নিউইয়র্ক ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বৈশাখী মেলায় সতিন বিষয়ক সমস্যা : আরেক অনুষ্ঠানে পুলিশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০১৫
  • / ৬৭২ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষ্যে কমিউনিটিতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের ঢল নেমেছে। উইকেন্ড ছাড়াও উইক ডে-তেও ব্যাপকায়জনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলছে। নিউইয়র্ক ছাড়াও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন শহরে প্রবাসী বাংলাদেশীরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চলেছেন। বর্ণাঢ্য আয়োজনের এসব অনুষ্ঠানে প্রাণের উচ্ছাসের পাশাপাশি আনন্দে উদ্বেলিত সর্বস্তরের বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণ প্রবাসে এক টুকরো বাংলাদেশ তৈরী করছেন। যা অনেককেই দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে। এসব অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের আনন্দের শেষ নেই। রং বে রং-এর পোষাক, ঢাক-ঢোলের বাজনা, পিঠা উৎসব, নাচ-গান কি থাকছে না এতে। তারপরও কোন কোন অনুষ্ঠানে যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে না যে তা নয়।
নিউইয়র্কে গত সপ্তাহে খোলা মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেখা গেলো পান্তা-ইলিশ আর ডাল-ভর্তা ভাত পরিবেশন হচ্ছে। সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার নিচ্ছেন। যেনো বাংলাদেশের বৈশাখী উৎসব। তো শত মানুষের ভীড়ে একদিকে যেমন খাবার পরিবেশিত হচ্ছে, অপরদিকে এদিক-ওদিক বসে, বা দাঁড়িয়ে পান্তা-ইলিশ খাচ্ছেন আর গাল-গল্প করছেন। অনুষ্ঠানের অতিথিরাও একে অপরের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করছেন। এরই মধ্যে হঠাৎ কি হলো সবার দৃষ্টি গিয়ে পড়লো দুই মহিলার উপর। দেখা গেলো বাঙালী সাজের দুই বুধুর এক বধু অরেকজনের মুখে পান্তা-ইলিশ সাপটে দিলেন। পাল্টা ধাক্কা দিয়ে বসলেন আরেকজন। গর্জে উঠলেন দুজন। তাদের একজন পুলিশ কল করার হুমকী দিলেন। সাথে সাথে তৎপর হলেন আয়োজক নেতৃবৃন্দ। বুঝিয়ে-সুঝিয়ে নিবৃত করলেন তাদের। বড় ধরনের সমস্যা কেটে গেলো। কি থেকে কি হলো তৎক্ষনিকভাবে বুঝা না গেলেও পরবর্তীতে জানা গেলো এটা সতিন বিষয়ক অভ্যন্তরীন সমস্যা।
অপরদিকে গত সপ্তাহের নিউইয়কেই আয়োজিত আরেকটি বৈশাখের অনুষ্ঠানে ঘটলো পুলিশের উপস্থিতি। কে, কি কারণে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে পুলিশ। খোজ নিয়ে জানা গেলো কতিপয় বখাটে যুবক কুদৃষ্টি দিয়েছেন বাঙালী সাজে সজ্জিত সুন্দরী ললনাদের উপর। তাদের কেউ কেউ আজেবাজে টিজও করছেন। বিষয়টি অপ্রীতিকর পর্যায়ে পৌছার আগেই কে বা কারা কল করে পুলিশ। মূহুর্তেই ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সমঝোতায় পুনরায় ‘এমন পরিবশে’ সৃষ্টি না করার শর্তে পুলিশ কোন আইনী পদক্ষেপ না নিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।(সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

বৈশাখী মেলায় সতিন বিষয়ক সমস্যা : আরেক অনুষ্ঠানে পুলিশ

প্রকাশের সময় : ০২:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০১৫

নিউইয়র্ক: বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষ্যে কমিউনিটিতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের ঢল নেমেছে। উইকেন্ড ছাড়াও উইক ডে-তেও ব্যাপকায়জনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলছে। নিউইয়র্ক ছাড়াও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন শহরে প্রবাসী বাংলাদেশীরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চলেছেন। বর্ণাঢ্য আয়োজনের এসব অনুষ্ঠানে প্রাণের উচ্ছাসের পাশাপাশি আনন্দে উদ্বেলিত সর্বস্তরের বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণ প্রবাসে এক টুকরো বাংলাদেশ তৈরী করছেন। যা অনেককেই দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে। এসব অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের আনন্দের শেষ নেই। রং বে রং-এর পোষাক, ঢাক-ঢোলের বাজনা, পিঠা উৎসব, নাচ-গান কি থাকছে না এতে। তারপরও কোন কোন অনুষ্ঠানে যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে না যে তা নয়।
নিউইয়র্কে গত সপ্তাহে খোলা মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেখা গেলো পান্তা-ইলিশ আর ডাল-ভর্তা ভাত পরিবেশন হচ্ছে। সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার নিচ্ছেন। যেনো বাংলাদেশের বৈশাখী উৎসব। তো শত মানুষের ভীড়ে একদিকে যেমন খাবার পরিবেশিত হচ্ছে, অপরদিকে এদিক-ওদিক বসে, বা দাঁড়িয়ে পান্তা-ইলিশ খাচ্ছেন আর গাল-গল্প করছেন। অনুষ্ঠানের অতিথিরাও একে অপরের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করছেন। এরই মধ্যে হঠাৎ কি হলো সবার দৃষ্টি গিয়ে পড়লো দুই মহিলার উপর। দেখা গেলো বাঙালী সাজের দুই বুধুর এক বধু অরেকজনের মুখে পান্তা-ইলিশ সাপটে দিলেন। পাল্টা ধাক্কা দিয়ে বসলেন আরেকজন। গর্জে উঠলেন দুজন। তাদের একজন পুলিশ কল করার হুমকী দিলেন। সাথে সাথে তৎপর হলেন আয়োজক নেতৃবৃন্দ। বুঝিয়ে-সুঝিয়ে নিবৃত করলেন তাদের। বড় ধরনের সমস্যা কেটে গেলো। কি থেকে কি হলো তৎক্ষনিকভাবে বুঝা না গেলেও পরবর্তীতে জানা গেলো এটা সতিন বিষয়ক অভ্যন্তরীন সমস্যা।
অপরদিকে গত সপ্তাহের নিউইয়কেই আয়োজিত আরেকটি বৈশাখের অনুষ্ঠানে ঘটলো পুলিশের উপস্থিতি। কে, কি কারণে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে পুলিশ। খোজ নিয়ে জানা গেলো কতিপয় বখাটে যুবক কুদৃষ্টি দিয়েছেন বাঙালী সাজে সজ্জিত সুন্দরী ললনাদের উপর। তাদের কেউ কেউ আজেবাজে টিজও করছেন। বিষয়টি অপ্রীতিকর পর্যায়ে পৌছার আগেই কে বা কারা কল করে পুলিশ। মূহুর্তেই ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সমঝোতায় পুনরায় ‘এমন পরিবশে’ সৃষ্টি না করার শর্তে পুলিশ কোন আইনী পদক্ষেপ না নিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।(সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)