নিউইয়র্ক ০৯:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গর্বিত সিমিওনে ব্যর্থ গার্দিওলা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪০:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ মে ২০১৬
  • / ৭৪৭ বার পঠিত

ঢাকা: ইন্টার মিলান, চেলসি, রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা…অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ?
ইতিহাস অ্যাটলেটিকোকে আশাবাদী করে তুলতেই পারে। এর আগে যারাই পেপ গার্দিওলার অধীন দলকে সেমিফাইনালে হারিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা গেছে তাদের ঘরে। ২০১০ সালে বার্সাকে হারিয়েছে ইন্টার, দুই বছর পর চেলসি; আর সর্বশেষ দুই বছর সেমিফাইনালে বায়ার্নকে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত শিরোপা উচ্ছ্বাসে মেতেছে রিয়াল ও বার্সা। এবার তো তাহলে অ্যাটলেটিকোরই বছর!
তবে ফুটবলে অতীত-ভবিষ্যতের মাঝে বর্তমানটাই একমাত্র সত্যি। সেই বর্তমান অ্যাটলেটিকো কোচ ডিয়েগো সিমিওনেকে শুধু গর্বিতই করে। দুই লেগের সেমিফাইনালে বায়ার্নকে হারিয়ে মিলানের ফাইনালের টিকিট কেটেছে অ্যাটলেটিকো। আর ৯০ মিনিট দূরে হাতছানি দিয়ে ডাকছে ক্লাবের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি।
অবশ্যই সেই ডাকে সাড়া দেওয়ার মতো দল অ্যাটলেটিকো। গ্রুপ পর্ব থেকে সেমিফাইনাল—যতগুলো দলের মুখোমুখি হয়েছে, সবাই গত মৌসুমে নিজ নিজ দেশের লিগ চ্যাম্পিয়ন। তার ওপর সর্বশেষ দুই পর্বে বার্সেলোনা ও বায়ার্নকে হারাল তারা। কদিন আগেও তো এই দুটি দল ছিল টুর্নামেন্টে সবচেয়ে ফেবারিট। সিমিওনেকে তাই গর্বই ছুঁয়ে যাচ্ছে, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগ খুবই ভালো কাটছে আমাদের। সুন্দর, তবে কঠিন। আমরা বিশ্বের সেরা তিন ক্লাবের দুটির সঙ্গেই খেলেছি। কঠিন হলেও জিতেছি। দুটিতেই প্রতিপক্ষের মাঠে ২-১ গোলে হেরেছি, কিন্তু ক্যালদেরনে আমরা বেশ ভালো খেলেছি।’
বায়ার্নের মাঠে এই ‘অ্যাওয়ে’ গোলই অ্যাটলেটিকোকে উঠিয়ে দিল ফাইনালে। ম্যাচজুড়ে বায়ার্নের অবিশ্বাস্য আক্রমণ হার মানল গডিন-জিমেনেজ-ওব্লাকদের কাছে। দল রক্ষণে এক বিন্দু ছাড় না দিলেও ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষের অবশ্য উদারতম প্রশংসাই করেছেন সিমিওনে, ‘মানতে হচ্ছে, আমার পুরো ক্যারিয়ারে সবচেয়ে সেরা দলটির বিপক্ষেই খেলেছি। ওরা যেভাবে খেলেছে, অবিশ্বাস্য!’
অবিশ্বাস্য এ খেলার ধরনও অবশ্য সান্ত্বনা দিতে পারছে না বায়ার্নকে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে পেপ গার্দিওলাকে। এবারই তাঁর শেষ মৌসুম বায়ার্নে। তিন বছর আগে এসেছিলেন দলটাকে ‘তাঁর সময়ের বার্সেলোনা’ করার ইচ্ছে নিয়ে। খেলার ধরনে হয়তো মিল অনেকটা ছিল, সাফল্যও একেবারে কম নয়। তবুও গার্দিওলার ‘বায়ার্নকাল’কে ইতিহাস দেখবে ব্যর্থতা হিসেবেই। চ্যাম্পিয়নস লিগ যে জেতাতে পারলেন না! ব্যর্থতা মেনেও নিচ্ছেন স্প্যানিশ কোচ, ‘কী জিতেছি, তার হিসেবে এটা ব্যর্থতা। বায়ার্নকে নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা আমার ইচ্ছে ছিল, যেমন বার্সেলোনাকে নিয়ে জিতেছিলাম। আমরা চেষ্টা করেছি, তবে অ্যাটলেটিকো যোগ্য হিসেবেই ফাইনালে উঠেছে।’
তিন মৌসুমেই সেমিফাইনালে বিদায়, সেটিও একই ঢংয়ে। যেন প্রোগ্রামিং অ্যালগরিদম—স্প্যানিশ প্রতিপক্ষ, অ্যাওয়ে লেগে গোল করতে না পারা, দুই লেগ মিলিয়ে বাদ পড়া। তবে নিজের চেষ্টায় কোনো কমতি দেখেননি গার্দিওলা, ‘ক্লাবটার জন্য জীবন দিয়ে দিয়েছি। লড়েছি, নিজের সেরাটাও ঢেলে দিয়েছি। মানুষ যা ইচ্ছা তা-ই বলতে পারে। তবে এই খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করতে পারা আমার জন্য ছিল অনেক সম্মানের।’ তবে কাজের পুরস্কার শিরোপায় রূপ নেয়নি, এটাই হয়তো পোড়াবে গার্দিওলাকে। এএফপি, রয়টার্স।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

গর্বিত সিমিওনে ব্যর্থ গার্দিওলা

প্রকাশের সময় : ১০:৪০:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ মে ২০১৬

ঢাকা: ইন্টার মিলান, চেলসি, রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা…অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ?
ইতিহাস অ্যাটলেটিকোকে আশাবাদী করে তুলতেই পারে। এর আগে যারাই পেপ গার্দিওলার অধীন দলকে সেমিফাইনালে হারিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা গেছে তাদের ঘরে। ২০১০ সালে বার্সাকে হারিয়েছে ইন্টার, দুই বছর পর চেলসি; আর সর্বশেষ দুই বছর সেমিফাইনালে বায়ার্নকে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত শিরোপা উচ্ছ্বাসে মেতেছে রিয়াল ও বার্সা। এবার তো তাহলে অ্যাটলেটিকোরই বছর!
তবে ফুটবলে অতীত-ভবিষ্যতের মাঝে বর্তমানটাই একমাত্র সত্যি। সেই বর্তমান অ্যাটলেটিকো কোচ ডিয়েগো সিমিওনেকে শুধু গর্বিতই করে। দুই লেগের সেমিফাইনালে বায়ার্নকে হারিয়ে মিলানের ফাইনালের টিকিট কেটেছে অ্যাটলেটিকো। আর ৯০ মিনিট দূরে হাতছানি দিয়ে ডাকছে ক্লাবের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি।
অবশ্যই সেই ডাকে সাড়া দেওয়ার মতো দল অ্যাটলেটিকো। গ্রুপ পর্ব থেকে সেমিফাইনাল—যতগুলো দলের মুখোমুখি হয়েছে, সবাই গত মৌসুমে নিজ নিজ দেশের লিগ চ্যাম্পিয়ন। তার ওপর সর্বশেষ দুই পর্বে বার্সেলোনা ও বায়ার্নকে হারাল তারা। কদিন আগেও তো এই দুটি দল ছিল টুর্নামেন্টে সবচেয়ে ফেবারিট। সিমিওনেকে তাই গর্বই ছুঁয়ে যাচ্ছে, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগ খুবই ভালো কাটছে আমাদের। সুন্দর, তবে কঠিন। আমরা বিশ্বের সেরা তিন ক্লাবের দুটির সঙ্গেই খেলেছি। কঠিন হলেও জিতেছি। দুটিতেই প্রতিপক্ষের মাঠে ২-১ গোলে হেরেছি, কিন্তু ক্যালদেরনে আমরা বেশ ভালো খেলেছি।’
বায়ার্নের মাঠে এই ‘অ্যাওয়ে’ গোলই অ্যাটলেটিকোকে উঠিয়ে দিল ফাইনালে। ম্যাচজুড়ে বায়ার্নের অবিশ্বাস্য আক্রমণ হার মানল গডিন-জিমেনেজ-ওব্লাকদের কাছে। দল রক্ষণে এক বিন্দু ছাড় না দিলেও ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষের অবশ্য উদারতম প্রশংসাই করেছেন সিমিওনে, ‘মানতে হচ্ছে, আমার পুরো ক্যারিয়ারে সবচেয়ে সেরা দলটির বিপক্ষেই খেলেছি। ওরা যেভাবে খেলেছে, অবিশ্বাস্য!’
অবিশ্বাস্য এ খেলার ধরনও অবশ্য সান্ত্বনা দিতে পারছে না বায়ার্নকে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে পেপ গার্দিওলাকে। এবারই তাঁর শেষ মৌসুম বায়ার্নে। তিন বছর আগে এসেছিলেন দলটাকে ‘তাঁর সময়ের বার্সেলোনা’ করার ইচ্ছে নিয়ে। খেলার ধরনে হয়তো মিল অনেকটা ছিল, সাফল্যও একেবারে কম নয়। তবুও গার্দিওলার ‘বায়ার্নকাল’কে ইতিহাস দেখবে ব্যর্থতা হিসেবেই। চ্যাম্পিয়নস লিগ যে জেতাতে পারলেন না! ব্যর্থতা মেনেও নিচ্ছেন স্প্যানিশ কোচ, ‘কী জিতেছি, তার হিসেবে এটা ব্যর্থতা। বায়ার্নকে নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা আমার ইচ্ছে ছিল, যেমন বার্সেলোনাকে নিয়ে জিতেছিলাম। আমরা চেষ্টা করেছি, তবে অ্যাটলেটিকো যোগ্য হিসেবেই ফাইনালে উঠেছে।’
তিন মৌসুমেই সেমিফাইনালে বিদায়, সেটিও একই ঢংয়ে। যেন প্রোগ্রামিং অ্যালগরিদম—স্প্যানিশ প্রতিপক্ষ, অ্যাওয়ে লেগে গোল করতে না পারা, দুই লেগ মিলিয়ে বাদ পড়া। তবে নিজের চেষ্টায় কোনো কমতি দেখেননি গার্দিওলা, ‘ক্লাবটার জন্য জীবন দিয়ে দিয়েছি। লড়েছি, নিজের সেরাটাও ঢেলে দিয়েছি। মানুষ যা ইচ্ছা তা-ই বলতে পারে। তবে এই খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করতে পারা আমার জন্য ছিল অনেক সম্মানের।’ তবে কাজের পুরস্কার শিরোপায় রূপ নেয়নি, এটাই হয়তো পোড়াবে গার্দিওলাকে। এএফপি, রয়টার্স।