ফিলাডেলফিয়ার বাড়ী বিক্রি করে নিউইয়র্কে ভবন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত
- প্রকাশের সময় : ০৯:১৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৫
- / ৯০৮ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: বৃহত্তর সিলেটবাসীদের সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইন্্কর বার্ষিক সাধারণ সভায় ফিলাডেলফিয়ার বাড়ী বিক্রি করে নিউইয়র্কে জালালাবাদ ভবন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া সভায় এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি জন এন উদ্দিনসহ যাদের কাছে সংগঠনের পাওনা অর্থ রয়েছে সেই অর্থ সামাজিকভাবে আদায় না হলে আইনগত প্রক্রিয়ায় উদ্ধারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত ২৫ জানুয়ারী রোববার সন্ধ্যায় এস্টোরিয়াস্থ এসোসিয়েশন কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিপুল সংখ্যক প্রবাসী জালালাবাদবাসী উপস্থিত ছিলেন।
জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতিবৃন্দের বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি ও এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, সাবেক সভাপতি এম এ কাইয়ুম, বদরুন্নাহার খান মিতা, ট্রাষ্ট্রি বোর্ড সদস্য তোফায়েল আমেদ চৌধুরী, আবুল কালাম, আব্দুল হাসিম হাসনু ও কাজী সাব্বির আহমেদ।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা ছয়ফুল আলম সিদ্দিকী। এরপর সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ্যের রিপোর্ট পেশ করেন যথাক্রমে সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ আতাউল গণি আসাদ।
সভায় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে জুয়েল চৌধুরী বলেন, বর্তমান কমিটির উদ্যোগে ৩৩জন আজীবন সদস্য সংগ্রহ ও এসোসিয়েশনকে ট্যাক্স ফাইলের আওতায় আনা সহ সংগঠনের বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন এবং এসোসিয়েশনের স্থায়ী ভবন ক্রয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া আগামী দিনের প্রস্তাবিত কর্মসূচীর মধ্যে তিনি নতুন প্রজন্মের জন্য নতুন নতুন কর্মসূচী গ্রহণ এবং লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরেন। সেই সাথে কমিউনিটির পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর কর্মকান্ডও তুলে ধরেন তিনি।
জুয়েল চৌধুরী তার বক্তব্যে এসোসিয়েশনের আগামী ছয় মাসের কর্মসূচীও তুলে ধরেন। উল্লেখযোগ্য কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে: ২১ ফ্রেব্রয়ারী মহান শহীদ দিবস তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন, ১৪ এপ্রিল বাংলা বর্ষবরণ, ইফতার পার্টি, ফান্ড রেইজিং প্রভৃতি।
সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্টের পর উপস্থিত সদস্যবৃন্দ এই রিপোর্টের উপর আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনায় সংগঠনের সাবেক সভাপতি জন এন উদ্দিনের কাছে পাওনা অর্থ আদায়, বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠা, ফিলাডেলফিয়ার বাড়ী ও নিউজার্সীর কবর বিক্রি করে নিউইয়র্কে ভবন করা, অর্থের অপচয় না করে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা, প্রভৃতি বিষয় স্থান পায়। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন আজিমুর রহমান বুরহান, মুজাহিদুল ইসলাম, সামসুদ্দিন, শাহাবুদ্দীন, আতাউর রহমান সেলিম, জুনেদ চৌধুরী, মির্জা মামুন, আনোয়ার হোসেন, শেখ আতিকুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, সায়েকুল ইসলাম, দরুদ মিয়া রনেল প্রমুখ।
বক্তারা সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্টের বিশেষ করে হাউজিং প্রজক্ট পেতে আবেদনপত্র পূরণ কর্মসূচীর প্রশংসা করেন এবং এসোসিয়েশন কার্যালয়ে বাংলা স্কুল খোলার অনুরোধ জানান। জবাবে জুয়েল চৌধুরী বলেন, সাবেক সভাপতি ইতিমধ্যেই কিছু অর্থ সভাপতির কাছে জমা এবং বাকী অর্থ পরবর্তীতে জমা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, তার (জন এন উদ্দিন) কাছ থেকে অর্থ আদায়ের জন্য ইতিপূর্বে চিঠি দিয়ে তাগিদও দেয়া হয়। তবে প্রয়োজনে আইনী আশ্রয় নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, জালালাবাদবাসী ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্থায়ী ভবন ক্রয় বা কর্মসূচী বাস্তবায়নে অর্থ কোন সমস্যা হবে না।
সভায় বক্তারা এসোসিয়েশনের নিজস্ব ঠিকানা তথা সুন্দর অফিস প্রতিষ্ঠাসহ বদরুল-জুয়েল নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিটির কর্মকান্ডের ভূয়শী প্রশংসা করেন। জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাধারণ সভাটি টাইম টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করে।