নিউইয়র্ক ০৮:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়েনি কর্মসংস্থান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৫০:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ১৪ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে ভঙ্গুর হয়ে পড়া অর্থনীতি আবারও চাঙ্গা করতে ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অনেক আলোচনা সমালোচনার পর বাইডেন প্রশাসন দেশে কর্মসংস্থান বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। তবে অর্থনীতিবিদরা কর্মসংস্থানের ব্যাপারে যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এখনও তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োগকর্তারা গেল নভেম্বর মাসে মাত্র ২ লাখ ১০ হাজার কর্মী নিয়োগ দিয়েছে, যা প্রত্যাশার তুলনায় খুবই কম। খবর বিবিসির।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনীতিবিদরা আশা করেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে নন-ফার্ম বেতনভুক্তকর্মীর সংখ্যা বেড়ে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার হবে। যদিও বেকারত্বের হার কমে ৪ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে। পাশাপাশি বেশি সংখ্যক আমেরিকান মহামারি কাটিয়ে কাজে ফিরেছেন। অক্টোবরে দেশটিতে বেকারত্বের হার ছিল ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

মিশ্র কর্মসংস্থানের এ তথ্যের ওপর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের কোনো প্রতিফলন নেই। তবে ওমিক্রন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনায় প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রত্যাশা অনুযায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হলেও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চাকরির পুনরুদ্ধারকে খুবই শক্তিশালী বলে বর্ণনা করেছেন। বেকারত্বের হার ঐতিহাসিকভাবে পতনের মধ্যে রয়েছে অর্থাৎ বেকারত্ব কমছে এবং কর্মীরাও চাকরিতে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন বাইডেন।

ধারাবাহিকভাবে দেশটির শ্রমবাজারে মজুরিও বেড়েছে। অনেক নিয়োগকর্তাই শ্রমকে আকর্ষণীয় করার জন্য কাজের অবস্থার উন্নতির প্রস্তাব দিচ্ছেন।

গ্রান্ট থর্নটনের প্রধান অর্থনীতিবিদ ডায়ান সোয়াঙ্ক বলেন, এই প্রবণ সঠিক দিকেই যাচ্ছে। বেতনভুক্ত কর্মীর তালিকা প্রত্যাশা অনুযায়ী না বাড়লেও সামগ্রিক শ্রম বাজার অনেক বেশি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়েনি কর্মসংস্থান

প্রকাশের সময় : ০৬:৫০:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২১

হককথা ডেস্ক : বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে ভঙ্গুর হয়ে পড়া অর্থনীতি আবারও চাঙ্গা করতে ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অনেক আলোচনা সমালোচনার পর বাইডেন প্রশাসন দেশে কর্মসংস্থান বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। তবে অর্থনীতিবিদরা কর্মসংস্থানের ব্যাপারে যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এখনও তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োগকর্তারা গেল নভেম্বর মাসে মাত্র ২ লাখ ১০ হাজার কর্মী নিয়োগ দিয়েছে, যা প্রত্যাশার তুলনায় খুবই কম। খবর বিবিসির।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনীতিবিদরা আশা করেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে নন-ফার্ম বেতনভুক্তকর্মীর সংখ্যা বেড়ে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার হবে। যদিও বেকারত্বের হার কমে ৪ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে। পাশাপাশি বেশি সংখ্যক আমেরিকান মহামারি কাটিয়ে কাজে ফিরেছেন। অক্টোবরে দেশটিতে বেকারত্বের হার ছিল ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

মিশ্র কর্মসংস্থানের এ তথ্যের ওপর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের কোনো প্রতিফলন নেই। তবে ওমিক্রন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনায় প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রত্যাশা অনুযায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হলেও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চাকরির পুনরুদ্ধারকে খুবই শক্তিশালী বলে বর্ণনা করেছেন। বেকারত্বের হার ঐতিহাসিকভাবে পতনের মধ্যে রয়েছে অর্থাৎ বেকারত্ব কমছে এবং কর্মীরাও চাকরিতে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন বাইডেন।

ধারাবাহিকভাবে দেশটির শ্রমবাজারে মজুরিও বেড়েছে। অনেক নিয়োগকর্তাই শ্রমকে আকর্ষণীয় করার জন্য কাজের অবস্থার উন্নতির প্রস্তাব দিচ্ছেন।

গ্রান্ট থর্নটনের প্রধান অর্থনীতিবিদ ডায়ান সোয়াঙ্ক বলেন, এই প্রবণ সঠিক দিকেই যাচ্ছে। বেতনভুক্ত কর্মীর তালিকা প্রত্যাশা অনুযায়ী না বাড়লেও সামগ্রিক শ্রম বাজার অনেক বেশি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।