নিউইয়র্ক ১০:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কের পার্কে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব : মশার কামড়ে অসুস্থ্য শিশু : প্রবাসীদের সতর্কতা প্রয়োজন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:০৪:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অগাস্ট ২০১৫
  • / ১২২৪ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের গ্রীষ্মকালে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে পিকনিক আয়োজনের ঢল নেমেছে। প্রতি সপ্তাহে বিশেষ করে শনিবার বা রোববার উইকেন্ডে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ৫/৬টি করে পিকনিক বা বনভোজন আয়োজন চলছে। এসব পিকনিকে সর্বস্তরের শত শত প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নিচ্ছেন, আনন্দ উপভোগ করছেন। পাশাপাশি এসব পিকনিক আয়োজনে হাজার হাজার ডলার ব্যয় হচ্ছে। এদিকে পিকনিক আয়োজনস্থল বিভিন্ন পার্কে পোকামাকড়ের উপদ্রপ বেড়ে গেছে। এদিকে পিকনিক স্থলে মশার কারণে একাধিক শিশু অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন বলে ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন। অপরদিকে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজিত পিকনিক অনুষ্ঠানের ব্যয় কমিয়ে বাংলাদেশের বণ্যাদূর্গতদের সাহায্যের আহবান জানিয়েছেন কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
জানা গেছে, সিটির পার্কগুলোতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ কিটনাশক নিধনের ঔষধ প্রয়োগ না করায় বিভিন্ন পার্কে পোকামাকড় আর মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। পার্কের গাছে গাছে পোকা (দেশীয় ভাষায় ছেঙ্গা) দেখা যাচ্ছে। মাছিও দেখা যাচ্ছে। সময়-সুযোগে মাছিগুলো হুল ফুটাচ্ছে জনদেহে। বিশেষ করে শিশু-কিশোর-কিশোরীরা মাছির আক্রমণের শিকার হচ্ছে।
কুইন্সের জ্যামাইকায় বসবাসকারী গৃহবধু মাহমুদা খাতুন জানান, ২৬ আগষ্ট রোববার একটি সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে সপরিবারে পিকনিকে গিয়েছিলেন নিউইয়র্কের হেকশেয়ার ষ্টেট পার্কে। গাছ-গাছালীতে ঘেরা বিশালাকারের পার্ক তাকে মুগ্ধ করলেও কিছুক্ষণ পর তার মনটা নষ্ট হয়ে যায়। তিনি লক্ষ্য করেন গাছে গাছে বড় বড় পোকা, যা দেখলেই ভয় করে। সেই সাথে মশার উপদ্রব। তিনি বলেন, প্রথম প্রথম পোকা-মাকড়গুলোর উপদ্রব সহ্য করা গেলেও পরবর্তীতে দেখা গেলো শিশুদের গায়ে লাল রঙের চিহ্ন (দাগ)। তার ভাষায় মশার কামড়ের দাগ। তিনি বলেন, বাসায় ফিরে তার ছয় বছরের শিশু পুত্র শাফিনকে গায়ে চুলকাতে দেখাতে পান। এই অবস্থায় তিনি তার পুত্রকে নিয়ে ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হন এবং চিকিৎসকের পরামর্শে পরবর্তী ব্যবস্থা নেন। এজন্য শাফিনকে একদিন সামার স্কুলের ক্লাশ বন্ধ রাখতে হয়।
একই রকম ঘটনার কথা জানান সিটির রিচমন্ডহীলে বসবাসকারী আরেক গৃহবধু মাহবুবা ইসলাম শেলী। তিনি বলেন, তার দুই শিশু কন্যা শর্মী (প্রায় ছয় বছর) ও শুভ্রা (দুই বছর)-কে নিয়ে সপরিবারে গত ২৬ আগষ্ট রোববার হেকশেয়ার ষ্টেট পার্কের এক বনভোজন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এই পার্কে তিনি গাছের গায়ে বড় বড় পোকা আর মশার উপদ্রপ লক্ষ্য করেন। বাসায় ফিরে দেখেন তার দুই শিশু কন্যার গায়ে লাল রঙ-এর দাগ এবং ঐ দাগে চুলকানী। পরদিন তিনি দুই শিশুকেই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে দেখান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ব্যবস্থা নেন। স্কুলে সামার ভ্যাকেশন থাকায় তারা বাসায় অবস্থান করছে বলে রক্ষা বলে তিনি জানান। এদিকে শর্মী এই প্রতিনিধিকে বলে ‘নেক্সটাইম নো মোর পিকনিক এ্যাট ডার্টি প্লেস’।
মাহমুদা-মাহবুবা এই প্রতিনিধিকে বলেন, গত ৫/৬ বছর ধরে বিভিন্ন পার্কে বনভোজনে যাচ্ছি। কিন্তু এবারই প্রথম পোকা-মাকড় আর মশার শিকার হলাম। আমরা বড়রা এইসব সহ্য করলেও শিশুদের জন্য ছিলো ভয়ের। তাছাড়া মশার কামড়ে বাচ্চাদের গায়ে লাল দাগ পড়ে যায়, সেই দাগে চুলকাতে থাকে বাচ্চারা। বাচ্চাদের এই পরিস্থিতি অভিভাবকদের জন্যও বিব্রতকর।
পিকনিক স্পটে বিশেষ করে পিকনিক আনন্দে মশাসহ পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষার্থে চিকিৎসকরা সতর্কতা অবলম্বন জরুরী বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলতি বছর উত্তর আমেরিকায় নূন্যতম তিন শতাধিক সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগ ও আয়োজনে পিকনিক বা বনভোজন আয়োজন চলছে। এসব আয়োজনে একক সংগঠনের ব্যানারে তিন থেকে ৬/৭শ প্রবাসী অংশ নিচ্ছেন। আর ৫/৬শত মানুষের পিকনিক আয়োজনে নূন্যতম ব্যয় হচ্ছে ১৫/২০ হাজার ডলার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন পিকনিকে বিশেষ করে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার অনেকটাই অপচয় হচ্ছে। অনেক সময় গরমের কারণে সকালের নাস্তা নষ্ট হওয়া আবার প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত খাবার নিয়ে অনেকেই নিজের অজান্তে খাবারগুলো নষ্টও করছেন। একই অবস্থা দুপুরের খাবারের বেলায়ও ঘটছে বলে সংশ্লিষ্টরা এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। পিকনিক স্পটে এমন ঘটনায় অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করলেও কার্যত অপচয় রোধে কেউ কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।
গত ৩১ আগষ্ট শুক্রবার টাইম টেলিভিশনের সংবাদ বিশ্লেষণমূলক লাইভ অনুষ্ঠান ‘প্রেস ভিউ’র আলোচনায় বাংলাদেশের বণ্যা ও দূর্গতদের সাহায্য প্রসঙ্গে আলোচনাকালে অনুষ্ঠানের অতিথি প্রবীণ সাংবাদিক নিনি ওয়াহেদ বলেন, প্রবাসের শত ব্যস্ততার মাঝে যেমন আনন্দ-বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে, তেমনী বিনোদনের নামে অপচয় রোধ করে অর্থাৎ মিতব্যয়ী হয়ে দেশের দূর্গতদের সাহায্যে প্রবাসের আঞ্চলিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো বিশেষ অবদান রাখতে পারে। এমন উদ্যোগকে কার্যকর করার পক্ষে দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহীম হাওলাদার, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চৌধুরী, বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতির সভাপতি আজিমুর রহমান বোরহান, কমিউনিটি বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি বিলাল চৌধুরী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বণ্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়া ভাড়ী বর্ষণের কারণেও অনেক স্থানে সর্বস্তরের মানুষ দূর্গত অবস্থায় রয়েছেন। তাদের সাহায্যে প্রবাসী সংগঠনগুলোর অবশ্যই ভূমিকা রাখার অবকাশ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের ২ আগষ্ট রোববার মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুর এসোসিয়েশন ইনক লং আইলান্ডের হেকশেয়ার ষ্টেট পার্ক, নবাবগঞ্জ এসোসিয়েশন অব ইউএসএ ইনক লং আইলান্ডের বেথপেজ স্টেট পার্ক, লং আইল্যান্ড, প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসী ইউএসএ ইনক লং আইলান্ডের বেলমন্ট লেক ষ্টেট পার্ক, নীলফামারী জেলা এসোসিয়েশন ইনক, পেনসিলভেনিয়ার ফোর্ট ওয়াশিংটন ষ্টেট পার্ক, মানিকগঞ্জ সমিতি নর্থ আমেরিকা ইনক ওয়েষ্টচেস্টার কাউন্টির ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট ষ্টেট পার্ক, ওঁম শক্তি মন্দির নাসা কাউন্টির কাউমিডো পার্ক, বাংলাদেশী আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশন ইউএসএ লং আইল্রান্ডের বেলমন্ট ষ্টেট পার্কে, নরসিংদী জেলা সমিতি ইউএসএ ক্রোটন পয়েন্ট পার্ক, কক্সবাজার এসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা ইনক নিউইয়র্কের হাইসেন হাউয়ার পার্কে পিকনিকের আয়োজন করে বলে জানা গেছে। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিউইয়র্কের পার্কে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব : মশার কামড়ে অসুস্থ্য শিশু : প্রবাসীদের সতর্কতা প্রয়োজন

প্রকাশের সময় : ১০:০৪:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অগাস্ট ২০১৫

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের গ্রীষ্মকালে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে পিকনিক আয়োজনের ঢল নেমেছে। প্রতি সপ্তাহে বিশেষ করে শনিবার বা রোববার উইকেন্ডে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ৫/৬টি করে পিকনিক বা বনভোজন আয়োজন চলছে। এসব পিকনিকে সর্বস্তরের শত শত প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নিচ্ছেন, আনন্দ উপভোগ করছেন। পাশাপাশি এসব পিকনিক আয়োজনে হাজার হাজার ডলার ব্যয় হচ্ছে। এদিকে পিকনিক আয়োজনস্থল বিভিন্ন পার্কে পোকামাকড়ের উপদ্রপ বেড়ে গেছে। এদিকে পিকনিক স্থলে মশার কারণে একাধিক শিশু অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন বলে ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন। অপরদিকে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজিত পিকনিক অনুষ্ঠানের ব্যয় কমিয়ে বাংলাদেশের বণ্যাদূর্গতদের সাহায্যের আহবান জানিয়েছেন কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
জানা গেছে, সিটির পার্কগুলোতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ কিটনাশক নিধনের ঔষধ প্রয়োগ না করায় বিভিন্ন পার্কে পোকামাকড় আর মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। পার্কের গাছে গাছে পোকা (দেশীয় ভাষায় ছেঙ্গা) দেখা যাচ্ছে। মাছিও দেখা যাচ্ছে। সময়-সুযোগে মাছিগুলো হুল ফুটাচ্ছে জনদেহে। বিশেষ করে শিশু-কিশোর-কিশোরীরা মাছির আক্রমণের শিকার হচ্ছে।
কুইন্সের জ্যামাইকায় বসবাসকারী গৃহবধু মাহমুদা খাতুন জানান, ২৬ আগষ্ট রোববার একটি সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে সপরিবারে পিকনিকে গিয়েছিলেন নিউইয়র্কের হেকশেয়ার ষ্টেট পার্কে। গাছ-গাছালীতে ঘেরা বিশালাকারের পার্ক তাকে মুগ্ধ করলেও কিছুক্ষণ পর তার মনটা নষ্ট হয়ে যায়। তিনি লক্ষ্য করেন গাছে গাছে বড় বড় পোকা, যা দেখলেই ভয় করে। সেই সাথে মশার উপদ্রব। তিনি বলেন, প্রথম প্রথম পোকা-মাকড়গুলোর উপদ্রব সহ্য করা গেলেও পরবর্তীতে দেখা গেলো শিশুদের গায়ে লাল রঙের চিহ্ন (দাগ)। তার ভাষায় মশার কামড়ের দাগ। তিনি বলেন, বাসায় ফিরে তার ছয় বছরের শিশু পুত্র শাফিনকে গায়ে চুলকাতে দেখাতে পান। এই অবস্থায় তিনি তার পুত্রকে নিয়ে ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হন এবং চিকিৎসকের পরামর্শে পরবর্তী ব্যবস্থা নেন। এজন্য শাফিনকে একদিন সামার স্কুলের ক্লাশ বন্ধ রাখতে হয়।
একই রকম ঘটনার কথা জানান সিটির রিচমন্ডহীলে বসবাসকারী আরেক গৃহবধু মাহবুবা ইসলাম শেলী। তিনি বলেন, তার দুই শিশু কন্যা শর্মী (প্রায় ছয় বছর) ও শুভ্রা (দুই বছর)-কে নিয়ে সপরিবারে গত ২৬ আগষ্ট রোববার হেকশেয়ার ষ্টেট পার্কের এক বনভোজন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এই পার্কে তিনি গাছের গায়ে বড় বড় পোকা আর মশার উপদ্রপ লক্ষ্য করেন। বাসায় ফিরে দেখেন তার দুই শিশু কন্যার গায়ে লাল রঙ-এর দাগ এবং ঐ দাগে চুলকানী। পরদিন তিনি দুই শিশুকেই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে দেখান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ব্যবস্থা নেন। স্কুলে সামার ভ্যাকেশন থাকায় তারা বাসায় অবস্থান করছে বলে রক্ষা বলে তিনি জানান। এদিকে শর্মী এই প্রতিনিধিকে বলে ‘নেক্সটাইম নো মোর পিকনিক এ্যাট ডার্টি প্লেস’।
মাহমুদা-মাহবুবা এই প্রতিনিধিকে বলেন, গত ৫/৬ বছর ধরে বিভিন্ন পার্কে বনভোজনে যাচ্ছি। কিন্তু এবারই প্রথম পোকা-মাকড় আর মশার শিকার হলাম। আমরা বড়রা এইসব সহ্য করলেও শিশুদের জন্য ছিলো ভয়ের। তাছাড়া মশার কামড়ে বাচ্চাদের গায়ে লাল দাগ পড়ে যায়, সেই দাগে চুলকাতে থাকে বাচ্চারা। বাচ্চাদের এই পরিস্থিতি অভিভাবকদের জন্যও বিব্রতকর।
পিকনিক স্পটে বিশেষ করে পিকনিক আনন্দে মশাসহ পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষার্থে চিকিৎসকরা সতর্কতা অবলম্বন জরুরী বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলতি বছর উত্তর আমেরিকায় নূন্যতম তিন শতাধিক সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগ ও আয়োজনে পিকনিক বা বনভোজন আয়োজন চলছে। এসব আয়োজনে একক সংগঠনের ব্যানারে তিন থেকে ৬/৭শ প্রবাসী অংশ নিচ্ছেন। আর ৫/৬শত মানুষের পিকনিক আয়োজনে নূন্যতম ব্যয় হচ্ছে ১৫/২০ হাজার ডলার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন পিকনিকে বিশেষ করে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার অনেকটাই অপচয় হচ্ছে। অনেক সময় গরমের কারণে সকালের নাস্তা নষ্ট হওয়া আবার প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত খাবার নিয়ে অনেকেই নিজের অজান্তে খাবারগুলো নষ্টও করছেন। একই অবস্থা দুপুরের খাবারের বেলায়ও ঘটছে বলে সংশ্লিষ্টরা এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। পিকনিক স্পটে এমন ঘটনায় অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করলেও কার্যত অপচয় রোধে কেউ কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।
গত ৩১ আগষ্ট শুক্রবার টাইম টেলিভিশনের সংবাদ বিশ্লেষণমূলক লাইভ অনুষ্ঠান ‘প্রেস ভিউ’র আলোচনায় বাংলাদেশের বণ্যা ও দূর্গতদের সাহায্য প্রসঙ্গে আলোচনাকালে অনুষ্ঠানের অতিথি প্রবীণ সাংবাদিক নিনি ওয়াহেদ বলেন, প্রবাসের শত ব্যস্ততার মাঝে যেমন আনন্দ-বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে, তেমনী বিনোদনের নামে অপচয় রোধ করে অর্থাৎ মিতব্যয়ী হয়ে দেশের দূর্গতদের সাহায্যে প্রবাসের আঞ্চলিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো বিশেষ অবদান রাখতে পারে। এমন উদ্যোগকে কার্যকর করার পক্ষে দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহীম হাওলাদার, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চৌধুরী, বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতির সভাপতি আজিমুর রহমান বোরহান, কমিউনিটি বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি বিলাল চৌধুরী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বণ্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়া ভাড়ী বর্ষণের কারণেও অনেক স্থানে সর্বস্তরের মানুষ দূর্গত অবস্থায় রয়েছেন। তাদের সাহায্যে প্রবাসী সংগঠনগুলোর অবশ্যই ভূমিকা রাখার অবকাশ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের ২ আগষ্ট রোববার মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুর এসোসিয়েশন ইনক লং আইলান্ডের হেকশেয়ার ষ্টেট পার্ক, নবাবগঞ্জ এসোসিয়েশন অব ইউএসএ ইনক লং আইলান্ডের বেথপেজ স্টেট পার্ক, লং আইল্যান্ড, প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসী ইউএসএ ইনক লং আইলান্ডের বেলমন্ট লেক ষ্টেট পার্ক, নীলফামারী জেলা এসোসিয়েশন ইনক, পেনসিলভেনিয়ার ফোর্ট ওয়াশিংটন ষ্টেট পার্ক, মানিকগঞ্জ সমিতি নর্থ আমেরিকা ইনক ওয়েষ্টচেস্টার কাউন্টির ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট ষ্টেট পার্ক, ওঁম শক্তি মন্দির নাসা কাউন্টির কাউমিডো পার্ক, বাংলাদেশী আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশন ইউএসএ লং আইল্রান্ডের বেলমন্ট ষ্টেট পার্কে, নরসিংদী জেলা সমিতি ইউএসএ ক্রোটন পয়েন্ট পার্ক, কক্সবাজার এসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা ইনক নিউইয়র্কের হাইসেন হাউয়ার পার্কে পিকনিকের আয়োজন করে বলে জানা গেছে। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)