নিউইয়র্ক ০৭:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

তর্ক, কুৎসায় জমজমাট প্রচারণা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৬৭৩ বার পঠিত

ঢাকা: আচ্ছা করে ধোলাই দিতে পারলে ট্রাম্পের সব পাগলামি ছুটে যেত! না, ঠিক এই ভাষা ব্যবহার না করলেও রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সম্পর্কে এমন মন্তব্যই করলেন বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফ্লোরিডায় ডেমোক্র্যাটদের এক প্রচার সভায় তিনি বললেন, ‘সাংবাদিকরা প্রায়ই জিজ্ঞেস করেন, ট্রাম্পের উল্টোপাল্টা কথার জবাব দিতে, তর্ক জুড়তে ইচ্ছে করে কি না। না। বরং মনে হয়, আমি আর ট্রাম্প যদি একই হাই স্কুলে পড়তাম! তা হলে একদিন খেলার মাঠের পেছন দিকে ওকে ডেকে নিয়ে যেতাম!’
বাইডেনের এই খোঁচার জবাব দিতে দেরি করেননি ট্রাম্প। টালাহাসি–র এক সভায় বললেন, ‘দেখেছেন তো, বাইডেন আমাকে মাঠের ধারে নিয়ে যেতে চেয়েছে! ওহ্, কী ভালোই না হতো! মাস্তানি বোঝা যেত। তখন আবার সবাই বলত ট্রাম্প মারকুটে! তবু ভালো হতো।’
দু’জনের বাগযুদ্ধ তার পরেও থামেনি। বাইডেন বলেন, লাগাতার আজেবাজে কথা বলে, মেয়েদের সম্পর্কে কুকথা বলে, আমেরিকার বিদেশ নীতি সম্পর্কে নিজের অজ্ঞতা প্রকাশ করে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই হাস্যকর করে তুলেছেন। এটা খুব হতাশাজনক। সংবাদমাধ্যমের পক্ষে তো বিশেষ করে। সাংবাদিকেরা কী নিয়ে লিখবেন? হিলারি ক্লিন্টন কত কষ্ট করে নিজের কলেজের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করেছেন, না ধনকুবের ট্রাম্প কীভাবে মহিলাদের শরীর খামচাতেন? দু’জনের আদৌ কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে, এই ধারণাটাই হাস্যকর।
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, তার প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিন্টন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় যে ইমেল কেলেঙ্কারি হয়েছিল, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করাবেন। অভিযোগ ছিল, হিলারি তাঁর ব্যক্তিগত ইমেল অ্যাকাউন্ট থেকে চূড়ান্ত গোপনীয় জাতীয় নিরাপত্তা-সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় করেছেন। এতবড় গুরুতর ঘটনা, অথচ প্রেসিডেন্ট ওবামা সমানে বলে গেলেন, তিনি নাকি কিছুই জানতেন না। খবরে দেখার পর জেনেছেন। বিষয়টার তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ, মনে হচ্ছে ওবামা জানতেন সবই, কিন্তু জনসমক্ষে দাবি করেছেন অন্যরকম! অন্যদিকে, হিলারি ক্লিন্টন তাঁর ফ্লোরিডার সভায় মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বললেন, ২৪০ বছর ধরে যে সব আদর্শের ওপর আমেরিকা গড়ে উঠেছে, তার প্রতিটা ট্রাম্পের আক্রমণের লক্ষ্য হয়েছে। সব ধরনের আমেরিকান জনগোষ্ঠীর বিরোধিতা করছেন তিনি। মনে হচ্ছে এবার গণতন্ত্রের মৌলিক ধারণাই হবে ট্রাম্পের শেষ চাঁদমারি। (দৈনিক নয়া দিগন্ত)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

তর্ক, কুৎসায় জমজমাট প্রচারণা

প্রকাশের সময় : ১০:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৬

ঢাকা: আচ্ছা করে ধোলাই দিতে পারলে ট্রাম্পের সব পাগলামি ছুটে যেত! না, ঠিক এই ভাষা ব্যবহার না করলেও রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সম্পর্কে এমন মন্তব্যই করলেন বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফ্লোরিডায় ডেমোক্র্যাটদের এক প্রচার সভায় তিনি বললেন, ‘সাংবাদিকরা প্রায়ই জিজ্ঞেস করেন, ট্রাম্পের উল্টোপাল্টা কথার জবাব দিতে, তর্ক জুড়তে ইচ্ছে করে কি না। না। বরং মনে হয়, আমি আর ট্রাম্প যদি একই হাই স্কুলে পড়তাম! তা হলে একদিন খেলার মাঠের পেছন দিকে ওকে ডেকে নিয়ে যেতাম!’
বাইডেনের এই খোঁচার জবাব দিতে দেরি করেননি ট্রাম্প। টালাহাসি–র এক সভায় বললেন, ‘দেখেছেন তো, বাইডেন আমাকে মাঠের ধারে নিয়ে যেতে চেয়েছে! ওহ্, কী ভালোই না হতো! মাস্তানি বোঝা যেত। তখন আবার সবাই বলত ট্রাম্প মারকুটে! তবু ভালো হতো।’
দু’জনের বাগযুদ্ধ তার পরেও থামেনি। বাইডেন বলেন, লাগাতার আজেবাজে কথা বলে, মেয়েদের সম্পর্কে কুকথা বলে, আমেরিকার বিদেশ নীতি সম্পর্কে নিজের অজ্ঞতা প্রকাশ করে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই হাস্যকর করে তুলেছেন। এটা খুব হতাশাজনক। সংবাদমাধ্যমের পক্ষে তো বিশেষ করে। সাংবাদিকেরা কী নিয়ে লিখবেন? হিলারি ক্লিন্টন কত কষ্ট করে নিজের কলেজের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করেছেন, না ধনকুবের ট্রাম্প কীভাবে মহিলাদের শরীর খামচাতেন? দু’জনের আদৌ কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে, এই ধারণাটাই হাস্যকর।
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, তার প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিন্টন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় যে ইমেল কেলেঙ্কারি হয়েছিল, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করাবেন। অভিযোগ ছিল, হিলারি তাঁর ব্যক্তিগত ইমেল অ্যাকাউন্ট থেকে চূড়ান্ত গোপনীয় জাতীয় নিরাপত্তা-সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় করেছেন। এতবড় গুরুতর ঘটনা, অথচ প্রেসিডেন্ট ওবামা সমানে বলে গেলেন, তিনি নাকি কিছুই জানতেন না। খবরে দেখার পর জেনেছেন। বিষয়টার তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ, মনে হচ্ছে ওবামা জানতেন সবই, কিন্তু জনসমক্ষে দাবি করেছেন অন্যরকম! অন্যদিকে, হিলারি ক্লিন্টন তাঁর ফ্লোরিডার সভায় মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বললেন, ২৪০ বছর ধরে যে সব আদর্শের ওপর আমেরিকা গড়ে উঠেছে, তার প্রতিটা ট্রাম্পের আক্রমণের লক্ষ্য হয়েছে। সব ধরনের আমেরিকান জনগোষ্ঠীর বিরোধিতা করছেন তিনি। মনে হচ্ছে এবার গণতন্ত্রের মৌলিক ধারণাই হবে ট্রাম্পের শেষ চাঁদমারি। (দৈনিক নয়া দিগন্ত)