নিউইয়র্ক ০৯:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

১৬ বছর পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টাইগারদের ঐতিহাসিক জয় : ৩২৯ রানের জবাবে ২৫০ রান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪২:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৫
  • / ৮৪৯ বার পঠিত

ঢাকা: ঐতিহাসিক জয় দিয়ে শুরু হলো ড্যান কেক ওয়ান সিরিজ। ব্যাটে-বলে সমান দাপট দেখিয়েই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি পাকিস্তান। মনেই হয়নি এই দলটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ গত ১৬ বছরে কোন ফরমেটের খেলাতেই জয়ের মুখ দেখেনি। সর্বশেষ ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর অনেকবার জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও কাংখিত সাফল্য মিলেনি। বাংলাদেশের ৩২৯ রানের জবাবে পাকিস্তান অলআউট হয়ে যায় ২৫০ রানে। ড্যান কেক ওয়ানডে সিরিজের প্রথম খেলাতে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৭৯ রানে। খেলার তখনও বাকি ছিল ২৮ বল। চাওয়া আর পাওয়ার এমন মিল বাংলাদেশ খুব কমই দেখেছে। কাগজে-কলমে ফেভারিট বাংলাদেশ প্রমাণ দিয়েছে মাঠেও। ড্যান কেক ওয়ানডে সিরিজে এগিয়ে গেছে ১-০তে। সাকিবের কথায় সিরিজ জয়ের স্বপ্ন এখন বাংলাদেশ দেখতেই পারে। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি ৩টি করে উইকেট নেন যথাক্রমে ৪২ ও ৪৭ রানের বিনিময়ে। রুবেল আর সাকিব পান একটি করে উইকেট। খেলার ভাগ্য অবশ্য আগেই নিজেদের দিকে নিয়ে এসেছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও মিডল অর্ডারে মুশফিকুর রহীম। তাদের জোড়া শতকই অনেক প্রতীক্ষার এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বাতির আলোয় ৩৩০ রানের লক্ষ্য যে কোন দলের জন্যই অর্জন দুরূহ। পাকিস্তান তাই অর্ধেকটা হেরেছে বোলিংয়ে। আর বাকিটা হেরেছে ব্যাটিংয়ে। পাকিস্তান অবশ্য শুরুটা ভালই করেছিল কিন্তু বেশিক্ষণ তা ধরে রাখতে পারেনি। আরাফাত সানির ঘূর্ণিপাকে প্রথম ধাক্কা খায় পাকিস্তান। অধিনায়ক আজহার আর সরফরাজ আহমেদ ১০ ওভারে ৫৩ রান তুলে আস্থা জাগিয়ে তোলেন। কিন্তু ১১তম ওভারে আরাফাত সানির শিকার হয়ে সরফরাজ বিদায় নেয়ার পর পাকিস্তানকে আরও চাপে ফেলে দেয় মোহাম্মদ হাফিজের রানআউট। বিশ্বকাপে না খেলা হাফিজ আউট হন মাত্র ৪ রান করে। তৃতীয় উইকেটে আজহার আর হারিস সোহেল অতি সতর্কতার সঙ্গে খেলতে গিয়ে রানের চাকা বাড়াতে পারেননি। ১৫ ওভারে এ জুটি ৮৯ রান তুললেও তা পাকিস্তানের রান গড় পিছিয়ে দেয়। তবে তাসকিনের বলে আজহার আলী আউট না হলে বাংলাদেশের জন্য বিপদের কারণ হতে পারতো। ৭২ রান করেন তিনি ৭৩ বলে। ৭টি চারের মার ছিল তার ইনিংসে। ১৭৫ রানের মাথায় হারিস সোহেলের উইকেটও তুলে নেন তাসকিন। খেলার লাগাম চলে আসে বাংলাদেশের হাতে। এরপর নবাগত রিজওয়ান একপ্রান্ত আগলে খেললেও যোগ সাহচর্য পাচ্ছিলেন না কারও। তবে ২৪৯ রানের মাথায় তার সংগ্রাম থামিয়ে দেন রুবেল হোসেন। ৮ চারে ৫৭ বলে ৬৭ রান করেন ২৩ বছর বয়সী এই পেশোয়ারি। বাউন্ডারি লাইনের কাছে তার ক্যাচ লুফেন নাসির। তার আগে তাসকিন ও আরাফাত পাকিস্তানের কোমর ভেঙে দেন। ফাওয়াদ আলম ও সাদ নাসিম আরাফাতের আর বিশ্বকাপে সাড়া জাগানো ওয়াহাব রিয়াজের উইকেট নেন তাসকিন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন ৭৭ বলে সেঞ্চুরি করা মুশফিক। তার হাতে ১ হাজার ডলারের চেক তুলে দেন ঢাকা আইসক্রিম লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিমউদ্দিন আহমেদ।
এর আগে বাংলাদেশ তামিম ইকবাল আর মুশফিকুর রহীমের রেকর্ড জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে। সেঞ্চুরি হাঁকান দু’জনই। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি এবারই প্রথম। তৃতীয় উইকেটে এ দু’জন গড়েন ১৭৮ রানের জুটি। যে কোন উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। ২০০৬ সালে নারায়ণগঞ্জের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে কেনিয়ার বিপক্ষে রাজিন সালেহ-হাবিবুল বাশার গড়েন ১৭৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ৩২৯ রানও ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ রানের আগের রেকর্ডটিও ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। গত বছর এশিয়া কাপে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩২৬ রান।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশ দলের এদিনের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শুরুতে বাংলাদেশের দুই বাঁ-হাতি ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের বিপক্ষে পাকিস্তানের বাঁ-হাতি তিন পেসার জুনাইদ খান, রাহাত আলী ও ওয়াহাব রিয়াজ দিনের শুরুতে ছিলেন অনেকটাই নিখুঁত। তবে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল বলের মেধা বুঝে খেলছিলেন বড় শটও। ৭ ওভার শেষে বিনা উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৭ আর পরের ৭ ওভারে আসে মাত্র ১১ রান। ২০ ওভার শেষে ৬৭/২ সংগ্রহ নিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে পরের সময়টা তামিম-মুশফিক সব চিত্র বদলে দেন। ২১.৪ ওভারের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে তামিম-মুশফিক খেলেন উইকেটের চার পাশে একের পর এক বাহারি শট। পার্ট টাইম বোলারদের নিয়ে এতে ক্রমেই বেসামাল হয়ে পড়েন পাকিস্তানের নতুন অধিনায়ক আজহার আলী। ৪১.৪তম ওভারে ওয়াহাব রিয়াজের অফ স্টাম্পের বাইরে খেলতে গিয়ে আউট হন তামিম। সাদ নাসিম ক্যাচ তালুবন্দি করলে ভাঙে তামিম-মুশফিকের ১৭৮ রানের জুটি। তবে ততক্ষণে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৪৫ রান। এতে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে’র পাঁচ ওভারে তামিম-মুশফিক তুলে নেন ৫৫ রান। পরে মুশফিক-সাকিব গড়েন ৩৪ বলে ৫০ রানের জুটি। এতে ইনিংস শেষে পাকিস্তানের দিকে ৩৩০ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় টাইগাররা।(দৈনিক মানবজমিন)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

১৬ বছর পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টাইগারদের ঐতিহাসিক জয় : ৩২৯ রানের জবাবে ২৫০ রান

প্রকাশের সময় : ০৮:৪২:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকা: ঐতিহাসিক জয় দিয়ে শুরু হলো ড্যান কেক ওয়ান সিরিজ। ব্যাটে-বলে সমান দাপট দেখিয়েই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি পাকিস্তান। মনেই হয়নি এই দলটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ গত ১৬ বছরে কোন ফরমেটের খেলাতেই জয়ের মুখ দেখেনি। সর্বশেষ ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর অনেকবার জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও কাংখিত সাফল্য মিলেনি। বাংলাদেশের ৩২৯ রানের জবাবে পাকিস্তান অলআউট হয়ে যায় ২৫০ রানে। ড্যান কেক ওয়ানডে সিরিজের প্রথম খেলাতে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৭৯ রানে। খেলার তখনও বাকি ছিল ২৮ বল। চাওয়া আর পাওয়ার এমন মিল বাংলাদেশ খুব কমই দেখেছে। কাগজে-কলমে ফেভারিট বাংলাদেশ প্রমাণ দিয়েছে মাঠেও। ড্যান কেক ওয়ানডে সিরিজে এগিয়ে গেছে ১-০তে। সাকিবের কথায় সিরিজ জয়ের স্বপ্ন এখন বাংলাদেশ দেখতেই পারে। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি ৩টি করে উইকেট নেন যথাক্রমে ৪২ ও ৪৭ রানের বিনিময়ে। রুবেল আর সাকিব পান একটি করে উইকেট। খেলার ভাগ্য অবশ্য আগেই নিজেদের দিকে নিয়ে এসেছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও মিডল অর্ডারে মুশফিকুর রহীম। তাদের জোড়া শতকই অনেক প্রতীক্ষার এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বাতির আলোয় ৩৩০ রানের লক্ষ্য যে কোন দলের জন্যই অর্জন দুরূহ। পাকিস্তান তাই অর্ধেকটা হেরেছে বোলিংয়ে। আর বাকিটা হেরেছে ব্যাটিংয়ে। পাকিস্তান অবশ্য শুরুটা ভালই করেছিল কিন্তু বেশিক্ষণ তা ধরে রাখতে পারেনি। আরাফাত সানির ঘূর্ণিপাকে প্রথম ধাক্কা খায় পাকিস্তান। অধিনায়ক আজহার আর সরফরাজ আহমেদ ১০ ওভারে ৫৩ রান তুলে আস্থা জাগিয়ে তোলেন। কিন্তু ১১তম ওভারে আরাফাত সানির শিকার হয়ে সরফরাজ বিদায় নেয়ার পর পাকিস্তানকে আরও চাপে ফেলে দেয় মোহাম্মদ হাফিজের রানআউট। বিশ্বকাপে না খেলা হাফিজ আউট হন মাত্র ৪ রান করে। তৃতীয় উইকেটে আজহার আর হারিস সোহেল অতি সতর্কতার সঙ্গে খেলতে গিয়ে রানের চাকা বাড়াতে পারেননি। ১৫ ওভারে এ জুটি ৮৯ রান তুললেও তা পাকিস্তানের রান গড় পিছিয়ে দেয়। তবে তাসকিনের বলে আজহার আলী আউট না হলে বাংলাদেশের জন্য বিপদের কারণ হতে পারতো। ৭২ রান করেন তিনি ৭৩ বলে। ৭টি চারের মার ছিল তার ইনিংসে। ১৭৫ রানের মাথায় হারিস সোহেলের উইকেটও তুলে নেন তাসকিন। খেলার লাগাম চলে আসে বাংলাদেশের হাতে। এরপর নবাগত রিজওয়ান একপ্রান্ত আগলে খেললেও যোগ সাহচর্য পাচ্ছিলেন না কারও। তবে ২৪৯ রানের মাথায় তার সংগ্রাম থামিয়ে দেন রুবেল হোসেন। ৮ চারে ৫৭ বলে ৬৭ রান করেন ২৩ বছর বয়সী এই পেশোয়ারি। বাউন্ডারি লাইনের কাছে তার ক্যাচ লুফেন নাসির। তার আগে তাসকিন ও আরাফাত পাকিস্তানের কোমর ভেঙে দেন। ফাওয়াদ আলম ও সাদ নাসিম আরাফাতের আর বিশ্বকাপে সাড়া জাগানো ওয়াহাব রিয়াজের উইকেট নেন তাসকিন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন ৭৭ বলে সেঞ্চুরি করা মুশফিক। তার হাতে ১ হাজার ডলারের চেক তুলে দেন ঢাকা আইসক্রিম লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিমউদ্দিন আহমেদ।
এর আগে বাংলাদেশ তামিম ইকবাল আর মুশফিকুর রহীমের রেকর্ড জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে। সেঞ্চুরি হাঁকান দু’জনই। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি এবারই প্রথম। তৃতীয় উইকেটে এ দু’জন গড়েন ১৭৮ রানের জুটি। যে কোন উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। ২০০৬ সালে নারায়ণগঞ্জের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে কেনিয়ার বিপক্ষে রাজিন সালেহ-হাবিবুল বাশার গড়েন ১৭৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ৩২৯ রানও ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ রানের আগের রেকর্ডটিও ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। গত বছর এশিয়া কাপে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩২৬ রান।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশ দলের এদিনের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শুরুতে বাংলাদেশের দুই বাঁ-হাতি ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের বিপক্ষে পাকিস্তানের বাঁ-হাতি তিন পেসার জুনাইদ খান, রাহাত আলী ও ওয়াহাব রিয়াজ দিনের শুরুতে ছিলেন অনেকটাই নিখুঁত। তবে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল বলের মেধা বুঝে খেলছিলেন বড় শটও। ৭ ওভার শেষে বিনা উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৭ আর পরের ৭ ওভারে আসে মাত্র ১১ রান। ২০ ওভার শেষে ৬৭/২ সংগ্রহ নিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে পরের সময়টা তামিম-মুশফিক সব চিত্র বদলে দেন। ২১.৪ ওভারের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে তামিম-মুশফিক খেলেন উইকেটের চার পাশে একের পর এক বাহারি শট। পার্ট টাইম বোলারদের নিয়ে এতে ক্রমেই বেসামাল হয়ে পড়েন পাকিস্তানের নতুন অধিনায়ক আজহার আলী। ৪১.৪তম ওভারে ওয়াহাব রিয়াজের অফ স্টাম্পের বাইরে খেলতে গিয়ে আউট হন তামিম। সাদ নাসিম ক্যাচ তালুবন্দি করলে ভাঙে তামিম-মুশফিকের ১৭৮ রানের জুটি। তবে ততক্ষণে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৪৫ রান। এতে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে’র পাঁচ ওভারে তামিম-মুশফিক তুলে নেন ৫৫ রান। পরে মুশফিক-সাকিব গড়েন ৩৪ বলে ৫০ রানের জুটি। এতে ইনিংস শেষে পাকিস্তানের দিকে ৩৩০ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় টাইগাররা।(দৈনিক মানবজমিন)