সবাই বিউটির কণ্ঠে গাওয়া গানের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে পরিবেশনকে তুমুল করতালি দিয়ে স্বাগত জানান জার্মান সাংবাদিকরা। তারা বলেন, এমন একটি গান যে সবাই একসাথে গাইছে। জার্মানির সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত কী না? যখন জানতে পারেন দেশাতœবোধক গান তখন তারা আরো খুশি হন এই ভেবে যে বাংলাদেশীরা অনেক সংস্কৃতিমনা।
জার্মানির খ্যাতনামা বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করা এই ১১জন সাংবাদিকের মধ্যে রয়েছেন হামবার্গের ‘নিউজশো অফ দ্য এআরডি’র এডিটর ও এনডিআরইনফো রেডিও ব্রডকাস্টিং স্টেশনের সাবেক নিউজ এডিটর এন্ড স্পোর্টস রিপোর্টার আর্নড ব্রোরসেন, ওয়েস্টডাসচার রান্ডফুকস ন্যাশনাল নিউজ ডিপার্টমেন্টের রিপোর্টার এন্ড ম্যানেজিং এডিটর গুডরান এঞ্জেল, ইস্টার্ন পার্ট অব জার্মানীর টিভি রিপোর্টার ড্যানিয়েল জো, এনডিআর টিভি’র ইউএস. জার্মানী বিষয়ক রিপোর্টার জোহান্স জোলমিস, সাউথওয়েস্টার্ন জার্মানীর বিভিন্ন টিভি’র রিপোর্টার মার্ক কুইজার, পাবলিক ব্রডকাস্ট বাইয়ার্চার রান্ডফাক (বিআর/এআরডি)-এর সাংবাদিক ও অনলাইন রেডিও-টিভি’র এডিটর লেডিয়া লেইপের্ট, ফাঙ্কফুটের এইচআর রেডিও এন্ড টিভি’র রিপোর্টার এবং জেডডিএফ টিভির রিপোর্টার ও এডিটর সারাহ প্লাস, ফাঙ্কফুট রেডিও’র এয়ারপোর্ট/অ্যাভিয়েশন বিষয়ক রিপোর্টার ডানিয়েল স্কন্ডো, বার্লিন রেডিও/টিভির ফ্রিল্যান্সার গুইসি ভ্যালেনটিনি, হামবার্গের এনডিআর রেডিও রিপোর্টার ও টিভি প্রেজেন্টার চার্লোটি ভব এবং এনডিআর রেডিও’র রিপোর্টার জেনী উইটি প্রমুখ। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)