প্রবাসীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ : আগামীর বছরের এক্সপো ১৭ মে
নিউইয়র্কে প্রথমবারের মতো ইউএসবিসিসিআই রিয়েল এস্টেট এক্সপো

- প্রকাশের সময় : ০৬:২৬:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪
- / ২৪৫ বার পঠিত
নিউইয়র্কে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ইউএসবিসিসিআই রিয়েল এস্টেট এক্সপো-২০২৪। শনিবার (১৮ এপ্রিল) দিনব্যাপী নিউইয়র্ক লাগোর্ডিয়া এয়ারপোর্ট ম্যারিয়টে হোটেলে এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল সঙখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী সহ ভিনদেশীদেরও ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয়। এক্সেপোতে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ দেশী-বিদেশী প্রায় অর্ধশত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এক্সপোতে একই সাথে রিয়েল এস্টেট সহ ব্যাংক, মরটগেজ প্রতিষ্ঠান, এটর্নী অফিসের সমাবেশ দেখে এমন আয়োজনের প্রশংসা করেন অনেকেই।
সকালে ৮টায় এক্সপো হলের গেট খোলার পর এক্সপোতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ও তাদের প্রতিনিধিরা রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করে একে একে স্টল সাদিয়ে বসেন। সকার ৯টা থেকেই আসা শুরু হয় আগ্রহী প্রবাসীদের। সকালের ব্রেক্সফাস্ট গ্রহণের মধ্যদিয়ে শুরু হয় এই এক্সপো’র কর্মকান্ড। এক্সপো উপলক্ষ্যে ম্যারিয়টে হোটেলের বল রুমে বসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধশত স্টল। পাশাপাশি চলতে থাকে সেমিনার। হোটেলের বেসমেন্টর সেমিনার কক্ষে বাড়ী ক্রয়-বিক্রয় সহ সংশ্লিস্ট বিষয়ে বিস্তারিত আলোচিত হয় বিভিন্ন সেমিনারে। বিশেষ করে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক ব্যাংক লোন পাওয়ার বিষয়ে ছিলো অনেকেরই আগ্রহ।
দুপুরে মূল মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে এক্সপো’র উদ্বোধন করা হয়। এসময় ইউএসবিসিসিআই-এর সভাপতি লিটন আহমেদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। পরবর্তীতে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিরেক্টর আহাদ আলী সিপিএ। এই পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কুইন্স চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট থমাস জে গ্রেস, নিউইয়র্ক সিটির বিল্ডিং বিভাগের সহকারী কমিশনার জামিল আইসডোর এবং মেয়র অফিসের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মীর বাশার সহ অন্যান্য অতিথিরা।
আয়োজকরা জানান, সেমিনারগুলোতে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন ব্যাংক, রিয়েল এস্টেট, ইন্স্যুরেন্স, ক্রেডিট ও মর্টগেজ প্রতিষ্ঠান এবং এটর্নীগণ। আলোচকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা ছিলেন- মোহাম্মদ জামান, মফিজুল ইসলাম, শরাফ তালুকদার, সাব্বির আহমেদ, ব্যাংকার শাহীন খান, এটর্নী মাইকেল নাকমিয়াস, কব্যাংকার মোয়াজ্জেম আলী, ব্যাংকার লুইস কার্ডিনাস, মুফতি আব্দুল মালেক, নাসের নাশহাল, ইমরান ভূইয়া, এটর্নী সরদার এম আসাদুল্লাহ, কেভিন ব্রায়ান শাকিল, এটর্নী আমিনা রশীদ, মোহাম্মদ এন মজুমদার, দেলোয়ার খান, জাহেদ হোসেন, মোহাম্মদ হক এমরান, এঞ্জেলা কিম, ফাহিম হোসেন, নূরুল আজীম, এটর্নী ওসমান মালিক, ভিক্টর অ্যান্ড্রাডি, নাফিজ রহমান প্রমুখ। বিভিন্ন সেমিনারে মডারেটর ছিলেন শাহেদ ইসলাম, ইসমাইল আহমেদ, সামি কবীর, আহাদ আলী সিপিএ ও তারেক বেইলী।
আগামী বছরের ১৭ মে পরবর্তী এক্সপো আয়োজেনের ঘোষণা আর রিয়েল এস্টেট সহ অন্যান্য ব্যবসায় সাফলতা অজর্নকারীদের মাঝে অ্যাওয়ার্ড প্রদানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ইউএসবিসিসিআই এর রিয়েল এস্টেট এক্সপো। সমাপনী পর্বে ১০জনের মাঝ্যে অ্যাওয়ার্ড বিতরণ করেন ইউএসবিসিসিআই-এর সভাপতি লিটন আহমেদ। এর আগে কী নোট স্পীকারের বক্তব্য রাখেন মর্টগেজ ডিপোর্ট-এর শাখা ম্যানেজার তারেক বেইলী। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এটর্নী সরদার এম আসাদুল্লাহ, ক্রস কাট্রি মর্টগেজ-এর সিনিয়র লোন অফিসার ফাহিস হোসেন, ইউএসবিসিসিআই ভাইস প্রেসিডেন্ট বখত রুম্মান ব্রিটেজ ও ডিরেক্টর আহাদ আলী সিপিএ। সমাপনী বক্তব্য রাখেন এক্সপোর চেয়ার ইসমাইল আহমেদ।
ইউএসবিসিসিআই রিয়েল এস্টেট এক্সপো প্রসঙ্গে খলিল গ্রুপ-এর কর্ণধার প্রেসিডেন্টশীয়অর অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শেফ খলিলুর রহমান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, একই ছাদের নীচে এমন অনুষ্ঠানে আমরা ব্যবসায়ীরা যেমন একত্রিত হয়ে অনেক কিছু জানতে পারছি, তেমনী আমাদের ক্রেতা-গ্রহকরাও নানান কিছু জানার সুযোগ পাচ্ছেন। যে সুযোগটা এনে দিয়েছে ইউএসবিসিসিআই রিয়েল এস্টেট এক্সপো। তিনি আনন্দের সাথে জানান, সবার দোয়ায় আমাদের খলিল বিরিয়ানী ফ্র্যানচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছে। ফলে এখন আমরা খলিল বিরিয়ানী-কে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও এর শাখা খুলতে পারবো। কেননা আমাদের রয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্র্যানচেঞ্জ-এর স্বীকৃতি।
বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসলাম জানান, প্রথমবারের মতো ইউএসবিসিসিআই রিয়েল এস্টেট এক্সপো আয়োজন তার কাছে ভালো লেগেছে। এখানে অনেক কিছু ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বিশেষ করে রিয়েল এস্টেট বিষয়ে অনেক কিছু জানার এবং জানানোর রয়েছে। এক্সোপাতে আসা অনেকেই তার কাছ থেকে বাড়ী ক্রয়ের বিষয়ে অনেক কিছু জেনেছেন।
ইউএসবিসিসিআই রিয়েল এস্টেট এক্সপো’র প্রাণ পুরুষ আহাদ আলী সিপিএ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। সকলের সহযোগিতায় প্রথম এক্সপো হিসেবে আমরা আশানরূপ সাড়া পেয়েছি। আগমীর বছরের ১৭ মে দ্বিতীয়বারের মতো এক্সপো হবে। এতে যোগ দিতে অনেকেই ইতিমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং একাধিক প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করতে সম্মতি দিয়েছেন।