এক স্লিপ

- প্রকাশের সময় : ১১:২৪:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০১৬
- / ১১১৬ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের বছর। আগামী ৮ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ক্রমশ: জমে উঠছে এই নির্বাচন। দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রাইমারী নির্বাচন মোকাবেলা করে চলেছেন। উভয় দলে প্রার্থীদের মধ্যে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ফাস্ট লেডী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন ও সিনেটর বার্নি সেন্ডার্স এগিয়ে রয়েছেন। রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী স্বনামখ্যাত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম ও সিনেটর ট্রেড ক্রুজ এগিয়ে রয়েছেন। অপরদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট বুশ পরিবারের উত্তরসূরী জেব বুশ আর নিউজার্সীর গভর্ণর ক্রিস খ্রীষ্টিসহ ইতিমধ্যেই উভয় দলের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রাথমিক দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা দিনের পর দিন নির্বাচনা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ছুটছেন ৫০টি অঙ্গরাজ্যের এক প্রাপ্ত থেকে আরেক প্রাপ্ত। অংশ নিচ্ছেন নানা বিতর্কে। গলা ফাটিয়ে বক্তব্য রাখছেন হাজারো সমর্থকদের সমাবেশে। বিতর্ক আর জনসমাবেশের বক্তব্যের মাধ্যমে কুপোকাত করছেন এক প্রার্থী আরেক প্রার্থীকে। ফলে প্রার্থীদের ভালো-মন্দ এমনকি ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া, আচার-আচরণ এমনকি পারিবারিক অসঙ্গতিও বাদ পড়ছে না তাদের বক্তব্যে। ফলে ক্রমশ: জটিলও হয়ে উঠছে প্রার্থীদের হোয়াইট হাউজে যাওয়ার পথ।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে। দেশ-বিদেশের মিডিয়াগুলো ততই গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনী খবরাখবর প্রচার করছে। ফলে ব্যস্ততা বাড়ছে সংবাদকর্মীদেরও। কি দেশী, কি বিদেশী সাংবাদিক। নিউইয়র্কের বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকরাও পিছিয়ে নেই এই নির্বাচনী রিপোটিং-এ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এখন সকল মিডিয়ার ফাস্ট প্রায়োরিটি। বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের আড্ডার অন্যতম বিষয়ও হচ্ছে নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের কথা উঠতেই এক সহকর্মী সাংবাদিক বন্ধু বললেন- ‘আমেরিকায়ও নির্বাচন হচ্ছে, বাংলাদেশেও নির্বাচন হচ্ছে। আমেরিকার নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা বক্তৃতাবাজী করে গলা ফাটাচ্ছেন, আর বাংলাদেশে মেয়র-চেয়ারম্যান-কাউন্সিল-মেম্বার প্রার্থীরা নয়, গলা ফাটাচ্ছেন কর্মীরা। এই হলো পার্থক্য’। মন্তব্য নিস্প্রয়োজন। ০৩ এপ্রিল’২০১৬