বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন : সাংবাদিক সম্মেলনে ইসি
- প্রকাশের সময় : ১০:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৬
- / ৫৯৭ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের ‘মাদার সংগঠন’ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র নির্বাচনে এবার ভোটার হচ্ছেন সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৫৫১ জন। সিটির ৫টি নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- কুইন্সের গুলশান ট্যারেস (সাবেক ঢাকা ক্লাব), ব্রুকলীন (পিএস ১৭৯), ওজন পার্ক (মদিনা হল), ব্রঙ্কস (জে এইচ এস/পিএস ১২৫)। এছাড়া জ্যামাইকাতেও (অর্কা পার্টি সেন্টার) একটি ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে। কমিশনের পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনায় ৬৩জন সিকিউরিটি ছাড়াও ৫৫জন পুলিং অফিসার, ১০১ জন পোলিং এজেন্ট নিয়োজিত থাকবেন। এরমধ্যে দুটি প্যানেলের ৪৫জন করে ৯০জন আর স্বতন্ত্র সভাপতি প্রার্থীর পক্ষে ১১ জন এজেন্ট থাকবেন। ৫টি ভোট কেন্দ্রে ৬টি মেশিনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এরমধ্যে উডসাইড কেন্দ্রে থাকবে ২টি মেশিন। এসব মেশিন ব্যবহারের জন্য ৩২জন অপারেটর থাকবেন। এছাড়াও ৬টি কম্পিউটারের মাধ্যমেও ভোট গ্রহণ করা হবে। এজন্য ৬জন অপারেটর থাকবেন। এক সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এসব তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, ২৩ অক্টোবর রোববার সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের দ্বি-বার্ষিক (২০১৭-২০১৮) নির্বাচন। এই নির্বাচনে ‘কুনু-আজম’ ও ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেল ছাড়াও সভাপতি পদে আরো একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ সোসাইটির ১৯টি পদে ৩৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। খবর ইউএনএ’র।
সিটির এলমার্স্টস্থ সোসাইটির নিজস্ব কার্যালয়ে ১৬ অক্টোবর রোববার দুপুরে এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজ করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সৈয়দ টিপু সুলতান। এসময় নির্বাচন কমিশনের সদস্য যথাক্রমে মোহাম্মদ এ হাকিম মিয়া, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ জামান তপন ও ইউনুছ সরকার এবং প্রিসাইডিং অফিসার সাইফ আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতান লিখিত বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনকে স্বচ্ছ, সুন্দর ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে কমিশনের পক্ষ থেকে সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কমিশন দুবার সকল প্রার্থীর সাথে নির্বাচন সংক্রান্ত সকল পরামর্শ, অনুযোগ, অভিযোগ আমলে নিয়ে মত বিনিময় করেছে। প্রতিবার সকল প্রার্থী, প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমানভাবে মূল্যায়ণও করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সকল প্রার্থীর অধিকার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিবকর। সৈয়দ টিপু সুলতান বলেন, সর্বার্ধিক সংখ্যক ভোটারের কথা চিন্তা করে প্রত্যেকটি কেন্দ্রে যথাপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যথেষ্ট সংখ্যক ভোটিং মেশিন, পুলিং অফিসার, পুলিং এজেন্ট, মেশিনম্যান নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কোন ভোটার আইডি ছাড়া ভোট দিতে পারবেন না। ৫টি ভোট কেন্দ্রেই আইডি নির্ধারক মেশিন ও অদৃশ্যকালীর ব্যবস্থা থাকবে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া স্ব স্ব ভোটারকে জিপকোড অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে হবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তিনি সকল মিডিয়া সহ সকল প্রবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে সৈয়দ টিপু সুলতান বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনের একাধিকবার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন তথা অতীতে অভিজ্ঞতার আলোকে এবার সর্বাধিক ভোটারের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনাই আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সবার সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নির্বাচনী ব্যয় ৭০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার স্বার্থে যা করার তাই করা হবে এবং উডসাইড কেন্দ্র থেকে সকল ভোট গণনা শেষে প্রকাশ করা হবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সোসাইটির আজীবন সদস্য, বয়ষ্ক ও ডিজেবল ভোটার আর কোলে বাচ্চা বহনকারী ভোটারদের ব্যাপারে মানবিক বিষয় বিবেচনা করে তাদেরকে সহজে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তর সৈয়দ টিপু সুলতান বলেন, সোসাইটির ট্রাষ্টি বোর্ডের সদস্যদের কোন প্যানেলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেয়া বা প্যানেলের পক্ষে কাজ করা নৈতিকরা বিরোধী। তিনি কঠোর ভাষায় বলেন, এসব বন্ধ করা উচিৎ। তবে সোসাইটির গঠনতন্ত্রে এব্যাপারে স্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা নেই বলে নির্বাচন কমিশন তাদের (ট্রাষ্টি বোর্ড সদস্য) বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
সাংবাদিক সম্মেলনে সৈয়দ টিপু সুলতান ছাড়াও নির্বাচন কমিশনের সদস্যরাও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।