নিউইয়র্ক ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০১৬ : নিরাপত্তা-অভিবাসন-অস্ত্রনিয়ন্ত্রণ নির্বাচনী ইশতেহার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৫৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৬
  • / ১১৯৯ বার পঠিত

ঢাকা: ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচন। ইতিমধ্যে বিতর্কের দৌড়ে নেমে পড়েছেন ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে রয়েছেন দু’দলের প্রার্থীরা। যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রগতিতে আগামীর সিংহাসন কার কপালে জুটবে সে মহড়ায় বিতর্কের মঞ্চে সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপত্তা, অভিবাসন, অস্ত্রনিয়ন্ত্রণসহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসব নিয়েই বিশেষ প্রতিবেদন:
জাতীয় নিরাপত্তা: প্যারিসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর নড়েচড়ে বসেছিল সারা বিশ্ব। আশংকা ছিল যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ভারতসহ আরও কিছু দেশে সন্ত্রাসী হামলা হবে কয়েকদিনের মধ্যেই। তার বাস্তবায়ন ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় সন্ত্রাসী তান্ডব চালায় আমেরিকান পাক যুগল। এরপরেই দেশটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য ছিল- দেশটিতে হাজার হাজার মুসলমানদের বিচরণ এই দেশে নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলে দিয়েছে। এছাড়া শরণার্থীদের অবাধ প্রবেশের কারণেই ক্যালিফোর্নিয়ায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ট্রাম্পের মতো অন্য রিপাবলিকান প্রার্থী টেড ক্রুজ, ক্রিস কিসটিও জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুকেই আমেরিকার আগামী নির্বাচনের মূল ইশতেহার হিসেবে দেখছে। ডেমোক্রেট দলের হিলারি ক্লিনটন, মার্টিন ওমেলি ও বার্নি স্যান্ডার্সও দেশটির নিরাপত্তা নিয়ে সংকিত। তাদের মতে ‘সভ্যতার দ্বন্দ্বে’র কারণেই আইএস, বোকো হারামের মতো সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর আবির্ভাব।
অভিবাসন সমস্যা: অভিবাসন সমস্যাও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিরিয়ার শরণার্থীদের ডেমোক্রেটরা যুক্তরাষ্ট্রে স্বাগত জানালেও রিপাবলিকানরা তার ঘোরবিরোধী। ইরাক সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের দামামায় বিধ্বস্ত মানুষের জন্য এটাকে উদারতা হিসেবে দেখলেও রিপাবলিকানরা সন্ত্রাস জন্মের কারণ হিসেবে দেখছে। রিপাবলিকানদের ধারণা, শরণার্থীদের ¯্রােতে সন্ত্রাসীরা তাদের হামলার পথ সুগম করতে সমর্থ হতে পারে। এদিকে রিপাবলিকান বিরোধিতা সত্ত্বেও ডেমোক্রেটরা দেশটিতে বসবাসরত মেক্সিকানদের বৈধতা দেয়ার ব্যাপারে উঠে পড়ে লেগেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ অবৈধভাবে বসবাস করছেন, যারা অধিকাংশই মেক্সিকোর নাগরিক।
অস্ত্রনিয়ন্ত্রণ আইন: অস্ত্রনিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন করা আমেরিকানদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠ অনুমোদন না থাকায় কিছুটা বিলম্ব হলেও প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সম্প্রতি অস্ত্র আইনের নতুন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। কিন্তু তা নিয়েও চলছে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিতর্কের পাল্টাপাল্টি বাকবিতন্ডা। ওবামার ঘোষিত নতুন এ ব্যবস্থার নিন্দা-সমালোচনায় মুখর শীর্ষ রিপাবলিকান নেতারা। রিপাবলিকানের টেড ক্রুজ বলছেন, নির্বাহী ক্ষমতার প্রয়োগের মতো কর্মকান্ড সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। রিপাবলিকান অপর প্রার্থী ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্ণর জেব বুশ বলছেন, তিনি ক্ষমতায় গেলে এই নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা বাতিল করবেন এবং সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী (যার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের অস্ত্র রাখার অধিকার আছে) অক্ষুন্ন রাখবেন। এর বিপরীতে ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট ওবামাকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে বলছেন, আমরা আমাদের পরিবার এবং সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দিয়েও দ্বিতীয় সংশোধনী অক্ষুন্ন রাখতে পারি এবং আমাদের তাই করতে হবে।
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি: বিগত ৭ বছর ডেমোক্রেটদের জন্য অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতার বছর। তারা দেশটির ৫ শতাংশ বেকারত্বের হার কমিয়েছে। কিন্তু বিতর্কে বিভিন্ন প্রার্থীরা নানাবিধ মন্তব্য করছেন। কেউ বলছেন ট্যাক্স কমালে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে, আবার কেউ বলছেন বাড়ালে।(দৈনিক যুগান্তর)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০১৬ : নিরাপত্তা-অভিবাসন-অস্ত্রনিয়ন্ত্রণ নির্বাচনী ইশতেহার

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৬

ঢাকা: ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচন। ইতিমধ্যে বিতর্কের দৌড়ে নেমে পড়েছেন ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে রয়েছেন দু’দলের প্রার্থীরা। যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রগতিতে আগামীর সিংহাসন কার কপালে জুটবে সে মহড়ায় বিতর্কের মঞ্চে সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপত্তা, অভিবাসন, অস্ত্রনিয়ন্ত্রণসহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসব নিয়েই বিশেষ প্রতিবেদন:
জাতীয় নিরাপত্তা: প্যারিসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর নড়েচড়ে বসেছিল সারা বিশ্ব। আশংকা ছিল যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ভারতসহ আরও কিছু দেশে সন্ত্রাসী হামলা হবে কয়েকদিনের মধ্যেই। তার বাস্তবায়ন ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় সন্ত্রাসী তান্ডব চালায় আমেরিকান পাক যুগল। এরপরেই দেশটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য ছিল- দেশটিতে হাজার হাজার মুসলমানদের বিচরণ এই দেশে নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলে দিয়েছে। এছাড়া শরণার্থীদের অবাধ প্রবেশের কারণেই ক্যালিফোর্নিয়ায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ট্রাম্পের মতো অন্য রিপাবলিকান প্রার্থী টেড ক্রুজ, ক্রিস কিসটিও জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুকেই আমেরিকার আগামী নির্বাচনের মূল ইশতেহার হিসেবে দেখছে। ডেমোক্রেট দলের হিলারি ক্লিনটন, মার্টিন ওমেলি ও বার্নি স্যান্ডার্সও দেশটির নিরাপত্তা নিয়ে সংকিত। তাদের মতে ‘সভ্যতার দ্বন্দ্বে’র কারণেই আইএস, বোকো হারামের মতো সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর আবির্ভাব।
অভিবাসন সমস্যা: অভিবাসন সমস্যাও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিরিয়ার শরণার্থীদের ডেমোক্রেটরা যুক্তরাষ্ট্রে স্বাগত জানালেও রিপাবলিকানরা তার ঘোরবিরোধী। ইরাক সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের দামামায় বিধ্বস্ত মানুষের জন্য এটাকে উদারতা হিসেবে দেখলেও রিপাবলিকানরা সন্ত্রাস জন্মের কারণ হিসেবে দেখছে। রিপাবলিকানদের ধারণা, শরণার্থীদের ¯্রােতে সন্ত্রাসীরা তাদের হামলার পথ সুগম করতে সমর্থ হতে পারে। এদিকে রিপাবলিকান বিরোধিতা সত্ত্বেও ডেমোক্রেটরা দেশটিতে বসবাসরত মেক্সিকানদের বৈধতা দেয়ার ব্যাপারে উঠে পড়ে লেগেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ অবৈধভাবে বসবাস করছেন, যারা অধিকাংশই মেক্সিকোর নাগরিক।
অস্ত্রনিয়ন্ত্রণ আইন: অস্ত্রনিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন করা আমেরিকানদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠ অনুমোদন না থাকায় কিছুটা বিলম্ব হলেও প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সম্প্রতি অস্ত্র আইনের নতুন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। কিন্তু তা নিয়েও চলছে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিতর্কের পাল্টাপাল্টি বাকবিতন্ডা। ওবামার ঘোষিত নতুন এ ব্যবস্থার নিন্দা-সমালোচনায় মুখর শীর্ষ রিপাবলিকান নেতারা। রিপাবলিকানের টেড ক্রুজ বলছেন, নির্বাহী ক্ষমতার প্রয়োগের মতো কর্মকান্ড সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। রিপাবলিকান অপর প্রার্থী ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্ণর জেব বুশ বলছেন, তিনি ক্ষমতায় গেলে এই নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা বাতিল করবেন এবং সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী (যার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের অস্ত্র রাখার অধিকার আছে) অক্ষুন্ন রাখবেন। এর বিপরীতে ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট ওবামাকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে বলছেন, আমরা আমাদের পরিবার এবং সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দিয়েও দ্বিতীয় সংশোধনী অক্ষুন্ন রাখতে পারি এবং আমাদের তাই করতে হবে।
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি: বিগত ৭ বছর ডেমোক্রেটদের জন্য অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতার বছর। তারা দেশটির ৫ শতাংশ বেকারত্বের হার কমিয়েছে। কিন্তু বিতর্কে বিভিন্ন প্রার্থীরা নানাবিধ মন্তব্য করছেন। কেউ বলছেন ট্যাক্স কমালে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে, আবার কেউ বলছেন বাড়ালে।(দৈনিক যুগান্তর)