নিউইয়র্ক ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রবাসীদের কাছে ঋনী হয়ে রইলাম

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৪২:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০১৫
  • / ১১৮৫ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশী আমেরিকান কমিউনিটি’র বিদায় সংবর্ধনা সভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমি ভাগ্যবান মানুষ। মহান মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি, বঙ্গবন্ধুর সরকারে দায়িত্ব পালনের পর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারেও দায়িত্ব পালন করছি। জাতিসংঘের মতো বিশ্ব সভায় বাংলাদেশের জন্য কাজ করেছি। তিনি বলেন, আমার সবকিছু ছেড়ে একজন সাধারণ নাগরিক হয়ে দেশে যাচ্ছি। বিদায় বেলায় প্রবাসীদের কাছ থেকে আজ যে সংবর্ধণা পেলাম তাতে আমি ঋনী হয়ে গেলাম। প্রবাসীরা আমাকে এতো ভালোবাসেন, পছন্দ করেন তা আগে জানতাম না। তিনি বলেন, এই ঋণ শোধ করার নয়। প্রবাসীদের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। প্রবাসীদের কাছে ঋনী হয়ে রইলাম।
সিটির উডসাইডের গুলশান ট্যারেসে গত ১৮ অক্টোবর রোববার অপরাহ্নে এই সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক দিদারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সভাটি পরিচালনা করেন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর সংবর্ধিত অতিথির সম্মানে মানপত্র পাঠ করেন সাপ্তাহিক বাঙালী’র সম্পাদক কৌশিক আহমেদ এবং কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মানপত্রটি ড. মোমেনের হাতে তুলে দেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি‘র পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে ড. মোমেনকে বিদায় শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংবর্ধনা কমিটির সদস্য সচিব বিলাল চৌধুরী। খবর ইউএনএ’র।
Dr. Momenঅনুষ্ঠানে কী নোট স্পীকার ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন সংবর্ধনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. দেলোয়ার হোসেন, উপদেষ্টা সাঈদ রহমান মান্নান, প্রধান সমন্বয়কারী সালেহ আহমেদ, অধ্যাপক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ ও কামাল আহমেদ, জালালবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল খান ও সাবেক সভাপতি বদরুন নাহার খান মিতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল।
অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ ছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ড. মোমেনের বড় ভাই শেলী এ মুবদী, বাংলাদেশ মিশনে নিযুক্ত ইকোনমিক মিনিস্টার বিডি মিত্র, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা রানা ফেরদৌস চৌধুরী, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সাবেক সভাপতি শরাফ সরকার ও মনির হোসেন, এডভোকেট আখতারুল ইসলাম, কমিউনিটি নেতা নাসির আলী খান পল, ডা. মাসুদুল হাসান, ডা. টমাস দুলু রায়, আব্দুস শহীদ, আব্দুর রহীম বাদশা, মহিউদ্দিন দেওয়ান, জসিম চৌধুরী, বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি আজিমুর রহমান বুরহান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ কিরণ কবীর, জেবিবিএ’র সাবেক সভাপতি সাবেক পিয়ার আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মহসীন ননী, বিশিষ্ট রাজনীতিক শাহীন আজমল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বদরুল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি নাজমুল আহসান, ফার্মাসিস্ট মোস্তাক আহমেদ, প্রবীণ প্রবাসী ছদরুন নূর, বিশিষ্ট রাজনীতিক আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, ফরিদ আলম, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক নির্বাচন কমিশনার আবু নাসের, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চৌধুরী, কসবা সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি একে এম সফিকুল ইসলাম, সংবর্ধনা কমিটির সমন্বয়কারী এএফ মিসবাহউজ্জামান, সঙ্গীত শিল্পী বীনা মজুমদার সহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে ড. মোমেনকে প্রবাসীদের ‘অভিভাবক আর ভাই’ সম্বোধন করে বলেন, তিনি একজন গুনী, সফল আর ভাগ্যবান মানুষ। তাকে সম্মানিত করে প্রবাসীরাই সম্মানিত হলেন। বক্তারা বলেন, একজন ভালো মানুষ বলতে যা বোঝায় তা ড. মোমেনের মধ্যে রয়েছে। তিনি সফল শিক্ষক থেকে সফল কূটনীতিক হয়েছেন। প্রবাসী বাংলাদেশী আমেরিকান কমিউনিটি তাকে চিরদিন মনে রাখবেন।
Dr. Momen-1অনুষ্ঠানে ড. মোমেন তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে বোস্টনের অধ্যাপনা ছেড়ে বাংলাদেশ সরকারে যোগদান, জাতিসংঘে দায়িত্ব পালন ও তার কর্মের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, আমি কূটনীতিক ছিলাম না। ফরেন সার্ভিস নয়, সিভিল সার্ভিস আমার পছন্দ ছিলো। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সুযোগ দিয়েছিলেন এবং এই সুযোগটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সাধ্যমত দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করেছি। তিনি বলেন, ‘ওয়ান মিশন’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আসি। জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের সফলতার পিছনে রয়েছে সরকার ও প্রবাসীদের সমর্থন আর বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাদের টিম ওয়ার্ক। তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসিচবকে আমার বিদায়ের কথা বলতেই তিনি আমার সম্মানে লাঞ্চ পার্টির আয়োজন করেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সম্মান আমার নয়, বাংলাদেশের। জাতিসংঘে আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। তিনি বলেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের সাফল্যের কারণে অনেক কূটনীতিক আমাকে ‘পিস বিল্ডার মোমেন’ বলে ডাকতেন।
Dr. Momen-3তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সাথে কথা বলার সময় আমি বলেছি সাবেক সহকারী মহাসচিব আমিরা হকের পর আর কোন বাংলাদেশী জাতিসংঘের শীর্ষ পদে আসীন হননি। এব্যাপারে আমি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরই জাতিসংঘের পক্ষ থেকে মেজর জেনারেল মাকসুদ-কে হাই অফিসিয়াল পদে মনোনীত করা হয়েছে। জাতিসংঘে এটাও আমাদের অর্জন।
ড. মোমেন বলেন, আপনারা আমাকে যে সম্মান দিচ্ছেন এতো সম্মানের অধিকারী আমি নই। আমার সকল কর্মের শিক্ষক ছিলেন সিলেটের জনদরদী নেতা মরহুম ফরিদ গাজী। আমাদের পরিবারের সবার প্রতি তার সমর্থন ছিলো। তিনিই আমার সকল ভালো কাজের অনুপ্রেরণা।
প্রসঙ্গত ড. মোমেন বলেন, আমার জায়গায় যিনি আসছেন তার নাম ‘মাসুদ ইবনে মোমেন’। তিনি ভালো কূটনীতিক। তিনি বলেন, প্রবাস জীবন ছেড়ে সাধারণ নাগরিক হিসেবে দেশে ফিরছি। আগামীতে দেশের জনগণের জন্য কিছু করতে চাই।
Dr. Momen-4সভায় ড. দেলোয়ার হোসেন ড. মোমেনের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি কূনীতিতেও সফল মানুষ। তাই একজন শিক্ষক হিসেবে নিজেকে ড. মোমেনের সাথে সমকক্ষ করতে পারলাম না। তিানি বলেন, ড. মোমেন সবার জন্য করেছেন, এখন দেশের জন্য করবেন। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছরের প্রবাস জীবনে অনেক রাষ্ট্রদূতকে দেখেছি তাদের মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন ড. মোমেন। আকের রাষ্ট্রদূতদের মতো তার মধ্যে কোন বুরোক্রেসী ভাব ছিলো না। তিনি ছিলেন মাটির মানুষ।
Dr. Momen-5ফখরুল আলম বলেন, ড. মোমেন মানুষকে সম্মান দিতে জানতেন, মূল্যায়ন করতেন। তিনি একজন সফল মানুষ, ভাগ্যবান মানুষ। প্রবাসীরা তাকে কোনদিন ভুলবেন না। তাকে সম্মানিত করার মধ্য দিয়ে আমরাই সম্মানিত হচ্ছি।
Dr. Momen-6

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

প্রবাসীদের কাছে ঋনী হয়ে রইলাম

প্রকাশের সময় : ০২:৪২:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০১৫

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশী আমেরিকান কমিউনিটি’র বিদায় সংবর্ধনা সভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমি ভাগ্যবান মানুষ। মহান মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি, বঙ্গবন্ধুর সরকারে দায়িত্ব পালনের পর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারেও দায়িত্ব পালন করছি। জাতিসংঘের মতো বিশ্ব সভায় বাংলাদেশের জন্য কাজ করেছি। তিনি বলেন, আমার সবকিছু ছেড়ে একজন সাধারণ নাগরিক হয়ে দেশে যাচ্ছি। বিদায় বেলায় প্রবাসীদের কাছ থেকে আজ যে সংবর্ধণা পেলাম তাতে আমি ঋনী হয়ে গেলাম। প্রবাসীরা আমাকে এতো ভালোবাসেন, পছন্দ করেন তা আগে জানতাম না। তিনি বলেন, এই ঋণ শোধ করার নয়। প্রবাসীদের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। প্রবাসীদের কাছে ঋনী হয়ে রইলাম।
সিটির উডসাইডের গুলশান ট্যারেসে গত ১৮ অক্টোবর রোববার অপরাহ্নে এই সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক দিদারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সভাটি পরিচালনা করেন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর সংবর্ধিত অতিথির সম্মানে মানপত্র পাঠ করেন সাপ্তাহিক বাঙালী’র সম্পাদক কৌশিক আহমেদ এবং কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মানপত্রটি ড. মোমেনের হাতে তুলে দেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি‘র পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে ড. মোমেনকে বিদায় শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংবর্ধনা কমিটির সদস্য সচিব বিলাল চৌধুরী। খবর ইউএনএ’র।
Dr. Momenঅনুষ্ঠানে কী নোট স্পীকার ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন সংবর্ধনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. দেলোয়ার হোসেন, উপদেষ্টা সাঈদ রহমান মান্নান, প্রধান সমন্বয়কারী সালেহ আহমেদ, অধ্যাপক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ ও কামাল আহমেদ, জালালবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল খান ও সাবেক সভাপতি বদরুন নাহার খান মিতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল।
অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ ছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ড. মোমেনের বড় ভাই শেলী এ মুবদী, বাংলাদেশ মিশনে নিযুক্ত ইকোনমিক মিনিস্টার বিডি মিত্র, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা রানা ফেরদৌস চৌধুরী, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সাবেক সভাপতি শরাফ সরকার ও মনির হোসেন, এডভোকেট আখতারুল ইসলাম, কমিউনিটি নেতা নাসির আলী খান পল, ডা. মাসুদুল হাসান, ডা. টমাস দুলু রায়, আব্দুস শহীদ, আব্দুর রহীম বাদশা, মহিউদ্দিন দেওয়ান, জসিম চৌধুরী, বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি আজিমুর রহমান বুরহান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ কিরণ কবীর, জেবিবিএ’র সাবেক সভাপতি সাবেক পিয়ার আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মহসীন ননী, বিশিষ্ট রাজনীতিক শাহীন আজমল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বদরুল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি নাজমুল আহসান, ফার্মাসিস্ট মোস্তাক আহমেদ, প্রবীণ প্রবাসী ছদরুন নূর, বিশিষ্ট রাজনীতিক আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, ফরিদ আলম, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক নির্বাচন কমিশনার আবু নাসের, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চৌধুরী, কসবা সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি একে এম সফিকুল ইসলাম, সংবর্ধনা কমিটির সমন্বয়কারী এএফ মিসবাহউজ্জামান, সঙ্গীত শিল্পী বীনা মজুমদার সহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে ড. মোমেনকে প্রবাসীদের ‘অভিভাবক আর ভাই’ সম্বোধন করে বলেন, তিনি একজন গুনী, সফল আর ভাগ্যবান মানুষ। তাকে সম্মানিত করে প্রবাসীরাই সম্মানিত হলেন। বক্তারা বলেন, একজন ভালো মানুষ বলতে যা বোঝায় তা ড. মোমেনের মধ্যে রয়েছে। তিনি সফল শিক্ষক থেকে সফল কূটনীতিক হয়েছেন। প্রবাসী বাংলাদেশী আমেরিকান কমিউনিটি তাকে চিরদিন মনে রাখবেন।
Dr. Momen-1অনুষ্ঠানে ড. মোমেন তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে বোস্টনের অধ্যাপনা ছেড়ে বাংলাদেশ সরকারে যোগদান, জাতিসংঘে দায়িত্ব পালন ও তার কর্মের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, আমি কূটনীতিক ছিলাম না। ফরেন সার্ভিস নয়, সিভিল সার্ভিস আমার পছন্দ ছিলো। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সুযোগ দিয়েছিলেন এবং এই সুযোগটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সাধ্যমত দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করেছি। তিনি বলেন, ‘ওয়ান মিশন’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আসি। জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের সফলতার পিছনে রয়েছে সরকার ও প্রবাসীদের সমর্থন আর বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাদের টিম ওয়ার্ক। তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসিচবকে আমার বিদায়ের কথা বলতেই তিনি আমার সম্মানে লাঞ্চ পার্টির আয়োজন করেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সম্মান আমার নয়, বাংলাদেশের। জাতিসংঘে আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। তিনি বলেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের সাফল্যের কারণে অনেক কূটনীতিক আমাকে ‘পিস বিল্ডার মোমেন’ বলে ডাকতেন।
Dr. Momen-3তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সাথে কথা বলার সময় আমি বলেছি সাবেক সহকারী মহাসচিব আমিরা হকের পর আর কোন বাংলাদেশী জাতিসংঘের শীর্ষ পদে আসীন হননি। এব্যাপারে আমি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরই জাতিসংঘের পক্ষ থেকে মেজর জেনারেল মাকসুদ-কে হাই অফিসিয়াল পদে মনোনীত করা হয়েছে। জাতিসংঘে এটাও আমাদের অর্জন।
ড. মোমেন বলেন, আপনারা আমাকে যে সম্মান দিচ্ছেন এতো সম্মানের অধিকারী আমি নই। আমার সকল কর্মের শিক্ষক ছিলেন সিলেটের জনদরদী নেতা মরহুম ফরিদ গাজী। আমাদের পরিবারের সবার প্রতি তার সমর্থন ছিলো। তিনিই আমার সকল ভালো কাজের অনুপ্রেরণা।
প্রসঙ্গত ড. মোমেন বলেন, আমার জায়গায় যিনি আসছেন তার নাম ‘মাসুদ ইবনে মোমেন’। তিনি ভালো কূটনীতিক। তিনি বলেন, প্রবাস জীবন ছেড়ে সাধারণ নাগরিক হিসেবে দেশে ফিরছি। আগামীতে দেশের জনগণের জন্য কিছু করতে চাই।
Dr. Momen-4সভায় ড. দেলোয়ার হোসেন ড. মোমেনের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি কূনীতিতেও সফল মানুষ। তাই একজন শিক্ষক হিসেবে নিজেকে ড. মোমেনের সাথে সমকক্ষ করতে পারলাম না। তিানি বলেন, ড. মোমেন সবার জন্য করেছেন, এখন দেশের জন্য করবেন। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছরের প্রবাস জীবনে অনেক রাষ্ট্রদূতকে দেখেছি তাদের মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন ড. মোমেন। আকের রাষ্ট্রদূতদের মতো তার মধ্যে কোন বুরোক্রেসী ভাব ছিলো না। তিনি ছিলেন মাটির মানুষ।
Dr. Momen-5ফখরুল আলম বলেন, ড. মোমেন মানুষকে সম্মান দিতে জানতেন, মূল্যায়ন করতেন। তিনি একজন সফল মানুষ, ভাগ্যবান মানুষ। প্রবাসীরা তাকে কোনদিন ভুলবেন না। তাকে সম্মানিত করার মধ্য দিয়ে আমরাই সম্মানিত হচ্ছি।
Dr. Momen-6