নিউইয়কর্: জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে অমর একুশে উদযাপনের ২৫ বছর পূর্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ডাক বিভাগ একটি স্মারক সিলমোহর চালু করেছে। ২২ ফেব্রুয়ারী সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস্থ পোস্ট অফিসে (৭৮-০২, ৩৭ এভিনিউ, জ্যাকসন হাইটস, নিউইয়র্ক ১১৩৭২) সব চিঠিপত্রে এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্মারক সিলমোহরটি ব্যবহার হয়। এর আগে বিশেষ এই স্মারক সিলমোহর উন্মোচন করেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ ১১জন বিশিষ্টজনের কাছে পাঠানো চিঠির খামে এই সিলমোহর ব্যবহার করা হয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের যুক্তরাষ্ট্র ডাক বিভাগের স্মারক সিলমোহর চালু উপলক্ষ্যে আযোজিত অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বিশিষ্ট সাংবাদিক-কলামিস্ট নিনি ওয়াহেদ, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বাঙালী চেতনা মঞ্চের সভাপতি ও বিশিষ্ট রাজনীতিক আব্দুর রহিম বাদশা, বিশিষ্ট রাজনীতিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, তৈয়বুর রহমান টনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ এই সিলমোহরের বাঁ দিকে রয়েছে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি। উপরের দিকে লেখা রয়েছে সেলিব্রেটিং টোয়েন্টি ফাইভ ইয়ার্স অব একুশে ফেব্রুয়ারী, এসটিএ। আগামী একমাস এই সিলমোহর ব্যবহার করা হবে।
অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘মায়ের ভাষার জন্য বাঙালীর রক্তদানের অবিস্মরণীয় ঘটনাকে সারা বিশ্বে ভাষা সুরক্ষার প্রতীকে পরিণত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পোস্টাল ডিপার্টমেন্ট স্মারক সিলমোহর ব্যবহার করে ২১ ফেব্রুয়ারী মহান শহীদ দিবসকে আরো মহিমান্বিত করল।’
নিউইয়র্কের মুক্তধারা ফাউন্ডেশন এই স্মারক সিলমোহরের আবেদন করেছিল জানিয়ে অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের প্রধান বিশ্বজিত সাহা বলেন, ‘দীর্ঘ সাত মাসের চেষ্টার স্বীকৃতি এটি। মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বছর ব্যাপী কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিগত ২৫ বছর ধরে জাতিসংঘের সামনে অস্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপন করে অমর একুশে মহান শহীদ দিবস তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে আসছে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন এবং বাঙালীর চেতনামঞ্চ। তবে এবারই প্রথম জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ভাস্কর্য স্থাপন করা হয় পহেলা ফেব্রুয়ারী। ভাস্কর্যটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে পুরো ফেব্রুয়ারী মাস।