নিউইয়র্ক ০৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এক স্লিপ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৫
  • / ৭৩৪ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটির মিডিয়াগুলো খুললেই পাতায় পাতায় বিজ্ঞাপন দেখা যায়। পাঠক-দর্শক শ্রোতার পর যে কোন মিডিয়ারই প্রাণ শক্তি হচ্ছে বিজ্ঞাপন। এজন্য মিডিয়াগুলোতে বিজ্ঞাপন বিভাগ রয়েছে। এই বিভাগের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার জন্য বিজ্ঞাপন আনা আর বিল সংগ্রহ করা। এর বাইরেও অনেক মিডিয়ায় পার্টাইম বিজ্ঞাপন সংগ্রাহক বা চুক্তি ভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। কেউ কেউ কমিশন ভিত্তিকও কাজ করে থাকেন। দেশ বা প্রবাসের অন্য জায়গার কথা নয়, নিউইয়র্কেরবাংলা মিডিয়ার বিজ্ঞাপন আর বিজ্ঞাপনের বিল আদায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হাজারো সমস্যা আর পেরেশানের মধ্যে রয়েছেন বলে সংবাদ কর্মীদের এক আড্ডায় জানা গেলো।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত জ্যাকসন হাইটসের এক আড্ডায় স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সাথে ঢাকার একাধিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের আড্ডায় নিউইয়র্কের মিডিয়াগুলো নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে বিজ্ঞাপনের প্রসঙ্গটি চলে আসে। জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশন কভার করতে প্রথমবারের মতো আসা ঢাকার সাংবাদিকদের প্রশ্ন এখানকার (নিউইয়র্কে) পত্রিকাগুলো বিজ্ঞাপনে ভরা, ব্যবসাও মনে হয় ভালো? এমন কথায় জমে উঠে আড্ডা। মুখ খুললেন নিউইয়র্কের এক মিডিয়ায় কর্মরত এক সাংবাদিক বন্ধু। বললেন, বিজ্ঞাপনগুলো যত সহজে পাওয়া যায়, বিল পাওয়া তত সহজ নয়! আরেকজন তার কর্মস্থলের বরাত দিয়ে বললেন, আমরা সবাই মানে সম্পাদক থেকে শুরু করে সাংবাদিক, বিজ্ঞাপন কর্মকর্তারা বিজ্ঞাপনের বিল পেতে পেরেশান হয়ে যাচ্ছি। আরেকজন জানালেন, বিজ্ঞাপন দেয়ার সময় নানা কথা, আর বিল প্রদানের সময় দেই, দিচ্ছির কথা (হাতেগোনা কয়েকজন বিজ্ঞাপানদাতা ছাড়া)। অনেক সময় তাদের সাথে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয় না। আরেকজন জানালেন, সবদিক বিবেচনায় আমাদের অলিখিত পলিসি হচ্ছে ‘নো বিজ্ঞাপন, নো নিউজ’। সহকর্মীদের এমন কথায় ঢাকার সাংবাদিকদের সাথে আশ্চর্য না হয়ে পারলাম না। পাশাপাশি মনে মনে ভাবলাম- উপরওয়ালা যেন বিজ্ঞাপনদাতাদের সুমতি দেন। যেনো নিয়মিত বিলগুলো পাওয়া যায়, পত্রিকাগুলো যেনো ভালোভাবে বেঁচে থাকে। কেননা, এক একটি পত্রিকা আমার কাছে সন্তানতুল্য। ১১ অক্টোবর’২০১৫

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

এক স্লিপ

প্রকাশের সময় : ১০:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৫

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটির মিডিয়াগুলো খুললেই পাতায় পাতায় বিজ্ঞাপন দেখা যায়। পাঠক-দর্শক শ্রোতার পর যে কোন মিডিয়ারই প্রাণ শক্তি হচ্ছে বিজ্ঞাপন। এজন্য মিডিয়াগুলোতে বিজ্ঞাপন বিভাগ রয়েছে। এই বিভাগের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার জন্য বিজ্ঞাপন আনা আর বিল সংগ্রহ করা। এর বাইরেও অনেক মিডিয়ায় পার্টাইম বিজ্ঞাপন সংগ্রাহক বা চুক্তি ভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। কেউ কেউ কমিশন ভিত্তিকও কাজ করে থাকেন। দেশ বা প্রবাসের অন্য জায়গার কথা নয়, নিউইয়র্কেরবাংলা মিডিয়ার বিজ্ঞাপন আর বিজ্ঞাপনের বিল আদায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হাজারো সমস্যা আর পেরেশানের মধ্যে রয়েছেন বলে সংবাদ কর্মীদের এক আড্ডায় জানা গেলো।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত জ্যাকসন হাইটসের এক আড্ডায় স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সাথে ঢাকার একাধিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের আড্ডায় নিউইয়র্কের মিডিয়াগুলো নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে বিজ্ঞাপনের প্রসঙ্গটি চলে আসে। জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশন কভার করতে প্রথমবারের মতো আসা ঢাকার সাংবাদিকদের প্রশ্ন এখানকার (নিউইয়র্কে) পত্রিকাগুলো বিজ্ঞাপনে ভরা, ব্যবসাও মনে হয় ভালো? এমন কথায় জমে উঠে আড্ডা। মুখ খুললেন নিউইয়র্কের এক মিডিয়ায় কর্মরত এক সাংবাদিক বন্ধু। বললেন, বিজ্ঞাপনগুলো যত সহজে পাওয়া যায়, বিল পাওয়া তত সহজ নয়! আরেকজন তার কর্মস্থলের বরাত দিয়ে বললেন, আমরা সবাই মানে সম্পাদক থেকে শুরু করে সাংবাদিক, বিজ্ঞাপন কর্মকর্তারা বিজ্ঞাপনের বিল পেতে পেরেশান হয়ে যাচ্ছি। আরেকজন জানালেন, বিজ্ঞাপন দেয়ার সময় নানা কথা, আর বিল প্রদানের সময় দেই, দিচ্ছির কথা (হাতেগোনা কয়েকজন বিজ্ঞাপানদাতা ছাড়া)। অনেক সময় তাদের সাথে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয় না। আরেকজন জানালেন, সবদিক বিবেচনায় আমাদের অলিখিত পলিসি হচ্ছে ‘নো বিজ্ঞাপন, নো নিউজ’। সহকর্মীদের এমন কথায় ঢাকার সাংবাদিকদের সাথে আশ্চর্য না হয়ে পারলাম না। পাশাপাশি মনে মনে ভাবলাম- উপরওয়ালা যেন বিজ্ঞাপনদাতাদের সুমতি দেন। যেনো নিয়মিত বিলগুলো পাওয়া যায়, পত্রিকাগুলো যেনো ভালোভাবে বেঁচে থাকে। কেননা, এক একটি পত্রিকা আমার কাছে সন্তানতুল্য। ১১ অক্টোবর’২০১৫