নিউইয়র্ক ০৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সাদেক হোসেন খোকা স্মরণে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা রোববার 

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৩১:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ২৫৩ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র, জাতীয় নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা স্মরণে আগামী ১ ডিসেম্বর রোববার সন্ধ্যা ৫টায় জ্যাকসন হাইটসের বেলাজিনো পার্টি হলে (৭২-১১ রুজভেল্ট এভিনিউ, জ্যাকসন হাইটস) সার্বজনীন দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন আতিকুর রহমান সালু, ডা. ওয়াজেদ এ খান, খন্দকার ফরহাদ ও আবু জাফর মাহমুদ।
উল্লেখ্য, সাদেক হোসেন খোকা গত ৪ নভেম্বর সোমবার ভোররাতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং সেন্টারে ইন্তেকাল করেছেন। এর আগে গত ১৮ অক্টোবর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধিতে ভুগছিলেন। ক্যান্সারের চিকিৎসা নিতে তিনি ২০১৪ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর থেকেই তিনি মোমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং সেন্টারে চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন। অনেকবারই তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে এবং চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে পরিবারের মাঝে ফিরে এসেছেন। কিন্তু ১৮ অক্টোবর হাসপাতালে যাওয়ার পর টানা ১৭ দিন পরও তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি এবং না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি। তার মৃত্যুর পর নিউইয়র্কে সকল শ্রেণীর প্রবাসীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তারা ভিড় করেন হাসপাতালে। সান্তনা দেন তার পরিবারের সদস্যদের। গত ৪ নভেম্বর বাদ এশা জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে সাদেক হোসেন খোকার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নিউইয়র্কে কোন বাংলাদেশীর জানাজায় এতো বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীর অংশগ্রহণ প্রবাসীরা আগে কখনো দেখেননি। দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর প্রবাসী অংশগ্রহণ করেন সাদেক হোসেন খোকার জানাজায়। নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন জেএমসির ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ।
পরদিন ৫ নভেম্বর মরহুম সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ পাঠানো হয় তার প্রিয় নগরী ঢাকার উদ্দেশ্যে এবং ৭ নভেম্বর সকালে ঢাকায় পৌছার পর বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকায় ঢাকা তার কফিন নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে সকল দলের এমপি, নেতৃবৃন্দ জানাজায় অংশ নেন। সেখান থেকে তার লাশ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সর্বস্তরের জনগণ তার কফিনে ফুলের স্তবক দিয়ে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। শহীদ মিনার থেকে তার লাশ নেয়া হয় নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। প্রিয় নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানা দলের নেতাকর্মীরা। সেখানে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের পক্ষ থেকে তাকে স্যালিউট দেয় হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় নামাজে জানাজা। এরপর তার মরদেহ নেয়া হয় ঢাকা সিটি দক্ষিণ কর্পোরেশন কার্যালয় নগর ভবনে এবং সকল স্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সেখানে আরেকটি নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরহুম সাদেক হোসেন খোকার অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী জুরাইন কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, সাদেক হোসেন খোকার জন্ম ১৯৫২ সালের ১২ মে। ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগগ্রহণ করেছিলেন। গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। তিনি বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

সাদেক হোসেন খোকা স্মরণে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা রোববার 

প্রকাশের সময় : ০১:৩১:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৯

হককথা ডেস্ক: অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র, জাতীয় নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা স্মরণে আগামী ১ ডিসেম্বর রোববার সন্ধ্যা ৫টায় জ্যাকসন হাইটসের বেলাজিনো পার্টি হলে (৭২-১১ রুজভেল্ট এভিনিউ, জ্যাকসন হাইটস) সার্বজনীন দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন আতিকুর রহমান সালু, ডা. ওয়াজেদ এ খান, খন্দকার ফরহাদ ও আবু জাফর মাহমুদ।
উল্লেখ্য, সাদেক হোসেন খোকা গত ৪ নভেম্বর সোমবার ভোররাতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং সেন্টারে ইন্তেকাল করেছেন। এর আগে গত ১৮ অক্টোবর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধিতে ভুগছিলেন। ক্যান্সারের চিকিৎসা নিতে তিনি ২০১৪ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর থেকেই তিনি মোমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং সেন্টারে চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন। অনেকবারই তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে এবং চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে পরিবারের মাঝে ফিরে এসেছেন। কিন্তু ১৮ অক্টোবর হাসপাতালে যাওয়ার পর টানা ১৭ দিন পরও তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি এবং না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি। তার মৃত্যুর পর নিউইয়র্কে সকল শ্রেণীর প্রবাসীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তারা ভিড় করেন হাসপাতালে। সান্তনা দেন তার পরিবারের সদস্যদের। গত ৪ নভেম্বর বাদ এশা জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে সাদেক হোসেন খোকার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নিউইয়র্কে কোন বাংলাদেশীর জানাজায় এতো বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীর অংশগ্রহণ প্রবাসীরা আগে কখনো দেখেননি। দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর প্রবাসী অংশগ্রহণ করেন সাদেক হোসেন খোকার জানাজায়। নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন জেএমসির ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ।
পরদিন ৫ নভেম্বর মরহুম সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ পাঠানো হয় তার প্রিয় নগরী ঢাকার উদ্দেশ্যে এবং ৭ নভেম্বর সকালে ঢাকায় পৌছার পর বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকায় ঢাকা তার কফিন নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে সকল দলের এমপি, নেতৃবৃন্দ জানাজায় অংশ নেন। সেখান থেকে তার লাশ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সর্বস্তরের জনগণ তার কফিনে ফুলের স্তবক দিয়ে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। শহীদ মিনার থেকে তার লাশ নেয়া হয় নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। প্রিয় নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানা দলের নেতাকর্মীরা। সেখানে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের পক্ষ থেকে তাকে স্যালিউট দেয় হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় নামাজে জানাজা। এরপর তার মরদেহ নেয়া হয় ঢাকা সিটি দক্ষিণ কর্পোরেশন কার্যালয় নগর ভবনে এবং সকল স্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সেখানে আরেকটি নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরহুম সাদেক হোসেন খোকার অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী জুরাইন কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, সাদেক হোসেন খোকার জন্ম ১৯৫২ সালের ১২ মে। ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগগ্রহণ করেছিলেন। গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। তিনি বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।