নিউইয়র্ক ১০:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪, ২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

একতরফা স্বীকৃতি নয়, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে আলোচনার মাধ্যমে: যুক্তরাষ্ট্র

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪৫:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
  • / ২৮ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মনে করেন, কোনো দেশের একতরফা স্বীকৃতির মাধ্যমে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা উচিত হবে না। আলোচনার মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপদেষ্টা জেক সুলিভান এ কথা বলেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জেক সুলিভানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সময়ে এই অবস্থান ব্যক্ত করল যেদিন ইউরোপের তিন দেশ—নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। যা আগামী ২৮ মে কার্যকর হবে। হোয়াইট হাউস হতাশা ব্যক্ত করে বলেছে, তিন দেশ একতরফা স্বীকৃতির মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি এগিয়ে নিতে চাচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে এ ধরনের খুব একটা কার্যকর নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে প্রতিটি দেশ নিজ নিজ সিদ্ধান্ত নিতে পারে কিন্তু প্রেসিডেন্ট বাইডেন মনে করেন, এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন পক্ষের আলোচনাই সর্বোত্তম সমাধান।’

জেক সুলিভান বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিশ্বাস করেন, একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান যা ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের সবার জন্য দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা আনার সর্বোত্তম উপায়।’

হোয়াইট হাউসের অন্যতম শীর্ষ এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন জোর দিয়ে বলেছেন, দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে আসা উচিত, একতরফা স্বীকৃতির মাধ্যমে নয়।’

এ সময় জেক সুলিভানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশও ইউরোপের তিন দেশের অনুসরণ করে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে—বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন কি? এ সময় তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান বজায় রেখে অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়।’

এদিকে, ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে বিরোধী দলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ বলেছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রয়োজনে নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা দিতে পারেন।

ইয়ার লাপিদ বলেন, ‘নেতানিয়াহুর ঘোষণা দেওয়া উচিত তিনি ফিলিস্তিনির বিষয়ে আলোচনার শর্ত মেনেই সৌদির সঙ্গে (সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের) আলোচনায় যেতে চান।’ তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কেবল গাজার বেসামরিক বিষয় দেখভাল করবে।’ সূত্র: আজকের পত্রিকা।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

একতরফা স্বীকৃতি নয়, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে আলোচনার মাধ্যমে: যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৫:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মনে করেন, কোনো দেশের একতরফা স্বীকৃতির মাধ্যমে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা উচিত হবে না। আলোচনার মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপদেষ্টা জেক সুলিভান এ কথা বলেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জেক সুলিভানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সময়ে এই অবস্থান ব্যক্ত করল যেদিন ইউরোপের তিন দেশ—নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। যা আগামী ২৮ মে কার্যকর হবে। হোয়াইট হাউস হতাশা ব্যক্ত করে বলেছে, তিন দেশ একতরফা স্বীকৃতির মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি এগিয়ে নিতে চাচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে এ ধরনের খুব একটা কার্যকর নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে প্রতিটি দেশ নিজ নিজ সিদ্ধান্ত নিতে পারে কিন্তু প্রেসিডেন্ট বাইডেন মনে করেন, এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন পক্ষের আলোচনাই সর্বোত্তম সমাধান।’

জেক সুলিভান বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিশ্বাস করেন, একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান যা ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের সবার জন্য দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা আনার সর্বোত্তম উপায়।’

হোয়াইট হাউসের অন্যতম শীর্ষ এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন জোর দিয়ে বলেছেন, দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে আসা উচিত, একতরফা স্বীকৃতির মাধ্যমে নয়।’

এ সময় জেক সুলিভানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশও ইউরোপের তিন দেশের অনুসরণ করে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে—বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন কি? এ সময় তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান বজায় রেখে অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়।’

এদিকে, ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে বিরোধী দলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ বলেছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রয়োজনে নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা দিতে পারেন।

ইয়ার লাপিদ বলেন, ‘নেতানিয়াহুর ঘোষণা দেওয়া উচিত তিনি ফিলিস্তিনির বিষয়ে আলোচনার শর্ত মেনেই সৌদির সঙ্গে (সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের) আলোচনায় যেতে চান।’ তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কেবল গাজার বেসামরিক বিষয় দেখভাল করবে।’ সূত্র: আজকের পত্রিকা।