বর্ণাঢ্য আয়োজনে ফ্রেন্ডস সোসাইটি’র ‘শাহ করিম উৎসব ও সিতারা বৈশাখী মেলা’য় প্রবাসীদের ঢল

- প্রকাশের সময় : ১২:২৬:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০১৬
- / ৬৬১ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: ‘হৃদয় নাচে বৈশাখী সাজে’ শ্লোগান নিয়ে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা আর ব্যাপক আয়োজনে প্রতি বছরের মতো এবছরও বাংলা বর্ষবরণ করেছে নিউইয়র্কের স্বনামধন্য সামাজিক সংগঠন জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি ইনক। ‘শাহ আব্দুল করীম উৎসব ও সিতারা বৈশাখী মেলা-১৪২৩’ শিরোনামে বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে ফ্রেন্ডস সোসাইটির উদ্যোগে ১৭ এপ্রিল রোববার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো খোলা মাঠে পান্তা-ইলিশ আর ডাল-ভর্তা ভাত ভোজন, বর্ণাঢ্য র্যালী, আকর্ষনীয় মেলা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ প্রভৃতি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল শামীম আহসান। এছাড়া টাইটেল স্পন্সর ছিলো সিতারা লাক্সারী ফ্যাশন বুটিক, গ্র্যান্ড স্পন্সর এবং ভোজন পর্বের উদ্বোধক ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। শাহ করিম উৎসবের উদ্বোধক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ড. দেলোয়ার হোসেন আর মেলার উদ্বোধক ছিলেন এটর্নী মঈন চৌধুরী। র্যালীর গ্র্যান্ড মার্শাল ছিলেন এডভোকেট এন মজুমদার।
এবারের উৎসব ও মেলায় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং ও সিটি কম্পট্রোলারের প্রতিনিধি, এটর্নী পেরী ডি সিলভার। অনুষ্ঠানে কংগ্রেসওম্যানের পক্ষ থেকে ফ্রেন্ডস সোসাইটির অন্যতম উপদেষ্টা সালেহ আহমেদ ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ারকে প্রক্লেমোশন প্রদান করা হয়। এছাড়া সিটি কম্পট্রোলার স্কট স্ট্রীংগারের পক্ষ থেকে ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে প্রক্লেমোশন প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠারে শুভ সূচনা করা হয়। এরপর প্রয়াত শ্রী চিন্ময় স্ম্রণে একটি গান ও বৈশাখী গান পরিবেশন করেন শ্রী চিন্ময় শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীরা। খবর ইউএনএ’র।
অনুষ্ঠানে মূলধারার নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে নিউইয়র্ক তথা উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশী কমিউনিটিকে অগ্রসরমান কমিউনিটি হিসেবে উল্লেখ করেন এবং নিজেদের অধিকার অবস্থান শক্তিশালী আর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকল নির্বাচনে ভোট প্রদানের আহ্বান জানান। বিশেষ করে কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং ও কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট সেলিন্ডা ক্যাটস ফ্রেন্ডস সোসাইটির কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন এবং এই সংগঠনের সকল কাজে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
পান্তা-ইলিশ আর ডাল-ভর্তা ভাত ভোজন: ফ্রেন্ডস সোসাইটির বাংলা বর্ষণ অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিলো পান্তা-ইলিশ আর ডাল-ভর্তা ভাত ভোজন। ঐদিন দুপুরে জ্যামাইকার হাইল্যান্ড এভিনিউ সংলগ্ন ক্যাপ্টেন টিলি পার্কে এই ভোজন পর্বের আয়োজন করা হয়। বেলা দুইটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত প্রবাসের সর্বস্তরের সহ¯্রাধিক সংখ্যক শিশু-কিশোর-কিশোরী, নারী-পুরুষ পান্তা-ইলিশ, আলু ও বেগুন ভর্তা আর ডাল ভাত ভোজন করেন। এক গুচ্ছ বেলুন উড়িয়ে এই পর্বের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন কনসাল জেনারেল শামীম আহসান, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা কাটস, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা এবিএম ওসমান গনি, উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ চৌধুরী, সভাপতি সাইফুল ইসলাম, মেলা কমিটির আহ্বায়ক ও ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, ফ্রেন্ডস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আজাদ ভুইয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ সহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন মিডিয়ার সম্পাদক/পরিচালক, সাংবাদিক এবং সংগঠনের উপদেষ্টাবৃন্দ প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে ভোজন পর্বে অংশ নেন। উল্লেখ্য, পান্তা-ইলিশ ভোজনের খাবার পরিবেশন করে জ্যামাইকার স্টার কাবাব রেষ্টুরেন্ট।
এসময় ফ্রেন্ডস সোসাইটির উপদেষ্টাদের মধ্যে নাসির আলী খান পল, ডা. ওয়াজেদ এ খান, ছদরুন নূর, মনজুর আহমেদ চৌধুরী, এবিএম ওসমান গনি, ডা. টমাস দুলু রায়, অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম, মোস্তফা কামাল, মিসবাহ আহমেদ, এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, ফরিদ আলম, জুয়েল চৌধুরী, আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম, মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ, আজহার হক, ফারুক হোসেন তালুকদার ছাড়াও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি নাজমুল আহসান, সাপ্তাহিক ঠিকানা’র প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, বিশিষ্ট রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী জাকির এইচ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বর্ণাঢ্য র্যালী: ভোজন পর্ব শেষে শুরু হয় বর্ণাঢ্য ও আকর্ষণীয় র্যালী। বাংলাদেশের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পাল্্কী, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হাতে প্রবাসীরা ক্যাপ্টেন টিলি পার্ক থেকে র্যালীতে অংশ নেন। র্যালীর অগ্রভাগে ছিলো পালকী বহর, এরপর ছিলো বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা হাতে নতুন প্রজন্ম, ব্যানার হাতে ছিলেন অতিথি ও সোসাইটির উপদেষ্টাবৃন্দ। রং বে রং এর পোশাক পড়ে প্রবাসীরা র্যালীতে অংশ নেন। র্যালীটি ক্যাপ্টেন টিলি পার্ক থেকে হ্যাইল্যান্ড এভিনিউ ধরে হিলসাইড এভিনিউ ধরে ১৭৫ স্ট্রীস্থ পার্কে এসে শেষ হয়। র্যালীটি হিলসাইড এভিনিউ ধরে আসার পথে রাস্তায় চলাচলকারী দেশী ও ভিনদেশীরাসহ আশপাশের বিভিন্ন এপার্টমেন্ট থেকে জানালা খুলে জ্যামাইকাবাসীরাও র্যালীটি উপভোগ করেন এবং হাত নেড়ে সাধুবাদ জানান। উল্লেখ্য, র্যালী সফল করতে জ্যাকসন হাইটস ক্লাবও সার্বিকভাবে সহযোগিতা প্রদান করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান: বর্ণাঢ্য র্যালী শেষে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শুরু হয় মূল শাহ আব্দুল করীম ও সিতারা বৈশাখী মেলার মূল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ফ্রেন্ডস সোসাইটির উপদেষ্টাবৃন্দ ও কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেন ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম। এই পর্ব পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আজাদ ভুইয়া। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি, সংগঠনের উপদেষ্টাবৃন্দ ছাড়াও জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সভাপতি বদরুল হোসেন খান, সাবেক সভাপতি বদরুন নাহার খান মিতা, ফ্রেন্ডস সোসাইটির সাবেক উপদেষ্টা ও মূলধারার রাজনীতিক দিলীপ নাথ, নিউ আমেরিকান ওমেন্স ফোরামের সভাপতি রোকেয়া আক্তার, বাংলাদেশী আমেরিকান পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ফ্রন্ট’র সভাপতি রুবাইয়া রহমান প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
পদক ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান: বিগত কয়েক বছরের ধারাবাহিতায় এবছরও ফ্রেন্ডস সোসাইটির পক্ষ থেকে ‘বৈশাখী পদক’ এবং কমিউনিটিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য কয়েকজর বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সংগঠনের পক্ষ থেকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। চলতি বছর অর্থাৎ ১৪২৩ বাংলা বছরের ‘বৈশাখী পদক’ প্রদান করা হয় ফ্রেন্ডস সোসাইটির অন্যতম উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠান ওয়েলকেয়ারের সিনিয়র ম্যানেজার সালেহ আহমদকে। এছাড়া কমিউনিটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ফ্রেন্ডস সোসাইটির পক্ষ থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ফার্মাসিস্ট আব্দুল আওয়াল সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ এবং ফ্রেন্ডস সোসাইটির সাবেক সভাপতি সরাফ সরকার, বিদায়ী সভাপতি বিলাল চৌধুরী ও বিদায় সাধারণ সম্পাদক সেবুল মিয়াকে প্ল্যাক প্রদান করা হয়। এছাড়াও ফ্রেন্ডস সোসাইটির পক্ষ থেকে কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং, কুইন্স বরো ও প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা ক্যাটসকে প্ল্যাক প্রদান করা হয়। উৎসব ও মেলা কমিটির সদস্য সচিব রিজু মোহাম্মদ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: আইএস ২৩৮ মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এতে দেশ ও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। মেলার অতিথিবৃন্দ সহ শত শত প্রবাসী প্রাণভরে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। সাংস্কৃতিক পর্বে শ্রী চিন্ময় শিল্পী গোষ্ঠী, জ্যামাইকা থিয়েটার, সঙ্গীত পরিষদ, সুর-ছন্দ, সুরবাহার, স্বরলিপি সঙ্গীত বিদ্যালয় দলীয় সঙ্গীত/নৃত্য পরিবেশন করে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে আগত শিল্পী শাহনাজ বেলী ছাড়াও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
‘বসন্ত বাতাসে’ স্মারকগ্রন্থ প্রকাশনা: বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবছর প্রথমবারের মতো ‘বসন্তবাতাসে’ র্শীষক আকর্ষনীয় স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়। ২৮০ পৃষ্ঠার গ্রন্থটি সম্পাদনা করেন সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম। প্রকাশনার সহযোগিতায় ছিলো ডিজাইন স্টুডিও। গ্রন্থটিতে মূলত শাহ আব্দুল করিম আর নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকাবাসী বাংলাদেশী তথা প্রবাসী বাংলাদেশীদের কর্মকান্ড তুলে ধরা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাঝে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন অনুষ্ঠানের গ্র্যান্ড স্পন্সর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচনের আগে সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গ্রন্থটির ্সম্পাদকীয় উপদেষ্টা এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ। এসময় সাপ্তাহিক ঠিকানার প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এখান, সাপ্তাহিক বর্ণমালা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিক ফকির সেলিম, সাপ্তাহিক ঠিকানা’র বার্তা সম্পাদক মিজানুর রহমান, উৎসব ও মেলা কমিটির সদস্য সচিব রিজু মোহাম্মদ সহ সোসাইটির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শাহ আব্দুল করিম উৎসব ও সিতারা বৈশাখী মেলা উপলক্ষে স্কুলের ক্যাফেটেরিয়া ও খেলার মাঠে খাবারের স্টলসহ শাড়ী-কাপড়-গহনার স্টল বসে। হাজার হাজার প্রবাসী সপরিবারে মেলাটি উপভোগ করেন। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মেলার কর্মকান্ড চলে। মেলা প্রাঙ্গনে স্থান সংকুলান না হওয়ায় শত শত প্রবাসীকে অনুষ্ঠানগুলো উপভোগ করতে বেশ কষ্ট করতে হয়। অনেকে স্থান না পেয়ে ফিরেও যান।
‘শাহ আব্দুল করিম উৎসব ও সিতারা বৈশাখী মেলা’ সফল করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনকারীদের মধ্যে ছিলেন মেলা কমিটির সিনিয়র নির্বাহী যুগ্ম আহ্বায়ক বিলাল চৌধুরী, প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করীম চৌধুরী, সমন্বয়কারী মোহাম্মদ মনির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ আতিকুর রহমান, শেখ হায়দার আলী, এএফ মিসবাহউজ্জামান, শেখ আনসার আলী, যুগ্ম সমন্বয়কারী গোলাম মহিউদ্দিন মিঠূ, সেবুল মিয়া, মুক্তার হোসেন, দরুদ মিয়া রনেল, আলী কে কাকন ও জুয়েল মিয়া, যুগ্ম সদস্য সচিব ইফজাল আহমেদ চৌধুরী, এডভোকেট কামরুজ্জামান বাবু ও সফিকুল আলম শাহিদ সহ শহীদুল ইসলাম, একেএম সফিকুল ইসলাম, হুমায়ুন কবীর, আব্দুল মন্নাফ তালুকদার, গিয়াস উদ্দিন মঞ্জু, মাহবুবুল হক মোকাদ্দেস, কাজী এন ইসলাম, অঅব্দুল মজিদ আকন্দ, আফরোজা রোজী, সামিউর রহমান, হামিদুর রহমান, সুলতান খান, ইমাম জাকির, আলহাজ সাজ্জাদ হোসেন, সৈয়দ লিটন আলী, সৈয়দ রাব্বী, গোলাম আজম জাকি, সহদেব তালুকদার, মোহাম্মদ কবীর হোসেন মুন্সি, দেলোয়ার হোসেন মানিক প্রমুখ।