নিউইয়র্ক ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে জিয়ার মতো দেশপ্রেমিক নেতার বড় প্রয়োজন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৫৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০১৫
  • / ৮৬৮ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর দেশের এক ক্রান্তিকালে সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে হয়। শুধু তাই নয়, মহান স্বাধীনতার যুদ্ধসহ দেশের সকল সঙ্কটেই জিয়ার ভূমিকা প্রমাণ করে তিনি ছিলেন ঈমানদার সাচ্চা দেশ প্রেমিক জাতীয়তাবাদী নেতা। বক্তারা বলেন, আজ বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে জিয়ার মতো দেশপ্রেমিক নেতা বড় প্রয়োজন।
সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ হাটবাজার পার্টি হলে ৭ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় আয়েজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা.মজিবুর রহমান মজুমদার। সভামঞ্চে উপবিষ্ট বিএনপি নেতা কামাল সাঈদ মোহন, ইলিয়াস আহমেদ মাস্টার, মনজুর আহমেদ চৌধুরী, রাব্বী মোহাম্মদ খোকন, সফি আলম লাল ও এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি ছাড়াও সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মমিনুল হক, আবুল কাশেম, বাকির আজাদ, ডা. জাহিদ দেওয়ান শামীম, ডা. তারেক জামান,বদরুল হক আজাদ প্রমুখ।
USA BNP (Dr. Mujib)-2পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়। সভা পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সহ সভাপতি সামসুল ইসলাম মজনু।
সভায় কামাল সাঈদ মোহন সংক্ষেপে স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাসদ, গণবাহিনী ও বাকশাল প্রতিষ্ঠা, মুজিব হত্যা আর ৭ নভেম্বরের জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, জাতির সকল ক্রান্তিকালে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার কারণেই জিয়াউর রহমানকে সিদ্ধান্ত ও দায়িত্ব নিতে হয়। তিনি বলেন, ওআইসি সম্মেলনে যোগদানের কারণেই শেখ মুজিব হত্যার টার্গেট হন। আর এতেই বুঝা যায় কারা মুজিবকে হত্যা করেছেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ম্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা ছিলো একথা যেমন সত্য, তেমনী ভারত তার স্বার্থ ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষ নেয়নি সেটাও সত্য। তিনি বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প আজ বিপর্যয়ের মুখোমুখি। আর তাই ভারতীয় আধিপত্য ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐকবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে।
রাব্বী মোহাম্মদ খোকন জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতির পর বিএনপি’র রাজনীতিতে যোদানের উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরে বলেন, ৭১-এর চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে বর্তমান বাংলাদেশে। ৭৫-এ এক রাষ্ট্র নায়ক অবরুদ্ধ ছিলেন, আর আজ গোটা দেশটাই অবরুদ্ধ। তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, দল করলেই যে বড় বড় পদে থাকতে হবে, পদের জন্য গ্রুপিং করতে হবে এমন নয়। পদে না থেকেও দলের জন্য, দেশের জন্য কাজ করা যায়। তিনি পদ-পদবী ভুলে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সকল নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জিয়া ছিলেন ঈমানদার সাচ্চা দেশ প্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক। আর বিএনপি হচ্ছে দেশ প্রেমিক দল, বিএনপির শক্তি বাংলাদেশের জনগণ। দেশের অন্যদলগুলোর শক্তি অন্য জায়গায়। বাংলাদেশে ১৯ লাখ ভারতীয় কাজ করছে দাবী করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের আসল রোগ হচ্ছে ভারত। আর জাসদ-এর অর্থ যোগানদাতাও হচ্ছে ভারত। দেশকে রক্ষা করতে হলে দেশপ্রেমিক জনগণের ঐক্য দরকার। তিনি সকল ভেদাভেদ ভুলে জিয়ার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, এমদাদুল হক কামাল, মাহমুদুর রহমান চৌধুরী, গিয়াস মজুমদার, সুরুজ্জামান, ফারুক হোসেন মজুমদার, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. মাহবুবুর রহমান লিপন, শরীফ চৌধুরী, নাসির উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সভার শেষ পর্যায়ে সভাপতির বক্তব্য চলাকালে তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কমিটি ইউএসএ’র সভাপতি পারভেজ সাজ্জাদের নেতৃত্বে ১০/১৫জন বিএনপির কর্মী মিছিল সহকারে সভায় যোগ দিয়ে ভিন্ন আমেজ সৃষ্টি করেন। এসময় তারা বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। যা উপস্থিত সবার দৃষ্টি কাড়ে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে জিয়ার মতো দেশপ্রেমিক নেতার বড় প্রয়োজন

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০১৫

নিউইয়র্ক: ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর দেশের এক ক্রান্তিকালে সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে হয়। শুধু তাই নয়, মহান স্বাধীনতার যুদ্ধসহ দেশের সকল সঙ্কটেই জিয়ার ভূমিকা প্রমাণ করে তিনি ছিলেন ঈমানদার সাচ্চা দেশ প্রেমিক জাতীয়তাবাদী নেতা। বক্তারা বলেন, আজ বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে জিয়ার মতো দেশপ্রেমিক নেতা বড় প্রয়োজন।
সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ হাটবাজার পার্টি হলে ৭ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় আয়েজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা.মজিবুর রহমান মজুমদার। সভামঞ্চে উপবিষ্ট বিএনপি নেতা কামাল সাঈদ মোহন, ইলিয়াস আহমেদ মাস্টার, মনজুর আহমেদ চৌধুরী, রাব্বী মোহাম্মদ খোকন, সফি আলম লাল ও এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি ছাড়াও সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মমিনুল হক, আবুল কাশেম, বাকির আজাদ, ডা. জাহিদ দেওয়ান শামীম, ডা. তারেক জামান,বদরুল হক আজাদ প্রমুখ।
USA BNP (Dr. Mujib)-2পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়। সভা পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সহ সভাপতি সামসুল ইসলাম মজনু।
সভায় কামাল সাঈদ মোহন সংক্ষেপে স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাসদ, গণবাহিনী ও বাকশাল প্রতিষ্ঠা, মুজিব হত্যা আর ৭ নভেম্বরের জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, জাতির সকল ক্রান্তিকালে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার কারণেই জিয়াউর রহমানকে সিদ্ধান্ত ও দায়িত্ব নিতে হয়। তিনি বলেন, ওআইসি সম্মেলনে যোগদানের কারণেই শেখ মুজিব হত্যার টার্গেট হন। আর এতেই বুঝা যায় কারা মুজিবকে হত্যা করেছেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ম্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা ছিলো একথা যেমন সত্য, তেমনী ভারত তার স্বার্থ ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষ নেয়নি সেটাও সত্য। তিনি বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প আজ বিপর্যয়ের মুখোমুখি। আর তাই ভারতীয় আধিপত্য ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐকবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে।
রাব্বী মোহাম্মদ খোকন জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতির পর বিএনপি’র রাজনীতিতে যোদানের উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরে বলেন, ৭১-এর চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে বর্তমান বাংলাদেশে। ৭৫-এ এক রাষ্ট্র নায়ক অবরুদ্ধ ছিলেন, আর আজ গোটা দেশটাই অবরুদ্ধ। তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, দল করলেই যে বড় বড় পদে থাকতে হবে, পদের জন্য গ্রুপিং করতে হবে এমন নয়। পদে না থেকেও দলের জন্য, দেশের জন্য কাজ করা যায়। তিনি পদ-পদবী ভুলে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সকল নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জিয়া ছিলেন ঈমানদার সাচ্চা দেশ প্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক। আর বিএনপি হচ্ছে দেশ প্রেমিক দল, বিএনপির শক্তি বাংলাদেশের জনগণ। দেশের অন্যদলগুলোর শক্তি অন্য জায়গায়। বাংলাদেশে ১৯ লাখ ভারতীয় কাজ করছে দাবী করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের আসল রোগ হচ্ছে ভারত। আর জাসদ-এর অর্থ যোগানদাতাও হচ্ছে ভারত। দেশকে রক্ষা করতে হলে দেশপ্রেমিক জনগণের ঐক্য দরকার। তিনি সকল ভেদাভেদ ভুলে জিয়ার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, এমদাদুল হক কামাল, মাহমুদুর রহমান চৌধুরী, গিয়াস মজুমদার, সুরুজ্জামান, ফারুক হোসেন মজুমদার, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. মাহবুবুর রহমান লিপন, শরীফ চৌধুরী, নাসির উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সভার শেষ পর্যায়ে সভাপতির বক্তব্য চলাকালে তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কমিটি ইউএসএ’র সভাপতি পারভেজ সাজ্জাদের নেতৃত্বে ১০/১৫জন বিএনপির কর্মী মিছিল সহকারে সভায় যোগ দিয়ে ভিন্ন আমেজ সৃষ্টি করেন। এসময় তারা বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। যা উপস্থিত সবার দৃষ্টি কাড়ে।