নিউইয়র্ক ০৭:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘হিলারী লড়াকু এক নারী’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:২৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৮৭৬ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: হিলারী ক্লিনটন আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যকার রবিবারের দ্বিত্বীয় বিতর্কে সবচে চমকপ্রদ প্রশ্নটি আসে দর্শকসারি থেকে একে বারে বিতর্কের শেষ ভাগে। দুজন প্রার্থীকে জিজ্ঞাসা করা হয় একে অপরের কোন দিকটিকে শ্রদ্ধা করেন সেটি নিয়ে। হিলারী জবাবে বলেন, আমি ট্রাম্পের ছেলে মেয়েকে দেখি আর ভাবি, ট্রাম্পকে নিয়ে যত কথাই হোক, তার ছেলে মেয়েরা ঈর্ষনীয়। তাদের কে দেখি আর আমার শ্রদ্ধাবোধ বেড়ে যায়। ট্রাম্প তার কথাকে একটি কম্লিমেন্ট বা প্রসংশা হিসেবে নিয়ে বিগলিত হয়ে যান হিলারীর প্রতি। জবাবে ট্রাম্প হিলারী সম্পর্কে শ্রদ্ধাবোধ জানাতে গিয়ে তার মনের কথাটিই বলে ফেলেন। বলেন, হিলারী ইজ এ ফাইটার। কখনই মাঠ ছেড়ে যাননি, তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে, যেটা আমার কাছে মনে হয় অনুকরণীয়। এভাবেই শেষ হয় ৯০ মিনিটের দীর্ঘ বিতর্ক।
তবে তার আগের ৯০ মিনিট এমন কোন বিষয় নেই, যা নিয়ে আলোচনা করেননি প্রার্থীরা। সেখানে অতিসম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে ফাঁস হ্ওয়া একটি অড্ওি টেপ যেখানে কোন এক নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য ট্রাম্পের আকুতি ফাঁস হয়ে গেলে রীতিমত বিপাকে পড়েন ট্রাম্প। এসব বিষয় নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে, ,শুরুতেই হার মেনে নেন ট্রাম্প। বলেন, যেটা প্রকাশিত হয়েছে সেটা আমি নয়, এটা অনেক আগের বন্ধ একটি রুমে বন্ধুদের মধ্যে আলাপের মত একটি বিষয়।তবে হিলারী পাল্টা বলেন, ্ওট্ইা হলো ট্রাম্পের আসল রূপ। তিনি নারীদের যে ভাবে দেখেন সে ভাবেই সে ক্যামেরার পেছনে কথা বলেছে। এটা নিয়ে অবশ্য হিলারী খুব বেশি কথা তোলেননি। সম্ভবত ট্রাম্পকে বিব্রত করতে চাননি।তবে কথা বলেছেন তার ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া নিয়ে।
বিতর্ক সঞ্চালক সিএনএন এর এন্ডারসন কুপার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, যে আপনি আপনার ব্যাবয়ীয় ক্ষতি দেখিয়ে ১৮ বছর ধরে ফেডারেল ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন কিনা। জবাবে ট্রাম্প অকপটে স্বীকার করে হ্যাঁ বলেন। তবে পরক্ষণে তিনি হিলারীকে আক্রমন করে বলতে থাকেন, হিলারীর মত সিনেটররা ট্যাক্স এর ফাঁকি দেয়ার জায়গাগুলো তৈরী করে রেখেছেন বলে আমি ফাঁকি দিতে পেরেছি। জবাবে হিলারী যখন বলছিলেন, ট্রাম্পের মত ব্যবসায়ীদের ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া মানে, রাষ্ট্রের শিশুদের কে ফাঁকি দেয়া, যুদ্ধাহত সেনাদের চিকিৎসাতে ফাঁকি দেয়া, তখন ট্রাম্প বলে বসেন, তুমি কেন ট্যাক্স এর ফাঁকি দেয়া বন্ধে ব্যবস্থা ন্ওানি। হিলারী বলেন, নিতে পারিনি কারণ, রিপাবলিকানরা তখন ক্ষমতায় ছিল।
এভাবে, পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি পূণর্গঠন আর স্বাস্থ্য সেবা সম্প্রসারণ প্রভৃতি বিষয়ে পাল্টা পাল্টি বক্তব্য রাখেন ২ জন। যেখানে হিলারীকে হাস্যেজ্জল এবং তথ্য ্ও প্রমান ভিত্তিক কথা বলতে দেখা গেছে, যেখানে ট্রাম্প ছিল আক্রামনাত্বক আর অগোছালো।
ট্রাম্প যেমন যৌন কেলেঙ্কারী বিষয়ে শুরুতেই নত হয়ে দূঃখিত বলেছেন, হিলারী তেমনি দ্বিতীয় বারের মত বিতর্কে তার সময়ে ক্লাসিফাইড ইমেইল আদান প্রদানের জন্য ব্যাক্তিগত সার্ভারকে ব্যবহার করার জন্য নি:শর্ত ক্ষমা চেয়ে পরিস্থিতিকে আর আগাতে দেননি।
পুরো ৯০ মিনিটে হিলারীর প্রতি অনেক দর্শক-ই হয়তো হিলারীকে ট্রাম্পের প্রতি আরো মারমুখি আচরণ আশা করেছিলেন, কিন্তু হিলারী ছিলেন ধীর স্থির আর হাস্যেজ্জল। বিষয়টা অনেকটা, একটি জয়ের পর শেষ ম্যাচ জেতার জন্য যেমন শক্তি সঞ্চয় করে রাখার মতই আচরণ করেছেন হিলারী। অন্যদিকে , ট্রাম্প পুরোটা সময় জুড়ে অস্থির হাটাহাটি করেছেন, গত বিতর্কের মতই বার বার নাক দিয়ে বড় বড় করে শ্বাস নিয়েছেন, এবং প্রশ্নের বাইরে গিয়ে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এর বাইরে বিতর্কের একেবারে শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে মেনে নিয়েছেন, হিলারী এক লড়াকু নারী, সেটা দেখেই সিংহ ভাগ মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন, ট্রাম্প মনে মনে মেনে নিয়েছেন হিলারীকে অসম্ভব এক জয়ী নারী হিসেবেই।
সেন্ট লুসিয়ার ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি’ মিলনায়তনে স্থানীয় সময় ৯টায় শুরু হয় এ বিতর্ক। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডোমোক্রেট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারী ক্লিন্টনের মধ্যকার দ্বিতীয় ‘প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেট’ ছিল এটি। এই বিতর্ককে ঘিরে সবার নজর ছিল কেননা, প্রথম বিতর্কের পর নিউইয়র্ক টাইমস কর্তৃক ট্রাম্পের ট্যাক্স ফাঁকির বোমশেল এর রেশ কাটতে না কাটতেই, বিতর্কের ৩ দিন আগে ্ওয়াশিংটনপোস্ট আরো একটি হ্যারিকেন সাদ্যৃশ্য বোমা ছাড়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এ্যাক্সেস হলিউড নামক একটি রিয়েলিটি শোর শুটিং কালে ২০০৫ সালে নারী সর্ম্পকে যে কথা ফাঁস হয়, সেটার জেরে সর্বশেষ আরো অন্তত ৪০ জন শীর্ষ রিপাবলিকান সিনেটর আর কংগ্রেসম্যান তার প্রতি সমর্থনই শুধু তুলে নেয়নি, ট্রাম্পকে বসিয়ে রেখে তার রানিং মেট মাইক পেন্সকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনয়ন দেয়ার দাবীতে সোচ্চার হয়েছেন। এই বিতর্কে তাই তার জয়ী হ্ওয়াটা বেশ দরকার ছিল, ভেঙ্গে পড়া রিপাবলিকান দল আর কর্মী সমর্থকদের মনোবল উদ্ধারের জন্য। তবে ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন এটা কেউ বলবে না। বরং সে শেষ মন্তব্যে স্বীকার করে নিয়েছে, হিলারী লড়াকু, আর কখনই নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার নারী নয়। তাই হিলারী যে অতি শ্রম খরচা ছাড়াই জয়ী হয়েছেন এ বিতর্কে সেটা নি:সন্দেহইে বলা যায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

‘হিলারী লড়াকু এক নারী’

প্রকাশের সময় : ০৭:২৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০১৬

নিউইয়র্ক: হিলারী ক্লিনটন আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যকার রবিবারের দ্বিত্বীয় বিতর্কে সবচে চমকপ্রদ প্রশ্নটি আসে দর্শকসারি থেকে একে বারে বিতর্কের শেষ ভাগে। দুজন প্রার্থীকে জিজ্ঞাসা করা হয় একে অপরের কোন দিকটিকে শ্রদ্ধা করেন সেটি নিয়ে। হিলারী জবাবে বলেন, আমি ট্রাম্পের ছেলে মেয়েকে দেখি আর ভাবি, ট্রাম্পকে নিয়ে যত কথাই হোক, তার ছেলে মেয়েরা ঈর্ষনীয়। তাদের কে দেখি আর আমার শ্রদ্ধাবোধ বেড়ে যায়। ট্রাম্প তার কথাকে একটি কম্লিমেন্ট বা প্রসংশা হিসেবে নিয়ে বিগলিত হয়ে যান হিলারীর প্রতি। জবাবে ট্রাম্প হিলারী সম্পর্কে শ্রদ্ধাবোধ জানাতে গিয়ে তার মনের কথাটিই বলে ফেলেন। বলেন, হিলারী ইজ এ ফাইটার। কখনই মাঠ ছেড়ে যাননি, তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে, যেটা আমার কাছে মনে হয় অনুকরণীয়। এভাবেই শেষ হয় ৯০ মিনিটের দীর্ঘ বিতর্ক।
তবে তার আগের ৯০ মিনিট এমন কোন বিষয় নেই, যা নিয়ে আলোচনা করেননি প্রার্থীরা। সেখানে অতিসম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে ফাঁস হ্ওয়া একটি অড্ওি টেপ যেখানে কোন এক নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য ট্রাম্পের আকুতি ফাঁস হয়ে গেলে রীতিমত বিপাকে পড়েন ট্রাম্প। এসব বিষয় নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে, ,শুরুতেই হার মেনে নেন ট্রাম্প। বলেন, যেটা প্রকাশিত হয়েছে সেটা আমি নয়, এটা অনেক আগের বন্ধ একটি রুমে বন্ধুদের মধ্যে আলাপের মত একটি বিষয়।তবে হিলারী পাল্টা বলেন, ্ওট্ইা হলো ট্রাম্পের আসল রূপ। তিনি নারীদের যে ভাবে দেখেন সে ভাবেই সে ক্যামেরার পেছনে কথা বলেছে। এটা নিয়ে অবশ্য হিলারী খুব বেশি কথা তোলেননি। সম্ভবত ট্রাম্পকে বিব্রত করতে চাননি।তবে কথা বলেছেন তার ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া নিয়ে।
বিতর্ক সঞ্চালক সিএনএন এর এন্ডারসন কুপার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, যে আপনি আপনার ব্যাবয়ীয় ক্ষতি দেখিয়ে ১৮ বছর ধরে ফেডারেল ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন কিনা। জবাবে ট্রাম্প অকপটে স্বীকার করে হ্যাঁ বলেন। তবে পরক্ষণে তিনি হিলারীকে আক্রমন করে বলতে থাকেন, হিলারীর মত সিনেটররা ট্যাক্স এর ফাঁকি দেয়ার জায়গাগুলো তৈরী করে রেখেছেন বলে আমি ফাঁকি দিতে পেরেছি। জবাবে হিলারী যখন বলছিলেন, ট্রাম্পের মত ব্যবসায়ীদের ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া মানে, রাষ্ট্রের শিশুদের কে ফাঁকি দেয়া, যুদ্ধাহত সেনাদের চিকিৎসাতে ফাঁকি দেয়া, তখন ট্রাম্প বলে বসেন, তুমি কেন ট্যাক্স এর ফাঁকি দেয়া বন্ধে ব্যবস্থা ন্ওানি। হিলারী বলেন, নিতে পারিনি কারণ, রিপাবলিকানরা তখন ক্ষমতায় ছিল।
এভাবে, পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি পূণর্গঠন আর স্বাস্থ্য সেবা সম্প্রসারণ প্রভৃতি বিষয়ে পাল্টা পাল্টি বক্তব্য রাখেন ২ জন। যেখানে হিলারীকে হাস্যেজ্জল এবং তথ্য ্ও প্রমান ভিত্তিক কথা বলতে দেখা গেছে, যেখানে ট্রাম্প ছিল আক্রামনাত্বক আর অগোছালো।
ট্রাম্প যেমন যৌন কেলেঙ্কারী বিষয়ে শুরুতেই নত হয়ে দূঃখিত বলেছেন, হিলারী তেমনি দ্বিতীয় বারের মত বিতর্কে তার সময়ে ক্লাসিফাইড ইমেইল আদান প্রদানের জন্য ব্যাক্তিগত সার্ভারকে ব্যবহার করার জন্য নি:শর্ত ক্ষমা চেয়ে পরিস্থিতিকে আর আগাতে দেননি।
পুরো ৯০ মিনিটে হিলারীর প্রতি অনেক দর্শক-ই হয়তো হিলারীকে ট্রাম্পের প্রতি আরো মারমুখি আচরণ আশা করেছিলেন, কিন্তু হিলারী ছিলেন ধীর স্থির আর হাস্যেজ্জল। বিষয়টা অনেকটা, একটি জয়ের পর শেষ ম্যাচ জেতার জন্য যেমন শক্তি সঞ্চয় করে রাখার মতই আচরণ করেছেন হিলারী। অন্যদিকে , ট্রাম্প পুরোটা সময় জুড়ে অস্থির হাটাহাটি করেছেন, গত বিতর্কের মতই বার বার নাক দিয়ে বড় বড় করে শ্বাস নিয়েছেন, এবং প্রশ্নের বাইরে গিয়ে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এর বাইরে বিতর্কের একেবারে শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে মেনে নিয়েছেন, হিলারী এক লড়াকু নারী, সেটা দেখেই সিংহ ভাগ মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন, ট্রাম্প মনে মনে মেনে নিয়েছেন হিলারীকে অসম্ভব এক জয়ী নারী হিসেবেই।
সেন্ট লুসিয়ার ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি’ মিলনায়তনে স্থানীয় সময় ৯টায় শুরু হয় এ বিতর্ক। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডোমোক্রেট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারী ক্লিন্টনের মধ্যকার দ্বিতীয় ‘প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেট’ ছিল এটি। এই বিতর্ককে ঘিরে সবার নজর ছিল কেননা, প্রথম বিতর্কের পর নিউইয়র্ক টাইমস কর্তৃক ট্রাম্পের ট্যাক্স ফাঁকির বোমশেল এর রেশ কাটতে না কাটতেই, বিতর্কের ৩ দিন আগে ্ওয়াশিংটনপোস্ট আরো একটি হ্যারিকেন সাদ্যৃশ্য বোমা ছাড়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এ্যাক্সেস হলিউড নামক একটি রিয়েলিটি শোর শুটিং কালে ২০০৫ সালে নারী সর্ম্পকে যে কথা ফাঁস হয়, সেটার জেরে সর্বশেষ আরো অন্তত ৪০ জন শীর্ষ রিপাবলিকান সিনেটর আর কংগ্রেসম্যান তার প্রতি সমর্থনই শুধু তুলে নেয়নি, ট্রাম্পকে বসিয়ে রেখে তার রানিং মেট মাইক পেন্সকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনয়ন দেয়ার দাবীতে সোচ্চার হয়েছেন। এই বিতর্কে তাই তার জয়ী হ্ওয়াটা বেশ দরকার ছিল, ভেঙ্গে পড়া রিপাবলিকান দল আর কর্মী সমর্থকদের মনোবল উদ্ধারের জন্য। তবে ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন এটা কেউ বলবে না। বরং সে শেষ মন্তব্যে স্বীকার করে নিয়েছে, হিলারী লড়াকু, আর কখনই নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার নারী নয়। তাই হিলারী যে অতি শ্রম খরচা ছাড়াই জয়ী হয়েছেন এ বিতর্কে সেটা নি:সন্দেহইে বলা যায়।