নিউইয়র্ক ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মোহাম্মদ আলীর অর্থসম্পদ নিয়ে দ্বন্দ্বের শঙ্কা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:২১:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০১৬
  • / ৮১০ বার পঠিত

ঢাকা: সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তিপ্রতিম ক্রীড়াবিদ মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর রেখে যাওয়া অর্থসম্পদের উত্তরাধিকার নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আইনি লড়াই শুরু হতে পারে। আলীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্বই হবে এর কারণ। প্রয়াত মুষ্টিযোদ্ধার রেখে যাওয়া অর্থসম্পদের মূল্যমান আট কোটি মার্কিন ডলার বলে মনে করা হচ্ছে।
মোহাম্মদ আলী বিয়ে করেছিলেন চারবার। তাঁর মোট ছেলে-মেয়ের সংখ্যা নয়জন। আলীর ঔরসজাত (তাঁর পালকপুত্রও আছেন) একমাত্র ছেলে মোহাম্মদ আলী জুনিয়র তাঁর চতুর্থ মা লোনি আলীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি তাঁর প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ করেছেন।
মোহাম্মদ আলী জুনিয়র (৪৪) এখন বেশ অভাবেই আছেন। তিনি থাকেন শিকাগোর অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত সাউথ সাইডে। আলীর চতুর্থ স্ত্রী লোনির (৫৯) বিরুদ্ধে আলী জুনিয়রের বড় অভিযোগ, ছোটবেলায় এই মা তাঁকে বাবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছেন। জুনিয়র বলেছেন, তাঁর দুটি মেয়ে আছে। মাত্র দুই ঘরের একটি ফ্ল্যাটে তারা বড় হচ্ছে। অর্থের অভাবে তিনি বিদ্যুৎ বিল দিতে পারেন না। খাওয়া-পরার জন্য দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সহায়তাও নিতে হয়েছে তাঁকে।
আলী জুনিয়রের মা মোহাম্মদ আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী বেলিন্ডা বয়েড। ১৭ বছর বয়সে বেলিন্ডা ২৪ বছরের মুষ্টিযোদ্ধা আলীকে বিয়ে করেন। বেলিন্ডাও ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হন এবং নাম নেন খলিলা আলী। বিয়ের তিন বছর পর জুনিয়রের জন্ম। এরপরই মোহাম্মদ আলী তৃতীয় স্ত্রী ভেরোনিকা পোরশের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। ভেরোনিকা হন তাঁর তৃতীয় স্ত্রী।
জুনিয়র আলী বলেন, ছোটবেলায় নিজেকে তিনি পরিত্যক্ত মনে করতেন। স্কুলেও তাঁকে নিগ্রহের শিকার হতে হতো। চতুর্থ মায়ের ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ জুনিয়র সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘তিনি একটি জিনিসই বদলাতে পারবেন না, তা হলো উইল (দানপত্র)। বাবা যেভাবে উইল করেছেন, তার বাইরে ওই অর্থ ব্যয়ের এখতিয়ার কারও নেই।’
তবে টাকা-পয়সার ভাগ নিয়ে ক্ষোভ-দ্বেষ যা-ই থাকুক, আলীর অন্তিম সময়ে কিন্তু জুনিয়র তাঁর বোন, অন্য সৎবোন এবং আলীর পালক ছেলে আসাদ আমিন আলীর (৩০) সঙ্গে হাসপাতালে একসঙ্গেই ছিলেন। আলী ও তাঁর চতুর্থ স্ত্রী আসাদকে দত্তক নিয়েছিলেন।
মোহাম্মদ আলী ২০০৬ সালে তাঁর সব ছবির ৮০ শতাংশ স্বত্ব পাঁচ কোটি ডলারে বিক্রি করে দেন। তাই এলভিস প্রিসলি বা মেরিলিন মনরোর ছবি নিয়ে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল, সে রকম হয়তো আলীর ক্ষেত্রে হবে না। অ্যাডিডাসসহ মাত্র কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এখন ‘দ্য গ্রেটেস্ট’-এর ছবি ব্যবহার করতে পারে। একটি ভিডিও গেম তৈরির কোম্পানিরও সে অধিকার রয়েছে।
তবে মোহাম্মদ আলীর রেখে যাওয়া অর্থের অঙ্ক নিয়ে পত্রিকাগুলোর হিসাবে ভিন্নতা আছে। এক্সপ্রেস পত্রিকা বলছে, এর পরিমাণ সাড়ে তিন কোটি পাউন্ড। সান লিখছে ছয় কোটি পাউন্ড।(টেলিগ্রাফ)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

মোহাম্মদ আলীর অর্থসম্পদ নিয়ে দ্বন্দ্বের শঙ্কা

প্রকাশের সময় : ১২:২১:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০১৬

ঢাকা: সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তিপ্রতিম ক্রীড়াবিদ মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর রেখে যাওয়া অর্থসম্পদের উত্তরাধিকার নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আইনি লড়াই শুরু হতে পারে। আলীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্বই হবে এর কারণ। প্রয়াত মুষ্টিযোদ্ধার রেখে যাওয়া অর্থসম্পদের মূল্যমান আট কোটি মার্কিন ডলার বলে মনে করা হচ্ছে।
মোহাম্মদ আলী বিয়ে করেছিলেন চারবার। তাঁর মোট ছেলে-মেয়ের সংখ্যা নয়জন। আলীর ঔরসজাত (তাঁর পালকপুত্রও আছেন) একমাত্র ছেলে মোহাম্মদ আলী জুনিয়র তাঁর চতুর্থ মা লোনি আলীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি তাঁর প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ করেছেন।
মোহাম্মদ আলী জুনিয়র (৪৪) এখন বেশ অভাবেই আছেন। তিনি থাকেন শিকাগোর অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত সাউথ সাইডে। আলীর চতুর্থ স্ত্রী লোনির (৫৯) বিরুদ্ধে আলী জুনিয়রের বড় অভিযোগ, ছোটবেলায় এই মা তাঁকে বাবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছেন। জুনিয়র বলেছেন, তাঁর দুটি মেয়ে আছে। মাত্র দুই ঘরের একটি ফ্ল্যাটে তারা বড় হচ্ছে। অর্থের অভাবে তিনি বিদ্যুৎ বিল দিতে পারেন না। খাওয়া-পরার জন্য দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সহায়তাও নিতে হয়েছে তাঁকে।
আলী জুনিয়রের মা মোহাম্মদ আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী বেলিন্ডা বয়েড। ১৭ বছর বয়সে বেলিন্ডা ২৪ বছরের মুষ্টিযোদ্ধা আলীকে বিয়ে করেন। বেলিন্ডাও ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হন এবং নাম নেন খলিলা আলী। বিয়ের তিন বছর পর জুনিয়রের জন্ম। এরপরই মোহাম্মদ আলী তৃতীয় স্ত্রী ভেরোনিকা পোরশের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। ভেরোনিকা হন তাঁর তৃতীয় স্ত্রী।
জুনিয়র আলী বলেন, ছোটবেলায় নিজেকে তিনি পরিত্যক্ত মনে করতেন। স্কুলেও তাঁকে নিগ্রহের শিকার হতে হতো। চতুর্থ মায়ের ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ জুনিয়র সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘তিনি একটি জিনিসই বদলাতে পারবেন না, তা হলো উইল (দানপত্র)। বাবা যেভাবে উইল করেছেন, তার বাইরে ওই অর্থ ব্যয়ের এখতিয়ার কারও নেই।’
তবে টাকা-পয়সার ভাগ নিয়ে ক্ষোভ-দ্বেষ যা-ই থাকুক, আলীর অন্তিম সময়ে কিন্তু জুনিয়র তাঁর বোন, অন্য সৎবোন এবং আলীর পালক ছেলে আসাদ আমিন আলীর (৩০) সঙ্গে হাসপাতালে একসঙ্গেই ছিলেন। আলী ও তাঁর চতুর্থ স্ত্রী আসাদকে দত্তক নিয়েছিলেন।
মোহাম্মদ আলী ২০০৬ সালে তাঁর সব ছবির ৮০ শতাংশ স্বত্ব পাঁচ কোটি ডলারে বিক্রি করে দেন। তাই এলভিস প্রিসলি বা মেরিলিন মনরোর ছবি নিয়ে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল, সে রকম হয়তো আলীর ক্ষেত্রে হবে না। অ্যাডিডাসসহ মাত্র কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এখন ‘দ্য গ্রেটেস্ট’-এর ছবি ব্যবহার করতে পারে। একটি ভিডিও গেম তৈরির কোম্পানিরও সে অধিকার রয়েছে।
তবে মোহাম্মদ আলীর রেখে যাওয়া অর্থের অঙ্ক নিয়ে পত্রিকাগুলোর হিসাবে ভিন্নতা আছে। এক্সপ্রেস পত্রিকা বলছে, এর পরিমাণ সাড়ে তিন কোটি পাউন্ড। সান লিখছে ছয় কোটি পাউন্ড।(টেলিগ্রাফ)