নিউইয়র্ক ১১:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩০ বাংলাদেশীকে বহিস্কার : অভিবাসীদের মাঝে আতঙ্ক

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৬
  • / ৫৬৭ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ বাংলাদেশীদের বহিস্কারে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। গত ৫ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে ওয়াশিংটন থেকে একটি বিমানে করে প্রথম দফায় ৩০ বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠানোর খবরে এ আতংক ছড়িয়ে পড়ে। বহিস্কৃত বাংলাদেশীরা দেশে যাবার প্রাক্কালে অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বারবার সহায়তা চেয়েও তারা কোনো সহায়তা পাননি। দালালদের জনপ্রতি ৩৫ লাখ টাকা করে দিয়ে অবৈধপথে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশ করেন তারা। এ সময় তারা দুঃসহ কষ্টের কথাও তুলে ধরেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জীবিকার খোঁজে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়েও শেষ পর্যন্ত স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় এসেছিলেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদেরকে ফিরেই যেতে হল। এদের অনেকেই এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত সাজা খেটেছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিস্কৃত অভিবাসীরা বলেন, আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬-১৭ ঘণ্টা লকডাউন (আটকে) রাখা হয়। খাবারের অবস্থা খুব খারাপ। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাবার জন্য যখন ওরা বদলি করেন, তখন তাদেরকে চেইন (শিকল) দিয়ে দুই হাত,কোমর ও দুই পায়ের বেধে রাখা হয়। তারা বলেন এসব জিনিস জীবনে আগে কখনো দেখেননি। এদের অনেকেই কলম্বিয়া-মেক্সিকো হয়ে অবৈধপথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার পর তাদের আটক করে সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এভাবে বাংলাদেশী ১৫৯ জনকে জেলে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা শেষে ৩০ জনকে ফেরত পাঠানো হয় মঙ্গলবার রাতে। বাকি ১২৯ অনুপ্রবেশকারী যুক্তরাষ্ট্রের জেলে আছেন বলেও জানান ভুক্তভোগীরা।
এ প্রসঙ্গে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার শামীম আহমেদ কালের কন্ঠকে বলেন, বহিস্কৃত বাংলাদেশিদের ব্যাপারে দূতাবাসে কোন তথ্য নেই। সাম্প্রতি একটি মার্কিন প্রতিনিধি দল ঢাকায় গিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রানালয়কে এ বিষয়ে অবহিত করেছিলেন। তিনি জানান, ৩০ জন বাংলাদেশীকে বহিস্কার করা হয়েছে তারা ইতোমধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
এর আগে ৩১ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের সফররত স্টেট ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালেন বার্সিনের নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে দেখা করেন। সচিবালয়ে এক বৈঠকে প্রতিনিধি দলটি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ হয়ে যাওয়া ৩০ বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়ে এ ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করেন। প্রতিনিধি দলটি মন্ত্রীকে জানান, আইনগত সব সহযোগিতা দেয়ার পরও তারা বৈধ অভিবাসী হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আদালত তাদের অবৈধ ঘোষণা করেছে। তাই এসব বাংলাদেশীকে ফেরত নিতে প্রস্তাব দেয়া হয় ওই বৈঠকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওই ৩০ জন প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশী কিনা তা নিশ্চিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছিলেন। ওই বৈঠকের মাত্র ৫ দিনের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ হয়ে যাওয়া ৩০ বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠানো হল। এদিকে, বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগের কর্মকর্তা ভানিসা গোমেজ সাংবাদিকদের জানান, যে ৩০ জনকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে তাদের মধ্যে নোয়াখালীর ১৩ জন, সিলেটের ৮ জন, মুন্সীগঞ্জের ২ জন, মাদারীপুর, ঢাকার তোপখানা রোড, শ্যামপুর, কেরানীগঞ্জ, কুমিল্লা এবং বরিশালের একজন করে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের (ওকাপ) চেয়ারম্যান শাকিরুল ইসলাম জানান, ঢাকার আমেরিকান কন্স্যুল অফিস থেকে তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। রাতে বিমানবন্দরে তাদের সংগঠনের একজন কর্মী উপস্থিত ছিলেন। ক্যারাম এশিয়ার আঞ্চলিক সমন্বয়ক ও ভালোবাসি বাংলাদেশের মোহাম্মদ হারুন আল রশিব জানান, ৩০ জন বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠানোর একটি তালিকা তাদের দেয়া য়েছে। তারা বিমানবন্দরে অভিবাসী ত্রিশজনকে খাবার ও গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে।
এদিকে আটকদের দেশে ফেরত না পাঠানোর দাবিতে গত ২৯ মার্চ নিউইয়র্কে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করেন প্রবাসীরা বাংলাদেশীরা। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রাটিক দলীয় প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনের নির্বাচনী অফিসের সামনে এ মানববন্ধনে আটক বাংলাদেশীদের বহিস্কারাদেশ বন্ধের জন্য হিলারির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তেমন কোনও কাজ হয়নি।
মার্কিন ইমিগ্রেশনের এসাইলাম অফিসাররা তাদের আবেদনের বর্ণনায় মিথ্যা তথ্য খুঁজে পাওয়ায় সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের কাছে জানতে চায় সামগ্রিক পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মার্কিন প্রশাসনকে জানিয়েও দেয়া হয়েছে যে, এসাইলামের প্রয়োজনে তারা মিথ্যা কথা বলেছেন। তাদের অধিকাংশই বিএনপির কর্মী-সমর্থক নন বলেও স্টেট ডিপার্টমেন্টে তথ্য রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই দালালকে মোটা অর্থ দিয়ে সকলেই বিভিন্ন দেশ হয়ে মেক্সিকো সীমান্ত পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় তারা গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত তিন বছরে প্রায় দু’হাজার বাংলাদেশী গ্রেপ্তার হন। এর অর্ধেকেরই জামিন হয়েছে অর্থাৎ তাদের এসাইলামের আবেদন পেন্ডিং রয়েছে। ৬ শতাধিককে বিভিন্ন শর্তে জামিন প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে ১২৯ জনকে বহিস্কারের প্রক্রিয়া চলছে।(দৈনিক কালের কন্ঠ)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩০ বাংলাদেশীকে বহিস্কার : অভিবাসীদের মাঝে আতঙ্ক

প্রকাশের সময় : ০৯:৪২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৬

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ বাংলাদেশীদের বহিস্কারে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। গত ৫ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে ওয়াশিংটন থেকে একটি বিমানে করে প্রথম দফায় ৩০ বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠানোর খবরে এ আতংক ছড়িয়ে পড়ে। বহিস্কৃত বাংলাদেশীরা দেশে যাবার প্রাক্কালে অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বারবার সহায়তা চেয়েও তারা কোনো সহায়তা পাননি। দালালদের জনপ্রতি ৩৫ লাখ টাকা করে দিয়ে অবৈধপথে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশ করেন তারা। এ সময় তারা দুঃসহ কষ্টের কথাও তুলে ধরেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জীবিকার খোঁজে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়েও শেষ পর্যন্ত স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় এসেছিলেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদেরকে ফিরেই যেতে হল। এদের অনেকেই এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত সাজা খেটেছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিস্কৃত অভিবাসীরা বলেন, আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬-১৭ ঘণ্টা লকডাউন (আটকে) রাখা হয়। খাবারের অবস্থা খুব খারাপ। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাবার জন্য যখন ওরা বদলি করেন, তখন তাদেরকে চেইন (শিকল) দিয়ে দুই হাত,কোমর ও দুই পায়ের বেধে রাখা হয়। তারা বলেন এসব জিনিস জীবনে আগে কখনো দেখেননি। এদের অনেকেই কলম্বিয়া-মেক্সিকো হয়ে অবৈধপথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার পর তাদের আটক করে সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এভাবে বাংলাদেশী ১৫৯ জনকে জেলে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা শেষে ৩০ জনকে ফেরত পাঠানো হয় মঙ্গলবার রাতে। বাকি ১২৯ অনুপ্রবেশকারী যুক্তরাষ্ট্রের জেলে আছেন বলেও জানান ভুক্তভোগীরা।
এ প্রসঙ্গে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার শামীম আহমেদ কালের কন্ঠকে বলেন, বহিস্কৃত বাংলাদেশিদের ব্যাপারে দূতাবাসে কোন তথ্য নেই। সাম্প্রতি একটি মার্কিন প্রতিনিধি দল ঢাকায় গিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রানালয়কে এ বিষয়ে অবহিত করেছিলেন। তিনি জানান, ৩০ জন বাংলাদেশীকে বহিস্কার করা হয়েছে তারা ইতোমধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
এর আগে ৩১ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের সফররত স্টেট ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালেন বার্সিনের নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে দেখা করেন। সচিবালয়ে এক বৈঠকে প্রতিনিধি দলটি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ হয়ে যাওয়া ৩০ বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়ে এ ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করেন। প্রতিনিধি দলটি মন্ত্রীকে জানান, আইনগত সব সহযোগিতা দেয়ার পরও তারা বৈধ অভিবাসী হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আদালত তাদের অবৈধ ঘোষণা করেছে। তাই এসব বাংলাদেশীকে ফেরত নিতে প্রস্তাব দেয়া হয় ওই বৈঠকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওই ৩০ জন প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশী কিনা তা নিশ্চিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছিলেন। ওই বৈঠকের মাত্র ৫ দিনের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ হয়ে যাওয়া ৩০ বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠানো হল। এদিকে, বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগের কর্মকর্তা ভানিসা গোমেজ সাংবাদিকদের জানান, যে ৩০ জনকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে তাদের মধ্যে নোয়াখালীর ১৩ জন, সিলেটের ৮ জন, মুন্সীগঞ্জের ২ জন, মাদারীপুর, ঢাকার তোপখানা রোড, শ্যামপুর, কেরানীগঞ্জ, কুমিল্লা এবং বরিশালের একজন করে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের (ওকাপ) চেয়ারম্যান শাকিরুল ইসলাম জানান, ঢাকার আমেরিকান কন্স্যুল অফিস থেকে তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। রাতে বিমানবন্দরে তাদের সংগঠনের একজন কর্মী উপস্থিত ছিলেন। ক্যারাম এশিয়ার আঞ্চলিক সমন্বয়ক ও ভালোবাসি বাংলাদেশের মোহাম্মদ হারুন আল রশিব জানান, ৩০ জন বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠানোর একটি তালিকা তাদের দেয়া য়েছে। তারা বিমানবন্দরে অভিবাসী ত্রিশজনকে খাবার ও গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে।
এদিকে আটকদের দেশে ফেরত না পাঠানোর দাবিতে গত ২৯ মার্চ নিউইয়র্কে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করেন প্রবাসীরা বাংলাদেশীরা। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রাটিক দলীয় প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনের নির্বাচনী অফিসের সামনে এ মানববন্ধনে আটক বাংলাদেশীদের বহিস্কারাদেশ বন্ধের জন্য হিলারির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তেমন কোনও কাজ হয়নি।
মার্কিন ইমিগ্রেশনের এসাইলাম অফিসাররা তাদের আবেদনের বর্ণনায় মিথ্যা তথ্য খুঁজে পাওয়ায় সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের কাছে জানতে চায় সামগ্রিক পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মার্কিন প্রশাসনকে জানিয়েও দেয়া হয়েছে যে, এসাইলামের প্রয়োজনে তারা মিথ্যা কথা বলেছেন। তাদের অধিকাংশই বিএনপির কর্মী-সমর্থক নন বলেও স্টেট ডিপার্টমেন্টে তথ্য রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই দালালকে মোটা অর্থ দিয়ে সকলেই বিভিন্ন দেশ হয়ে মেক্সিকো সীমান্ত পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় তারা গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত তিন বছরে প্রায় দু’হাজার বাংলাদেশী গ্রেপ্তার হন। এর অর্ধেকেরই জামিন হয়েছে অর্থাৎ তাদের এসাইলামের আবেদন পেন্ডিং রয়েছে। ৬ শতাধিককে বিভিন্ন শর্তে জামিন প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে ১২৯ জনকে বহিস্কারের প্রক্রিয়া চলছে।(দৈনিক কালের কন্ঠ)