নিউইয়র্ক ১২:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে প্রবেশের প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:০০:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৫৮ বার পঠিত

ডলার ট্রাম্প নামে নতুন ডিজিটাল মুদ্রা চালু করলেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের অভিষেকের কয়েক ঘণ্টা আগে এই ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারমূল্য পৌঁছেও যায় প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে ন্যাশভিলের একটি বিটকয়েন সম্মেলনে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি ওয়াশিংটনে ফিরে আসার পর আমেরিকা হবে বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানী।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তুতিকালেই ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সাথে, ট্রাম্প বিশ্বের প্রথম ক্রিপ্টো প্রেসিডেন্ট হওয়ার এবং ক্রিপ্টো সম্পর্কিত প্রতিবন্ধকতা দূর করে ডিজিটাল সম্পদের প্রচার করতে নির্বাহী আদেশ জারি করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এদিকে, ট্রাম্পের একদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও রোববার তার নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করেছেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি নির্দিষ্ট ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা, যা ব্লকচেইন প্রযুক্তি এবং ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে লেনদেনের নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। ডিজিটাল মুদ্রা বলতে সাধারণত এমন মুদ্রাকে বোঝানো হয়, যা সম্পূর্ণভাবে ইলেকট্রনিক জগতে বিদ্যমান, সেখানে কোনো কাগজের নোট বা ধাতব মুদ্রা থাকে না। ট্রাম্পের এ পদক্ষেপকে সানন্দে গ্রহণ করেছে ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রি। তার নির্বাচনী বিজয়ের পর আরও গতিশীল হলো বিটকয়েনের বাজার।

এদিকে, ক্রিপ্টোমুদ্রার প্রতারণা এবং অর্থ পাচারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জো বাইডেন প্রশাসনের অধীনস্থ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো। বিভিন্ন ক্রিপ্টো কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছেন তারা। এর আগে, ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে খুবই উদাসীন ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে, গত বছর ন্যাশভিলের একটি বিটকয়েন সম্মেলনে তিনি আমেরিকাকে বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানী করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আরও জানা যায়, ট্রাম্পের ছেলে এরিক এবং ডোনাল্ড জুনিয়র গত বছর নিজেদের ক্রিপ্টো ব্যবসারও ঘোষণা দেন।

শনিবার ওয়াশিংটনে যাওয়ার আগে এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, ট্রাম্প তার প্রথমদিনেই রেকর্ডসংখ্যক নির্বাহী আদেশে সই করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি যে নির্বাহী আদেশগুলোতে সই করবেন, তার মধ্যে বেশিরভাগই বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেওয়া নীতিমালা বাতিল করার সাথে সম্পর্কিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাম্প তার নতুন মেয়াদের প্রথমদিন থেকেই কিছু বড় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার করেছেন, যার মধ্যে অভিবাসীদের ব্যাপক বিতাড়ন সম্পর্কিত একটি পরিকল্পনাও রয়েছে। সূত্র : বাংলাভিশন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে প্রবেশের প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের

প্রকাশের সময় : ০২:০০:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

ডলার ট্রাম্প নামে নতুন ডিজিটাল মুদ্রা চালু করলেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের অভিষেকের কয়েক ঘণ্টা আগে এই ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারমূল্য পৌঁছেও যায় প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে ন্যাশভিলের একটি বিটকয়েন সম্মেলনে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি ওয়াশিংটনে ফিরে আসার পর আমেরিকা হবে বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানী।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তুতিকালেই ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সাথে, ট্রাম্প বিশ্বের প্রথম ক্রিপ্টো প্রেসিডেন্ট হওয়ার এবং ক্রিপ্টো সম্পর্কিত প্রতিবন্ধকতা দূর করে ডিজিটাল সম্পদের প্রচার করতে নির্বাহী আদেশ জারি করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এদিকে, ট্রাম্পের একদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও রোববার তার নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করেছেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি নির্দিষ্ট ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা, যা ব্লকচেইন প্রযুক্তি এবং ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে লেনদেনের নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। ডিজিটাল মুদ্রা বলতে সাধারণত এমন মুদ্রাকে বোঝানো হয়, যা সম্পূর্ণভাবে ইলেকট্রনিক জগতে বিদ্যমান, সেখানে কোনো কাগজের নোট বা ধাতব মুদ্রা থাকে না। ট্রাম্পের এ পদক্ষেপকে সানন্দে গ্রহণ করেছে ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রি। তার নির্বাচনী বিজয়ের পর আরও গতিশীল হলো বিটকয়েনের বাজার।

এদিকে, ক্রিপ্টোমুদ্রার প্রতারণা এবং অর্থ পাচারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জো বাইডেন প্রশাসনের অধীনস্থ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো। বিভিন্ন ক্রিপ্টো কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছেন তারা। এর আগে, ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে খুবই উদাসীন ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে, গত বছর ন্যাশভিলের একটি বিটকয়েন সম্মেলনে তিনি আমেরিকাকে বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানী করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আরও জানা যায়, ট্রাম্পের ছেলে এরিক এবং ডোনাল্ড জুনিয়র গত বছর নিজেদের ক্রিপ্টো ব্যবসারও ঘোষণা দেন।

শনিবার ওয়াশিংটনে যাওয়ার আগে এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, ট্রাম্প তার প্রথমদিনেই রেকর্ডসংখ্যক নির্বাহী আদেশে সই করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি যে নির্বাহী আদেশগুলোতে সই করবেন, তার মধ্যে বেশিরভাগই বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেওয়া নীতিমালা বাতিল করার সাথে সম্পর্কিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাম্প তার নতুন মেয়াদের প্রথমদিন থেকেই কিছু বড় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার করেছেন, যার মধ্যে অভিবাসীদের ব্যাপক বিতাড়ন সম্পর্কিত একটি পরিকল্পনাও রয়েছে। সূত্র : বাংলাভিশন।