নিউইয়র্ক ১১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

দ্বিতীয় বিতকে ট্রাম্প ছিলেন আক্রমণাত্মক, হিলারি ধীরস্থির ॥ জরিপে জয়ী হিলারি ক্লিনটন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০২:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৮১১ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মধ্যকার অনুষ্ঠিত ৯০ মিনিটব্যাপী দ্বিতীয় বিতর্কের শুরু থেকেই হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে উদ্বেগ ছিল লক্ষণীয়। মঞ্চে উঠে পরস্পরের সাথে হ্যান্ডশেকও করেননি তারা। আর পুরো বিতর্কজুড়ে ছিল ব্যক্তিগত আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ, ট্রাম্পের অশ্লীল অডিও ফাঁসের সূত্র ধরে যার সূত্রপাত। তবে বিতর্কে ট্রাম্প অত্যন্ত আক্রমণাত্মক হলেও হিলারি ছিলেন বেশ ধীরস্থির। ৯ অক্টোবর রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের মিজোরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইয়ের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপি‘র খবরে বলা হয়েছে: এবারের বিতর্কটি ছিল কিছুটা ভিন্ন পদ্ধতির। ‘টাউন হল পদ্ধতি’ নামে পরিচিত এই বিতর্কে উভয় প্রার্থীকে প্রশ্ন করার সুযোগ পান শ্রোতারা। বিতর্ককে প্রাধান্য পেয়েছে স্বাস্থ্য, সিরিয়া সঙ্কট, উদ্বাস্তু ও কর আইনের মতো বিষয়। ট্রাম্পকে তার মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, একই সাথে হিলারির প্রতি প্রশ্ন ছুটে গিয়েছিল তার ই-মেইল কেলেঙ্কারি নিয়ে।
তথাপি ট্রাম্পের তুলনায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ছিলেন অনেক ধীরস্থির। আর ট্রাম্প যে হিলারিকে আক্রমণ করতে ভালোই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন তা বোঝা গেছে। ট্রাম্পকে গত শুক্রবার (৯ অক্টোবর) ফাঁস হওয়া অডিও টেপ নিয়ে মন্তব্য করতে বলা হলেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রিয়েল স্টেট সম্রাট ট্রাম্প বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তিনি কখনোই কোনো নারীর সম্মতি ছাড়া তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ হননি।
এই রিপাবলিকান আরো বলেন, এটি ছিল গ্রিন রুমের আলোচনা এবং বিষয়টি নিয়ে তিনি বিব্রত। তবে এই নোংরা সংলাপ হিলারির স্বামী বিল ক্লিনটনের ‘নারী নির্যাতনের’ তুলনায় বড় কিছু নয় বলে দাবি তার। একই সাথে ‘ক্লিনটনের হাতে নির্যাতিত’ নারীদের প্রতি আক্রমণের অভিযোগ আনেন হিলারির ওপর। ট্রাম্প বলেন, ‘এ নিয়ে হিলারির লজ্জিত হওয়া উচিত’।
বিতর্কের আগে ক্লিনটনের হাতে নিগ্রহের শিকার হয়েছে এমন কয়েকজন নারীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ট্রাম্প। বিষয়টি নিন্দা কুড়িয়েছে বিশ্লেষকদের কাছে। বিতর্কের আগেই পরিষ্কার বোঝা গেছে, ট্রাম্প নারীদের নিয়ে তার ফাঁস হওয়া অডিওর বিষয়টিকে চাপা দিতে ক্লিনটনের নারী ঘটিত বিষয়কে টেনে আনবেন। নারীদের নিয়ে নোংরা মন্তব্যের ওই অডিও ফাঁস হওয়ার পর ট্রাম্প তার নিজ দলেই প্রচন্ড চাপের মুখে আছেন।
hilary-trump_09-oct2016হিলারি-ট্রাম্প হাসলেন কিন্তু হাত মেলালেন না: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে দুই প্রতিদ্বন্দ্বি হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে এখন দ্বিতীয় রাউন্ড বিতর্ক রোববার রাতে (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল) অনুষ্ঠিত হলো। বিতর্কের শুরুতে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সময় দুই প্রার্থী পরস্পরের দিকে তাকিয়ে হাসলেও হাত মেলাননি।
বিতর্ক শুরুর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে থেকেই নারীদের প্রতি তার করা অশালীন মন্তব্য সামনে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ২০০৫ সালে তার করা যে মন্তব্য নিয়ে ঝড় ওঠেছে, সেটা ছিল ব্যক্তিগত আলোচনা। তারপর তিনি হিলারি ক্লিনটনকে এই বলে আক্রমণ করেন, তার স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন যেভাবে নারীদের নির্যাতন করেছেন, আমেরিকার রাজনীতির ইতিহাসে তেমনটা আর কখনো করেননি।
বিভিন্ন বিষয়ে দুই প্রার্থীই জবাব দিচ্ছেন। জনস্বার্থমূলক বিষয়গুলোই এই বিতর্কে প্রাধান্য পাচ্ছে। তবে মারাত্মক প্রতিকূলতার মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিতর্কে অংশ নিচ্ছেন। তার রিপাবলিকান পার্টির মধ্যেই তার সমালোচনা বাড়ছে। তাকে নির্বাচন থেকে সরে যেতেও তারা বলছেন। বিশেষ করে নারীদের সম্পর্কে তার অশালীন বক্তব্য তার অবস্থান নাজুক করে তুলেছে।
হিলাররি-ট্রাম্প দুজনের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম বিতর্কে হিলারির বক্তব্য অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হয়েছিল। তাদের মধ্যে আরেক রাউন্ড বিতর্ক হবে।
hilary-trump_p-alo_09-oct2016ভালো করেও হেরে গেলেন ট্রাম্প: দ্বিতীয় মুখোমুখি বিতর্কে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করেছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এবারো তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের কাছে পরাজিত হয়েছেন। সিএনএন/ওআরসির জরিপে এমনটাই বলা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই দুই প্রার্থী স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় দ্বিতীয় মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নেন। সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। সিএনএনসহ অধিকাংশ টিভি নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটে ৯০ মিনিটের এই বিতর্ক সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
দ্বিতীয় বিতর্ক ছিল ট্রাম্পের জন্য অনেকটা বাঁচা-মরার লড়াই। কিন্তু সেই বিতর্কেও তিনি হিলারির কাছে হেরে গেছেন। বিতর্কের পর সিএনএন/ওআরসির প্রকাশ করা এক জরিপে বলা হয়, হিলারি সুস্পষ্টভাবে জয়ী হয়েছেন।
জরিপ অনুযায়ী, ৫৭ শতাংশ মনে করেন, হিলারি জয়ী হয়েছেন। ৩৪ শতাংশ মনে করেন, ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন। সিএনএন/ওআরসির জরিপ অনুযায়ী, প্রথম বিতর্কেও হিলারি জয়ী হয়েছিলেন। তখন তাঁর জয়ের পক্ষে ৬২ শতাংশ মত পড়েছিল।
সিএনএন বলছে, প্রথম বিতর্কের তুলনায় দ্বিতীয় বিতর্কে হিলারি ভালো নৈপূণ্য দেখাতে পারেননি। অন্যদিকে দ্বিতীয় বিতর্কে যেমনটা আশা করা হচ্ছিল, তার চেয়ে ভালো করেছেন ট্রাম্প। অশ্লীল ও আপত্তিকর একটি ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে গত তিন দিন ট্রাম্প নিজের দলের নেতাদের কাছেই তীব্রভাবে সমালোচিত হয়েছেন। একের পর এক শীর্ষ নেতারা ট্রাম্পের প্রতি নিজেদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অনেকেই ট্রাম্পকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোরও অনুরোধ করেছেন।
ট্রাম্প নিজে অবশ্য সরে দাঁড়ানোর সব দাবি এক কথায় নাকচ করে দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় বিতর্ককে ট্রাম্পের জন্য শেষ সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন ভাষ্যকারেরা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

দ্বিতীয় বিতকে ট্রাম্প ছিলেন আক্রমণাত্মক, হিলারি ধীরস্থির ॥ জরিপে জয়ী হিলারি ক্লিনটন

প্রকাশের সময় : ০৭:০২:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০১৬

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মধ্যকার অনুষ্ঠিত ৯০ মিনিটব্যাপী দ্বিতীয় বিতর্কের শুরু থেকেই হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে উদ্বেগ ছিল লক্ষণীয়। মঞ্চে উঠে পরস্পরের সাথে হ্যান্ডশেকও করেননি তারা। আর পুরো বিতর্কজুড়ে ছিল ব্যক্তিগত আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ, ট্রাম্পের অশ্লীল অডিও ফাঁসের সূত্র ধরে যার সূত্রপাত। তবে বিতর্কে ট্রাম্প অত্যন্ত আক্রমণাত্মক হলেও হিলারি ছিলেন বেশ ধীরস্থির। ৯ অক্টোবর রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের মিজোরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইয়ের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপি‘র খবরে বলা হয়েছে: এবারের বিতর্কটি ছিল কিছুটা ভিন্ন পদ্ধতির। ‘টাউন হল পদ্ধতি’ নামে পরিচিত এই বিতর্কে উভয় প্রার্থীকে প্রশ্ন করার সুযোগ পান শ্রোতারা। বিতর্ককে প্রাধান্য পেয়েছে স্বাস্থ্য, সিরিয়া সঙ্কট, উদ্বাস্তু ও কর আইনের মতো বিষয়। ট্রাম্পকে তার মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, একই সাথে হিলারির প্রতি প্রশ্ন ছুটে গিয়েছিল তার ই-মেইল কেলেঙ্কারি নিয়ে।
তথাপি ট্রাম্পের তুলনায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ছিলেন অনেক ধীরস্থির। আর ট্রাম্প যে হিলারিকে আক্রমণ করতে ভালোই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন তা বোঝা গেছে। ট্রাম্পকে গত শুক্রবার (৯ অক্টোবর) ফাঁস হওয়া অডিও টেপ নিয়ে মন্তব্য করতে বলা হলেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রিয়েল স্টেট সম্রাট ট্রাম্প বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তিনি কখনোই কোনো নারীর সম্মতি ছাড়া তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ হননি।
এই রিপাবলিকান আরো বলেন, এটি ছিল গ্রিন রুমের আলোচনা এবং বিষয়টি নিয়ে তিনি বিব্রত। তবে এই নোংরা সংলাপ হিলারির স্বামী বিল ক্লিনটনের ‘নারী নির্যাতনের’ তুলনায় বড় কিছু নয় বলে দাবি তার। একই সাথে ‘ক্লিনটনের হাতে নির্যাতিত’ নারীদের প্রতি আক্রমণের অভিযোগ আনেন হিলারির ওপর। ট্রাম্প বলেন, ‘এ নিয়ে হিলারির লজ্জিত হওয়া উচিত’।
বিতর্কের আগে ক্লিনটনের হাতে নিগ্রহের শিকার হয়েছে এমন কয়েকজন নারীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ট্রাম্প। বিষয়টি নিন্দা কুড়িয়েছে বিশ্লেষকদের কাছে। বিতর্কের আগেই পরিষ্কার বোঝা গেছে, ট্রাম্প নারীদের নিয়ে তার ফাঁস হওয়া অডিওর বিষয়টিকে চাপা দিতে ক্লিনটনের নারী ঘটিত বিষয়কে টেনে আনবেন। নারীদের নিয়ে নোংরা মন্তব্যের ওই অডিও ফাঁস হওয়ার পর ট্রাম্প তার নিজ দলেই প্রচন্ড চাপের মুখে আছেন।
hilary-trump_09-oct2016হিলারি-ট্রাম্প হাসলেন কিন্তু হাত মেলালেন না: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে দুই প্রতিদ্বন্দ্বি হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে এখন দ্বিতীয় রাউন্ড বিতর্ক রোববার রাতে (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল) অনুষ্ঠিত হলো। বিতর্কের শুরুতে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সময় দুই প্রার্থী পরস্পরের দিকে তাকিয়ে হাসলেও হাত মেলাননি।
বিতর্ক শুরুর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে থেকেই নারীদের প্রতি তার করা অশালীন মন্তব্য সামনে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ২০০৫ সালে তার করা যে মন্তব্য নিয়ে ঝড় ওঠেছে, সেটা ছিল ব্যক্তিগত আলোচনা। তারপর তিনি হিলারি ক্লিনটনকে এই বলে আক্রমণ করেন, তার স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন যেভাবে নারীদের নির্যাতন করেছেন, আমেরিকার রাজনীতির ইতিহাসে তেমনটা আর কখনো করেননি।
বিভিন্ন বিষয়ে দুই প্রার্থীই জবাব দিচ্ছেন। জনস্বার্থমূলক বিষয়গুলোই এই বিতর্কে প্রাধান্য পাচ্ছে। তবে মারাত্মক প্রতিকূলতার মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিতর্কে অংশ নিচ্ছেন। তার রিপাবলিকান পার্টির মধ্যেই তার সমালোচনা বাড়ছে। তাকে নির্বাচন থেকে সরে যেতেও তারা বলছেন। বিশেষ করে নারীদের সম্পর্কে তার অশালীন বক্তব্য তার অবস্থান নাজুক করে তুলেছে।
হিলাররি-ট্রাম্প দুজনের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম বিতর্কে হিলারির বক্তব্য অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হয়েছিল। তাদের মধ্যে আরেক রাউন্ড বিতর্ক হবে।
hilary-trump_p-alo_09-oct2016ভালো করেও হেরে গেলেন ট্রাম্প: দ্বিতীয় মুখোমুখি বিতর্কে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করেছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এবারো তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের কাছে পরাজিত হয়েছেন। সিএনএন/ওআরসির জরিপে এমনটাই বলা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই দুই প্রার্থী স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় দ্বিতীয় মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নেন। সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। সিএনএনসহ অধিকাংশ টিভি নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটে ৯০ মিনিটের এই বিতর্ক সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
দ্বিতীয় বিতর্ক ছিল ট্রাম্পের জন্য অনেকটা বাঁচা-মরার লড়াই। কিন্তু সেই বিতর্কেও তিনি হিলারির কাছে হেরে গেছেন। বিতর্কের পর সিএনএন/ওআরসির প্রকাশ করা এক জরিপে বলা হয়, হিলারি সুস্পষ্টভাবে জয়ী হয়েছেন।
জরিপ অনুযায়ী, ৫৭ শতাংশ মনে করেন, হিলারি জয়ী হয়েছেন। ৩৪ শতাংশ মনে করেন, ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন। সিএনএন/ওআরসির জরিপ অনুযায়ী, প্রথম বিতর্কেও হিলারি জয়ী হয়েছিলেন। তখন তাঁর জয়ের পক্ষে ৬২ শতাংশ মত পড়েছিল।
সিএনএন বলছে, প্রথম বিতর্কের তুলনায় দ্বিতীয় বিতর্কে হিলারি ভালো নৈপূণ্য দেখাতে পারেননি। অন্যদিকে দ্বিতীয় বিতর্কে যেমনটা আশা করা হচ্ছিল, তার চেয়ে ভালো করেছেন ট্রাম্প। অশ্লীল ও আপত্তিকর একটি ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে গত তিন দিন ট্রাম্প নিজের দলের নেতাদের কাছেই তীব্রভাবে সমালোচিত হয়েছেন। একের পর এক শীর্ষ নেতারা ট্রাম্পের প্রতি নিজেদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অনেকেই ট্রাম্পকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোরও অনুরোধ করেছেন।
ট্রাম্প নিজে অবশ্য সরে দাঁড়ানোর সব দাবি এক কথায় নাকচ করে দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় বিতর্ককে ট্রাম্পের জন্য শেষ সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন ভাষ্যকারেরা।