নিউইয়র্ক ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ভূয়া ট্যাক্স রিটার্ন : নিউইয়র্কে বাংলাদেশী শৈবালের ১৫ মাসের জেল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:০৬:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৫
  • / ৬৫৮ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: ভূয়া তথ্যে ট্যাক্স রিটার্নের পর ব্যাংক থেকে মোটা অংকের মর্গেজ গ্রহণ করে তা আত্মসাতে সহায়তার জন্যে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী-আমেরিকান হোসেইন জব্বার শৈবালের ১৫ মাসের জেল হয়েছে। জেলখাটার পর তাকে আরো ৫ বছর কাটাতে হবে কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে।
এস্টোরিয়ার স্টাইনওয়ের এফএমএস (ফার্স্ট মাল্টিপারপাস সার্ভিস) গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রেসিডেন্ট শৈবাল গত বছরের ১০ অক্টোবর কারাগারে গমন করেছেন। সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের জজ ক্যাথেরিন পোক ফাইলা এ রায় প্রদান করেন গত বছরের ১১ জুলাই।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, ২০০৮ সালে শুরু হয় মর্গেজ প্রতারণার এ ষড়যন্ত্র। ২০১২ সালে তা আরো গতি পায় এবং ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল। ট্যাক্স প্রস্তুতকারী এবং ব্যবসা ও কোম্পানীর লাইসেন্স প্রদানে সহায়তাকারী হিসেবে শৈবালের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের এক নায়ক ব্যাংক থেকে মোটা অংকের ঋণের জন্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরী করেন। শুধু তাই নয়, ভূয়া প্রতিষ্ঠান/কোম্পানীর বিপরীতে ডব্লিউ-২ ইস্যুর কাজটিও করেছেন শৈবাল নিজে। এজন্যে অবশ্য শৈবালকে একবার ৫০০ ডলার এবং আরেকবার ৪ হাজার ডলার প্রদান করা হয়।
এফএমএস’র কাছে থেকে পাওয়া ঐসব ভূয়া কাগজপত্রে ম্যানহাটানের ২৮০ ওয়েস্ট ১২৭ স্ট্রিট, জ্যামাইকায় ১৬০-২১ ১২২ এভিনিউ এবং ১১৬-৫৩ ১৪৭ স্ট্রিটে ৩টি বাড়ির মর্টগেজের আবেদন করে মোট ১১ লাখ ডলার পাওয়া যায়। ভূয়া নাম-ঠিকানার ক্রেতার আর কোন সন্ধান পায়নি ঋণ প্রদানকারী ব্যাংকগুলো। এরপরই তারা হদিস উদঘাটনে সক্ষম হয় যে, ঋণের সমুদয় অর্থ আত্মসাতের উদ্দ্যেশে এই ফাঁদ পাতা হয়েছিল। তদন্তে উদঘাটিত সমুদয় তথ্য স্বীকার করেন হোসেইন জব্বার শৈবাল।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

ভূয়া ট্যাক্স রিটার্ন : নিউইয়র্কে বাংলাদেশী শৈবালের ১৫ মাসের জেল

প্রকাশের সময় : ০৬:০৬:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৫

নিউইয়র্ক: ভূয়া তথ্যে ট্যাক্স রিটার্নের পর ব্যাংক থেকে মোটা অংকের মর্গেজ গ্রহণ করে তা আত্মসাতে সহায়তার জন্যে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী-আমেরিকান হোসেইন জব্বার শৈবালের ১৫ মাসের জেল হয়েছে। জেলখাটার পর তাকে আরো ৫ বছর কাটাতে হবে কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে।
এস্টোরিয়ার স্টাইনওয়ের এফএমএস (ফার্স্ট মাল্টিপারপাস সার্ভিস) গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রেসিডেন্ট শৈবাল গত বছরের ১০ অক্টোবর কারাগারে গমন করেছেন। সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের জজ ক্যাথেরিন পোক ফাইলা এ রায় প্রদান করেন গত বছরের ১১ জুলাই।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, ২০০৮ সালে শুরু হয় মর্গেজ প্রতারণার এ ষড়যন্ত্র। ২০১২ সালে তা আরো গতি পায় এবং ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল। ট্যাক্স প্রস্তুতকারী এবং ব্যবসা ও কোম্পানীর লাইসেন্স প্রদানে সহায়তাকারী হিসেবে শৈবালের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের এক নায়ক ব্যাংক থেকে মোটা অংকের ঋণের জন্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরী করেন। শুধু তাই নয়, ভূয়া প্রতিষ্ঠান/কোম্পানীর বিপরীতে ডব্লিউ-২ ইস্যুর কাজটিও করেছেন শৈবাল নিজে। এজন্যে অবশ্য শৈবালকে একবার ৫০০ ডলার এবং আরেকবার ৪ হাজার ডলার প্রদান করা হয়।
এফএমএস’র কাছে থেকে পাওয়া ঐসব ভূয়া কাগজপত্রে ম্যানহাটানের ২৮০ ওয়েস্ট ১২৭ স্ট্রিট, জ্যামাইকায় ১৬০-২১ ১২২ এভিনিউ এবং ১১৬-৫৩ ১৪৭ স্ট্রিটে ৩টি বাড়ির মর্টগেজের আবেদন করে মোট ১১ লাখ ডলার পাওয়া যায়। ভূয়া নাম-ঠিকানার ক্রেতার আর কোন সন্ধান পায়নি ঋণ প্রদানকারী ব্যাংকগুলো। এরপরই তারা হদিস উদঘাটনে সক্ষম হয় যে, ঋণের সমুদয় অর্থ আত্মসাতের উদ্দ্যেশে এই ফাঁদ পাতা হয়েছিল। তদন্তে উদঘাটিত সমুদয় তথ্য স্বীকার করেন হোসেইন জব্বার শৈবাল।