নিউইয়র্ক ১২:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের অনন্য দৃষ্টান্ত : ঐক্যবদ্ধ হলো জেবিবিএ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৭:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • / ৫৮৯ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: অবশেষে জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন (জেবিবিএ) ঐক্যবদ্ধ হলো। ফলে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো। নিউইয়র্কে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশী ও ব্যবসায়ীদের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত জ্যাসকন হাইটস। এই জ্যাকসন হাইটসের ব্যবসায়ী বাংলাদেশীদের শীর্ষ সংগঠন জেবিবিএ। ১৯৯৭ সালে জেবিবিএ’র প্রতিষ্ঠার সময় এর নামকরণ করা হয় ‘জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন ইনক’। প্রবাসে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সংগঠন হিসেবে জেবিবিএ কমিউনিটি ও মূলধারায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ছাড়াও পথমেলা আয়োজন করে সবার দৃষ্টিও আকর্ষণ করে। কিন্তু নেতৃত্বের কোন্দল আর কতিপয় ব্যবসায়ীর অনাকাংখীত কর্মকান্ড এবং সর্বশেষ ২০১৩ সালের জুন মাসে ভোটার তালিকা প্রণয়ন নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে জেবিবিএ।
বিভক্তির পর ব্যবসায়ীদের একটি অংশ জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন ইনক আর অপর অংশ জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন নিউইয়র্ক ইনক নামে বিভক্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু এই বিভক্তিতে উভয় সংগঠনের সাধারণ ব্যবসায়ীরা অস্বস্তিবোধ করতে থাকেন। পাশাপাশি উভয় জেবিবিএ’র কর্মকর্তাদের মধ্যে নেতৃত্বের কোন্দল, বিভেদ-বিভক্তিও বাড়তে থাকে। চলে পাল্টা-পাল্টি সভা-সমাবেশ, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। এমনি প্রেক্ষাপটে সাধারণ ব্যবসায়ীদের দাবীর প্রেক্ষিতে জেবিবিএ’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র কর্মকর্তাদের উদ্যোগে ঐক্যে প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং সর্বশেষ গত ২৬ আগষ্ট উভয় সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হন এবং ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এই কমিটিই দায়িত্ব পালন করবে। আহ্বায়ক কমিটির পাঁচজনই সদস্য এবং তারা সবাই সমান পদমর্যাদার। এই কমিটিতে থাকবে না কোন আহ্বায়ক বা সভাপতি বা কোন মেম্বার সেক্রেটারী। খবর ইউএনএ’র।
জেবিবিএ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে মিডিয়াকে জানাতে ‘বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন অব নিউইয়র্ক ইনক’র ব্যানারে নব গঠিত আহ্বায়ক কমিটির পক্ষ থেকে গত ২৮ আগষ্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটস্থ পালকি পার্টি সেন্টারে ‘মিট দ্য প্রেস’-এর আয়োজন করা হয়। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য সাঈদ রহমান মান্নানের সভাপতিত্বে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য যথাক্রমে কাজী মন্টু, মাহবুবুর রহমান, এস. রহমান ও পারভেজ কাজী মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন। এছাড়া বিভক্ত দুই জেবিবিএ’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে জেবিবিএ’র সাবেক কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেবিবিএ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাইদ রহমান মান্নান। এরপর দুই জেবিবিএ’র সভাপতিদ্বয় মোহাম্মদ মহসীন মিয়া ও জাকারিয়া মাসুদ জিকু এবং সাধারণ সম্পাদকদ্বয় আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম ও তারেক হাসান খান। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কাজী মন্টু। এর আগে সাংবাদিকদের স্বাগত জানান জেবিবিএ’র ঐক্য প্রক্রিয়ার অন্যতম উদ্যোক্তা হোসেন সোহেল রানাসহ আবহ্বায়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়: বিভক্ত দুই কমিটির বিলুপ্তি ঘটিয়ে পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি আগামী চার মাসের জন্য জেবিবিএ’র দায়িত্ব পালন করবে। এই সময়ের মধ্যে নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন কমিটি উপহার দেয়া হবে।
মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে সাঈদ রহমান মান্নান এই প্রবাসে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণে এবং ক্রেতাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয় তুলে ধরে বলেন, জেবিবিএ‘র মাধ্যমেই বহুজাতিক এই সিটিতে বাংলাদেশী পণ্যের জনপ্রিয়তা এসেছে। জেবিবিএ’র মাধ্যমেই অত্যন্ত হ্রাসকৃত মূল্যে প্রবাসীরা স্বদেশের পণ্য ক্রয়ে সক্ষম হচ্ছেন। মূলধারায় আমাদের পরিচিতি বেড়েছে। তিনি বলেন, জেবিবিএ’র এই চেতনাকে সমুন্নত রেখে আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকলে ব্যবসায়িক সমৃদ্ধিতেও সক্ষম হবো। আজকের ঐক্য কম্যুনিটির মধ্যেকার বিবাদ-বিরোধের অবসানের ক্ষেত্রে অপরিসীম ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এক সময় আমেরিকানরা আমাদেরকে ভারতীয় হিসাবে জানতো। কিন্তু জেবিবিএ’র নানান কার্যক্রম ও উদ্যোগের কারণে এখন আমাদের বাংলাদেশী হিসাবেই চেনে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সমস্যার সমাধানে ঐক্যর বিকল্প নেই। তিনি অতীতের সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জেবিবিএ’কে আরো শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে জেবিবিএ নিউইয়র্ক ইনক’র সভাপতি মোহাম্মদ মহসীন মিয়া বলেন, বিভক্ত জেবিবিএ’র সভাপতি চেয়ে ঐক্যবদ্ধ জেবিবিএ’র একজন সাধারণ সদস্য থাকাই সম্মানের মনে করি। অনুষ্ঠানের শুরুতে সৃষ্ট অপ্রীতিকর ঘটনা ভুলে গিয়ে তিনি মিডিয়াসহ সকল ব্যবসায়ীকে ঐক্যবদ্ধভাবে জেবিবিএ-কে শক্তিশালী করার অনুরোধ জানান।
জেবিবিএ ইন্ক’র সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ জিকো বলেন, আমরা ঐক্য চাই বলেই একত্রিত হয়েছি। জ্যাকসন হাইটসের সকল ব্যবসায়ীকে জেবিবিএ’র সদস্য করার দাবী জানান তিনি।
জেবিবিএ নিউইয়র্ক ইনক’র সাধারণ সম্পাদক আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম বলেন, জেবিবিএ আর ব্যবসায়ীদের বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। এজন্য তার কমিটির সকল কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করার সুযোগ না পাওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, ঐক্যের খাতিরে আমাদেরকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
জেবিবিএ ইন্ক’র সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান বলেন, আমরা সকল ব্যবসায়ীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাই। তিনিও সকল ব্যবসায়ীকে সদস্য করার দাবী জানান এবং জেবিবিএ’র ঐক্য কমিউনিটিতে দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেন।
জেবিবিএ নেতৃবৃন্দ প্রত্যেকেই আহ্বায়ক কমিটিকে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কাজী মন্টু বলেন, জেবিবিএ ‘বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন অব নিউইয়র্ক ইনক’ নামেই থাকবে। আইনগত কারণেই এই নামটি রাখতে হচ্ছে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জেবিবিএ আর ভাংগবে না। আমরা এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, ঐক্যবদ্ধ থাকবো।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে কাজী মন্টু বলেন, দুই জেবিবিএ’র আর্থিক বিষয়াদিসহ দেনা-পাওনার ব্যাপারে বসে পরবর্তীতে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শীঘ্রই সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে এবং এরপরই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হবে। আহবায়ক কমিটির কোন সদস্য নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না তিনি জানান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের অনন্য দৃষ্টান্ত : ঐক্যবদ্ধ হলো জেবিবিএ

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৭:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

নিউইয়র্ক: অবশেষে জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন (জেবিবিএ) ঐক্যবদ্ধ হলো। ফলে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো। নিউইয়র্কে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশী ও ব্যবসায়ীদের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত জ্যাসকন হাইটস। এই জ্যাকসন হাইটসের ব্যবসায়ী বাংলাদেশীদের শীর্ষ সংগঠন জেবিবিএ। ১৯৯৭ সালে জেবিবিএ’র প্রতিষ্ঠার সময় এর নামকরণ করা হয় ‘জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন ইনক’। প্রবাসে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সংগঠন হিসেবে জেবিবিএ কমিউনিটি ও মূলধারায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ছাড়াও পথমেলা আয়োজন করে সবার দৃষ্টিও আকর্ষণ করে। কিন্তু নেতৃত্বের কোন্দল আর কতিপয় ব্যবসায়ীর অনাকাংখীত কর্মকান্ড এবং সর্বশেষ ২০১৩ সালের জুন মাসে ভোটার তালিকা প্রণয়ন নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে জেবিবিএ।
বিভক্তির পর ব্যবসায়ীদের একটি অংশ জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন ইনক আর অপর অংশ জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন নিউইয়র্ক ইনক নামে বিভক্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু এই বিভক্তিতে উভয় সংগঠনের সাধারণ ব্যবসায়ীরা অস্বস্তিবোধ করতে থাকেন। পাশাপাশি উভয় জেবিবিএ’র কর্মকর্তাদের মধ্যে নেতৃত্বের কোন্দল, বিভেদ-বিভক্তিও বাড়তে থাকে। চলে পাল্টা-পাল্টি সভা-সমাবেশ, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। এমনি প্রেক্ষাপটে সাধারণ ব্যবসায়ীদের দাবীর প্রেক্ষিতে জেবিবিএ’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র কর্মকর্তাদের উদ্যোগে ঐক্যে প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং সর্বশেষ গত ২৬ আগষ্ট উভয় সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হন এবং ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এই কমিটিই দায়িত্ব পালন করবে। আহ্বায়ক কমিটির পাঁচজনই সদস্য এবং তারা সবাই সমান পদমর্যাদার। এই কমিটিতে থাকবে না কোন আহ্বায়ক বা সভাপতি বা কোন মেম্বার সেক্রেটারী। খবর ইউএনএ’র।
জেবিবিএ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে মিডিয়াকে জানাতে ‘বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন অব নিউইয়র্ক ইনক’র ব্যানারে নব গঠিত আহ্বায়ক কমিটির পক্ষ থেকে গত ২৮ আগষ্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটস্থ পালকি পার্টি সেন্টারে ‘মিট দ্য প্রেস’-এর আয়োজন করা হয়। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য সাঈদ রহমান মান্নানের সভাপতিত্বে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য যথাক্রমে কাজী মন্টু, মাহবুবুর রহমান, এস. রহমান ও পারভেজ কাজী মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন। এছাড়া বিভক্ত দুই জেবিবিএ’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে জেবিবিএ’র সাবেক কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেবিবিএ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাইদ রহমান মান্নান। এরপর দুই জেবিবিএ’র সভাপতিদ্বয় মোহাম্মদ মহসীন মিয়া ও জাকারিয়া মাসুদ জিকু এবং সাধারণ সম্পাদকদ্বয় আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম ও তারেক হাসান খান। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কাজী মন্টু। এর আগে সাংবাদিকদের স্বাগত জানান জেবিবিএ’র ঐক্য প্রক্রিয়ার অন্যতম উদ্যোক্তা হোসেন সোহেল রানাসহ আবহ্বায়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়: বিভক্ত দুই কমিটির বিলুপ্তি ঘটিয়ে পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি আগামী চার মাসের জন্য জেবিবিএ’র দায়িত্ব পালন করবে। এই সময়ের মধ্যে নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন কমিটি উপহার দেয়া হবে।
মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে সাঈদ রহমান মান্নান এই প্রবাসে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণে এবং ক্রেতাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয় তুলে ধরে বলেন, জেবিবিএ‘র মাধ্যমেই বহুজাতিক এই সিটিতে বাংলাদেশী পণ্যের জনপ্রিয়তা এসেছে। জেবিবিএ’র মাধ্যমেই অত্যন্ত হ্রাসকৃত মূল্যে প্রবাসীরা স্বদেশের পণ্য ক্রয়ে সক্ষম হচ্ছেন। মূলধারায় আমাদের পরিচিতি বেড়েছে। তিনি বলেন, জেবিবিএ’র এই চেতনাকে সমুন্নত রেখে আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকলে ব্যবসায়িক সমৃদ্ধিতেও সক্ষম হবো। আজকের ঐক্য কম্যুনিটির মধ্যেকার বিবাদ-বিরোধের অবসানের ক্ষেত্রে অপরিসীম ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এক সময় আমেরিকানরা আমাদেরকে ভারতীয় হিসাবে জানতো। কিন্তু জেবিবিএ’র নানান কার্যক্রম ও উদ্যোগের কারণে এখন আমাদের বাংলাদেশী হিসাবেই চেনে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সমস্যার সমাধানে ঐক্যর বিকল্প নেই। তিনি অতীতের সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জেবিবিএ’কে আরো শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে জেবিবিএ নিউইয়র্ক ইনক’র সভাপতি মোহাম্মদ মহসীন মিয়া বলেন, বিভক্ত জেবিবিএ’র সভাপতি চেয়ে ঐক্যবদ্ধ জেবিবিএ’র একজন সাধারণ সদস্য থাকাই সম্মানের মনে করি। অনুষ্ঠানের শুরুতে সৃষ্ট অপ্রীতিকর ঘটনা ভুলে গিয়ে তিনি মিডিয়াসহ সকল ব্যবসায়ীকে ঐক্যবদ্ধভাবে জেবিবিএ-কে শক্তিশালী করার অনুরোধ জানান।
জেবিবিএ ইন্ক’র সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ জিকো বলেন, আমরা ঐক্য চাই বলেই একত্রিত হয়েছি। জ্যাকসন হাইটসের সকল ব্যবসায়ীকে জেবিবিএ’র সদস্য করার দাবী জানান তিনি।
জেবিবিএ নিউইয়র্ক ইনক’র সাধারণ সম্পাদক আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম বলেন, জেবিবিএ আর ব্যবসায়ীদের বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। এজন্য তার কমিটির সকল কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করার সুযোগ না পাওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, ঐক্যের খাতিরে আমাদেরকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
জেবিবিএ ইন্ক’র সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান বলেন, আমরা সকল ব্যবসায়ীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাই। তিনিও সকল ব্যবসায়ীকে সদস্য করার দাবী জানান এবং জেবিবিএ’র ঐক্য কমিউনিটিতে দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেন।
জেবিবিএ নেতৃবৃন্দ প্রত্যেকেই আহ্বায়ক কমিটিকে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কাজী মন্টু বলেন, জেবিবিএ ‘বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন অব নিউইয়র্ক ইনক’ নামেই থাকবে। আইনগত কারণেই এই নামটি রাখতে হচ্ছে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জেবিবিএ আর ভাংগবে না। আমরা এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, ঐক্যবদ্ধ থাকবো।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে কাজী মন্টু বলেন, দুই জেবিবিএ’র আর্থিক বিষয়াদিসহ দেনা-পাওনার ব্যাপারে বসে পরবর্তীতে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শীঘ্রই সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে এবং এরপরই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হবে। আহবায়ক কমিটির কোন সদস্য নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না তিনি জানান।