নিউইয়র্ক ১১:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

শেখ হাসিনার সরকার বাকশালের প্রেতাত্মা : এবারের সংগ্রাম, গণতন্ত্র আর দেশ রক্ষার সংগ্রাম

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২৫:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৫
  • / ৮০১ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: ৫ জানুয়ারী ঢাকায় বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেয়া, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ডা. মুজিবুর রহমান মজুমদারের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র একাংশ জাতিসংঘের সামনে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সমাবেশে বিএনপি নেতারা সরকার বিরোধী নানা শ্লোগান দেয় এবং সরকারের আচরণে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ম্যানহাটানস্থ জাতিসংঘ ভবনের সামনে ৪ জানুয়ারী রোববার দুপুরে (নিউইয়র্ক সময়) আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. ওসমান ফারুক। ডা. মজিবুর রহমান মজুমদারের সভাপতিত্বে ও পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, সাবেক সহ সভাপতি ইলিয়াস আহমেদ মাস্টার, সভাপতি মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী ও এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক বিশেষ দূত জাহিদ সর্দার সাদী প্রমুখ।
সমাবেশে ড. ওসমান ফারুক শেখ হাসিনার সরকারকে  দেশের গণতন্ত্রকে হত্যাকারী আর ফ্যাসিস্ট সরকার আখ্যায়িত করে বলেন, এই সরকার ভারত, আফ্রিকা, আমেরিকা মহাদেশ নয় সারা বিশ্বের নিকৃষ্টতম সরকার। এই সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, দেশের প্রতিটি প্রশাসন যন্ত্রকে দলীয়করণ করেছে। সরকার গণতন্ত্রকে শুধু হত্যাই করেনি, গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে সরকার প্রমাণ করেছে শেখ হাসিনার সরকার হচ্ছে বাকশালের প্রেতাত্মা।
ড. ওসমান ফারুক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের জবাব বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষমতালিপ্সু নন। তিনি ক্ষমতার রাজনীতি করলে স্বৈরাচারী এরশদের সাথে সমঝোতা করতেন, ৯/১১-এর সময় মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সাথে সমঝোতা করতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। বরং শেখ হাসিনাই এরশাদ ও মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সাথে সমঝোতা করেছিলেন। বিএনপি’র আন্দোলন হচ্ছে  গণতন্ত্র আর দেশকে রক্ষার আন্দোলন, মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে ক্ষমতালিপ্সু দল, দেশের গণতন্ত্র আর দেশবিরোধী দল। তিনি বলেন, এবারের সংগ্রাম, গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম দেশ রক্ষার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে চিরতরে বাকশাল থেকে মুক্তির সংগ্রাম। তিনি এই আন্দোলনে দেশে এবং প্রবাসের সকল বাংলাদেশীকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করার আহবান জানান।
ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমাদের দ্বিতীয় মুুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। এই যুদ্ধে জয়ী না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আমরা রাজপথে থাকবো। তিনি সকল ভেদাভেদ ভুলে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে ‘শেখ হাসিনার সরকারের পতন’ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন, আবুল কাশেম, সানাউল্যাহ বাবুল, রাফেল তালুকদার, জাহিদ দেওয়ান শরিফ, শাহজাহান শেখ, জাফর তালুকদার, রাশেদুল ইসলাম, মিনহাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন চৌধুরী, নাসির উদ্দিন, এ বি সিদ্দিকী, এ কে এম শাহীন আক্তার, মাহবুবুর রহমান, এম এ হাসান, মোহাম্মদ রফিকুর রহমান, মোহাম্মদ আবুল কাশেম, আব্দুল হাই, আব্দুল কাদের, ওমর ফারুক, মিজানুর রহমান, আব্দুর রহিম, নাজমুল হাসান মানিক  প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

শেখ হাসিনার সরকার বাকশালের প্রেতাত্মা : এবারের সংগ্রাম, গণতন্ত্র আর দেশ রক্ষার সংগ্রাম

প্রকাশের সময় : ০৩:২৫:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৫

নিউইয়র্ক: ৫ জানুয়ারী ঢাকায় বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেয়া, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ডা. মুজিবুর রহমান মজুমদারের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র একাংশ জাতিসংঘের সামনে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সমাবেশে বিএনপি নেতারা সরকার বিরোধী নানা শ্লোগান দেয় এবং সরকারের আচরণে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ম্যানহাটানস্থ জাতিসংঘ ভবনের সামনে ৪ জানুয়ারী রোববার দুপুরে (নিউইয়র্ক সময়) আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. ওসমান ফারুক। ডা. মজিবুর রহমান মজুমদারের সভাপতিত্বে ও পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, সাবেক সহ সভাপতি ইলিয়াস আহমেদ মাস্টার, সভাপতি মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী ও এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক বিশেষ দূত জাহিদ সর্দার সাদী প্রমুখ।
সমাবেশে ড. ওসমান ফারুক শেখ হাসিনার সরকারকে  দেশের গণতন্ত্রকে হত্যাকারী আর ফ্যাসিস্ট সরকার আখ্যায়িত করে বলেন, এই সরকার ভারত, আফ্রিকা, আমেরিকা মহাদেশ নয় সারা বিশ্বের নিকৃষ্টতম সরকার। এই সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, দেশের প্রতিটি প্রশাসন যন্ত্রকে দলীয়করণ করেছে। সরকার গণতন্ত্রকে শুধু হত্যাই করেনি, গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে সরকার প্রমাণ করেছে শেখ হাসিনার সরকার হচ্ছে বাকশালের প্রেতাত্মা।
ড. ওসমান ফারুক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের জবাব বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষমতালিপ্সু নন। তিনি ক্ষমতার রাজনীতি করলে স্বৈরাচারী এরশদের সাথে সমঝোতা করতেন, ৯/১১-এর সময় মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সাথে সমঝোতা করতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। বরং শেখ হাসিনাই এরশাদ ও মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সাথে সমঝোতা করেছিলেন। বিএনপি’র আন্দোলন হচ্ছে  গণতন্ত্র আর দেশকে রক্ষার আন্দোলন, মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে ক্ষমতালিপ্সু দল, দেশের গণতন্ত্র আর দেশবিরোধী দল। তিনি বলেন, এবারের সংগ্রাম, গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম দেশ রক্ষার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে চিরতরে বাকশাল থেকে মুক্তির সংগ্রাম। তিনি এই আন্দোলনে দেশে এবং প্রবাসের সকল বাংলাদেশীকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করার আহবান জানান।
ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমাদের দ্বিতীয় মুুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। এই যুদ্ধে জয়ী না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আমরা রাজপথে থাকবো। তিনি সকল ভেদাভেদ ভুলে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে ‘শেখ হাসিনার সরকারের পতন’ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন, আবুল কাশেম, সানাউল্যাহ বাবুল, রাফেল তালুকদার, জাহিদ দেওয়ান শরিফ, শাহজাহান শেখ, জাফর তালুকদার, রাশেদুল ইসলাম, মিনহাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন চৌধুরী, নাসির উদ্দিন, এ বি সিদ্দিকী, এ কে এম শাহীন আক্তার, মাহবুবুর রহমান, এম এ হাসান, মোহাম্মদ রফিকুর রহমান, মোহাম্মদ আবুল কাশেম, আব্দুল হাই, আব্দুল কাদের, ওমর ফারুক, মিজানুর রহমান, আব্দুর রহিম, নাজমুল হাসান মানিক  প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।