নিউইয়র্ক ০৭:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রে গ্যারেজ থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ধার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২৬:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ২১৫ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তির গ্যারেজ থেকে পুরোনো জং ধরা একটি রকেট পাওয়া গিয়েছিল। পরে এটিকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এটি নিষ্ক্রিয় ক্ষেপণাস্ত্র। উত্তর আমেরিকার এই দেশটির ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের স্থানীয় এক ব্যক্তির গ্যারেজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের পুলিশ বলছে, স্থানীয় এক ব্যক্তির গ্যারেজে পাওয়া পুরোনো জং ধরা রকেটটি আসলে একটি নিষ্ক্রিয় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র। বুধবার ওহিওর একটি সামরিক জাদুঘর অস্বাভাবিক এক অনুদানের প্রস্তাবের বিষয়ে জানাতে বেলভিউ শহরে পুলিশকে খবর দেয়। এরপর পুলিশ সম্ভাব্য ওই দাতার বাড়িতে বোম্ব স্কোয়াড পাঠায়।

এক প্রেস রিলিজে পুলিশ বলেছে, উদ্ধারকৃত এই ডিভাইসটি ‘আসলে একটি ডগলাস এআইআর-২ জিনি (আগের নাম এমবি-১)। আনগাইডেড এয়ার-টু-এয়ার এই রকেটটি ১.৫ কেটি ডব্লিউ২৫ পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে।

তবে এই ক্ষেপণাস্ত্রে কোনও ওয়ারহেড সংযুক্ত ছিল না, এর মানে আশপাশের মানুষের জন্য কোনও বিপদ ছিল না। বেলভিউ পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র সেথ টাইলার শুক্রবার বিবিসি নিউজকে বলেন, ডিভাইসটি ‘মূলত রকেট জ্বালানির একটি গ্যাস ট্যাংক’ ছিল। তিনি এই ঘটনাটিকে ‘মোটেই গুরুতর নয়’ বলেও অভিহিত করেছেন।

কর্মকর্তারা কখনোই সন্দেহ করেননি, এই ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক ওয়ারহেড উপস্থিত থাকতে পারে। যার অর্থ সিয়াটল থেকে ১০ মাইল (১৬ কিমি) পূর্বে অবস্থিত দেড় লাখ লোকের এই শহর থেকে মানুষকে ব্যাপকভাবে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।

ওই লোকটি পুলিশকে জানিয়েছেন, এই রকেটটি তার একজন প্রতিবেশীর ছিল। তবে তিনি মারা গেছেন এবং তিনি এটি মূলত এস্টেট বিক্রি থেকে কিনেছিলেন। পুলিশ শেষ পর্যন্ত উদ্ধারকৃত এই আইটেমটিকে ‘কোনও বিস্ফোরক ঝুঁকি ছাড়াই প্রত্নবস্তু’ বলে মনে করছে।

সিয়াটল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, স্নায়ুযুদ্ধের সময় রকেটটি ব্যবহার করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। সংবাদপত্রটি অনুসারে, জিনি রকেটের প্রথম ও একমাত্র লাইভ ফায়ারিং হয়েছিল ১৯৫৭ সালে এবং এটির উৎপাদন ১৯৬২ সালে শেষ হয়ে যায়। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে গ্যারেজ থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০৩:২৬:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তির গ্যারেজ থেকে পুরোনো জং ধরা একটি রকেট পাওয়া গিয়েছিল। পরে এটিকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এটি নিষ্ক্রিয় ক্ষেপণাস্ত্র। উত্তর আমেরিকার এই দেশটির ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের স্থানীয় এক ব্যক্তির গ্যারেজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের পুলিশ বলছে, স্থানীয় এক ব্যক্তির গ্যারেজে পাওয়া পুরোনো জং ধরা রকেটটি আসলে একটি নিষ্ক্রিয় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র। বুধবার ওহিওর একটি সামরিক জাদুঘর অস্বাভাবিক এক অনুদানের প্রস্তাবের বিষয়ে জানাতে বেলভিউ শহরে পুলিশকে খবর দেয়। এরপর পুলিশ সম্ভাব্য ওই দাতার বাড়িতে বোম্ব স্কোয়াড পাঠায়।

এক প্রেস রিলিজে পুলিশ বলেছে, উদ্ধারকৃত এই ডিভাইসটি ‘আসলে একটি ডগলাস এআইআর-২ জিনি (আগের নাম এমবি-১)। আনগাইডেড এয়ার-টু-এয়ার এই রকেটটি ১.৫ কেটি ডব্লিউ২৫ পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে।

তবে এই ক্ষেপণাস্ত্রে কোনও ওয়ারহেড সংযুক্ত ছিল না, এর মানে আশপাশের মানুষের জন্য কোনও বিপদ ছিল না। বেলভিউ পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র সেথ টাইলার শুক্রবার বিবিসি নিউজকে বলেন, ডিভাইসটি ‘মূলত রকেট জ্বালানির একটি গ্যাস ট্যাংক’ ছিল। তিনি এই ঘটনাটিকে ‘মোটেই গুরুতর নয়’ বলেও অভিহিত করেছেন।

কর্মকর্তারা কখনোই সন্দেহ করেননি, এই ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক ওয়ারহেড উপস্থিত থাকতে পারে। যার অর্থ সিয়াটল থেকে ১০ মাইল (১৬ কিমি) পূর্বে অবস্থিত দেড় লাখ লোকের এই শহর থেকে মানুষকে ব্যাপকভাবে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।

ওই লোকটি পুলিশকে জানিয়েছেন, এই রকেটটি তার একজন প্রতিবেশীর ছিল। তবে তিনি মারা গেছেন এবং তিনি এটি মূলত এস্টেট বিক্রি থেকে কিনেছিলেন। পুলিশ শেষ পর্যন্ত উদ্ধারকৃত এই আইটেমটিকে ‘কোনও বিস্ফোরক ঝুঁকি ছাড়াই প্রত্নবস্তু’ বলে মনে করছে।

সিয়াটল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, স্নায়ুযুদ্ধের সময় রকেটটি ব্যবহার করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। সংবাদপত্রটি অনুসারে, জিনি রকেটের প্রথম ও একমাত্র লাইভ ফায়ারিং হয়েছিল ১৯৫৭ সালে এবং এটির উৎপাদন ১৯৬২ সালে শেষ হয়ে যায়। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।