নিউইয়র্ক ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

শাহজালাল মসজিদ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে : অস্থায়ী কমিটির বিবৃতি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:২৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৫
  • / ৮৩২ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: এস্টোরিয়াস্থ শাহজালাল জামে মসজিদ নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করে বিবিৃতি দিয়েছেন মসজিদটির অস্থায়ী কমিটি। সম্প্রতি প্রদত্ত এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, একটি ক্ষমতালোভী মহল বিভিন্ন পত্রিকায় নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেয়ায় পর এ ধরনের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শাহজালাল মসিজিদ এস্টোরিয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। মসজিদ প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানাভাবে সুনাম ছড়ালেও একটি স্বার্থনেষী মহলের কারণে পরিচালনা কমিটিকে আদালতের স্মরণাপন্ন হতে হয়েছে বেশ ক’বার।
বিবৃতিতে বলা হয়: এক বছর আগে কমিটির প্রেসিডেন্ট এবং ডোনার সাব্বির আহমদ কমিটির সেক্রেটারি আবদুল খালেক কর্তৃক মসজিদের হিসাব দিতে না পারায় কমিটি বিলুপ্ত করেন। মসজিদের মুসল্লির ভিতরে ক্ষোভের সঞ্চার হওয়ায় তিনি এ পদক্ষেপ নেন। পরে মসজিদের সাধারণ মুসল্লি ও মুরব্বিদের নিয়ে মসজিদের অচলাবস্থা সচল করার লক্ষ্যে একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়। সৈয়দ গজনফর আলী চৌধুরীকে প্রধান করে গঠন করা কমিটিতে আরো ৪জনকে সদস্য করা হয়। পাশাপাশি কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয় তিন মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দেয়ার।
কমিটির পক্ষে উদ্দীন মোহাম্মদ নিয়াজ বিবৃতিতে বলেন, চলতি বছরের শুরুতে সৈয়দ গজনফর আলী একটি কমিটি উপরহার দেন। এ কমিটির প্রেসিডেন্ট হলেন আবদুল মান্নান খান ওরফে বুলু মিয়া ও সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম। কিন্তু মসজিদের আগের কমিটির সেক্রেটারি আবদুল খালেক ও ফাকি মিয়া গং এ কমিটি মেনে না নেয়ায় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালত থেকে ৪ মাস পরে বুলু মিয়া এবং নুরুল ইসলামের কমিটিকে বৈধ করে মামলা নিষ্পত্তি করে যাতে আপিলেরও সুযোগ নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালত থেকে বিষয়টি নিস্পত্তির হওয়ার পরে সৈয়দ গজনফর আলী নিজের বাসায় বসে কারো সঙ্গে আলাপ না করে মসজিদ পরিচালনার জন্য একটি গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করেন। যা নিয়ে সাধারণ মুসল্লিদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং বিষয়টি তারা ভালোভাবে নেননি। এতে সৈয়দ গজনফর আলী উল্টো বাসায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি বোর্ড অব ট্রাস্টি গঠন করেন। নিজ প্রণিত গঠনতন্ত্র মোতাবেক তিনি ওই কমিটির কাছে দায়িত্ব ভার দেন। মজার ব্যাপার হলো গজনফর আলী নিজে যে কমিটি গঠন করেছিলেন সে কমিটিকে তিনি বাতিল বলে ঘোষণা দেন। ফলে সাধারণ মুসল্লিরা তা মেনে নেয়নি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মসজিদের মুসল্লিদের পরামর্শ ছাড়া বহিরাগতদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে এবং তারা মসজিদের ব্যাংক একাউন্ড নিজেদের নামে নেয়ার চেষ্টা করে বিফল হন। সার্বিক পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর সৈয়দ গজনফর আলী গং মসজিদ নিয়ে ষড়যন্ত্র দ্বিগুন মাত্রা বাড়ায়। এমনকি সম্প্রতি বহিরগতার মসজিদে এসে বিশৃঙ্কলা সৃষ্টির পায়তারা করে। কিন্তু প্রশাসন ও সাধারণ মুসল্লিদের কারণে তা ভেস্তে যায় এবং মসজিদ থেকে তারা পালাতে বাধ্য হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে স্থানীয়দের সহযোগিতা এবং কল্যাণে। মসজিদের কমিটিতে কারা থাকবেন, মসজিদ কিভাবে পরিচালিত তা তারাই নির্ধারণ করবেন। স্বার্থন্বেষী, ক্ষমতালোভী লোক এসে মসজিদে কোন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।
নেতৃবন্দ বলেন, বর্তমান কমিটির সভাপতি সৈয়দ গজনফর আলীকে স্থানীয় অনেকে সম্মান করে মসজিদ পরিচালনার জন্য এনেছিলেন, কিন্তু তার এ ধরনের কর্মকান্ডে তারা চরমভাবে হতাশা। এখন একটাই কথা গজনফর আলীকে যেন আল্লাহ হেদায়তের রাস্তায় নিয়ে আসেন এবং শাহাজালাল মসজিদকে রক্ষার করার তওফীক দান করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

শাহজালাল মসজিদ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে : অস্থায়ী কমিটির বিবৃতি

প্রকাশের সময় : ০৬:২৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৫

নিউইয়র্ক: এস্টোরিয়াস্থ শাহজালাল জামে মসজিদ নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করে বিবিৃতি দিয়েছেন মসজিদটির অস্থায়ী কমিটি। সম্প্রতি প্রদত্ত এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, একটি ক্ষমতালোভী মহল বিভিন্ন পত্রিকায় নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেয়ায় পর এ ধরনের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শাহজালাল মসিজিদ এস্টোরিয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। মসজিদ প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানাভাবে সুনাম ছড়ালেও একটি স্বার্থনেষী মহলের কারণে পরিচালনা কমিটিকে আদালতের স্মরণাপন্ন হতে হয়েছে বেশ ক’বার।
বিবৃতিতে বলা হয়: এক বছর আগে কমিটির প্রেসিডেন্ট এবং ডোনার সাব্বির আহমদ কমিটির সেক্রেটারি আবদুল খালেক কর্তৃক মসজিদের হিসাব দিতে না পারায় কমিটি বিলুপ্ত করেন। মসজিদের মুসল্লির ভিতরে ক্ষোভের সঞ্চার হওয়ায় তিনি এ পদক্ষেপ নেন। পরে মসজিদের সাধারণ মুসল্লি ও মুরব্বিদের নিয়ে মসজিদের অচলাবস্থা সচল করার লক্ষ্যে একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়। সৈয়দ গজনফর আলী চৌধুরীকে প্রধান করে গঠন করা কমিটিতে আরো ৪জনকে সদস্য করা হয়। পাশাপাশি কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয় তিন মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দেয়ার।
কমিটির পক্ষে উদ্দীন মোহাম্মদ নিয়াজ বিবৃতিতে বলেন, চলতি বছরের শুরুতে সৈয়দ গজনফর আলী একটি কমিটি উপরহার দেন। এ কমিটির প্রেসিডেন্ট হলেন আবদুল মান্নান খান ওরফে বুলু মিয়া ও সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম। কিন্তু মসজিদের আগের কমিটির সেক্রেটারি আবদুল খালেক ও ফাকি মিয়া গং এ কমিটি মেনে না নেয়ায় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালত থেকে ৪ মাস পরে বুলু মিয়া এবং নুরুল ইসলামের কমিটিকে বৈধ করে মামলা নিষ্পত্তি করে যাতে আপিলেরও সুযোগ নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালত থেকে বিষয়টি নিস্পত্তির হওয়ার পরে সৈয়দ গজনফর আলী নিজের বাসায় বসে কারো সঙ্গে আলাপ না করে মসজিদ পরিচালনার জন্য একটি গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করেন। যা নিয়ে সাধারণ মুসল্লিদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং বিষয়টি তারা ভালোভাবে নেননি। এতে সৈয়দ গজনফর আলী উল্টো বাসায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি বোর্ড অব ট্রাস্টি গঠন করেন। নিজ প্রণিত গঠনতন্ত্র মোতাবেক তিনি ওই কমিটির কাছে দায়িত্ব ভার দেন। মজার ব্যাপার হলো গজনফর আলী নিজে যে কমিটি গঠন করেছিলেন সে কমিটিকে তিনি বাতিল বলে ঘোষণা দেন। ফলে সাধারণ মুসল্লিরা তা মেনে নেয়নি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মসজিদের মুসল্লিদের পরামর্শ ছাড়া বহিরাগতদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে এবং তারা মসজিদের ব্যাংক একাউন্ড নিজেদের নামে নেয়ার চেষ্টা করে বিফল হন। সার্বিক পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর সৈয়দ গজনফর আলী গং মসজিদ নিয়ে ষড়যন্ত্র দ্বিগুন মাত্রা বাড়ায়। এমনকি সম্প্রতি বহিরগতার মসজিদে এসে বিশৃঙ্কলা সৃষ্টির পায়তারা করে। কিন্তু প্রশাসন ও সাধারণ মুসল্লিদের কারণে তা ভেস্তে যায় এবং মসজিদ থেকে তারা পালাতে বাধ্য হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে স্থানীয়দের সহযোগিতা এবং কল্যাণে। মসজিদের কমিটিতে কারা থাকবেন, মসজিদ কিভাবে পরিচালিত তা তারাই নির্ধারণ করবেন। স্বার্থন্বেষী, ক্ষমতালোভী লোক এসে মসজিদে কোন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।
নেতৃবন্দ বলেন, বর্তমান কমিটির সভাপতি সৈয়দ গজনফর আলীকে স্থানীয় অনেকে সম্মান করে মসজিদ পরিচালনার জন্য এনেছিলেন, কিন্তু তার এ ধরনের কর্মকান্ডে তারা চরমভাবে হতাশা। এখন একটাই কথা গজনফর আলীকে যেন আল্লাহ হেদায়তের রাস্তায় নিয়ে আসেন এবং শাহাজালাল মসজিদকে রক্ষার করার তওফীক দান করেন।