নিউইয়র্ক ১১:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আমি চাই বাংলাদেশ ভালো থাকুক – সিন্ডি হেন্সলে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
  • / ৯৬৫ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: ২০০৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হয়েছিলেন সিনেটর জন ম্যাককেইন। নির্বাচনে জয়ী হলে তার সহধর্মিনী সিন্ডি হেন্সলে ম্যাককেইন হতেন ফার্স্ট লেডি। আর তাদের সঙ্গে হোয়াইট হাউজে জায়গা হতো এই দম্পতির বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত পালিত কন্যা ব্রিজেট ম্যাককেইন। পালিত এই কন্যার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বাংলাদেশ। তাইতো এ দেশটির প্রতি প্রবল আগ্রহ এবং সেখানকার মানুষের প্রতি মমত্ববোধ ও ভালোবাসা একুট বেশি-ই সিন্ডি হেন্সলে’র।
স্থানীয় সময় ২৪ ফেব্রুয়ারী বুধবার সকালে ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলের ডার্কসান হলে সিনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির এক শুনানিতে অংশ নেন সিন্ডি হেন্সলে ম্যাককেইন। শুনানি শেষে এক সাক্ষাতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত একজন সাংবাদিক বাংলাদেশ সম্পর্কে তার মনোভাব জানতে চান।
বাংলাদেশের নাম শুনে মুহূর্তেই উচ্ছ্বাসিত হয়ে ওঠেন তিনি। বেশ গর্বের সঙ্গেই বলে ওঠেন, ‘আমি বাংলাদেশি কন্যার জননী। আমার মেয়ে বাংলাদেশকে ভীষণ অনুভব করে। বাংলাদেশের ভালো খবরে সে আনন্দিত হয়। খারাপ খবরে বেদনাহত হয়ে পড়ে।’ তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের মতো আমিও চাই বাংলাদেশ ভালো থাকুক।’ অকপটে স্বীকার করেন, বাংলাদেশের প্রতি রয়েছে তার বেশ দুর্বলতা।
এর আগে শুনানিতে অংশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী মানব পাচার রোধে শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির আহবান জানান সিন্ডি হেন্সলে ম্যাককেইন। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নাগরিক সমাজ সাংবাদিকসহ সব পেশাজীবীকে মানব পাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সাংবাদিক সমাজ যেন মানব পাচার বিষয়ে লেখার বিশেষ প্রশিক্ষণ নেন সে পরামর্শও দেন সিন্ডি হেন্সলে। যুক্তরাষ্ট্রকে এই মহামারী রোধে নেতৃত্বের ভূমিকায় আসার আহবান জানান তিনি।
শুনানিতে অংশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী মানব পাচারের ভয়াবহ পরিসংখ্যান তুলে ধরে অবিলম্বে তা রোধে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরদের প্রতি আহ্বান জানান ৬১ বছর বয়সী এই মহিয়সী নারী।
বাংলাদেশ মানব পাচার সমস্যার অন্যতম প্রধান শিকার উল্লেখ করে সিন্ডি হেন্সলে ম্যাককেইন দেশটির সরকার ও নাগরিক সমাজকে সাধারণ মানুষকে শিক্ষিত ও সচেতন করার পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় কবলিত বাংলাদেশ সফরে আসেন সিন্ডি হেন্সলে ম্যাককেইন। ওই সময় ছোট এতিম শিশু আজকের ব্রিজেট (পরবর্তীতে রাখা নাম) হৃদরোগে আক্রান্ত ছিল। সিন্ডি ম্যাককেইন শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। উন্নত চিকিৎসার এক পর্যায়ে তাকে নিয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রে। সুস্থ হয়ে ওঠে শিশুটি। এরপর নিজ সন্তানের মতই পরম মমতায় বড় করেন শিশুটিকে। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিজেট ম্যাককেইন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ পরিচিত।
২০০৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাবার সঙ্গে প্রচারে অংশ নিয়েছেন তিনি। তবে গায়ের রঙ কালো বলে শ্বেতাঙ্গদের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে জন ম্যাককেইনকে। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি, পিছুও হঠেননি বর্তমান এই সিনেটর। আরো ৬ সন্তানের মতই ব্রিজেটের গর্বিত বাবা জন ম্যাককেইন।(দৈনিক ইত্তেফাক)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

আমি চাই বাংলাদেশ ভালো থাকুক – সিন্ডি হেন্সলে

প্রকাশের সময় : ১০:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

নিউইয়র্ক: ২০০৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হয়েছিলেন সিনেটর জন ম্যাককেইন। নির্বাচনে জয়ী হলে তার সহধর্মিনী সিন্ডি হেন্সলে ম্যাককেইন হতেন ফার্স্ট লেডি। আর তাদের সঙ্গে হোয়াইট হাউজে জায়গা হতো এই দম্পতির বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত পালিত কন্যা ব্রিজেট ম্যাককেইন। পালিত এই কন্যার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বাংলাদেশ। তাইতো এ দেশটির প্রতি প্রবল আগ্রহ এবং সেখানকার মানুষের প্রতি মমত্ববোধ ও ভালোবাসা একুট বেশি-ই সিন্ডি হেন্সলে’র।
স্থানীয় সময় ২৪ ফেব্রুয়ারী বুধবার সকালে ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলের ডার্কসান হলে সিনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির এক শুনানিতে অংশ নেন সিন্ডি হেন্সলে ম্যাককেইন। শুনানি শেষে এক সাক্ষাতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত একজন সাংবাদিক বাংলাদেশ সম্পর্কে তার মনোভাব জানতে চান।
বাংলাদেশের নাম শুনে মুহূর্তেই উচ্ছ্বাসিত হয়ে ওঠেন তিনি। বেশ গর্বের সঙ্গেই বলে ওঠেন, ‘আমি বাংলাদেশি কন্যার জননী। আমার মেয়ে বাংলাদেশকে ভীষণ অনুভব করে। বাংলাদেশের ভালো খবরে সে আনন্দিত হয়। খারাপ খবরে বেদনাহত হয়ে পড়ে।’ তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের মতো আমিও চাই বাংলাদেশ ভালো থাকুক।’ অকপটে স্বীকার করেন, বাংলাদেশের প্রতি রয়েছে তার বেশ দুর্বলতা।
এর আগে শুনানিতে অংশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী মানব পাচার রোধে শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির আহবান জানান সিন্ডি হেন্সলে ম্যাককেইন। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নাগরিক সমাজ সাংবাদিকসহ সব পেশাজীবীকে মানব পাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সাংবাদিক সমাজ যেন মানব পাচার বিষয়ে লেখার বিশেষ প্রশিক্ষণ নেন সে পরামর্শও দেন সিন্ডি হেন্সলে। যুক্তরাষ্ট্রকে এই মহামারী রোধে নেতৃত্বের ভূমিকায় আসার আহবান জানান তিনি।
শুনানিতে অংশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী মানব পাচারের ভয়াবহ পরিসংখ্যান তুলে ধরে অবিলম্বে তা রোধে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরদের প্রতি আহ্বান জানান ৬১ বছর বয়সী এই মহিয়সী নারী।
বাংলাদেশ মানব পাচার সমস্যার অন্যতম প্রধান শিকার উল্লেখ করে সিন্ডি হেন্সলে ম্যাককেইন দেশটির সরকার ও নাগরিক সমাজকে সাধারণ মানুষকে শিক্ষিত ও সচেতন করার পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় কবলিত বাংলাদেশ সফরে আসেন সিন্ডি হেন্সলে ম্যাককেইন। ওই সময় ছোট এতিম শিশু আজকের ব্রিজেট (পরবর্তীতে রাখা নাম) হৃদরোগে আক্রান্ত ছিল। সিন্ডি ম্যাককেইন শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। উন্নত চিকিৎসার এক পর্যায়ে তাকে নিয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রে। সুস্থ হয়ে ওঠে শিশুটি। এরপর নিজ সন্তানের মতই পরম মমতায় বড় করেন শিশুটিকে। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিজেট ম্যাককেইন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ পরিচিত।
২০০৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাবার সঙ্গে প্রচারে অংশ নিয়েছেন তিনি। তবে গায়ের রঙ কালো বলে শ্বেতাঙ্গদের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে জন ম্যাককেইনকে। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি, পিছুও হঠেননি বর্তমান এই সিনেটর। আরো ৬ সন্তানের মতই ব্রিজেটের গর্বিত বাবা জন ম্যাককেইন।(দৈনিক ইত্তেফাক)