কোন দানব নয়, হিলারিই পারেন আমেরিকাকে রক্ষা করতে, তাকেই ভোট দিন
- প্রকাশের সময় : ০৯:২৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০১৬
- / ৬৯৮ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বাংলা সংবাদপত্র সাপ্তাহিক বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ‘হিলারি ক্লিনটন ফর প্রেসিডেন্ট : মিডিয়া ডায়ালগ’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, ‘সিকি শতাব্দীর অধিককাল যাবত বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্র আমেরিকার রাজনৈতিক দিগন্তের উজ্জ্বল তারকা হিসেবে বিরাজমান ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী প্রশ্নাতীতভাবে কেলেঙ্কারীর উর্ধে এবং বিরল প্রতিভা ও অভিজ্ঞতার অধিকারী ব্যক্তিত্ব হিলারি ক্লিনটন সকল বিচারে যুক্তরাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্য এবং তার পিছনে সমগ্র আমেরিকান জাতি ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশীসহ সকল ইমিগ্রান্ট কমিউনিটি আমেরিকাকে কোন দানবের হাতে তছনছ করতে না দেয়ার শপথ নিয়ে হিলারি ক্লিনটনকেই যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখা চান।’ অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকরা একযোগে হিলারি ক্লিনটনকে ভোট দেবার জন্য বাংলাদেশী কমিউনিটির সকল ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে এফবিআই কর্তৃক নতুন করে হিলারির ইমেইল ফাঁসের ঘটনা নিশ্চিতভাবেই চক্রান্তমূলক। কিন্তু সকল চক্রান্ত ছিন্ন করে হিলারি ক্লিনটনই হতে যাচ্ছেন আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট। হিলারি ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট হলে যে শুধু সমগ্র বিশ্বই লাভবান হবে তা নয়, দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এবং ইমিগ্রান্ট হিসেবে বাংলাদেশী কমিউনিটিও ব্যাপকভাবে লাভবান হবে। কারণ হিলারি দু’বার বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং বাংলাদেশীরা তাকে বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবেই বিবেচনা করে।’
সিটির জ্যাকসন হাইটসস্থ বেলোজিনো নান্দুস পার্টি মিলনায়তনে গত ৩১ অক্টোবর সোমবার রাতে ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, নিউইয়র্কের ইতিহাসে কোন কমিউনিটি সংবাদপত্রের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে এ ধরনের সংলাপের আয়োজন এই প্রথম। এছাড়া নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত শীর্ষস্থানীয় প্রায় সকল বাংলা মিডিয়ার সম্পাদকদের একই মঞ্চে উপস্থিতি সাংবাদিকদের মধ্যকার সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পরিবেশ কমিউনিটিতে প্রশংসিত হয়েছে। এমন উদ্যোগেও প্রশংসা করেছেন অনেকে। অনুষ্ঠানে কমিউনিটির সকল পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়েছিলেন।
সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ও নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদ এ খান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক ও আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি নাজমুল আহসান, সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমদ, বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও টাইম টিভির সিইও আবু তাহের, সাপ্তাহিক বর্ণমালা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, সাপ্তাহিক জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, সাপ্তাহিক আজকাল-এর প্রধান সম্পাদক ও জেবিবিএ’র সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ জিকো, সাপ্তাহিক প্রবাস সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ এবং রেডিয়্যান্ট আইপিটিভির সিইও সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী। খবর ইউএনএ’র।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনীতিক, ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, সিনিয়র সাংবাদিক মঈনুদ্দীন নাসের, কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর আনোয়ার হােসেন, বিশিষ্ট কলামিস্ট আবু জাফর মাহমুদ, মূলধারার রাজনীতিক মাফ মেজবাহ উদ্দিন, এটর্নী মঈন চৌধুরী, গিয়াস আহমেদ, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান, বাংলাদেশী আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ এন মজুমদার, কমিউনিটি লিডার আবদুস শহীদ, খান’স টিউটিরিয়ালের চেয়ারপার্সন নাঈমা খান, বিএনপি নেতা জিল¬ুর রহমান জিল¬ু, শরাফত হোসেন বাবু, আখতার হোসেন বাদল, মুসিলম অধিকার আদায়ের নেতা এ কে আবদুস সামাদ, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ডা. খন্দকার মাসুদুর রহমান, ফখরুল ইসলাম দেলোয়াার, মাজেদা উদ্দিন, জর্জিয়া থেকে আগত মুসলিম অধিকার কর্মী ও ইরাক ফেরত আমেরিকান ভেটারেন বারী আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন আশরাফুল হাসান বুলবুল।
স্বাগত বক্তব্যে ডা. ওয়াজেদ এ খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ইতিপূর্বে অনুষ্ঠিত যে কোন নির্বাচনের চেয়ে ব্যতিক্রমী ও অস্বাভাবিক মনে হলেও সকল জরিপ ও ভবিষ্যদ্বাণী বিশ্লেষণ করে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, ৮ নভেম্বরের নির্বাচনী ফলাফলে হিলারিই যাবেন হোয়াইট হাউজে। দীর্ঘ ৪০ বছরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হিলারি ক্লিনটন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন তার যোগ্যতাবলে। অরাজনৈতিক প্রার্থী ট্রাম্প নিজেকে দেশবাসীর কাছে অযোগ্য প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছেন এবং নির্বাচনী অভিযানে বক্তব্য ও আচরণে হীনমন্যতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন নারী লিপ্সু, বর্ণবিদ্বেষী, ইমিগ্রান্ট বিরোধী ও মুসলিম বিরোধী হিসেবে। আমেরিকান ভোটাররা নৈতিকভাবে অধ:পতিত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করার প্রস্তুতি নিয়েছে। ডা: ওয়াজেদ খান আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফার্ষ্টলেডি, সিনেটর, সেক্রেটারী অফ ষ্টেট হিসেবে তার সাফল্য অতুলনীয়, তিনি নিজেকে গড়ে তুলেছেন এবং বর্তমান পর্যায়ে উন্নীত করেছেন। হিলারি ক্লিনটনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেয়ার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে বলেন, সকলের সমর্থনে আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন। তিনি বলেন, হিলারিকে ভোট দেয়া দরকার এ জন্য যে, তিনি নির্বাচিত হলে আমেরিকা হবে অভিবাসীদের নিরাপদ বাসস্থান, নারীরা পাবে মর্যাদা, মুসলমানরা থাকেব আত্মমর্যাদা নিয়ে। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প যে দ্বিধাভিক্তির সৃষ্টি করেছেন তার থেকে আমেরিকাকে রক্ষা করতে হলে হিলারির বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচন এতোদিন ধরে চলে আসা রাজনৈতিক সংস্কৃতির মূলে আঘাত হেনেছে। এনির্বাচন নির্ধারণ করে দিবে মুসলিম ইমিগ্রান্টরা আগামী দিনে এদেশে কিভাবে তাদের জীবন যাপন করবেন।
নাজমুল আহসান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নিয়ম-কানুন অতি সংক্ষেপে তুলে ধরে বলেন, আমাদেরকে শুধু মূলধারার রাজনীতিতে যুক্ত হলেই চলবে না, ভোটিং পদ্ধতি, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী নিয়ম-কাননুও ভালোভাবে জানতে হবে এবং কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশী কমিউনিটি বাড়ছে এবং কমিউনিটির স্বার্থেই সিনেট, কংগ্রেস ও স্থানীয় সিটি নির্বাচনে আরো বেশী ভূমিকা রাখা দরকার। তিনি বলেন, এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কঠিন হচ্ছে। রিপাবলিকানরা প্রাইমারী নির্বাচনকে গুরুত্ব না দিলেও এখন তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই ইমিগ্র্যান্ট বিরোধী ট্রাম্পকে রুখতে হলে ডেমোক্র্যাট দলীয় সকল ভোটারকে ভোট দিতে অনুপ্রাণিত করতে হবে।
কৌশিক আহমদ বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেখার অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, নির্বাচনের পর পরাজিত প্রার্থী তার পরাজয় স্বীকার করে নিয়ে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানান। যা আমাকে আলোড়িত করে। আর নির্বাচনে যে দলেরই প্রার্থী জয়ী হন না কেন এই দেশের পররাষ্ট্র নীতিতে তেমন পরিবর্তন দেখা যায় না। এসব নীতি ‘লকায়িত’ থাকে। কিন্তু এবারের নির্বাচনে বিস্ময়ের দেখছি রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডেনাল্ড ট্রাম্প-এর আমেরিকার মূল সুর সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই। তিনি পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে বিশেষ করে রাশিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কি হবে, না হবে প্রকাশ্যে বলে দিচ্ছেন। ট্রাম্প আমেরিকার প্রায় ২৫০ বছরের ধারা/ইতিহাস ভেঙ্গে ফেলছেন। তিনি ট্রাম্পকে একজন ‘বখাটে’ প্রার্থী উল্লেখ করে বলেন, গণতন্ত্রের ‘লু ফল’-এর কারণেই তিনি প্রার্থী হতে পেরেছেন। তিনি বলেন, অবাধ গণতন্ত্র সবসময় পজেটিভ পথে নিয়ে যায় তা নয়। ট্রাম্প বিদ্বেষ, ঘৃণা ছড়াচ্ছেন। ইমিগ্র্যান্ট, মুসলমান, সংখ্যালঘু আর নারীদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। ট্রাম্পের উত্তরণ বিপদজনক।
কৌশিক আহমেদ বলেন, হিলারী যোগ্য প্রার্থী বলেই যে তিনি জিতবেন এমনটি ভাবা ঠিক নয়। তাকে বিজয়ী করতে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে। এক্ষেত্রে অবহেলা করলে চলবে না। তিনি জয়ী হলে বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে।
মঈনুদ্দীন নাসের বলেন, আমেরিকান গণতন্ত্রে কে কখন ‘লীড’ করেন তা বলা মুশকিল। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিরর আলোচনায় এখন পাকিস্তানী-আমেরিকান খিজির খান অন্যতম আলোচনায়। তিনি বলেন, ডেনাল্ড ট্রাম্প কিছু বুঝেই যেসব উস্কানীমূলক ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছেন তা নয়, তাকে বুঝতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বুঝতে হবে। ট্রাম্প অস্ত্রবাজদের প্রতিভু হয়ে নির্বাচন করছেন। তিনি জেনেশুনেই হিলারীর বিরুদ্ধে খারাপ কথা বলছেন। তিনি ডেমোক্র্যাট পার্টিকে সমর্থন করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
আবু তাহের বলেন, একজন সাংবাদিক হিসেবে নিরপেক্ষভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করাই আমার কাজ। এখানে পক্ষপাতিত্বের সুযোগ নেই। কিন্তু একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে কমিউনিটি, দেশ, জাতির স্বার্থে কাউকে না কাউকে সমর্তন করতেই হয়। হিলারী ক্লিনটনের সাথে তার ব্যক্তিগত যোগাযোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, জনমানুষের সাথে হিলারির মেশার প্রবৃত্তি, আগ্রহ প্রবল। বাংলাদেশকে চিনতে তার মানচিত্র লাগবে না কারণ, তিনি দুবার বাংলাদেশ সফর করেছেন। আর ট্রামকে বাংলাদেশ চিনতে মানচিত্র লাগবে। তিনি বলেন, ট্রাম্প অর্বাচিনের মতো কথা বলছেন। তিনি মুসলিম, ইমিগ্র্যান্ট বিরোধী। ট্রাম্প আমেরিকান চেতনা, মূল্যবোধ নষ্ট করে দিচ্ছেন। তিনি প্রবাসের সকল মিডিয়াকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে হিলারীকে জয়যুক্ত করার ক্ষেত্রে ভূকিা রাখার পাশাপাশি কমিউনিটি আর বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।
মাহফুজুর রহমান, শুধু আমেরিকান জন্যই নয়, বিশ্বের জন্য হিলারিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করা দরকার। এজন্য সবাইকে হিলারিকে ভোট দেয়ার জন্য সবার প্রতি জোর আহ্বান জানান তিনি। বিশেষ করে সিনেটর বার্ণি সেন্ডার্সের সমর্থক ইয়ং গ্রুপকে অবশ্যই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে হিলারিকে ভোট দিতে উৎসাহিত করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটির ১৮ হাজার ভোটারকে নিয়ে এবারের নির্বাচনে যদি আমরা কাজ করত পারতাম তাহলে মূলধারায় কমিউনিটির গুরুত্ব বাড়তো। তিনি জর্জিয়ার আটলান্টা থেকে কংগ্রেনম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী একমাত্র বাংলাদেশী-আমেরিকান ড. রশিদ মালিকের পক্ষেও কাজ করার আহ্বান এবং তাকে নির্বাচিত করার অনুরোধ জানান।
রতন তালুকদার বলেন, যে কাজ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দেও করার কথা সেই কাজটি করে দেখালো সাপ্তাহিক বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। এজন্য তিনি আয়োজক ডা. ওয়াজেদ এ খানকে আন্তরিক ধন্যবাজ জানিয়ে বলেন, ১৯৮৪ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেখছি। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, পৃথিবীর সকল দেশেই নির্বাচনের সময় সংখ্যালঘুরা গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখে। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন ঘিরে ট্রাম্প ও হিলারিকে নিয়ে নিজেদেরকে বিভক্তি করা আত্মঘাতি হতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মূলধারার নেতাদেও সাথে ফটো সেসন করে তা মিডিয়ায় প্রচারের প্রতিযোগিতার মানসিকতা পরিবর্তন করে দক্ষিণ এষিয়ার দেশগুলোকে এক ছাতার নীচে আসতে হবে।
জাকারিয়া মাসুদ জিকো বলেন, যারা মুসলমানদেরকে পছন্দ করছেন না তারাই ট্রাম্পকে পছন্দ করছেন। তিনি কেন্দ্রে গিয়ে হিলারিকে ভোট দিয়ে জয়ী করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মোহাম্মদ সাঈদ বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনের মতো এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারির পক্ষে জেগে উঠার জন্য কমিউনিটির প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঘর থেকে বেড়িয়ে আসুন, জেগে উঠুন, হিলারির জন্য কাজ করুন। সাপ্তাহিক বাংলাদেশ জেগে উঠার যে সুযোগ করে দিয়েছে তা কাজে লাগান।
আরোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে সাপ্তাহিক বাংলাশে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবাসের সকল সম্পাদক-সাংবাদিকদের মিলন দেখে কমিউনিটি নেতারা শিক্ষা নিতে পারেন উল্লেখ করে বলেন, আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যেকোন অধিকার আদায়ে ঐক্যের বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটিনর উল্লেখযোগ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ফখরুল ইসলাম খান, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ-এর উপদেষ্টা সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন মঞ্জু, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান ইউসুফজাই (সালু), দেশ-প্রবাসের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী ও রাজনীতিক বেবী নাজনীন, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব শিবলী চৌধুরী কায়েস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, মূলধারার রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ তৈয়বুর রহমান হারুন, বিশিষ্ট রিয়েলটর আজহার হক, মর্টগেজ এক্সপার্ট মোহাম্মদ জান ফাহিম, ইউনাইটেড ওলামা পরিষদের মাওলানা রশীদ আহমদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, রিয়েলটর ও কমিউনিটি লিডার এবিএম ওসমান গণি, বিশিষ্ট রিয়েল এষ্টেট ব্যবসায়ী কাজী নয়ন, চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, আশার নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট রুবাইয়া রহমান, নিউ আমেরিকান ওম্যানস ফোরামের রোকেয়া আখতার, সালেহা আলম, সালমা ফেরদৌস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।