নিউইয়র্ক ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন ও কমিউনিটি ভাবনা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৪
  • / ৭৭৭ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে। এবারের নির্বাচনে ভরাডুবি ঘটেছে ডেমোক্রেট শিবিরে। অন্যদিকে, মার্কিন আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেটে রিপাবলিকানদের অবস্থান শক্তিশালি হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন অভিবাসিরা। দ্বিতীয় মেয়াদের প্রেসিডেন্ট ওবামা ক্ষমতায় এসে আনডক্যুমেন্টডদের যে আশার বানী শুনিয়েছেন মধ্যবর্তী নির্বাচনে তা বাস্তবায়নে আরো কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়বেন ওবামা এমনটি মনে করছেন বাংলাদেশী অভিবাসিরা। তাই বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের মধ্যে নেমে আসে হতাশা। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশী প্রবাসীরা।
৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের প্রধান হাতিয়ার ছিল আমেরিকার অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা, কর্মসংস্থান, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং ইমিগ্রেশন ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট বরাক ওবামার ব্যর্থতার অভিযোগ। সাম্প্রতিক জরিপে প্রেসিডেন্ট ওবামার জনপ্রিয়তায় যে ধস নামে তারই প্রতিফলন ঘটে এই নির্বাচনের ফলাফলেও। আর নির্বাচনের আগে ও পরে কমিউনিটির টক অব টাউন ছিল মধ্যবর্তী নির্বাচন। তাই নির্বাচনের পরদিন বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের খাবার বাড়ি রেস্টুরেন্টে চায়ের আড্ডায় ঘুরে ফিরে বাংলাদেশী প্রবাসীদের মুখে উঠে মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রসঙ্গ।
নিউইয়র্ক থেকে সম্প্রচারিত টাইম টেলিভিশনের সাথে আলাপকালে প্রবাসী বাংলাদেশীরা বলেন। ‘প্রেসিডেন্ট বরাক ওবামার অভিবাসীদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রাইমারীর আগেও তিনি আশার বানী শুনিয়েছিলেন আনডুক্যুমেন্টদের বৈধতা দেয়ার ব্যাপারে। কিন্তু এই সুযোগ তিনি কাজে লাগেতে পারেননি। নির্বাচনী প্রচারণায় ডেমোক্রেটরাও ওবামার এই বিষয়ে ভোটারদের কাছে তুলে ধরেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় রিপাবলিকানরা’।
টাইম টিভির সাথে তারা আরো বলেন, ‘রিপাবলিকানরা বুঝেই বিরোধীতা করেছেন। কারন প্রেসিডেন্ট যদি তার নির্বাহী আদেশ তথা একক ক্ষমতা বলেও এই কাজটি সম্পাদন করতেন তাহলেও রিপাবলিকানদের চেয়ে ডেমোক্রেটরা আরো বেশী ভোট পেতো। কিন্তু দূর্ভাগ্য প্রেসিডেন্ট কেন তার করলেন না। বিনিময়ে অভিবাসি ভোটাররা মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের প্রত্যাখান করেছে’।
প্রাইমারী ও মধ্যবর্তী নির্বাচনকে ঘিরে অভিবাসন নীতি থেকে প্রেসিডেন্ট ওবামার সরে আশা খানিকটা আহত করলেও; আনডক্যুমেন্টেডদের আশা ছিল নির্বাচনের পর; প্রেসিডেন্ট তার নির্বাহি আদেশে এই নীতির অনুমোদন দেবেন। কিন্তু বিধি বাম। মধ্যবর্তী নির্বাচনে মার্কিন আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেটে রিপাবলিকানদের শক্তিশালী অবস্থানে অভিবাসীদের আশার প্রতিফলন ঘটেনি। বস্তুত মুখে যাই বলুক; এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে অপেক্ষাকৃত উদারপন্থি দল ডেমোক্রেটদের ভরাডুবিতে হতাশায় ভুগছেন প্রবাসি বাংলাদেশীরা। তাই চূড়ান্ত ফলাফলের আগেই চায়ের আড্ডায় এবং কমিউনিটিতে উঠে আসে মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর ওবামা হয়তো একটি ইতিহাস সৃষ্টি করবেন।
এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ আট বছর পর সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটরা। যদিও এর আাগেই রিপাবলিকানরা কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এবার ডেমোক্রেটরা হারলো সিনেটেও। কংগ্রেসের উভয় হাউজই এখন রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া প্রেসিডেন্ট ওবামা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন বলে মনে করছেন তারা।
সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে ৩৬টির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।  যার মধ্যে ৩৩টি হচ্ছে নিয়মিত এবং ৩টিতে বিশেষ নির্বাচন। ২০১২ সালে নির্বাচনের পর ইউএস সিনেটে ডেমোক্রেটরা জয় পায় ৫৩ আসনে। অপরদিকে রিপাবলিকানরা পেয়েছিলেন ৪৫ আসন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছিলেন ২জন। এবার ঘটলো ঠিক তার উল্টো। রিপাবলিকানদের দখলে চলে যায় ৫২ আসন অপরদিকে ডেমোক্রেটরা জয়ী হয়েছেন ৪৫টিতে।
উল্লেখ্য, বলা যায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বরাক ওবামা। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে নিজ দল ডেমোক্রেট কোণঠাসা হয়ে পড়ায় আগামী দুবছর কীভাবে ভারসাম্য হতে যাচ্ছে ক্ষমতার? সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকানরা কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে মার্কিন নীতি প্রণয়নে? নির্বাচনে পরাজয়ের পর; হোয়াইট হাইজে সাংবাদিক সম্মেলনে ওবামা বলেছেন, ‘কংগ্রেস এমন অনেক বিল পাশ করবে, যাতে আমি স্বাক্ষর করব না। আবার আমি এমন কিছু পদক্ষেপ নেব, যাতে কংগ্রেসের সায় থাকবে না। এটাই স্বাভাবিক। আমাদের গণতন্ত্র এভাবেই সচল থাকে’।
বাংলা পত্রিকার সাথে আলাপকালে কমিউিনিটি অ্যাকটিভিট্সরা বলেন, ‘ডেমোক্রেট ও রিপাবলিক্যান উভয় দলই চায় যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির সংস্কার করতে। কিন্তু হোয়াইট হাউস ও জিওপি হাউসের মধ্যে এ ব্যাপারে মতপার্থক্য রয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়ানো ও অভিবাসী বিতাড়নের সহজ উপায় খোঁজা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ওবামার আগের ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাহী আদেশে এ বছরের মধ্যেই এই নীতিতে সংস্কার আনতে চান। কিন্তু আগামী কংগ্রেস অধিবেশন শুরু হলে রিপাবলিক্যানদের আপত্তিতে হোয়াইট হাউসের নীতিকে অকার্যকর করতে পারে এবং সিনেটে নতুন আইন পাস হতে পারে। তবে ইচ্ছে করলে ওবামা তার নির্বাহী আদেশকে বহাল রাখতে পারবেন’।
কমিউনিটি লিডার মোরশেদ আলম টাইম টিভি ও বাংলা পত্রিকাকে বলেন, ‘আনডুক্যুমেন্টদের ইস্যুতে আতিহাস সৃষ্টির সুযোগ এখনো রয়েছে। তবে, এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ওবমার একক সীদ্ধান্তের ওপর। যেখানে কারো বাধা দেয়া সুযোগ নেই। কিন্তু অর্থনৈতিক বিষয়টি তাকে ভাবিয়ে তুলবে। আমেরিকারর অর্থনীতির দুটো দিকের সংস্কার এখন গুরুত্বপূর্ণ- বাণিজ্য ও কর। ইউরোপ এবং এশিয়ার অন্তত ডজনখানিক দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তিকে রিপাবলিক্যানরা ওবামার তথাকথিত ফার্স্ট ট্রাক বলে অভিহিত করে আসছে। তাই রিপাবলিক্যানদের সহযোগিতা ছাড়া বাণিজ্য ক্ষেত্রে ওবামা অগ্রসর হতে পারবেন না। একইভাবে কর সংস্কারের ব্যাপারেও দুপক্ষের সমঝোতা প্রয়োজন। ডেমোক্রেট ও রিপাবলিক্যান উভয় দলই কর্পোরেট কর কমানো ও কোডের সহজীকরণে আগ্রহী বলে আমি মনে করি’। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন ও কমিউনিটি ভাবনা

প্রকাশের সময় : ১০:০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৪

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে। এবারের নির্বাচনে ভরাডুবি ঘটেছে ডেমোক্রেট শিবিরে। অন্যদিকে, মার্কিন আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেটে রিপাবলিকানদের অবস্থান শক্তিশালি হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন অভিবাসিরা। দ্বিতীয় মেয়াদের প্রেসিডেন্ট ওবামা ক্ষমতায় এসে আনডক্যুমেন্টডদের যে আশার বানী শুনিয়েছেন মধ্যবর্তী নির্বাচনে তা বাস্তবায়নে আরো কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়বেন ওবামা এমনটি মনে করছেন বাংলাদেশী অভিবাসিরা। তাই বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের মধ্যে নেমে আসে হতাশা। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশী প্রবাসীরা।
৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের প্রধান হাতিয়ার ছিল আমেরিকার অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা, কর্মসংস্থান, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং ইমিগ্রেশন ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট বরাক ওবামার ব্যর্থতার অভিযোগ। সাম্প্রতিক জরিপে প্রেসিডেন্ট ওবামার জনপ্রিয়তায় যে ধস নামে তারই প্রতিফলন ঘটে এই নির্বাচনের ফলাফলেও। আর নির্বাচনের আগে ও পরে কমিউনিটির টক অব টাউন ছিল মধ্যবর্তী নির্বাচন। তাই নির্বাচনের পরদিন বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের খাবার বাড়ি রেস্টুরেন্টে চায়ের আড্ডায় ঘুরে ফিরে বাংলাদেশী প্রবাসীদের মুখে উঠে মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রসঙ্গ।
নিউইয়র্ক থেকে সম্প্রচারিত টাইম টেলিভিশনের সাথে আলাপকালে প্রবাসী বাংলাদেশীরা বলেন। ‘প্রেসিডেন্ট বরাক ওবামার অভিবাসীদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রাইমারীর আগেও তিনি আশার বানী শুনিয়েছিলেন আনডুক্যুমেন্টদের বৈধতা দেয়ার ব্যাপারে। কিন্তু এই সুযোগ তিনি কাজে লাগেতে পারেননি। নির্বাচনী প্রচারণায় ডেমোক্রেটরাও ওবামার এই বিষয়ে ভোটারদের কাছে তুলে ধরেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় রিপাবলিকানরা’।
টাইম টিভির সাথে তারা আরো বলেন, ‘রিপাবলিকানরা বুঝেই বিরোধীতা করেছেন। কারন প্রেসিডেন্ট যদি তার নির্বাহী আদেশ তথা একক ক্ষমতা বলেও এই কাজটি সম্পাদন করতেন তাহলেও রিপাবলিকানদের চেয়ে ডেমোক্রেটরা আরো বেশী ভোট পেতো। কিন্তু দূর্ভাগ্য প্রেসিডেন্ট কেন তার করলেন না। বিনিময়ে অভিবাসি ভোটাররা মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের প্রত্যাখান করেছে’।
প্রাইমারী ও মধ্যবর্তী নির্বাচনকে ঘিরে অভিবাসন নীতি থেকে প্রেসিডেন্ট ওবামার সরে আশা খানিকটা আহত করলেও; আনডক্যুমেন্টেডদের আশা ছিল নির্বাচনের পর; প্রেসিডেন্ট তার নির্বাহি আদেশে এই নীতির অনুমোদন দেবেন। কিন্তু বিধি বাম। মধ্যবর্তী নির্বাচনে মার্কিন আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেটে রিপাবলিকানদের শক্তিশালী অবস্থানে অভিবাসীদের আশার প্রতিফলন ঘটেনি। বস্তুত মুখে যাই বলুক; এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে অপেক্ষাকৃত উদারপন্থি দল ডেমোক্রেটদের ভরাডুবিতে হতাশায় ভুগছেন প্রবাসি বাংলাদেশীরা। তাই চূড়ান্ত ফলাফলের আগেই চায়ের আড্ডায় এবং কমিউনিটিতে উঠে আসে মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর ওবামা হয়তো একটি ইতিহাস সৃষ্টি করবেন।
এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ আট বছর পর সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটরা। যদিও এর আাগেই রিপাবলিকানরা কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এবার ডেমোক্রেটরা হারলো সিনেটেও। কংগ্রেসের উভয় হাউজই এখন রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া প্রেসিডেন্ট ওবামা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন বলে মনে করছেন তারা।
সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে ৩৬টির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।  যার মধ্যে ৩৩টি হচ্ছে নিয়মিত এবং ৩টিতে বিশেষ নির্বাচন। ২০১২ সালে নির্বাচনের পর ইউএস সিনেটে ডেমোক্রেটরা জয় পায় ৫৩ আসনে। অপরদিকে রিপাবলিকানরা পেয়েছিলেন ৪৫ আসন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছিলেন ২জন। এবার ঘটলো ঠিক তার উল্টো। রিপাবলিকানদের দখলে চলে যায় ৫২ আসন অপরদিকে ডেমোক্রেটরা জয়ী হয়েছেন ৪৫টিতে।
উল্লেখ্য, বলা যায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বরাক ওবামা। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে নিজ দল ডেমোক্রেট কোণঠাসা হয়ে পড়ায় আগামী দুবছর কীভাবে ভারসাম্য হতে যাচ্ছে ক্ষমতার? সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকানরা কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে মার্কিন নীতি প্রণয়নে? নির্বাচনে পরাজয়ের পর; হোয়াইট হাইজে সাংবাদিক সম্মেলনে ওবামা বলেছেন, ‘কংগ্রেস এমন অনেক বিল পাশ করবে, যাতে আমি স্বাক্ষর করব না। আবার আমি এমন কিছু পদক্ষেপ নেব, যাতে কংগ্রেসের সায় থাকবে না। এটাই স্বাভাবিক। আমাদের গণতন্ত্র এভাবেই সচল থাকে’।
বাংলা পত্রিকার সাথে আলাপকালে কমিউিনিটি অ্যাকটিভিট্সরা বলেন, ‘ডেমোক্রেট ও রিপাবলিক্যান উভয় দলই চায় যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির সংস্কার করতে। কিন্তু হোয়াইট হাউস ও জিওপি হাউসের মধ্যে এ ব্যাপারে মতপার্থক্য রয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়ানো ও অভিবাসী বিতাড়নের সহজ উপায় খোঁজা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ওবামার আগের ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাহী আদেশে এ বছরের মধ্যেই এই নীতিতে সংস্কার আনতে চান। কিন্তু আগামী কংগ্রেস অধিবেশন শুরু হলে রিপাবলিক্যানদের আপত্তিতে হোয়াইট হাউসের নীতিকে অকার্যকর করতে পারে এবং সিনেটে নতুন আইন পাস হতে পারে। তবে ইচ্ছে করলে ওবামা তার নির্বাহী আদেশকে বহাল রাখতে পারবেন’।
কমিউনিটি লিডার মোরশেদ আলম টাইম টিভি ও বাংলা পত্রিকাকে বলেন, ‘আনডুক্যুমেন্টদের ইস্যুতে আতিহাস সৃষ্টির সুযোগ এখনো রয়েছে। তবে, এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ওবমার একক সীদ্ধান্তের ওপর। যেখানে কারো বাধা দেয়া সুযোগ নেই। কিন্তু অর্থনৈতিক বিষয়টি তাকে ভাবিয়ে তুলবে। আমেরিকারর অর্থনীতির দুটো দিকের সংস্কার এখন গুরুত্বপূর্ণ- বাণিজ্য ও কর। ইউরোপ এবং এশিয়ার অন্তত ডজনখানিক দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তিকে রিপাবলিক্যানরা ওবামার তথাকথিত ফার্স্ট ট্রাক বলে অভিহিত করে আসছে। তাই রিপাবলিক্যানদের সহযোগিতা ছাড়া বাণিজ্য ক্ষেত্রে ওবামা অগ্রসর হতে পারবেন না। একইভাবে কর সংস্কারের ব্যাপারেও দুপক্ষের সমঝোতা প্রয়োজন। ডেমোক্রেট ও রিপাবলিক্যান উভয় দলই কর্পোরেট কর কমানো ও কোডের সহজীকরণে আগ্রহী বলে আমি মনে করি’। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)