সিটি কোর্টে আটককৃত যুবককে হাজির : গুলিতে নিহত ইউসুফ-বাবুলের দাফন সম্পন্ন

- প্রকাশের সময় : ০৫:৫২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪
- / ৯২ বার পঠিত
বাফেলোতে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশীর মরদেহ হস্তান্তরের পর তাদের নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। আবু সালেহ মোহাম্মদ ইউসুফ-এর মরদেহ বাফেলোতে আর বাবুল মিয়ার মরদেহ মেরিল্যান্ডের কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে বাফেলো পুলিশ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘটনার বিস্কারিত তুলে ধরে বলেছে ইউসুফ-বাবুল হত্যার সন্দেহে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে আবু ইউসুফ এবং বাবুল মিয়ার খুনের সন্দেহে আটক যুবক ডালি কুমিঙ্কস-কে (উধষব ঈঁসসরহমং) শুক্রবার (৩ মে) আদালতে হাজির করা হয়। এদিন বাফেলো সিটি কোর্টে এই ফেলনী মামলার হিয়ারিং ছিল। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে (ডালি কুমিঙ্কস) বন্দুক মামলাতেই আটক রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এখনো খুনের কোন মামলা দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। আগামী ১৩ মে আবার এই মামলার হেয়ারিং এর সময় দেয়া হয়েছে। অপরদিকে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা নিহত আবু সালেহ ইউসুফের পরিবার ও বাফেলোর পুলিশ কমিশনারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল শনিবার এক বন্দুকধারীর গুলিতে আবু সালেহ মোহাম্মদ ইউসুফ (৫৩) ও বাবুল মিয়া (৫৮) হত্যাকান্ডের শিকার হন। এই ঘটনায় বাংলাদেশী কমিউনিটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সব সময় একটা ভয় কাজ করছে বলে জানিয়েছে বাফেলোর প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
নিহত আবু সালেহ মোহাম্মদ ইউসুফের নামাজে জানাজা গত ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার বাফেলোর ফিলমোর এভিনিউস্থ মসজিদে অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। অপরদিকে নিহত বাবুল মিয়ার নামাজে জানাজা গত ১ মে বুধবার মেরিল্যান্ড রাজ্যের কলেজ পার্ক শহরস্থ দারুস সালাম মসজিদে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর স্থানীয় কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। পারিবারিক সিদ্ধান্তেই তার মরদেহ বাফেলো থেকে মেরিল্যান্ড নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা গত ১ মে বুধবার বাফেলো সিটিতে গিয়ে আবু সালেহ মোহাম্মদ ইউসুফের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। নিহত বাবুল মিয়ার পরিবার জানাজার জন্য মেরিল্যান্ডে অবস্থান করায় তাদের সঙ্গে দেখা হয়নি। সাক্ষাৎকালে কনসাল জেনারেল এ ঘটনায় বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেলের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিলেও পরিবার দুটি এখন পর্যন্ত কোনো আর্থিক সহায়তা পাননি। বাংলাদেশীর পরিবার দুটি পেয়েছেন শুধুই ‘সরকারি সান্তনা’।
অপরদিকে বাফেলোর পুলিশ কমিশনার জোসেফ এ গ্রামাগলিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ ভয়াবহ অপরাধের তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করেন নাজমুল হুদা। পুলিশ কমিশনার তাকে জানিয়েছেন, ভয়ঙ্কর হত্যাকান্ডের জন্য ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রসহ অপরাধীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। অপরাধটি বাংলাদেশী কমিউনিটিকে লক্ষ্য করে হয়নি। এটি একটি বিচ্ছিন্ন অপরাধমূলক কাজ, যার (অপরাধীর) অতীতে একাধিক অপরাধমূলক কাজের রেকর্ড ছিল। তিনি ডাবল খুনের শিকার পরিবারসহ বাফেলোতে নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন কনসাল জেনারেলকে।
কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা বাফেলো শহরের মেয়রের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে মেয়রের সঙ্গে নিয়ে আলোচনা করতে শিগগির তিনি আবারও বাফেলোতে যাবেন বলে মিডিয়াকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউসুফের পরিবারের সদস্যরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সহায়তার প্রয়োজন।
এদিকে গুলিতে নিহত আবু সালেহ ইউসুফ ও বাবুল মিয়ার পরিবারের সহযোগিতার জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মসজিসগুলোর মাধ্যমে এই সাহায্য সংগ্রহ করা হবে বলে বাফেলো থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে। প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য আব্দুল খান ফাহিম (৩৪৭-৯৩৫-২৭৬৭) ও মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান (৫৮৫-৬৮৯-১৭২৬) রহমানের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।