নিউইয়র্ক ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ব্রুকলীন টেকের বাংলাদেশী ছাত্র নাঈমের জানাজা অনুষ্ঠিত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৪
  • / ৭৪৬ বার পঠিত

নিউইয়র্কের ঐতিহ্যবাহী ব্রুকলীন টেক-এর নাইথ গ্রেডে পড়–য়া শান্ত-শিষ্ট, ভদ্র, অমায়িক ব্যবহারের অধিকারী বাংলাদেশী কৃতি ছাত্র মোহাম্মদ নাঈম উদ্দিন (১৪) এর নামাজে জানাজা ২৩ নভেম্বর রোববার বাদ মাগরিব ব্রুকলীস্থ বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন। ২৪ নভেম্বর সোমবার সকালে লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল পার্কে তার মরদেহ দাফন করার কথা।
নাঈম উদ্দিনের নামাজে জানাজায় কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টারের সভাপতি হাজী আবুল হোসেন, চট্টগ্রাম সমিতি ইউএসএ’র সাবেক সভাপতি কাজী আজম, বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবু নাসের, সমিতির  সভাপতি এম এ রব, সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজু মিয়া, সহ স্থানীয় কাউন্সিলম্যান ব্রেক লেন্ডার, বরো প্রেসিডেন্ট এরিক আডমস, পুলিশ প্রিসেক্ট এর অফিসার আদেল রানা ও নাসের আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর বৃহস্প্রতিবার বেলা সাড়ে ৫টার দিকে ব্রুকলীনের ইস্ট সেভেন্থ এভিনিউ ও কটন এভিনিউ এলাকায় একটি মিনি ভ্যান চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয়। সে স্কুল থেকে বাসায় যাওয়ার সময় রাস্তা পার হচ্ছিল। ভ্যানটি তাকে আঘাত করে (হিট এন্ড রান) দ্রুত চলে যায়। ঘটনার পরপরই তাকে স্থানীয় মাইমনডিস হাসপাতালে ভর্তি করার পরপরই তার মাথায় জরুরী অপরাশেন করা হয়। অপারেশনের পরও তার অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে এবং রাত ১০টার দিকে সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে। তার দেশের বাড়ী নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায়। দূর্ঘটনার পাঁচ ঘন্টা পর সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তার অকাল মৃত্যুতে শোকাহত বাংলাদেশী কমিউনিটি। খবরটি মূলধারার চ্যানেল সেভেন ও ডেইলী নিউজ সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয়।
এদিকে নাইম উদ্দিনকে চাপা দেয়া মিনিভ্যানচালক ল্যান লরেন্ড (৭৮) নামের এক ব্রুকলীনবাসীকে আটক করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। ল্যান লরেন্ড পুলিশের কাছে বলেছেন, ঘটনা কিভাবে ঘটেছে তা তিনি জানেন না এবং তিনি নাঈমকে দেখতে পাননি। তবে দূর্ঘটনার সময় একটি শব্দ শুনেছেন। অভিযুক্ত ল্যান লরেন্ড ইতিমধ্যেই জামিন নিয়েছেন।
নিহত নাঈমের আতœীয় ফয়সাল কবীর মিডিয়াকে জানান, দূর্ঘটনার পর তিনি নাইমকে রাস্তায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন এবং নাইম দ্রুত গতিতে নি:শ্বাস নিচ্ছিলো এবং মাথায় প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তার অবস্থা গুরুতর দেখে সাথে সাথে ৯১১-এ কল দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স এনে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে তার মাথায় জরুরী অপারেশন করা হয়। তারপরও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
দূর্ঘটনার পর নাঈমের কাজিন মারুফ উদ্দিন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘হি ওয়াজ দ্য স্মার্টেস্ট পার্সন আই নো, হি ওয়াজ অ্যান আনক্রেডিবল পার্সন, হি ওয়াজ লাভড বাই এভিরিওয়ান, আই জাস্ট কান্ট বিলিভ দিজ হ্যাপেন্ড’। তিনি আরো বলেন, দ্য হার্ডেস্ট থিং ইজ নাও হিজ লিটল ব্রাদার ডাজন্ট হ্যাভ হিম টু লুক  আপ টু, হি ডাজন্ট হ্যাভ এ রোল মোডেল অ্যানিমোর, ইটস জাস্ট ট্যারেবল’।
নিহত নাঈমের পিতা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও মা নাজমা আখতার, কলেজে পড়ুয়া এক বড় বোন ও এক ছোট ভাইয়ের (৪) সঙ্গে ব্রুকলিনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড এলাকার ফ্রিয়েল প্লেস-এ বসবাস করতো। নাঈম স্বল্পভাষী, লাজুক স্বভাবের কিশোর ছিলো। প্রচন্ড শখ ছিলো ফটোগ্রাফিতে।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

ব্রুকলীন টেকের বাংলাদেশী ছাত্র নাঈমের জানাজা অনুষ্ঠিত

প্রকাশের সময় : ০৩:০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৪

নিউইয়র্কের ঐতিহ্যবাহী ব্রুকলীন টেক-এর নাইথ গ্রেডে পড়–য়া শান্ত-শিষ্ট, ভদ্র, অমায়িক ব্যবহারের অধিকারী বাংলাদেশী কৃতি ছাত্র মোহাম্মদ নাঈম উদ্দিন (১৪) এর নামাজে জানাজা ২৩ নভেম্বর রোববার বাদ মাগরিব ব্রুকলীস্থ বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন। ২৪ নভেম্বর সোমবার সকালে লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল পার্কে তার মরদেহ দাফন করার কথা।
নাঈম উদ্দিনের নামাজে জানাজায় কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টারের সভাপতি হাজী আবুল হোসেন, চট্টগ্রাম সমিতি ইউএসএ’র সাবেক সভাপতি কাজী আজম, বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবু নাসের, সমিতির  সভাপতি এম এ রব, সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজু মিয়া, সহ স্থানীয় কাউন্সিলম্যান ব্রেক লেন্ডার, বরো প্রেসিডেন্ট এরিক আডমস, পুলিশ প্রিসেক্ট এর অফিসার আদেল রানা ও নাসের আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর বৃহস্প্রতিবার বেলা সাড়ে ৫টার দিকে ব্রুকলীনের ইস্ট সেভেন্থ এভিনিউ ও কটন এভিনিউ এলাকায় একটি মিনি ভ্যান চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয়। সে স্কুল থেকে বাসায় যাওয়ার সময় রাস্তা পার হচ্ছিল। ভ্যানটি তাকে আঘাত করে (হিট এন্ড রান) দ্রুত চলে যায়। ঘটনার পরপরই তাকে স্থানীয় মাইমনডিস হাসপাতালে ভর্তি করার পরপরই তার মাথায় জরুরী অপরাশেন করা হয়। অপারেশনের পরও তার অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে এবং রাত ১০টার দিকে সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে। তার দেশের বাড়ী নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায়। দূর্ঘটনার পাঁচ ঘন্টা পর সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তার অকাল মৃত্যুতে শোকাহত বাংলাদেশী কমিউনিটি। খবরটি মূলধারার চ্যানেল সেভেন ও ডেইলী নিউজ সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয়।
এদিকে নাইম উদ্দিনকে চাপা দেয়া মিনিভ্যানচালক ল্যান লরেন্ড (৭৮) নামের এক ব্রুকলীনবাসীকে আটক করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। ল্যান লরেন্ড পুলিশের কাছে বলেছেন, ঘটনা কিভাবে ঘটেছে তা তিনি জানেন না এবং তিনি নাঈমকে দেখতে পাননি। তবে দূর্ঘটনার সময় একটি শব্দ শুনেছেন। অভিযুক্ত ল্যান লরেন্ড ইতিমধ্যেই জামিন নিয়েছেন।
নিহত নাঈমের আতœীয় ফয়সাল কবীর মিডিয়াকে জানান, দূর্ঘটনার পর তিনি নাইমকে রাস্তায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন এবং নাইম দ্রুত গতিতে নি:শ্বাস নিচ্ছিলো এবং মাথায় প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তার অবস্থা গুরুতর দেখে সাথে সাথে ৯১১-এ কল দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স এনে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে তার মাথায় জরুরী অপারেশন করা হয়। তারপরও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
দূর্ঘটনার পর নাঈমের কাজিন মারুফ উদ্দিন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘হি ওয়াজ দ্য স্মার্টেস্ট পার্সন আই নো, হি ওয়াজ অ্যান আনক্রেডিবল পার্সন, হি ওয়াজ লাভড বাই এভিরিওয়ান, আই জাস্ট কান্ট বিলিভ দিজ হ্যাপেন্ড’। তিনি আরো বলেন, দ্য হার্ডেস্ট থিং ইজ নাও হিজ লিটল ব্রাদার ডাজন্ট হ্যাভ হিম টু লুক  আপ টু, হি ডাজন্ট হ্যাভ এ রোল মোডেল অ্যানিমোর, ইটস জাস্ট ট্যারেবল’।
নিহত নাঈমের পিতা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও মা নাজমা আখতার, কলেজে পড়ুয়া এক বড় বোন ও এক ছোট ভাইয়ের (৪) সঙ্গে ব্রুকলিনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড এলাকার ফ্রিয়েল প্লেস-এ বসবাস করতো। নাঈম স্বল্পভাষী, লাজুক স্বভাবের কিশোর ছিলো। প্রচন্ড শখ ছিলো ফটোগ্রাফিতে।