নিউইয়র্ক ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের বিবৃতি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:২২:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০১৭
  • / ৫৪৯ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে গত ১৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সংগঠিত অপ্রীতিকর ঘটনার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ এক বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি নিজেকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দাবী করেন এবং তার দৃষ্টিতে ঐদিনের ঘটনা তুলে ধরেন।
বিবৃতিতে সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বিবৃতিতে বলেন: ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উদযাপনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আহুত উম্মুক্ত আলোচনা সভায় অংশগ্রহনের জন্য আমি সেখানে উপস্থিত হই। আমি অনেক দিন পরে আমার প্রাণপ্রিয় সংগঠনের একটি সভায় উপস্থিত হয়েছি দেখে উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীবৃন্দের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য যে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনার ফলশ্রুতিতে আমাকে সহ আরও সাতজনের বিরুদ্ধে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বহিস্কারাদেশ দিয়েছেন বলে ড. সিদ্দিকুর রহমানের প্রচার করেন। আমি আর্শ্চযন্বিত হলেও এটিকে নেত্রীর সিদ্ধান্ত বলে মাথা পেতে নেই এবং নিরবে অবস্থা পর্যবেক্ষন করতে থাকি। কিন্তু সম্প্রতি ড. সিদ্দিকুর রহমান আরেকটি কুটচাল দিয়ে আমি ছাড়া অপর ৭ জনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছেন বলে প্রচারনা চালায়। আমি এতে বিস্মিত হই এবং বিভিন্ন স্থানে খবর নিয়ে জানতে পারি যে, আমাদেরকে বস্কিারাদেশের যে বিজ্ঞপ্তির কথা বলেছিলেন এবং সে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের কথা বলছেন, সেটা আসলে ভূয়া। বিষয়টি সম্পর্কে আমার সন্দেহ হলে আমার দলীয় সহকর্মী ড. সিদ্দিকুর রহমানকে তার সত্যতা জানানোর জন্য কাগজ পত্র আছে কিনা প্রশ্ন করি। কিন্তু উনি তা দেখাতে ব্যর্থ হলে উপস্থিত নেতা কর্মীরা আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সভা পরিচালনা করার জন্য বলে। তখন ড. সিদ্দিকুর রহমানের নির্দেশে কিছু ভাড়াটিয়া লোক জন আমাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু উপস্থি নেতা কর্মীদের বাধার কারনে নিমেষেই তার প্রচেষ্টা ব্যার্থ হয় এবং সিদ্দিকুর রহমানসহ তার সাথীরা পালিয়ে যায় এবং সাধারণ সম্পাদক হিসাবে আমি অনুষ্ঠান পরিচালনা করি। পরে ড. সিদ্দিকুর রহমান পুলিশ কল করে সভা বন্ধ করে দেয়। আমি তখন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা সভার কাজ মুলতবি করি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ছাত্র জীবন থেকে বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। বিগত পনের বছর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে কাজ করে যাচ্ছি। যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী ও সিদ্দিকুর রহমানের ব্যবসায়িক বিরোধ প্রকট আকার ধারন করে। যার ফলশ্রুতিতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ দ্বিধা বিভক্ত হয়ে যায়। সঙ্গত কারনেই আমাকে একটি অংশের নেতা হিসাবে চিহ্নিত করে। সাংগঠনিকভাবে আমাকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে জানানো হয়। সংগঠনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি কিছু দিনের জন্য সাংগঠনিক কর্মকান্ড থেকে নিজেকে বিরত রাখি।  উল্লেখ্য যে, ড. সিদ্দিকুর রহমান গত মাসে একটি কার্যকরি কমিটি মিটিংয়ে আমাকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদককের কাজ করার জন্য নিশ্চিত করেন, সেই জন্যই আজকের সভায় আমি উপস্থিত হই। কিন্তু উনি সেটা না করে আমার উপস্থিতিতে দুই নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদকে দিয়ে সভা পরিচালনা করার চেষ্টা করেন। তখনই নেতা কর্মীরা সিদ্দিকুর রহমান এর এই অসাংগঠনিক কর্মকান্ডের বিরোধীতা করে এবং নেতা কর্মীর বাধার মুখে সভাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের বিবৃতি

প্রকাশের সময় : ১২:২২:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০১৭

নিউইয়র্ক: ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে গত ১৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সংগঠিত অপ্রীতিকর ঘটনার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ এক বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি নিজেকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দাবী করেন এবং তার দৃষ্টিতে ঐদিনের ঘটনা তুলে ধরেন।
বিবৃতিতে সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বিবৃতিতে বলেন: ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উদযাপনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আহুত উম্মুক্ত আলোচনা সভায় অংশগ্রহনের জন্য আমি সেখানে উপস্থিত হই। আমি অনেক দিন পরে আমার প্রাণপ্রিয় সংগঠনের একটি সভায় উপস্থিত হয়েছি দেখে উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীবৃন্দের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য যে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনার ফলশ্রুতিতে আমাকে সহ আরও সাতজনের বিরুদ্ধে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বহিস্কারাদেশ দিয়েছেন বলে ড. সিদ্দিকুর রহমানের প্রচার করেন। আমি আর্শ্চযন্বিত হলেও এটিকে নেত্রীর সিদ্ধান্ত বলে মাথা পেতে নেই এবং নিরবে অবস্থা পর্যবেক্ষন করতে থাকি। কিন্তু সম্প্রতি ড. সিদ্দিকুর রহমান আরেকটি কুটচাল দিয়ে আমি ছাড়া অপর ৭ জনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছেন বলে প্রচারনা চালায়। আমি এতে বিস্মিত হই এবং বিভিন্ন স্থানে খবর নিয়ে জানতে পারি যে, আমাদেরকে বস্কিারাদেশের যে বিজ্ঞপ্তির কথা বলেছিলেন এবং সে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের কথা বলছেন, সেটা আসলে ভূয়া। বিষয়টি সম্পর্কে আমার সন্দেহ হলে আমার দলীয় সহকর্মী ড. সিদ্দিকুর রহমানকে তার সত্যতা জানানোর জন্য কাগজ পত্র আছে কিনা প্রশ্ন করি। কিন্তু উনি তা দেখাতে ব্যর্থ হলে উপস্থিত নেতা কর্মীরা আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সভা পরিচালনা করার জন্য বলে। তখন ড. সিদ্দিকুর রহমানের নির্দেশে কিছু ভাড়াটিয়া লোক জন আমাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু উপস্থি নেতা কর্মীদের বাধার কারনে নিমেষেই তার প্রচেষ্টা ব্যার্থ হয় এবং সিদ্দিকুর রহমানসহ তার সাথীরা পালিয়ে যায় এবং সাধারণ সম্পাদক হিসাবে আমি অনুষ্ঠান পরিচালনা করি। পরে ড. সিদ্দিকুর রহমান পুলিশ কল করে সভা বন্ধ করে দেয়। আমি তখন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা সভার কাজ মুলতবি করি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ছাত্র জীবন থেকে বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। বিগত পনের বছর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে কাজ করে যাচ্ছি। যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী ও সিদ্দিকুর রহমানের ব্যবসায়িক বিরোধ প্রকট আকার ধারন করে। যার ফলশ্রুতিতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ দ্বিধা বিভক্ত হয়ে যায়। সঙ্গত কারনেই আমাকে একটি অংশের নেতা হিসাবে চিহ্নিত করে। সাংগঠনিকভাবে আমাকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে জানানো হয়। সংগঠনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি কিছু দিনের জন্য সাংগঠনিক কর্মকান্ড থেকে নিজেকে বিরত রাখি।  উল্লেখ্য যে, ড. সিদ্দিকুর রহমান গত মাসে একটি কার্যকরি কমিটি মিটিংয়ে আমাকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদককের কাজ করার জন্য নিশ্চিত করেন, সেই জন্যই আজকের সভায় আমি উপস্থিত হই। কিন্তু উনি সেটা না করে আমার উপস্থিতিতে দুই নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদকে দিয়ে সভা পরিচালনা করার চেষ্টা করেন। তখনই নেতা কর্মীরা সিদ্দিকুর রহমান এর এই অসাংগঠনিক কর্মকান্ডের বিরোধীতা করে এবং নেতা কর্মীর বাধার মুখে সভাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হন।