নিউইয়র্ক ১২:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিপা’র সাংবাদিক সম্মেলনে প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে নানা প্রশ্ন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:০২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মে ২০১৫
  • / ১১৭১ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: প্রবাসে বাংলাদেশ পারফর্মিং আর্টস (বিপা) গত ২০ বছরেরও অধিক সময় ধরে বাংলা সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশে যে ভূমিকা রাখছে তাকে পৃষ্ঠপোষকতা করার ব্যক্তি বা সংগঠনের তুলনায় যারা পদক বাণিজ্যের নামে বাংলা সংস্কৃতি ও গানকে ব্যবহার করে ‘টু-পাইস’ হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের পৃষ্ঠপোষকদের সংখ্যা অনেক বেশী। এই ধরণের বিতর্ক জমে উঠেছিলো গত বুধবার জ্যাকসন হাইটসে বিপা আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে। আগামী ১৭ মে এস্টোরয়িায় অনুষ্ঠিতব্য বিপা’র বাংলা বর্ষবরণ উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজিত এই সাংবাদিক সম্মেলনে বিপা’র পক্ষে এ্যানী ফেরদৌস ও সেলিমা আশরাফ সূচনা বক্তব্য রাখেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। গত ২৯ এপ্রিল বুধবার জ্যাকসন হাইটস্থ মামুন টিউটোরিয়ালে এই সাংবাদিক সম্মেলেন আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে এ্যানী ফেরদৌস বলেন, বিপা প্রতিবছরের মতো এবারও আগামী ১৭ মে রোববার সকাল ১১টা ধেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বৈাশাখী মেলা, প্যারেড ও বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে মনোরম সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করবে। এই অনুষ্ঠান হবে এস্টোরিয়ার সাউন্ড ভিউ মিলনায়তন ও এর চত্তরে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অন্যান্য দেশ ও সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্বকারী কয়েকটি সংগঠনও অংশ নেবে।
সেলিমা আশরাফ বলেন, বিপা গত ২০ বছরেরও অধিক সময় ধরে প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে শত চেষ্টা করলেও প্রবাসের বিত্তবানদের কাছ থেকে তেমন পৃষ্ঠপোষকতা পাননি। তওেব এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় কতিপয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিপাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এ্যানী ফেরদৌস জানান, ঐদিন সকাল ১১টায় মেলার উদ্বোধন করবেন বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও প্রবাসে সংস্কৃতি চর্চার পৃষ্ঠপোষক জনাব আনোয়ার হোসেন। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন উদ্বোধন করবেন উৎসব ডট কম-এর সিইও রায়হান জামান।
পরবর্তীতে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এনটিভি’র তাওহীদুল ইসলাম বিপার সাংঠনিক বিষয় এবং বিপা মেলায় অন্য সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনের অংশগ্রহণ যুক্তিযুক্ত কিনা প্রশ্ন করলে এ্যানী ফেরদৌস বলেন, বিপা জন্মের ৫/৬ বছরের মাথায় বিপা ছেড়ে কয়েকজন চলে গেলেও বিপা কর্মদক্ষতার মাধমে পরবর্তীতে অনেক শক্তিশালী হয়েছে। মূলধারার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিচ্ছে। তিনি বলেন, বিপা যেভাবে অন্যান্য সংস্কৃতি ও দেশের অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে সেভাবে বিপার অনুষ্ঠানেরও অন্যান্য সংস্কৃতির প্রতিনিধিদের অংশগ্রহনে নীতিবাচক কিছু আছে বলে তিনি মনে করেন না।
সাপ্তাহিক রানার-এর প্রতিনিধি সন্জীবন কুমার সরকার মেলা কিম্বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের জন্য কোন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে কি পাওয়া যায়নি। এর উত্তরে সেলিমা আশরাফ ও এ্যানী ফেরদৌস বলেন, বিপা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কমিউনিটির শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির সাথে সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট বর্গের দ্বারা মেলা, প্যারেড ও অনুষ্ঠানের উদ্বোন করিয়েছেন। এবারের অনুষ্ঠানমালার ব্যয় নির্বাহে স্পন্সরশীপ গ্রহণ করতে অনেকটা বাধ্য হয়েছি। বিপা’র আয় খুবই সীমিত। ফলে স্পন্সশীপ নেয়া ছাড়া আমাদের কোন উপায় ছিল না।
সাপ্তাহিক ঠিকানা’র প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ ফজলুর রহমানের ‘বিপা কি স্পন্সরদের কাছে মাথা বিক্রি করে দিয়েছে’ এমন এক প্রশ্নের উত্তরে এ্যানী ফেরদৌস বলেন, এই ধরনের ভাবনা-চিন্তার কোন সুযোগই নেই। বিপা তার নিজস্ব পরিকল্পনা এবং চিন্তা চেতনায় সকল অনুষ্ঠান পরিবেশন করে থাকে। স্পন্সরগণ বিপার কোন কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তারে কোন আগ্রহ দেখাননি বরং বিপা একটি ভালো অনুষ্ঠান কিভাবে উপহার দিতে পারে সেব্যাপারে আর্থিক ও বৈশয়িক সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়ছেন।
এরপর এটিএন বাংলা ইউএসএ’র বার্তা সম্পাদক দর্পণ কবীর প্রবাসে বিপার মতো সংগঠন যারা বাংলা সংস্কৃতি বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করছে তারা তুলনামূলকভাবে অপসংস্কৃতি বিস্তারে ঢালিউড অ্যাওয়ার্ডের মতো অনুষ্ঠানগুলো অনেক বেশী পৃষ্ঠপোষকতা কেন পায় এবং এনিয়ে প্রবাসের সংবাদ মাধ্যমগুলোর ভূমিকা কেন সরব নয় জানাতে চেয়ে প্রশ্ন তুললে মঞ্চে উপস্থিত বিপার এবারের মিডিয়া পার্টনার সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ বলেন, পৃথিবীর সর্বত্রই স্পন্সরদের চরিত্র এক। বাণিজ্যিক স্বার্থের কথা ভেবেই তারা মূলত: স্পন্সরশীপ প্রদান করেন। এক্ষেত্রে সংস্কৃতি চর্চায় যারা নিবেদিত তাদেরকে মিডিয়ার সহযোগিতা প্রদান করা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে কমিউনিটির বেশীরভাগ সংবাদপত্রই বিপার চেয়ে ঢালিউডের অনুষ্ঠান নিয়ে বেশী মাতামাতি করার বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি। এবিষয়ে কমিউনিটিতে বিতর্ক প্রয়োজন বলেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেক সাংবাদিক মন্তব্য করেন।(সাপ্তাহিক পরিচয়)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

বিপা’র সাংবাদিক সম্মেলনে প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে নানা প্রশ্ন

প্রকাশের সময় : ০২:০২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মে ২০১৫

নিউইয়র্ক: প্রবাসে বাংলাদেশ পারফর্মিং আর্টস (বিপা) গত ২০ বছরেরও অধিক সময় ধরে বাংলা সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশে যে ভূমিকা রাখছে তাকে পৃষ্ঠপোষকতা করার ব্যক্তি বা সংগঠনের তুলনায় যারা পদক বাণিজ্যের নামে বাংলা সংস্কৃতি ও গানকে ব্যবহার করে ‘টু-পাইস’ হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের পৃষ্ঠপোষকদের সংখ্যা অনেক বেশী। এই ধরণের বিতর্ক জমে উঠেছিলো গত বুধবার জ্যাকসন হাইটসে বিপা আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে। আগামী ১৭ মে এস্টোরয়িায় অনুষ্ঠিতব্য বিপা’র বাংলা বর্ষবরণ উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজিত এই সাংবাদিক সম্মেলনে বিপা’র পক্ষে এ্যানী ফেরদৌস ও সেলিমা আশরাফ সূচনা বক্তব্য রাখেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। গত ২৯ এপ্রিল বুধবার জ্যাকসন হাইটস্থ মামুন টিউটোরিয়ালে এই সাংবাদিক সম্মেলেন আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে এ্যানী ফেরদৌস বলেন, বিপা প্রতিবছরের মতো এবারও আগামী ১৭ মে রোববার সকাল ১১টা ধেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বৈাশাখী মেলা, প্যারেড ও বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে মনোরম সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করবে। এই অনুষ্ঠান হবে এস্টোরিয়ার সাউন্ড ভিউ মিলনায়তন ও এর চত্তরে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অন্যান্য দেশ ও সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্বকারী কয়েকটি সংগঠনও অংশ নেবে।
সেলিমা আশরাফ বলেন, বিপা গত ২০ বছরেরও অধিক সময় ধরে প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে শত চেষ্টা করলেও প্রবাসের বিত্তবানদের কাছ থেকে তেমন পৃষ্ঠপোষকতা পাননি। তওেব এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় কতিপয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিপাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এ্যানী ফেরদৌস জানান, ঐদিন সকাল ১১টায় মেলার উদ্বোধন করবেন বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও প্রবাসে সংস্কৃতি চর্চার পৃষ্ঠপোষক জনাব আনোয়ার হোসেন। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন উদ্বোধন করবেন উৎসব ডট কম-এর সিইও রায়হান জামান।
পরবর্তীতে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এনটিভি’র তাওহীদুল ইসলাম বিপার সাংঠনিক বিষয় এবং বিপা মেলায় অন্য সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনের অংশগ্রহণ যুক্তিযুক্ত কিনা প্রশ্ন করলে এ্যানী ফেরদৌস বলেন, বিপা জন্মের ৫/৬ বছরের মাথায় বিপা ছেড়ে কয়েকজন চলে গেলেও বিপা কর্মদক্ষতার মাধমে পরবর্তীতে অনেক শক্তিশালী হয়েছে। মূলধারার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিচ্ছে। তিনি বলেন, বিপা যেভাবে অন্যান্য সংস্কৃতি ও দেশের অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে সেভাবে বিপার অনুষ্ঠানেরও অন্যান্য সংস্কৃতির প্রতিনিধিদের অংশগ্রহনে নীতিবাচক কিছু আছে বলে তিনি মনে করেন না।
সাপ্তাহিক রানার-এর প্রতিনিধি সন্জীবন কুমার সরকার মেলা কিম্বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের জন্য কোন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে কি পাওয়া যায়নি। এর উত্তরে সেলিমা আশরাফ ও এ্যানী ফেরদৌস বলেন, বিপা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কমিউনিটির শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির সাথে সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট বর্গের দ্বারা মেলা, প্যারেড ও অনুষ্ঠানের উদ্বোন করিয়েছেন। এবারের অনুষ্ঠানমালার ব্যয় নির্বাহে স্পন্সরশীপ গ্রহণ করতে অনেকটা বাধ্য হয়েছি। বিপা’র আয় খুবই সীমিত। ফলে স্পন্সশীপ নেয়া ছাড়া আমাদের কোন উপায় ছিল না।
সাপ্তাহিক ঠিকানা’র প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ ফজলুর রহমানের ‘বিপা কি স্পন্সরদের কাছে মাথা বিক্রি করে দিয়েছে’ এমন এক প্রশ্নের উত্তরে এ্যানী ফেরদৌস বলেন, এই ধরনের ভাবনা-চিন্তার কোন সুযোগই নেই। বিপা তার নিজস্ব পরিকল্পনা এবং চিন্তা চেতনায় সকল অনুষ্ঠান পরিবেশন করে থাকে। স্পন্সরগণ বিপার কোন কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তারে কোন আগ্রহ দেখাননি বরং বিপা একটি ভালো অনুষ্ঠান কিভাবে উপহার দিতে পারে সেব্যাপারে আর্থিক ও বৈশয়িক সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়ছেন।
এরপর এটিএন বাংলা ইউএসএ’র বার্তা সম্পাদক দর্পণ কবীর প্রবাসে বিপার মতো সংগঠন যারা বাংলা সংস্কৃতি বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করছে তারা তুলনামূলকভাবে অপসংস্কৃতি বিস্তারে ঢালিউড অ্যাওয়ার্ডের মতো অনুষ্ঠানগুলো অনেক বেশী পৃষ্ঠপোষকতা কেন পায় এবং এনিয়ে প্রবাসের সংবাদ মাধ্যমগুলোর ভূমিকা কেন সরব নয় জানাতে চেয়ে প্রশ্ন তুললে মঞ্চে উপস্থিত বিপার এবারের মিডিয়া পার্টনার সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ বলেন, পৃথিবীর সর্বত্রই স্পন্সরদের চরিত্র এক। বাণিজ্যিক স্বার্থের কথা ভেবেই তারা মূলত: স্পন্সরশীপ প্রদান করেন। এক্ষেত্রে সংস্কৃতি চর্চায় যারা নিবেদিত তাদেরকে মিডিয়ার সহযোগিতা প্রদান করা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে কমিউনিটির বেশীরভাগ সংবাদপত্রই বিপার চেয়ে ঢালিউডের অনুষ্ঠান নিয়ে বেশী মাতামাতি করার বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি। এবিষয়ে কমিউনিটিতে বিতর্ক প্রয়োজন বলেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেক সাংবাদিক মন্তব্য করেন।(সাপ্তাহিক পরিচয়)