নিউইয়র্ক ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সামার ঘিরে উৎসবে মেতে উঠছে বাংলাদেশী কমিউনিটি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০১৫
  • / ৮৬৭ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: উত্তর আমেরিকায় এখন পুরো সামার অর্থাৎ গ্রীষ্মকাল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে ‘সামার ভ্যাকেশন’। এদিকে সামারে দিনের সময় অধিক হওয়ায় অনেকের হাতে সময় বেশী। আর এই সামার ঘিরে নিউইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকার সর্বত্রই বনভোজন আয়োজনের হিড়িক পড়েছে। সেই সাথে চলছে পথমেলার আয়োজন। অবশ্য পবিত্র রমজান মাসের আগেই নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির আয়োজনে পথমেলার আয়োজন হয়েছে। এখনও এই আয়োজন অব্যাহত রয়েছে। ফলে উৎসবে মেতে উঠছে বাংলাদেশী কমিউনিটি।
কমিউনিটির বনভোজন আয়োজনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই নিউইয়র্ক সহ ট্রাইষ্টেট এলাকার আকর্ষনীয় পার্কগুলো ইতিমধ্যেই বুক করা হয়েছে। পার্কগুলো আগেভাগে বুকিং না দেয়ায় অনেকে সংগঠনের এখন আর নতুন পার্ক না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। এদিকে পার্ক বুকিং-এ অতীতের বছরগুলোর চেয়ে গত ২/৩ বছর ধরে সিটির পার্ক কর্তৃপক্ষ বেশ কড়াকড়ি শর্তারোপ করায় নানা সমস্যার মুখোমুখী হচ্ছেন সংগঠনগুলো। সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে বিগত বছরগুলোতে শুধুমাত্র পার্ক বুকিং দিয়ে নির্ধারিত পার্কগুলোতে আরাম-আয়েশে ২/৪/৫শ প্রবাসীকে নিয়ে বনভোজনের আনন্দ উপভোগ করা যেতো। কিন্তু গত ২/৪ বছর ধরে পার্কগুলোতে ‘ওভার ক্রাউড’ দেখা দেয়ায় পার্ক কর্তৃপক্ষ বনভোজনে অংশগ্রহণকারী সংখ্যার উপর নির্ভর করে পার্ক বুকিং দিচ্ছে। এতে অনেক সংগঠনকে বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। আবার কোন কোন সংগঠন অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা গোপন করায় তাদেকে পার্ক কর্তৃপক্ষ জরিমানাও করেছে। প্রয়োজনে পার্ক কর্তৃপক্ষ সশরীরে পার্কে গিয়ে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা হিসেব-নিকেশও করছে। অপরদিকে বাসভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে চাঁদা নির্ধারনে। সবমিলিয়ে চলতি বছর অনেক সংগঠন তাদের বনভোজনের চাঁদার হার বৃদ্ধি করতে বাধ্য হয়েছেন। পাশাপাশি বিগত বছরগুলোর মতো চলতি বছর ডোনারের সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
অপরদিকে গ্রীষ্মকারের বনভোজন মৌসুমে কমিউনিটির হোটেল ব্যবসাও জমে উঠেছে। জ্যামাইকার সাগর, ঘরোয়া, ঢাকা সুইটস, স্টার কাবাব এন্ড চাইনিজ, কিং কাবাব, জ্যাকসন হাইটসের প্রিমিয়াম, খাবার বাড়ী, হাটবাজার, ওজন পার্কের মতিন, ব্রুকলীনের ঘরোয়া, রাঁধুনী, ব্রঙ্কসের নিরব প্রভৃতি রেষ্টুন্টেগুলোতে বনভোজেনের খাবার বুকিং চলছে। তবে সাম্প্রতিককালে কোন কোন খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বনভোজনের খাবারের দামও বাড়তে হয়েছে বলে হোটেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশী আমেরিকান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক সোসাইটি (ব্যান্ডস)-এর উদ্যোগে আগামী ২৬ জুলাই ব্রঙ্কসে পথমেলার আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় পার্ডি স্ট্রীটে (স্টার্লিং এভিনিউ) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মেলার কার্যক্রম চলবে। মেলার মূল আয়োজক কর্মকর্তা আব্দুস শহীদ ও মো: সোলায়মান আলী জানান, ব্রঙ্কসবাসী বাংলাদেশীসহ কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষের বিনোদনের জন্যই পথমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। পবিত্র রমজান অর্থাৎ দীর্ঘ এক মাস পর পথমেলার আয়োজনে কমিউনিটিতে ভিন্ন আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মেলায় থাকবে হরেক রকমের স্টল আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আমন্ত্রিত থাকবেন মূলধারার রাজনীতিকসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। মেলায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী বীনা মজুমদারসহ দেশ ও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। পথমেলাটি সফল করতে রফিকুল ইসলামকে আহবায়ক, শেখ আল মামুন ও প্রদীপ মালাকারকে যুগ্ম আহয়য়ক, শাহেদ আহমদকে সদস্য সচিব ও সেবুল খান মাহবুবকে যুগ্ম সদস্য সচিব করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া চার্চ ম্যাকডোনাল্ড বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশনের উদ্যেগে আগামী ৯ আগষ্ট রোববার ব্রুকলীনের চার্চ-ম্যাগডোনাল্ড এভিনিউতে পথমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এই সামারে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে দুই শতাধিক বনভোজন আয়োজন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী সপ্তাহে বনভোজন আয়োজন করছে টাঙ্গাইল জেলা সমিতি ইউএসএ, হবিগঞ্জ জেলা কল্যাণ সমিতি যুক্তরাষ্ট্র ও রাজনগর উন্নয়ন পরিষদ ইউএসএ। টাঙ্গাইল জেলা সমিতির বনভোজন অনুষ্ঠিত হবে ২৬ জুলাই রোববার লং আইল্যান্ডের হেকশেয়ার ষ্টেট পার্কে, হবিগঞ্জ জেলা কল্যাণ সমিতি যুক্তরাষ্ট্র-এর বনভোজন আয়োজন হবে ২৬ জুলাই রোববার সাউদার্ন ষ্টেট পার্কওয়ের সানকেন ম্যাডো ষ্টেট পার্কে, রাজনগর উন্নয়ন পরিষদ ইউএসএ-এর বনভোজন অনুষ্ঠিত হবে ২৬ জুলাই রোববার ব্রঙ্কসের ব্যারেট্টো পয়েন্ট পার্কে আর দিনাজপুর জেলা সমিতি ইউএস’র বার্ষিক বনভোজন ২৬ জুলাই রোববার নিউইয়র্কের রং আইল্যান্ডস্থ হেকশেয়ার ষ্টেট পার্কে। এছাড়া মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুর এসোসিয়েশন বনভোজন আয়োজন করবে পরবর্তী সপ্তাহে অর্থাৎ ২ আগষ্ট রোববার লং আইল্যান্ডের হেকশেয়ার ষ্টেট পার্কে। বাংলাদেশী আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশনের বনভোজন হবে ২ আগষ্ট রোববার লং আইল্যান্ডের বেলমন্ট লেক ষ্টেট পার্কে। মানিকগঞ্জ সমিতি ইউএসএ’র বনভোজন হবে ২ আগষ্ট আপষ্টেটের এফডিআর ষ্টেট পার্কে। নর্থব্রঙ্কস বাংলাদেশী কমিউনিটির বনেভোজন অনুষ্ঠিত হবে ৯ আগষ্ট নিউজার্সীর ভুরহেস এন্ড হেকসবার্নি ষ্টেট পার্কে।
টাঙ্গাইল জেলা সমিতি ইউএসএ’র বনভোজন আয়োজন সম্পর্কে সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান আপেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসীদের বিনোদনের কথা বিবেচনা করেই প্রতিবছর সংগঠনের উদ্যোগে বনভোজন আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, টাঙ্গাইল সমিতির বনভোজনে ৬/৭শ প্রবাসীর সমাবেশ ঘটে। আর এই বনভোজনের মাধ্যমে বছরের অন্তত একবার একই সাথে শত শত প্রবাসীর সাক্ষাৎ ঘটে। তিনি বলেন, কর্মব্যস্ত প্রবাসী জীবনে শত শত প্রবাসীর জন্য এমন বনভোজন আয়োজন করা কষ্টসাধ্য হলেও কিছু সংখ্যক ত্যাগী ব্যক্তিবর্গের কারণে আমরা সফলভাবেই অনুষ্ঠান করতে পারি। তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার বাস ভাড়া ও খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জনপ্রতি চাঁদার হারও বাড়াতে হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক জ্যামাইকার এক রেষ্টুরেন্টের মালিক জানান, বনভোজের ক্যাটারিং করা অনেকেই সহজ মনে করলেও আসলে বিষয়টি সহজ নয়। শত শত লোকের জন্য মুখরোচক খাবার পরিবেশন করা অনেক কষ্টসাধ্য। আর এই খাবারের মান একটু এদিক-ওদিক হলেই ব্যবসার বারটা বাজার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কমিউনিটির কথা বিচেনা করে এবং তাদের আনন্দে শরিক থাকার জন্যই আমরা ক্যাটারিং করে থাকি। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

সামার ঘিরে উৎসবে মেতে উঠছে বাংলাদেশী কমিউনিটি

প্রকাশের সময় : ০৮:১৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০১৫

নিউইয়র্ক: উত্তর আমেরিকায় এখন পুরো সামার অর্থাৎ গ্রীষ্মকাল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে ‘সামার ভ্যাকেশন’। এদিকে সামারে দিনের সময় অধিক হওয়ায় অনেকের হাতে সময় বেশী। আর এই সামার ঘিরে নিউইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকার সর্বত্রই বনভোজন আয়োজনের হিড়িক পড়েছে। সেই সাথে চলছে পথমেলার আয়োজন। অবশ্য পবিত্র রমজান মাসের আগেই নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির আয়োজনে পথমেলার আয়োজন হয়েছে। এখনও এই আয়োজন অব্যাহত রয়েছে। ফলে উৎসবে মেতে উঠছে বাংলাদেশী কমিউনিটি।
কমিউনিটির বনভোজন আয়োজনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই নিউইয়র্ক সহ ট্রাইষ্টেট এলাকার আকর্ষনীয় পার্কগুলো ইতিমধ্যেই বুক করা হয়েছে। পার্কগুলো আগেভাগে বুকিং না দেয়ায় অনেকে সংগঠনের এখন আর নতুন পার্ক না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। এদিকে পার্ক বুকিং-এ অতীতের বছরগুলোর চেয়ে গত ২/৩ বছর ধরে সিটির পার্ক কর্তৃপক্ষ বেশ কড়াকড়ি শর্তারোপ করায় নানা সমস্যার মুখোমুখী হচ্ছেন সংগঠনগুলো। সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে বিগত বছরগুলোতে শুধুমাত্র পার্ক বুকিং দিয়ে নির্ধারিত পার্কগুলোতে আরাম-আয়েশে ২/৪/৫শ প্রবাসীকে নিয়ে বনভোজনের আনন্দ উপভোগ করা যেতো। কিন্তু গত ২/৪ বছর ধরে পার্কগুলোতে ‘ওভার ক্রাউড’ দেখা দেয়ায় পার্ক কর্তৃপক্ষ বনভোজনে অংশগ্রহণকারী সংখ্যার উপর নির্ভর করে পার্ক বুকিং দিচ্ছে। এতে অনেক সংগঠনকে বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। আবার কোন কোন সংগঠন অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা গোপন করায় তাদেকে পার্ক কর্তৃপক্ষ জরিমানাও করেছে। প্রয়োজনে পার্ক কর্তৃপক্ষ সশরীরে পার্কে গিয়ে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা হিসেব-নিকেশও করছে। অপরদিকে বাসভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে চাঁদা নির্ধারনে। সবমিলিয়ে চলতি বছর অনেক সংগঠন তাদের বনভোজনের চাঁদার হার বৃদ্ধি করতে বাধ্য হয়েছেন। পাশাপাশি বিগত বছরগুলোর মতো চলতি বছর ডোনারের সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
অপরদিকে গ্রীষ্মকারের বনভোজন মৌসুমে কমিউনিটির হোটেল ব্যবসাও জমে উঠেছে। জ্যামাইকার সাগর, ঘরোয়া, ঢাকা সুইটস, স্টার কাবাব এন্ড চাইনিজ, কিং কাবাব, জ্যাকসন হাইটসের প্রিমিয়াম, খাবার বাড়ী, হাটবাজার, ওজন পার্কের মতিন, ব্রুকলীনের ঘরোয়া, রাঁধুনী, ব্রঙ্কসের নিরব প্রভৃতি রেষ্টুন্টেগুলোতে বনভোজেনের খাবার বুকিং চলছে। তবে সাম্প্রতিককালে কোন কোন খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বনভোজনের খাবারের দামও বাড়তে হয়েছে বলে হোটেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশী আমেরিকান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক সোসাইটি (ব্যান্ডস)-এর উদ্যোগে আগামী ২৬ জুলাই ব্রঙ্কসে পথমেলার আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় পার্ডি স্ট্রীটে (স্টার্লিং এভিনিউ) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মেলার কার্যক্রম চলবে। মেলার মূল আয়োজক কর্মকর্তা আব্দুস শহীদ ও মো: সোলায়মান আলী জানান, ব্রঙ্কসবাসী বাংলাদেশীসহ কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষের বিনোদনের জন্যই পথমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। পবিত্র রমজান অর্থাৎ দীর্ঘ এক মাস পর পথমেলার আয়োজনে কমিউনিটিতে ভিন্ন আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মেলায় থাকবে হরেক রকমের স্টল আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আমন্ত্রিত থাকবেন মূলধারার রাজনীতিকসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। মেলায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী বীনা মজুমদারসহ দেশ ও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। পথমেলাটি সফল করতে রফিকুল ইসলামকে আহবায়ক, শেখ আল মামুন ও প্রদীপ মালাকারকে যুগ্ম আহয়য়ক, শাহেদ আহমদকে সদস্য সচিব ও সেবুল খান মাহবুবকে যুগ্ম সদস্য সচিব করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া চার্চ ম্যাকডোনাল্ড বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশনের উদ্যেগে আগামী ৯ আগষ্ট রোববার ব্রুকলীনের চার্চ-ম্যাগডোনাল্ড এভিনিউতে পথমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এই সামারে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে দুই শতাধিক বনভোজন আয়োজন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী সপ্তাহে বনভোজন আয়োজন করছে টাঙ্গাইল জেলা সমিতি ইউএসএ, হবিগঞ্জ জেলা কল্যাণ সমিতি যুক্তরাষ্ট্র ও রাজনগর উন্নয়ন পরিষদ ইউএসএ। টাঙ্গাইল জেলা সমিতির বনভোজন অনুষ্ঠিত হবে ২৬ জুলাই রোববার লং আইল্যান্ডের হেকশেয়ার ষ্টেট পার্কে, হবিগঞ্জ জেলা কল্যাণ সমিতি যুক্তরাষ্ট্র-এর বনভোজন আয়োজন হবে ২৬ জুলাই রোববার সাউদার্ন ষ্টেট পার্কওয়ের সানকেন ম্যাডো ষ্টেট পার্কে, রাজনগর উন্নয়ন পরিষদ ইউএসএ-এর বনভোজন অনুষ্ঠিত হবে ২৬ জুলাই রোববার ব্রঙ্কসের ব্যারেট্টো পয়েন্ট পার্কে আর দিনাজপুর জেলা সমিতি ইউএস’র বার্ষিক বনভোজন ২৬ জুলাই রোববার নিউইয়র্কের রং আইল্যান্ডস্থ হেকশেয়ার ষ্টেট পার্কে। এছাড়া মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুর এসোসিয়েশন বনভোজন আয়োজন করবে পরবর্তী সপ্তাহে অর্থাৎ ২ আগষ্ট রোববার লং আইল্যান্ডের হেকশেয়ার ষ্টেট পার্কে। বাংলাদেশী আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশনের বনভোজন হবে ২ আগষ্ট রোববার লং আইল্যান্ডের বেলমন্ট লেক ষ্টেট পার্কে। মানিকগঞ্জ সমিতি ইউএসএ’র বনভোজন হবে ২ আগষ্ট আপষ্টেটের এফডিআর ষ্টেট পার্কে। নর্থব্রঙ্কস বাংলাদেশী কমিউনিটির বনেভোজন অনুষ্ঠিত হবে ৯ আগষ্ট নিউজার্সীর ভুরহেস এন্ড হেকসবার্নি ষ্টেট পার্কে।
টাঙ্গাইল জেলা সমিতি ইউএসএ’র বনভোজন আয়োজন সম্পর্কে সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান আপেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসীদের বিনোদনের কথা বিবেচনা করেই প্রতিবছর সংগঠনের উদ্যোগে বনভোজন আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, টাঙ্গাইল সমিতির বনভোজনে ৬/৭শ প্রবাসীর সমাবেশ ঘটে। আর এই বনভোজনের মাধ্যমে বছরের অন্তত একবার একই সাথে শত শত প্রবাসীর সাক্ষাৎ ঘটে। তিনি বলেন, কর্মব্যস্ত প্রবাসী জীবনে শত শত প্রবাসীর জন্য এমন বনভোজন আয়োজন করা কষ্টসাধ্য হলেও কিছু সংখ্যক ত্যাগী ব্যক্তিবর্গের কারণে আমরা সফলভাবেই অনুষ্ঠান করতে পারি। তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার বাস ভাড়া ও খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জনপ্রতি চাঁদার হারও বাড়াতে হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক জ্যামাইকার এক রেষ্টুরেন্টের মালিক জানান, বনভোজের ক্যাটারিং করা অনেকেই সহজ মনে করলেও আসলে বিষয়টি সহজ নয়। শত শত লোকের জন্য মুখরোচক খাবার পরিবেশন করা অনেক কষ্টসাধ্য। আর এই খাবারের মান একটু এদিক-ওদিক হলেই ব্যবসার বারটা বাজার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কমিউনিটির কথা বিচেনা করে এবং তাদের আনন্দে শরিক থাকার জন্যই আমরা ক্যাটারিং করে থাকি। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)