নিউইয়র্ক ১১:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রবাসে বাংলার ভাষাসহ শিল্প-সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখর উপর গুরুত্বারোপ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
  • / ৭৪৭ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাদার সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটি ইন্ক’র উদ্যোগ ও আয়োজনে প্রতিবছরের মতো এবছরও নিউইয়র্কে সম্মিলিতভাবে অমর একুশে শহীদ দিবস তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। এউপলক্ষ্যে ২০ ফেব্রুয়ারী শনিবার সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ নান্দুস ব্যাঙ্কুইট হলে একুশের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্থবক অর্পণ, আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মরণিকা প্রকাশ প্রভৃতি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান। এচাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলম্যান কস্টা কনস্টেনটাইন্ড (কুইন্স ডিষ্ট্রক্ট ২২) ও ব্যাড লান্ডার (ব্রুকলীন ডিষ্ট্রিক্ট ৩৯)।
বাংলাদেশ সোসাইটির ইতিহাসে এবারই প্রথম ব্যাপকারে প্রবাসের উল্লেখযোগ্য সংগঠনের সমন্বয়ে সম্মিলিতভাবে মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। প্রবাসের অন্যতম সামাজিক সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা সহ প্রবাসের ১২০/২৫টির মতো রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বলে সোসাইটির পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে।
সোসাইটির সভাপতি আজমল হোসেন কুনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহীম হাওলাদার। এই পর্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সোসাইটির সাবেক সভাপতি কামাল আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, ট্রাষ্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য এটর্ণী মঈন চৌধুরী, সাবেক সহ সভাপতি আজহারুল হক মিলন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে সোসাইটির সাবেক সভাপতি আওলাদ হোসেন খান ও মুজিব-উর রহমান, সাবেক সহ সভাপতি মনিরুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন ও আতাউর রহমান সেলিম, ট্রাষ্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, নির্বাচন কমিশনের সাবেক সদস্য মফিজুর রহমান ও আজিমুর রহমান বুরহান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা প্রবাসে বাংলার ভাষাসহ বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে নতুন প্রজন্মকে বাংলা ভাষা শিখানো ও বাংলা সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে উঠার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সোসাইটি সহ কমিউনিটির সামাজিক সংগঠনগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
সাংস্কৃতিক পর্বে দেশ ও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী বীণা মজুমদার, রোকসানা মির্জা, সজল রায়, বিউটি দাস, চন্দ্রা রায়, করিম হাওলাদার সহ শিল্পকলা একাডেমী ইউএসএ ও স্বরলিপী শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এই পর্ব পরিচালনা করেন সোসাইটির সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা মনিকা রায়।
চলতি বছর সম্মিলিতভাবে সোসাইটি আয়োজিত একুশের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ায় জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা, জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন (জেবিবিএ) এনওয়াই ও জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশ ক্লাব সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহীম হাওলাদার।
উল্লেখ্য, একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদনের শুরুতে প্রথমে সোসাইটির কর্মকর্তারা পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং প্রবাসীরা শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শহীদ বেধীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের শুরুতে সুশৃঙ্খল পরিবেশ বিরাজ করলেও কিছুক্ষনের মধ্যে কার আগে কে বা কারা ফুল দেবে তা নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এসময় সোসাইটির পক্ষ থেকে বারংবার শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হলেও অনেকেই তা না মানায় উপস্থিত প্রবাসীরা বিব্রত পরিস্থিতির শিকার হন।
আরো উল্লেখ্য, সোসাইটির একুশের অনুষ্ঠান সফল করতে সোসাইটির সহ সভাপতি ফারুক হোসেন মজুমদারকে আহ্বায়ক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এম কে জামানকে সদস্য সচিব, যুগ্ম সম্পাদক ওসমান চৌধুরীকে প্রধান সমন্বয়কারী, প্রচার সম্পাদক মফিজুল ইসলাম ভূইয়া রুমিকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও কার্যকরী পরিষদে সদস্য একেএম রফিকুল ইসলাম ডালিমকে সমন্বয়কারী করে ‘একুশ পালন কমিটি’ গঠন করা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

প্রবাসে বাংলার ভাষাসহ শিল্প-সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখর উপর গুরুত্বারোপ

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাদার সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটি ইন্ক’র উদ্যোগ ও আয়োজনে প্রতিবছরের মতো এবছরও নিউইয়র্কে সম্মিলিতভাবে অমর একুশে শহীদ দিবস তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। এউপলক্ষ্যে ২০ ফেব্রুয়ারী শনিবার সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ নান্দুস ব্যাঙ্কুইট হলে একুশের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্থবক অর্পণ, আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মরণিকা প্রকাশ প্রভৃতি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান। এচাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলম্যান কস্টা কনস্টেনটাইন্ড (কুইন্স ডিষ্ট্রক্ট ২২) ও ব্যাড লান্ডার (ব্রুকলীন ডিষ্ট্রিক্ট ৩৯)।
বাংলাদেশ সোসাইটির ইতিহাসে এবারই প্রথম ব্যাপকারে প্রবাসের উল্লেখযোগ্য সংগঠনের সমন্বয়ে সম্মিলিতভাবে মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। প্রবাসের অন্যতম সামাজিক সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা সহ প্রবাসের ১২০/২৫টির মতো রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বলে সোসাইটির পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে।
সোসাইটির সভাপতি আজমল হোসেন কুনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহীম হাওলাদার। এই পর্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সোসাইটির সাবেক সভাপতি কামাল আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, ট্রাষ্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য এটর্ণী মঈন চৌধুরী, সাবেক সহ সভাপতি আজহারুল হক মিলন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে সোসাইটির সাবেক সভাপতি আওলাদ হোসেন খান ও মুজিব-উর রহমান, সাবেক সহ সভাপতি মনিরুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন ও আতাউর রহমান সেলিম, ট্রাষ্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, নির্বাচন কমিশনের সাবেক সদস্য মফিজুর রহমান ও আজিমুর রহমান বুরহান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা প্রবাসে বাংলার ভাষাসহ বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে নতুন প্রজন্মকে বাংলা ভাষা শিখানো ও বাংলা সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে উঠার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সোসাইটি সহ কমিউনিটির সামাজিক সংগঠনগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
সাংস্কৃতিক পর্বে দেশ ও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী বীণা মজুমদার, রোকসানা মির্জা, সজল রায়, বিউটি দাস, চন্দ্রা রায়, করিম হাওলাদার সহ শিল্পকলা একাডেমী ইউএসএ ও স্বরলিপী শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এই পর্ব পরিচালনা করেন সোসাইটির সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা মনিকা রায়।
চলতি বছর সম্মিলিতভাবে সোসাইটি আয়োজিত একুশের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ায় জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা, জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন (জেবিবিএ) এনওয়াই ও জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশ ক্লাব সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহীম হাওলাদার।
উল্লেখ্য, একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদনের শুরুতে প্রথমে সোসাইটির কর্মকর্তারা পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং প্রবাসীরা শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শহীদ বেধীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের শুরুতে সুশৃঙ্খল পরিবেশ বিরাজ করলেও কিছুক্ষনের মধ্যে কার আগে কে বা কারা ফুল দেবে তা নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এসময় সোসাইটির পক্ষ থেকে বারংবার শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হলেও অনেকেই তা না মানায় উপস্থিত প্রবাসীরা বিব্রত পরিস্থিতির শিকার হন।
আরো উল্লেখ্য, সোসাইটির একুশের অনুষ্ঠান সফল করতে সোসাইটির সহ সভাপতি ফারুক হোসেন মজুমদারকে আহ্বায়ক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এম কে জামানকে সদস্য সচিব, যুগ্ম সম্পাদক ওসমান চৌধুরীকে প্রধান সমন্বয়কারী, প্রচার সম্পাদক মফিজুল ইসলাম ভূইয়া রুমিকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও কার্যকরী পরিষদে সদস্য একেএম রফিকুল ইসলাম ডালিমকে সমন্বয়কারী করে ‘একুশ পালন কমিটি’ গঠন করা হয়।