নিউইয়র্ক ১১:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এক স্লিপ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৫৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৬
  • / ১২১৭ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বাংলা নতুন বছর ১৪২৩ শুরু হয়েছে গত ১৪ এপ্রিল’২০১৬। দেশের ন্যায় প্রবাসেও ব্যাপক আয়োজনে বষর্ণবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। বর্ণাঢ্য এসব আয়োজনে দল-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের শত-সহস্র, হাজারো মানুষের সমাবেশ ঘটে। মাটির সানকিতে ‘পান্তা-ভাত’ ‘ইলিশ-পান্তা’ খাওয়া থেকে শুরু করে নাচ-গান, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে র‌্যালী অনেকেরই দৃষ্টি কাড়ে। বাংলা বর্ষবরণ বা বৈশাখী মেলা উপলক্ষ্যে মিডিয়াগুলো ব্যাপক প্রচারণাও লক্ষ্য করা যায়। এসব প্রচারণায় রংবেরং-এর হরফে ‘পান্তা-ইলিশ’ ভোজন-এর কথা ফলাও করে প্রচার করা হলেও কার্যত অধিকাংশ অনুষ্ঠানেই ‘পান্তা-ইলিশ’ নয়, ‘ইলিশ-ভাত’, বা ‘ভর্তা-ভাত’ বা ‘ডাল-ভাত’ পরিবেশিত হয়। গেলো সপ্তাহে এমনি একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেলো ‘পান্তা’র কোন খবর নেই। পান্তার স্থলে গরম ভাত পরিবেশিত হলো। এব্যাপারে আয়োজকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা বললেন- ‘বাস্তবে পান্তা-ইলিশ না হলেও ‘ইলিশ-ভাত’ খাওয়া হচ্ছে তো। আরে ভাই একটা কিছু হলেও হলো’। অনুষ্ঠান স্থলে এক প্রবাসী বললেন- ‘ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বছরে এক দিন এতো ঘটা করে তথা কথিত পান্তা-ইলিশ খাওয়ার কোন মানে আছে কি? এটা দেশের গরিব মানুষকে উপহাস করা ছাড়া আর কি!’। আরেকজন মন্তব্য করলেন- যেখানে ‘পান্তা-ইলিশ’-এর ব্যবস্থা থাকবে না, সেখানে ‘পান্তা-ইলিশ’ প্রচারণা প্রতারণা ছাড়া আর কি!। ব্যক্তিগতভাবে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবলেও ইচ্ছে-অনিচ্ছায় আমরা সংবাদ কর্মীরা অবলিলায় এসবই প্রচার করছি। প্রকৃত অথেই বিষয়গুলো মিডিয়াকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলেরই প্রশ্নগুলো নিয়ে ভাবববার অবকাশ রয়েছে। ২৪ এপ্রিল’২০১৬ (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

এক স্লিপ

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৬

নিউইয়র্ক: বাংলা নতুন বছর ১৪২৩ শুরু হয়েছে গত ১৪ এপ্রিল’২০১৬। দেশের ন্যায় প্রবাসেও ব্যাপক আয়োজনে বষর্ণবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। বর্ণাঢ্য এসব আয়োজনে দল-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের শত-সহস্র, হাজারো মানুষের সমাবেশ ঘটে। মাটির সানকিতে ‘পান্তা-ভাত’ ‘ইলিশ-পান্তা’ খাওয়া থেকে শুরু করে নাচ-গান, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে র‌্যালী অনেকেরই দৃষ্টি কাড়ে। বাংলা বর্ষবরণ বা বৈশাখী মেলা উপলক্ষ্যে মিডিয়াগুলো ব্যাপক প্রচারণাও লক্ষ্য করা যায়। এসব প্রচারণায় রংবেরং-এর হরফে ‘পান্তা-ইলিশ’ ভোজন-এর কথা ফলাও করে প্রচার করা হলেও কার্যত অধিকাংশ অনুষ্ঠানেই ‘পান্তা-ইলিশ’ নয়, ‘ইলিশ-ভাত’, বা ‘ভর্তা-ভাত’ বা ‘ডাল-ভাত’ পরিবেশিত হয়। গেলো সপ্তাহে এমনি একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেলো ‘পান্তা’র কোন খবর নেই। পান্তার স্থলে গরম ভাত পরিবেশিত হলো। এব্যাপারে আয়োজকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা বললেন- ‘বাস্তবে পান্তা-ইলিশ না হলেও ‘ইলিশ-ভাত’ খাওয়া হচ্ছে তো। আরে ভাই একটা কিছু হলেও হলো’। অনুষ্ঠান স্থলে এক প্রবাসী বললেন- ‘ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বছরে এক দিন এতো ঘটা করে তথা কথিত পান্তা-ইলিশ খাওয়ার কোন মানে আছে কি? এটা দেশের গরিব মানুষকে উপহাস করা ছাড়া আর কি!’। আরেকজন মন্তব্য করলেন- যেখানে ‘পান্তা-ইলিশ’-এর ব্যবস্থা থাকবে না, সেখানে ‘পান্তা-ইলিশ’ প্রচারণা প্রতারণা ছাড়া আর কি!। ব্যক্তিগতভাবে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবলেও ইচ্ছে-অনিচ্ছায় আমরা সংবাদ কর্মীরা অবলিলায় এসবই প্রচার করছি। প্রকৃত অথেই বিষয়গুলো মিডিয়াকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলেরই প্রশ্নগুলো নিয়ে ভাবববার অবকাশ রয়েছে। ২৪ এপ্রিল’২০১৬ (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)