নিউইয়র্ক ১০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশী কমিউনিটিতে ধরপাকড় অভিযানের ঘটনা ঘটেনি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৬:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • / ৮৩১ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের ১০০ দিন যেতে না যেতেই নিউইয়র্কসহ পুরো যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্রই আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা সহ দফায় দফায় নানা অধ্যাদেশ জারির ফলে মুসলিম কমিউনিটি সহ অন্যান্য কমিউনিটিতে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। ইতিমধ্যেই নিউইয়র্ক সহ যুক্তরাষ্ট্রে বড় বড় শহরে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে উঠেছে। সর্বশেষ গত ৩ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বৃহৎ সমাবেশ হয়েছে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর নিউইয়র্কের জনএফ কেনেডী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল চার-এর পার্কিং লটে। এখানকার বিক্ষোভ-প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন মুসলিম দেশের অভিবাসীরা জুম্মার নামাজও আদায় করেছেন। এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন নীতির প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত কোন কোন খবরাখবরে কমিউনিটিতে নানা বিভ্রান্তি, আতঙ্ক দানা বেধে উঠেছে। কমিউনিটির সচেতন মহল থেকে কোন কোন মিডিয়ার খবরের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশী কমিউনিটি আপাতত: নিরাপদে রয়েছেন বলে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ জানিয়ে বলেছেন ‘সকল দিক বিবেচনায় এখন সতর্কতার সাথে চলাই ভালো’। কমিউনিটিতে ধরপাকড়ের ঘটনা কোন ঘটেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের চলমান প্রেক্ষিতে কমিউনিটির পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ সোসাইটি সহ বাংলাদেশী-আমেরিকান আইন বিশেষজ্ঞরা। তারা কমিউনিটিকে সচেতন করতে এবং করণীয় সম্পর্কে ইতিমধ্যেই সভা-সমাবেশ ও মত বিনিময় করেছেন। দেয়া হচ্ছে আইনী পরামর্শ। তবে কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এই কার্যক্রম আরো জোরদার করা উচিৎ বলে সচেতন প্রবাসী বাংলাদেশী-আমেরিকানরা মনে করেন।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের অন্যতম বৃহৎ আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সভাপতি বদরুল হোসেন খান বলেন, আমেরিকা অভিবাসীদের দেশ। এখানে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অধিকার সমান। আমেরিকা আইনের দেশ। এই দেশের আইন মেনেই সবাইকে চলতে হবে। নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আগের আমেরিকা এখন আর নেই। পরিস্থিতি বুঝে আমাদেরকে সতর্কতার সাথে চলতে হবে। সকল বিপদ-আপদে একে অপরের পাশ দাঁড়াতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম কমিউনিটিকে টার্গেট করা হয়েছে। টার্গেট করা হয়েছে মুসলিম বিশ্বকে। তাই সকল মুসলিমকে সর্বোচ্চ সতর্কতা আবলম্বন করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা স্থানীয় মসজিদে নামাজের সময় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি, সবাইকে সতর্ক থাকার কথা বলেছি। তবে ‘কখন কি হয়’ এই ভেবে অনেকেই আতঙ্ক বলে তিনি জানান। প্রসঙ্গত তিনি বলেন, বাংলাদেশী-আমেরিকান মুসলিম কমিউনিটির কোথাও কোন বড় ধরণের কোন অঘটন ঘটেনি, ধরপাকড়ের ঘটনাও ঘটেনি। তবে সিটির কুইন্স বরোর জ্যামাইকায় বসবাসকারী এক বাংলাদেশী মহিলাকে দু সন্তানসহ গত সপ্তাহে বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে ফেরার পথে জেএফকে বিমানবন্দরে জেরার পর তার কথায় সন্তষ্ট না হয়ে ঢাকায় ফেরৎ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে তিনি খবর শুনেছেন।
নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনে বসবাসকারী বিশিষ্ট রাজনীতিক ও কমিউনিটি লিডার হেলাল উদ্দিন বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন নীতির ফলে অন্যান্য কমিউনিটির মতো বাংলাদেশী কমিউনিটিতে আতঙ্ক বিরাজ করলেও কমিউনিটিতে বড় ধরণের কোন অঘটনের খবর জানা যায়নি। তবে আমার জানামতে গত মাসে বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে ফিরে আসা বাংলাদেশী-আমেরিকানদের বিমানবন্দরে অতিরিক্ত জেরার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে ২/৪জন বাংলাদেশী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ব্রুকলীনের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা স্থানীয় মসজিদে এসে মুসলিম আমেরিকানদের আশ্বস্থ করে বলেছেন যে, কোন অন্যায়-অপরাধের সাথে জড়িত না থাকলে কারো কোন অসুবিধা হবে না। আর কেউ কোন বিপদে পড়লে সেক্ষেত্রে তাৎক্ষনিক আইনী পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেন তারা। তিনি মনে করেন সবমিলিয়ে আপাতত: বাংলাদেশী কমিউনিটি নিরাপদ।
সিটির ওজনপার্কে বসবাসকারী বাংলাদেশী-আমেরিকান ডেমোক্র্যাটিক কাউন্সিল অব নিউইয়র্ক-এর সেক্রেটারী কবীর চৌধুরী বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন নীতির ফলে সর্বমহলে আতঙ্ক বিরাজ করলেও বাংলাদেশী কমিউনিটি বড় কোন সমস্যার মুখোমুখী হননি। তবে চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে চোখ-কান খোলা রেখে চলাফেরাই শ্রেয়। তিনি বলেন, কোন আপরাধের সাথে জড়িত না থাকলে কারো কোন বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, আমার জানা মতে আমার নেইবারহুডে (প্রতিবেশী) কোন বাংলাদেশী কোন বিপদের সম্মুখীন হননি। তবে অনেকে দেশ বা বিদেশ ভ্রমণ বাতিল করছেন। ফলে ট্রাভেলস প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি টিকিট বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্টরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের সভাপতি শাহেদ আহমেদ বলেন, অন্যান্য স্থানের মতো ব্রঙ্কসবাসী বাংলাদেশীরা আতঙ্কগ্রস্ত। তবে ব্রঙ্কসে কোন বাংলাদেশী ধরপাকড়ের ঘটনা ঘটেনি। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ-সমাবেশ করছি, আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। এই আন্দোলনে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি, থাকবো।
সামিউল ইসলাম নামের এক বাংলাদেশী অভিবাসী জানান, আমি একটি ব্যাংকের ম্যানহাটানস্থ শাখায় কাজ করছি। সপ্তহের পাঁচ দিনই নিয়মিত অফিস করছি। আমি কোথাও কাউকে ধরপাকড়, বা পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে কোন ব্যক্তিকে জেরা করতে দেখিনি। এছাড়া বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা ঘুরে স্বাভাবিক জীবনই লক্ষ্য করেছি। তবে অনেকের মধ্যে ভয়-ভীতি কাজ করছে এই ভেবে যে ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির ফলে কখন কি হয়, কে জানে’।
মানবাধিকার সংগঠন ড্রাম-এর অন্যতম ডিরেক্টর বাংলাদেশী কাজী ফৌজিয়া জানান, তাদের কাছে কোন বাংলাদেশী ধরপাকড়ের নির্দিষ্ট কোন খবর নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় অভিবাসীদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং বিভিন্ন কারণে যাদের ইমিগ্রেশন অফিসে যেতে হচ্ছে তাদেরকে নানা প্রশ্ন করা হচ্ছে আবার অনেককেই দেশে ফেরৎ যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে, পাসপোর্টের জন্য স্বাক্ষর নেয়া হচ্ছে। এমন ঘটনা ঘটছে বলে তিনি জানান। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

বাংলাদেশী কমিউনিটিতে ধরপাকড় অভিযানের ঘটনা ঘটেনি

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৬:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

নিউইয়র্ক: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের ১০০ দিন যেতে না যেতেই নিউইয়র্কসহ পুরো যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্রই আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা সহ দফায় দফায় নানা অধ্যাদেশ জারির ফলে মুসলিম কমিউনিটি সহ অন্যান্য কমিউনিটিতে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। ইতিমধ্যেই নিউইয়র্ক সহ যুক্তরাষ্ট্রে বড় বড় শহরে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে উঠেছে। সর্বশেষ গত ৩ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বৃহৎ সমাবেশ হয়েছে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর নিউইয়র্কের জনএফ কেনেডী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল চার-এর পার্কিং লটে। এখানকার বিক্ষোভ-প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন মুসলিম দেশের অভিবাসীরা জুম্মার নামাজও আদায় করেছেন। এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন নীতির প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত কোন কোন খবরাখবরে কমিউনিটিতে নানা বিভ্রান্তি, আতঙ্ক দানা বেধে উঠেছে। কমিউনিটির সচেতন মহল থেকে কোন কোন মিডিয়ার খবরের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশী কমিউনিটি আপাতত: নিরাপদে রয়েছেন বলে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ জানিয়ে বলেছেন ‘সকল দিক বিবেচনায় এখন সতর্কতার সাথে চলাই ভালো’। কমিউনিটিতে ধরপাকড়ের ঘটনা কোন ঘটেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের চলমান প্রেক্ষিতে কমিউনিটির পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ সোসাইটি সহ বাংলাদেশী-আমেরিকান আইন বিশেষজ্ঞরা। তারা কমিউনিটিকে সচেতন করতে এবং করণীয় সম্পর্কে ইতিমধ্যেই সভা-সমাবেশ ও মত বিনিময় করেছেন। দেয়া হচ্ছে আইনী পরামর্শ। তবে কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এই কার্যক্রম আরো জোরদার করা উচিৎ বলে সচেতন প্রবাসী বাংলাদেশী-আমেরিকানরা মনে করেন।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের অন্যতম বৃহৎ আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সভাপতি বদরুল হোসেন খান বলেন, আমেরিকা অভিবাসীদের দেশ। এখানে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অধিকার সমান। আমেরিকা আইনের দেশ। এই দেশের আইন মেনেই সবাইকে চলতে হবে। নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আগের আমেরিকা এখন আর নেই। পরিস্থিতি বুঝে আমাদেরকে সতর্কতার সাথে চলতে হবে। সকল বিপদ-আপদে একে অপরের পাশ দাঁড়াতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম কমিউনিটিকে টার্গেট করা হয়েছে। টার্গেট করা হয়েছে মুসলিম বিশ্বকে। তাই সকল মুসলিমকে সর্বোচ্চ সতর্কতা আবলম্বন করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা স্থানীয় মসজিদে নামাজের সময় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি, সবাইকে সতর্ক থাকার কথা বলেছি। তবে ‘কখন কি হয়’ এই ভেবে অনেকেই আতঙ্ক বলে তিনি জানান। প্রসঙ্গত তিনি বলেন, বাংলাদেশী-আমেরিকান মুসলিম কমিউনিটির কোথাও কোন বড় ধরণের কোন অঘটন ঘটেনি, ধরপাকড়ের ঘটনাও ঘটেনি। তবে সিটির কুইন্স বরোর জ্যামাইকায় বসবাসকারী এক বাংলাদেশী মহিলাকে দু সন্তানসহ গত সপ্তাহে বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে ফেরার পথে জেএফকে বিমানবন্দরে জেরার পর তার কথায় সন্তষ্ট না হয়ে ঢাকায় ফেরৎ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে তিনি খবর শুনেছেন।
নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনে বসবাসকারী বিশিষ্ট রাজনীতিক ও কমিউনিটি লিডার হেলাল উদ্দিন বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন নীতির ফলে অন্যান্য কমিউনিটির মতো বাংলাদেশী কমিউনিটিতে আতঙ্ক বিরাজ করলেও কমিউনিটিতে বড় ধরণের কোন অঘটনের খবর জানা যায়নি। তবে আমার জানামতে গত মাসে বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে ফিরে আসা বাংলাদেশী-আমেরিকানদের বিমানবন্দরে অতিরিক্ত জেরার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে ২/৪জন বাংলাদেশী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ব্রুকলীনের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা স্থানীয় মসজিদে এসে মুসলিম আমেরিকানদের আশ্বস্থ করে বলেছেন যে, কোন অন্যায়-অপরাধের সাথে জড়িত না থাকলে কারো কোন অসুবিধা হবে না। আর কেউ কোন বিপদে পড়লে সেক্ষেত্রে তাৎক্ষনিক আইনী পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেন তারা। তিনি মনে করেন সবমিলিয়ে আপাতত: বাংলাদেশী কমিউনিটি নিরাপদ।
সিটির ওজনপার্কে বসবাসকারী বাংলাদেশী-আমেরিকান ডেমোক্র্যাটিক কাউন্সিল অব নিউইয়র্ক-এর সেক্রেটারী কবীর চৌধুরী বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন নীতির ফলে সর্বমহলে আতঙ্ক বিরাজ করলেও বাংলাদেশী কমিউনিটি বড় কোন সমস্যার মুখোমুখী হননি। তবে চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে চোখ-কান খোলা রেখে চলাফেরাই শ্রেয়। তিনি বলেন, কোন আপরাধের সাথে জড়িত না থাকলে কারো কোন বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, আমার জানা মতে আমার নেইবারহুডে (প্রতিবেশী) কোন বাংলাদেশী কোন বিপদের সম্মুখীন হননি। তবে অনেকে দেশ বা বিদেশ ভ্রমণ বাতিল করছেন। ফলে ট্রাভেলস প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি টিকিট বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্টরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের সভাপতি শাহেদ আহমেদ বলেন, অন্যান্য স্থানের মতো ব্রঙ্কসবাসী বাংলাদেশীরা আতঙ্কগ্রস্ত। তবে ব্রঙ্কসে কোন বাংলাদেশী ধরপাকড়ের ঘটনা ঘটেনি। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ-সমাবেশ করছি, আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। এই আন্দোলনে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি, থাকবো।
সামিউল ইসলাম নামের এক বাংলাদেশী অভিবাসী জানান, আমি একটি ব্যাংকের ম্যানহাটানস্থ শাখায় কাজ করছি। সপ্তহের পাঁচ দিনই নিয়মিত অফিস করছি। আমি কোথাও কাউকে ধরপাকড়, বা পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে কোন ব্যক্তিকে জেরা করতে দেখিনি। এছাড়া বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা ঘুরে স্বাভাবিক জীবনই লক্ষ্য করেছি। তবে অনেকের মধ্যে ভয়-ভীতি কাজ করছে এই ভেবে যে ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির ফলে কখন কি হয়, কে জানে’।
মানবাধিকার সংগঠন ড্রাম-এর অন্যতম ডিরেক্টর বাংলাদেশী কাজী ফৌজিয়া জানান, তাদের কাছে কোন বাংলাদেশী ধরপাকড়ের নির্দিষ্ট কোন খবর নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় অভিবাসীদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং বিভিন্ন কারণে যাদের ইমিগ্রেশন অফিসে যেতে হচ্ছে তাদেরকে নানা প্রশ্ন করা হচ্ছে আবার অনেককেই দেশে ফেরৎ যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে, পাসপোর্টের জন্য স্বাক্ষর নেয়া হচ্ছে। এমন ঘটনা ঘটছে বলে তিনি জানান। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)