নিউইয়র্ক ১০:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুদ্ধংদেহী অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির দুই পক্ষ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪০:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫
  • / ৫৪৭ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও স্টেট কমিটির সমর্থকরা এখন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এনিয়ে গত রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জ্যাকসন হাইটসের গরমটে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সভা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। উল্লেখ্য যে, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা শরাফত হোসেন বাবু ও জসীম উদ্দীন ভুইয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ৩৪ সংগঠনের ব্যনারে এই সভা আহ্বান করা হয়েছিল।
সভা চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ স¤্রাট, গিয়াস আহমদ, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, আলহাজ্ব সুলাইমান ভ্ইুয়া, জিল্লুর রহমান জিল্লু, কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম ও তাদের সমর্থকরা সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়। এ সময় তারা সংস্কারবাদী ও তাদের অনুসারীদের বিরুদ্ধে শ্লোগান শুরু করলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এ সময় শরাফত হোসেন বাবু ও জসীম ভুইয়াকে সভা বন্ধ করার আহ্বান জানান আব্দুল লতিফ স¤্রাট। প্রথমে তারা সভা বন্ধে অনীহা প্রকাশ করলে সেখানে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় রেস্টুরেন্টের মালিক এসে সভা বন্ধ করে সবাইকে রেস্টুরেন্ট ত্যাগের নির্দেশ দেন।
নিউইয়র্ক স্টেট কমিটি ও ১৯ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালনের প্রস্তুতি বিষয়ে এই সভা আহ্বান করা হয় বলে জানিয়েছেন জসীম উদ্দীন ভুইয়া। এর পরই সভাস্থলের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ স¤্রাট অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি ঘোষণার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতি আহ্বান জানান। একই সাথে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ১৯ ডিসেম্বর বিএনপির নামে কেউ সভা আহ্বান করলে সেটা প্রতিহত করা হবে। প্রয়োজনে বিএনপির সব নেতা কর্মীরা সেদিন গ্রেফতার হবে। তারপরও কোন সভা অনুষ্ঠান করতে দেয়া হবে না।
আব্দুল লতিফ স¤্রাট বলেন, ১৯ ডিসেম্বর খাবার বাড়ীতে যে সভা হবে একমাত্র সেটাই বৈধ সভা হিসেবে গন্য হবে। অন্য কোথাও একই দিনে সভা আহ্বান করলে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা-কর্মীরা সেটা প্রতিহত করবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি ছাড়া দল এখানে চলবে না। গাছ যেমন গোড়া ছাড়া দাঁড়াতে পারে না ঠিক তেমনি মুল দলের কমিটি ছাড়া স্টেট কমিটিও কাজ করতে পারবে না তিনি মন্তব্য করেন।
আব্দুল লতিফ স¤্রাট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও কর্মীরা নিউ ইয়র্ক থেকে দলের সুদিন ও দুর্দিনে অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকা পালন করছে। এই অবস্থায় পরীক্ষিত নেতা কর্মীদের বাদ দিয়ে যারা স্টেট কমিটি গঠনের যুক্তি দেখাচ্ছেন তারা আসলে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বাস্তবতা অনুধাবনে ব্যর্থ হিসেবে প্রমাণ দিচ্ছেন। এজন্য তিনি আগে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি গঠনের দাবী জানান।
সভায় জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি ছাড়া সমস্যার সমাধান হবে না। কোন স্বার্থ ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির হাজারো নেতা কর্মী দীর্ঘদিন থেকে দলের পক্ষে কাজ করছেন। তারা এই সিদ্ধান্ত কোনভাবেই মানবে না।
এ সময় সেখানে দলের অন্যতম সিনিয়র নেতা অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, আলহাজ্ব সুলাইমান ভুইয়া, গিয়াস আহমেদ, কাজী আজম, আবু সাইদ আহমেদ সহ দলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু বলেন, যারা আমাদের সভা বানচালের চেষ্টা করেছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও পুলিশ রিপোর্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার আমরা সভা অনুষ্ঠান করবোই। সেখানে কেউ কোন ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করতে চাইলে তাদের দাতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।
শরাফত হোসেব বাবু বলেন, আমরা যা করছি তা ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন অবহিত রয়েছেন। তাদের সাথে আলাপ করেই কর্মসূচী আমরা কর্মসূচী নিয়েছি।
এদিকে রোববার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির এক জরুরী কর্মী সভায় লিখিত বক্তব্যে আব্দুল লতিফ স¤্রাট বলেন, যখন বিএনপি যখন ইতিহাসের এক কঠি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে তখন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য কমিটির নামে চাঁদাবাজি, কমিটি বানিজ্যের খবর দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে। এতে ক্ষুন্ন হচ্ছে দলের ভাবমুর্তি। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করেই ডাকা হয়েছে এই কর্মী সম্মেলন। তিনি বলেন, ১/১১ সহ বর্তমান হাসিনা সরকার বিরুধী সকল আন্দোলনে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির রয়েছে সংগ্রামী আপোষহীন ভূমিকা। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা ব্যক্তিরা এরশাদের আত্মীয়ের সাথে আতাত করেছিল। এরাই ১/১১ এর সময় দলের চেয়ারপার্সন আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্তরীন রেখে সংস্কাবাদী হিসেবে মাইন টু ফর্মূলার কারিগর হয়েছিল। যার ফলে সাধারণ কর্মীদের হাতে নিগৃহিত হয়েছে তারা। আজ যখন যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান সরকার বিরোধী আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ তখন সেই সংস্কারবাদীরা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য কমিটি গঠনের নামে দলের নেতা-কর্মীদের বিভক্তির খেলায় মেতে উঠেছে।
আব্দুল লতিফ স¤্রাট বলেন, এমনিতেই স্বৈরাচার বিরুধী বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠানে লোকজন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এর উপরে অঙ্গরাজ্য কমিটি গঠন করা হলে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি দুর্বল হয়ে পড়বে।
এই অবস্থায় আমরা দ্ব্যার্থহীনভাবে বলতে চাই যে, দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও হাইকমান্ডের প্রতি রয়েছে আমাদের অবিচল আস্থা-বিশ্বাস ও প্রশ্নাতীত আনুগত্য। তবে সম্প্রতি ব্যক্তি বিশেষ কর্তৃক বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য কমিটি গঠনের বিতর্কিত দাবীর দলের নেতা কর্মীদের ন্যায় আমরাও সন্দিহান। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি ঘোষনাই সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিভিন্ন স্টেটে স্টেট কমিটি গঠন করলে আন্দোলন ও দলকে আরো বেগবান করা সম্ভব হবে।
এবিষয়ে জসীম উদ্দীন ভুইয়া বলেন, হাই কমান্ডের সিদ্ধান্ত আমাদের মানতে হবেই। তবে আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্র কমিটি গঠন না করলে স্টেট কমিটির নামে আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করা দুরুহ হবে। আমাদের জন্য এটা হবে অত্যন্ত বিব্রতকর। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

যুদ্ধংদেহী অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির দুই পক্ষ

প্রকাশের সময় : ০৯:৪০:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও স্টেট কমিটির সমর্থকরা এখন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এনিয়ে গত রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জ্যাকসন হাইটসের গরমটে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সভা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। উল্লেখ্য যে, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা শরাফত হোসেন বাবু ও জসীম উদ্দীন ভুইয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ৩৪ সংগঠনের ব্যনারে এই সভা আহ্বান করা হয়েছিল।
সভা চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ স¤্রাট, গিয়াস আহমদ, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, আলহাজ্ব সুলাইমান ভ্ইুয়া, জিল্লুর রহমান জিল্লু, কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম ও তাদের সমর্থকরা সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়। এ সময় তারা সংস্কারবাদী ও তাদের অনুসারীদের বিরুদ্ধে শ্লোগান শুরু করলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এ সময় শরাফত হোসেন বাবু ও জসীম ভুইয়াকে সভা বন্ধ করার আহ্বান জানান আব্দুল লতিফ স¤্রাট। প্রথমে তারা সভা বন্ধে অনীহা প্রকাশ করলে সেখানে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় রেস্টুরেন্টের মালিক এসে সভা বন্ধ করে সবাইকে রেস্টুরেন্ট ত্যাগের নির্দেশ দেন।
নিউইয়র্ক স্টেট কমিটি ও ১৯ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালনের প্রস্তুতি বিষয়ে এই সভা আহ্বান করা হয় বলে জানিয়েছেন জসীম উদ্দীন ভুইয়া। এর পরই সভাস্থলের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ স¤্রাট অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি ঘোষণার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতি আহ্বান জানান। একই সাথে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ১৯ ডিসেম্বর বিএনপির নামে কেউ সভা আহ্বান করলে সেটা প্রতিহত করা হবে। প্রয়োজনে বিএনপির সব নেতা কর্মীরা সেদিন গ্রেফতার হবে। তারপরও কোন সভা অনুষ্ঠান করতে দেয়া হবে না।
আব্দুল লতিফ স¤্রাট বলেন, ১৯ ডিসেম্বর খাবার বাড়ীতে যে সভা হবে একমাত্র সেটাই বৈধ সভা হিসেবে গন্য হবে। অন্য কোথাও একই দিনে সভা আহ্বান করলে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা-কর্মীরা সেটা প্রতিহত করবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি ছাড়া দল এখানে চলবে না। গাছ যেমন গোড়া ছাড়া দাঁড়াতে পারে না ঠিক তেমনি মুল দলের কমিটি ছাড়া স্টেট কমিটিও কাজ করতে পারবে না তিনি মন্তব্য করেন।
আব্দুল লতিফ স¤্রাট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও কর্মীরা নিউ ইয়র্ক থেকে দলের সুদিন ও দুর্দিনে অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকা পালন করছে। এই অবস্থায় পরীক্ষিত নেতা কর্মীদের বাদ দিয়ে যারা স্টেট কমিটি গঠনের যুক্তি দেখাচ্ছেন তারা আসলে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বাস্তবতা অনুধাবনে ব্যর্থ হিসেবে প্রমাণ দিচ্ছেন। এজন্য তিনি আগে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি গঠনের দাবী জানান।
সভায় জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি ছাড়া সমস্যার সমাধান হবে না। কোন স্বার্থ ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির হাজারো নেতা কর্মী দীর্ঘদিন থেকে দলের পক্ষে কাজ করছেন। তারা এই সিদ্ধান্ত কোনভাবেই মানবে না।
এ সময় সেখানে দলের অন্যতম সিনিয়র নেতা অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, আলহাজ্ব সুলাইমান ভুইয়া, গিয়াস আহমেদ, কাজী আজম, আবু সাইদ আহমেদ সহ দলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু বলেন, যারা আমাদের সভা বানচালের চেষ্টা করেছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও পুলিশ রিপোর্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার আমরা সভা অনুষ্ঠান করবোই। সেখানে কেউ কোন ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করতে চাইলে তাদের দাতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।
শরাফত হোসেব বাবু বলেন, আমরা যা করছি তা ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন অবহিত রয়েছেন। তাদের সাথে আলাপ করেই কর্মসূচী আমরা কর্মসূচী নিয়েছি।
এদিকে রোববার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির এক জরুরী কর্মী সভায় লিখিত বক্তব্যে আব্দুল লতিফ স¤্রাট বলেন, যখন বিএনপি যখন ইতিহাসের এক কঠি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে তখন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য কমিটির নামে চাঁদাবাজি, কমিটি বানিজ্যের খবর দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে। এতে ক্ষুন্ন হচ্ছে দলের ভাবমুর্তি। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করেই ডাকা হয়েছে এই কর্মী সম্মেলন। তিনি বলেন, ১/১১ সহ বর্তমান হাসিনা সরকার বিরুধী সকল আন্দোলনে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির রয়েছে সংগ্রামী আপোষহীন ভূমিকা। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা ব্যক্তিরা এরশাদের আত্মীয়ের সাথে আতাত করেছিল। এরাই ১/১১ এর সময় দলের চেয়ারপার্সন আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্তরীন রেখে সংস্কাবাদী হিসেবে মাইন টু ফর্মূলার কারিগর হয়েছিল। যার ফলে সাধারণ কর্মীদের হাতে নিগৃহিত হয়েছে তারা। আজ যখন যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান সরকার বিরোধী আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ তখন সেই সংস্কারবাদীরা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য কমিটি গঠনের নামে দলের নেতা-কর্মীদের বিভক্তির খেলায় মেতে উঠেছে।
আব্দুল লতিফ স¤্রাট বলেন, এমনিতেই স্বৈরাচার বিরুধী বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠানে লোকজন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এর উপরে অঙ্গরাজ্য কমিটি গঠন করা হলে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি দুর্বল হয়ে পড়বে।
এই অবস্থায় আমরা দ্ব্যার্থহীনভাবে বলতে চাই যে, দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও হাইকমান্ডের প্রতি রয়েছে আমাদের অবিচল আস্থা-বিশ্বাস ও প্রশ্নাতীত আনুগত্য। তবে সম্প্রতি ব্যক্তি বিশেষ কর্তৃক বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য কমিটি গঠনের বিতর্কিত দাবীর দলের নেতা কর্মীদের ন্যায় আমরাও সন্দিহান। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি ঘোষনাই সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিভিন্ন স্টেটে স্টেট কমিটি গঠন করলে আন্দোলন ও দলকে আরো বেগবান করা সম্ভব হবে।
এবিষয়ে জসীম উদ্দীন ভুইয়া বলেন, হাই কমান্ডের সিদ্ধান্ত আমাদের মানতে হবেই। তবে আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্র কমিটি গঠন না করলে স্টেট কমিটির নামে আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করা দুরুহ হবে। আমাদের জন্য এটা হবে অত্যন্ত বিব্রতকর। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)