বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন ২৩ অক্টোব রোববার : শেয়ানে শেয়ানে লড়াই : ভোটার ১৮ হাজার ৫৫১জন : কেন্দ্র ৫টি : শতাধিক নিরাপত্তা রক্ষী
- প্রকাশের সময় : ১০:৩৫:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০১৬
- / ৮৪৬ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক নিউইয়র্ক’র কার্যকরী পরিষদের দ্বি-বার্ষিক (২০১৭-২০১৮) নির্বাচন ২৩ অক্টোবর রোববার। শ্বাসরুদ্ধকর এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই প্যানেল ‘কুনু-আজম’ ও ‘কামাল-রুহুল’ ছাড়াও সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলে নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদের ১৯ পদে প্রার্থী ৩৯জন। এরমধ্যে সভাপতি পদে প্রার্থী তিনজন। সবমিলিয়ে নানা কারণেই সোসাইটির এবারের নির্বাচন আলোচিত নির্বাচনে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনী ঘিরে প্রার্থীদের প্রচারণা তুঙ্গে। সিটির জ্যামাইকা থেকে ম্যানহাটান আর ব্রুকলীন থেকে ব্রঙ্কস পর্যন্ত চলছে এই প্রচারণা। দুই প্যানেল সহ প্রার্থীদের রং বে রং-এর পোষ্টারে ছেয়ে গেছে বাংলাদেশী অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকা, হোটেল-রেস্তোরা আর গ্রোসারী স্টোর। উভয় প্যানেলের সর্বশেষ পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হলো রোববার। এদিন ‘কুনু-আজম’ প্যানেলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয় উডসাইডস্থ কুইন্স প্যালেসে আর ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয় জ্যাকসন হাইটস্থ নান্দুস পার্টি হলে। এদিকে ফেসবুক সহ বিভিন্ন অনলাইনেও চলভে প্রাথীৃওদর ব্যাপক প্রচারণা। অপরদিকে নির্বাচন ঘিরে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা আর ভোটের হিসাব-নিকাশ। কমিউনিটির সচেতন মহলের মতে এবারের সোসাইটির নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। কেননা, উভয় প্যানেলেই বিভিন্ন পদে একাধিক বলিষ্ঠ প্রার্থী রয়েছেন। তবে সোসাইটির নির্বাচনে লড়াই হবে শেয়ানে শেয়ানে।
বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে এবার ভোটার হচ্ছেন সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৫৫১ জন। সিটির ৫টি নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- কুইন্সের গুলশান ট্যারেস বা ‘ঢাকা ক্লাব’, ব্রুকলীনের পাঞ্জাব হল, ওজন পার্কের মদিনা হল, ব্রঙ্কসের গোল্ডেন প্যালেস। এছাড়া জ্যামাইকাতেও একটি ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে। কমিশনের পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনায় ৬৩জন সিকিউরিটি ছাড়াও ৫৫জন পুলিং অফিসার, ১০১ জন এজেন্ট নিয়োজিত থাকবেন। ৫টি ভোট কেন্দ্রে ৬টি মেশিনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এরমধ্যে উডসাইড কেন্দ্রে থাকবে ২টি মেশিন। এসব মেশিন ব্যবহারের জন্য ৩২জন অপারেটর থাকবেন। এছাড়াও ৬টি কম্পিউটারের মাধ্যমেও ভোট গ্রহণ করা হবে। এজন্য ৬জন অপারেটর থাকবেন।
বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘কুনু-আজম’ প্যানেলের নির্বাচনী শ্লোগান হচ্ছে- ‘সৃজনশীল, যোগ্য, সৎ, গতিশীল নেতৃত্বের প্রত্যাশায়’। এই প্যানেলের নির্বাচনী এজেন্ডার মধ্যে রয়েছে: ১.বাংলাদেশ সোসাইটিকে আরো গ্রহণযোগ্য, গণমূখী, সর্বজনীন করে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সেবা প্রদান। ২.বাংলাদেশ ভবন বা কমিউনিটি সেন্টার স্থাপন। ৩.নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার, বাংলাদেশ ডে প্যারেড উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ ও সিটি হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালন অব্যাহত রাখা। ৪.গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে প্রবাসীদের সেতুবন্ধুন রচনা করে সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট থাকা। ৫.প্রবাসীদের মূলধারার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত করে ফেডারেল, ষ্টেট ও সিটি হলের সকল সুযোগ-সুবিধা আদায়ে কাজ করা এবং ইমিগ্রেশন সহ সামাজিক নিরাপত্তার জন্য সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ। ৬.প্রবাসীদের স্বার্থে সকল আঞ্চলিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া সংগঠন, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তাদেরকে সোসাইটির সাথে সম্পৃক্ত করে সোসাইটিকে আরো গতিশীল এবং ৭.নতুন প্রজন্মের জন্য বাংলা শিক্ষা কার্যক্রম ও ফ্রি আইটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু এবং বাংলাদেশী মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিযোগিতামূলক বৃত্তি প্রদান করে মেধা বিকাশে সহযোগিতা করা।
সোসাইটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলের নির্বাচনী শ্লোগান হচ্ছে- ‘ঐক্যবদ্ধ কমিউনিটি ও মূলধারায় অবস্থান সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে জণকল্যানে পরিক্ষিত সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সর্বজনীন পরিষদ’। এই প্যানেলের নির্বাচনী এজেন্ডার মধ্যে রয়েছে: ১. নির্বাচিত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে সদস্য ফি ১০ ডলারের স্থলে ৫ডলার নির্ধারণ। ২. বয়স্ক শিক্ষা, বাংলা শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা ও ইমিগ্রেশনের জন্য সোসাইটির শাখা অফিস স্থাপন। ৩. মূলধারায় বাংলাদেশীদের সম্পৃক্ত করতে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ। ৪. বাংলাদেশীদের জন্য ফেডারেল, ষ্টেট ও সিটি প্রশাসনে চাকুরী, কর্মসংস্থান, চিকিৎসা ও ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা আদায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ। ৫. আঞ্চলিক সংগঠনের সমন্বয়ে ‘প্রবাসী কল্যাণ ফান্ড’ গঠন ও ‘লিগ্যাল এইড সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা। ৬. প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিরাপত্তা, সম্পত্তি রক্ষা সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আদায়ে বাংলাদেশ সরকারের ফলপ্রসু আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ। ৭. নিউইয়র্ক-ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে বিমান চালুর ব্যবস্থা। ৮. বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ সমস্যার সমাধানের জন্য জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সাথে জোর লবিং-এর ব্যবস্থা এবং দেশের সকল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা। ৯. বাংলাদেশ লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা ছাড়াও নতুন প্রজন্মের জন্য প্রতিযোগিতামূলক বৃত্তি প্রদান ও মেধা বিকাশের উদ্যোগ গ্রহণ। ১০. স্থায়ী বাংলাদেশ ভবন ও শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা, ডে প্যারেড আয়োজন এবং সোসাইটিকে জবাবদিহিমূলক বাংলাদেশী পার্লামেন্টে রূপান্তর। ১১. অনলাইনে সদস্যপদ গ্রহণ ও সহজকরণ। ১২. সোসাইটির সকল কর্মকান্ডে সাবেক কর্মকর্তাদের সম্পৃক্তকরণ এবং তাদের অবদান সংরক্ষণ। ১৩. হেইট ক্রাইম প্রতিরোধ এবং এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সুবিচার ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের পদক্ষেপ। ১৪. নবাগত প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য ‘ওয়েলকাম সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা ও চাকুরীর ব্যবস্থা এবং ১৫. ডাটাবেজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করার জন্য তথ্যবহুল ওয়েবসাইট চালুর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ।
এছাড়া সভাপতি পদে একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান চৌধুরী ‘আপনার একটি ভোট সোসাইটির নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে পারে’ শ্লোগান নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার সমর্থকরা বলছেন তিনি একজন সৃজনশীল, যোগ্য, সৎ, গতিশীল ও সমাজসেবী’। তার নির্বাচনী এজেন্ডার মধ্যে রয়েছে: স্থায়ী শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশ ভবন প্রতিষ্ঠা, লিগ্যাল সার্ভিসের ব্যবস্থা (ইমিগ্রেশন ও বিবিধ), মূলধারার সাথে বাংলাদেশীদের সুসম্পর্ক জোরদার, বাংলা স্কুল পুনরায় চালু, সোসাইটির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ডে প্যারেড আয়োজন, সদস্য সংগ্রহ পদ্ধতি পরিবর্তন এবং মেধাবী ও নতুন প্রজন্মদের সোসাইটির নেতৃত্বে সম্পৃক্তকরণ।
‘কুনু-আজম’ প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন: সভাপতি- আজমল হোসেন কুনু, সিনিয়র সহ সভাপতি- মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, সহ সভাপতি- শফি আলম লাল, সাধারণ সম্পাদক- কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, কোষাধ্যক্ষ- নিশান রহিম, সহ সাধারণ সম্পাদক- মফিজুল ইসলাম ভুইয়া রুমি, সাংগঠনিক সম্পাদক- এ.কে.এম রফিকুল ইসলাম ডালিম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক- মোহাম্মদ সেলিম ইব্রাহিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক- মোহাম্মদ রিজু, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক- মোহাম্মদ খান টিপু, সাহিত্য সম্পাদক- শেখ হায়দার আলী, ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক- স¤্রাট হোসেন এমিলি, স্কুল ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক- ওয়াহিদ কাজী এলিন, কার্যকরী পরিষদ সদস্য- কাজী তোফায়েল ইসলাম, সরোয়ার খান বাবু, জামাল উদ্দিন, এমডি আশ্রাব আলী খান লিটন, আবুল কে আকন্দ ও শাহনাজ আলম লিপি।
‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন: সভাপতি- কামাল আহমেদ, সিনিয়র সহ সভাপতি- আব্দুর রহিম হাওলাদার, সহ সভাপতি- আ. খালেক খায়ের, সাধারণ সম্পাদক- মোহাম্মদ রুহুল আমিন সিদ্দীকি, কোষাধ্যক্ষ- মোহাম্মদ আলী, সহ সাধারণ সম্পাদক- সৈয়দ এমকে জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক- আবুল কালাম ভুইয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক- মনিকা রায়, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক- নাদির এ আইয়ুব, সাহিত্য সম্পাদক- নাসির উদ্দীন আহমদ, ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক- মোহাম্মদ এম হোসেন, স্কুল ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক- আহসান হাবিব, প্রচার সম্পাদক- সিরাজুল হক জালাল এবং কার্যকরী পরিষদ সদস্য- মোহাম্মদ সাদি মিন্টু, আবুল কাসেম চৌধুরী, ফারহান চৌধুরী, মোহাম্মদ আজাদ বাকির, মাইনুদ্দীন মাহবুব ও মইনুল ইসলাম।
আরো উল্লেখ্য, সোসাইটির পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সৈয়দ টিপু সুলতান। কমিশনের সদস্যরা হলেন- আব্দুল হাকিম, আনোয়ার হোসেন, জামান তপন ও ইউনুস সরকার।
সরেজমিন রিপোর্ট: কমিউনিটির মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশ সোসাইটির আসন্ন নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লাড়াইয়ের সম্ভাবনা রেেয়ছে। কেননা, স্বতন্ত্র সভাপতি পদপ্রার্থী ছাড়াও দুই প্যানেলে রয়েছে শক্তিশালী প্রার্থী। বিশেষ করে সভাপতি পদে একই এলাকার দুই প্রার্থী যথাক্রমে সোসাইটির বর্তমান সভাপতি আজমল হোসেন কুনু ও সাবেক সভাপতি কামাল আহমেদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় গত নির্বাচনের মতো এবারো ভিন্নমাত্রা যোগ হয়েছে প্রচার-প্রচারণায়। উভয়ের রয়েছে নিজ এলাকার বৃহৎ সামাজিক সংগঠন আর সোসাইটিকে নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতা। মোর্দা কথা দুই প্যানেলের সকল প্রার্থীরই রয়েছে কোন না কোন সংগঠনে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা এবং অধিকাংশই কমিউনিটির পরিচিত মুখ।
স্বতন্ত্র সভাপতি পদপ্রার্থী ওসমান চৌধুরীও কমিউনিটির পরিচিত মুখ, সোসাইটির বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনি। মূলধারার রাজনীতিতে সক্রিয় ওসমান চৌধুরীর সততার দৃষ্টান্ত সর্বমহলে প্রশংসিত।
অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদের দুই প্রার্থী যথাক্রমে কাজী আজম ও রুহুল আমীন সিদ্দিকী উভয়েরই রয়েছে নিজ এলাকার সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি সোসাইটিকে নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতা।
সিনিয়র সহ সভাপতি পদপ্রার্থীদ্বয় আব্দুর রহিম হাওলাদার ও শাহ নেওয়াজ, সহ সভাপতি পদপ্রার্থীদ্বয় সাফি আলাম (লাল সফি) ও আব্দুল খালেক খায়ের ছাড়াও কোষাধ্যক্ষ পদের দুই প্রার্থী যথাক্রমে সোসাইটির বর্তমান কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ নিশান রহীম দুজনই শক্তিশালী প্রার্থী।
সহ সাধারণ সম্পাদক পদের দুই প্রার্থী যথাক্রমে সৈয়দ এম কে জামান ও মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়া উভয়েই সোসাইটির বর্তমান কর্মকর্তা।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদের দুই প্রার্থী যথাক্রমে রফিকুল ইসলাম ডালিম ও আবুল কালাম ভূঁইয়া উভয়ই তরুণ।
সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদের দুই প্রার্থী কমিউনিটির পরিচিত শিল্পী মনিকা রায় ও সেলিম ইব্রাহীম। মনিকা রায় সোসাইটির বর্তমান সাংস্কৃতিক সম্পাদক। অপরদিকে কমিউনিটিতে সেলিম ইব্রাহীমের পরিচিতিও কম না।
জনসংযোগ ও প্রচার সম্পাদক পদে লড়াই হতে যাচ্ছে প্রবীণের সাথে নবীনের। এই পদের প্রার্থী সিরাজুল হক জামাল সোসাইটির বর্তমান কর্মকর্তা। এই পদের অপর প্রার্থী তরুণ সংগঠক, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী রিজু মোহাম্মদ সোসাইটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একেবারেই নতুন হলেও কমিউনিটির পরিচিত মুখ। জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি আর আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের কর্মকর্তা হিসেবে রিজুর রয়েছে বাড়তি পরিচিতি। ফলে এই পদের নির্বাচনের দিকে অনেকেরই দৃষ্টি সুদৃঢ়। জয়ের পাল্লা রিজুর দিকে বলেই তার সমর্থকদের দাবী।
সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদেও চলবে সোসাইটিতে নবাগত মোহাম্মদ টিপু খান আর বর্তমান কর্মকর্তা নাদির এ খান-এর যুদ্ধ।
সাহিত্য সম্পাদক পদেও লড়াই হচ্ছে সোসাইটিতে নবাগত শেখ হায়দার আলী আর বর্তমান কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদের মধ্যে।
সোসাইটির আসন্ন নির্বাচনে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক পদের নির্বাচন। এই পদে বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কৃতি ফুটবলার সম্রাট হোসেন এমিলির সাথে লড়ছেন নতুন মুখ মো: নওশাদ হোসেন।
স্কুল ও শিক্ষা সম্পাদক পদেও লড়াই হচ্ছে সোসাইটির বর্তমান কর্মকর্তা ওয়াহিদ কাজী এলিন আর নবাগত আহসান হাবিবের মধ্যে।
এছাড়া কার্যকরী পরিষদের সদস্যদের মধ্যে সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের মধ্যে কাজী তোফায়েল ইসলাম, মো: সাদী মিন্টু, আবুল কাশেম চৌধুরী, ফারহানা চৌধুরী, মো: আজাদ বাকের ছাড়াও নবাগতদের মধ্যে লড়ছেন মো: জসিম উদ্দিন, আশরাফ আলী খান লিটন, আবুল খায়ের আকন্দ, ডা. শাহনাজ, মাহবুব উদ্দিন (মাহবুব) ও মঈনুল ইসলাম।