স্ত্রীর সঙ্গে যেভাবে দেখা হয়েছিল বাইডেনের, নিজেই জানালেন
- প্রকাশের সময় : ১০:৩৭:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১২২ বার পঠিত
জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামের বেশ জনপ্রিয় অ্যাকাউন্ট মিট কিউটস এনওয়াইসি। এই অ্যাকাউন্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের প্রেমিক যুগল ও বাস্তব জীবনের প্রেমের গল্প জানানো হয়। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রেমের গল্প। এ দম্পতি কীভাবে প্রথম দেখা করেছিলেন এবং তাদের প্রেম ও প্রেম থেকে প্রণয় কীভাবে হয়েছিল, সব কিছুই এক পোস্টে তুলে ধরা হয়েছে।
মিট কিউটস এনওয়াইসির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ঐ ভিডিওতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানান, ১৯৭৫ সালে ব্লাইন্ড ডেটে জিলের সঙ্গে দেখা হয় তার। আর এ ডেটের আয়োজন করে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ভাই। ওই সময় ৩৩ বছর বয়সী বাইডেন একজন সিনেটর। আর ২৪ বছর বয়সী জিল কলেজে পড়তেন।
কোথায় জিলের সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল এমন প্রশ্নে বাইডেন বলেন, আমার ভাই আমাকে ফোন করে এবং বলে- আমি একজন নারীর সঙ্গে স্কুলে যাই। তোমাকে ওর খুব পছন্দ হবে। সে (জিল) খুবই সুন্দরী এবং রাজনীতি পছন্দ করে না। এরপরেই জিল বলেন, শনিবার বিকেলে বাইডেন আমাকে ফোন করে বলে, আমি জো বাইডেন। জবাবে আমি তাকে বলি, কীভাবে আপনি আমার ফোন নম্বর পেলেন? তখন বাইডেন বলে, আজ রাতে কি আমরা ডেটে যেতে পারি। জবাবে আমি তাকে প্রত্যাখ্যান করি ও বলি, আমার রাতে আরেকটি ডেট আছে। পরে সে সেটি ক্যান্সেল করতে বলে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফাস্ট লেডি বলেন, ফোনে বাইডেন আমাকে বলে, আমি শুধু আজকের রাতেই এখানে আছি। তখন আমি তাকে দুই ঘণ্টা পর ফোন দিতে বলি। সে (বাইডেন) কি করে তা আমি দেখতে চেয়েছিলাম। ১৯৭৭ সালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন জিল ও জো। এর আগে জিলকে পাঁচবার বাইডেন প্রস্তাব দিয়েছেন সেই ভিডিওতে বলতে শোনা যায় ফার্স্ট লেডিকে।
ঐ ভিডিওতে ফার্স্ট লেডিকে তার দ্বিধাদ্বন্দ্বের বিষয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়। কারণ, জিলের সঙ্গে বাইডেন যখন প্রথম দেখা করেন ওই সময় তিনি ডিভোর্সি এবং দুই সন্তানের বাবা ছিলেন। জিল বাইডেনকে বলেন, তোমাকে মনে রাখতে হবে বিউ ও রবার্টের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক ছিল না। তবে, আমি জানতাম যদি আমরা বিয়ে করি তাহলে তাদের নিয়ে আমাকে কাজ করতে হবে। কারণ, ছোট ওই দুজন নিজেদের মা ও বোনকে দুর্ঘটনায় হারিয়েছে। তারা তাদের জীবন থেকে আর কাউকে হারাতে চাই না এটি আমি বুঝেছি। এখন ৪৮ বছর পর আমরা এখানে আছি।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট দম্পতির এ ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা বিষয়টি নিয়ে পজিটিভ মন্তব্য করেছেন। সূত্র : ডেইলি-বাংলাদেশ।