নিউইয়র্ক ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা’র টুকিটাকি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৩:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • / ৭৬৩ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো চলতি বছরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্বর্ধিত করা হলো। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এবং সর্বজনীন নাগরিক সংবর্ধনা কমিটির ব্যানারে ২৭ সেপ্টেম্বর রোববার অপরাহ্নে বিলাসবহুল নিউইয়র্ক হিলটন হোটেলের বলরুমে সর্বজনীন নাগরিক সম্বর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। ব্যাপক আয়োজনের এই সম্বর্ধনা সভার টুকিটাকি নিয়েই এই বিশেষ প্রতিবেদন।
সংবর্ধনা সভার ‘সর্বজনীনতা’ নিয়ে প্রশ্ন: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এবং সর্বজনীন নাগরিক সম্বর্ধনা কমিটির ব্যানারে সম্বর্ধনা সভার আয়োজন করা হলেও এই কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব থেকে শুরু করে সিংহভাগ কর্মকর্তা-সদস্য যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। এর বাইরেও যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টি ও জাসদ-এর (একাংশ) নেতা-কর্মীর নাম রয়েছে। সম্বর্ধনা মঞ্চেও ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এমন অবস্থায় এক সহকর্মী জানতে চাইলেন এটা সর্বজনীন নাগরিক সম্বর্ধনা হয় কি করে? এটা তো আওয়ামী লীগের সম্বর্ধনা!
মঞ্চে উঠতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত: ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন আহমেদের কর্ম ক্ষেত্র মূলত: ওয়াংিশটন ডিসি এলাকা। তার অফিসও ডিসিতে। কদাচিৎ তার নিউইয়র্ক আসা। স্বাভাবিক কারণেই অনেকের কাছেই তিনি অপরিচিত। তখনও সংবর্ধনা সভার কাজ শুরু হয়নি। রাষ্ট্রদূত সভাস্থলে আসলেন। বিশাল হল রুমের দর্শকদের আসনের মঞ্চের সামনে কোন চেয়ার না পেয়ে চুপচাপ বসে পড়লেন সাংবাদিকদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সর্ব ডানে। সভা শুরুর আগে এক পর্যায়ে মঞ্চে ডাক পড়লো রাষ্ট্রদূতের। মঞ্চ থেকে ডাক পেয়ে নিরাপত্তা জোন পেরিয়ে এগুতেই বাধাগ্রস্ত হলেন আমেরিকান সিকিউরিটি অফিসারের। এসময় খানিকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় দেখা গেলো রাষ্ট্রদূত জিয়াকে। কি করবেন? সিকিউরিটি কর্মকর্তাকে মঞ্চের দিকে দেখতে বললেন। পরে মঞ্চের ঈশারায় নিরাপত্তা জোন পেরিয়ে মঞ্চে আসন নিলেন।
মঞ্চের এক পাশে কেন্দ্রীয় অপর পাশে স্থানীয় নেতাদের আসন: প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফরকালীন সময়ে এই একটিমাত্র দিনের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীরা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকেন। কেননা, এই দিনই নেত্রীর কাছাকাছি আসার সুযোগ পাওয়া যায়। সেই চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্ব দিয়েই এবার সম্বর্ধনা সভার বিশাল মঞ্চের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসনের বাঁ পাশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের র্শীষস্থানীয় নেতা আর প্রধানমন্ত্রীর ডান পাশে তাঁর সফরসঙ্গী মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সাবেক মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতারা আসন গ্রহণ করেন। আর প্রধানমন্ত্রীর পিছনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, নিউইয়র্ক ষ্টেট ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে আসন দেয়া হয়। দেখা গেলো অনুষ্ঠান শুরুর আগেই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর এক নেতা/নেত্রী মঞ্চের মাঝামাঝি (প্রধানমন্ত্রীর আসন থেকে এক আসন দূরে) আসন নিয়ে ‘যার জন্য সংরক্ষিত তার নেমপ্লেট’ সরিয়ে ফেললেন। ফলে তার পরে আসন নিতে হলো দলের সহ সভাপতিদের। বিষয়টি অন্যদের কাছে দৃষ্টিকটু লাগলেও ঐ নেতা/নেত্রীর চোখে দৃষ্টিকটু তো লাগলই না, বরং তিনি ঠিকঠাক মতো আসন গেড়ে বসে রইলেন সভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত।
আরেক নেতার কান্ড: প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা সভামঞ্চে আসন ছিলো সীমিত, সংরক্ষিত। দেখা গেলো সভার কাজ শুরুর আগেই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী যুবলীগের এক সাবেক নেতা নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে দর্শক সারি থেকে একাধিক চেয়ার নিজেই তুলে নিয়ে মূল মঞ্চের পিছনে রেখে তার ঘনিষ্ঠ নেতাদের বসার ব্যবস্থা করে দিলেন।
সময় মাত্র এক মিনিট: সংবর্ধনা সভায় স্থানীয় নেতাদের বক্তব্য দেয়ার সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয় মাত্র এক মিনিট। কিন্তু এই সময়ে কারো পক্ষেই বক্তব্য শেষ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে দর্শক-শ্রোতারা স্থানীয় নেতাদের বক্তব্য শুনতেও আগ্রহী ছিলেন না। দর্শক-শ্রোতারা স্থানীয় নেতাদের বক্তব্য চলাকালে হৈচৈ করে উঠেন। এতে কোন কোন বক্তা বিব্রতও হন। এমনকি সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানকেও এক পর্যায়ে সভাপতির বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে হয়।
ভুয়া ভুয়া শ্লোগান: প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা সভায় বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকগণ বক্তব্য রাখার সময় কোন কোন নেতাকে ‘ভূয়া ভূয়া’ বলে শ্লোগান উঠে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর কোন কোন শাখার কমিটি গঠনে ‘অসাংগঠনিক ও অনৈতিকতার’ অভিযোগ রয়েছে।
যুবলীগ শ্লোগানে মুখর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনা স্থলে মিসবাহ-ফরিদ নেতৃত্বাধীন যুবলীগের অবস্থান আর কর্মকান্ড ছিলো চোখে পড়ার মতো। তারা একটু পর পররই শ্লোগান দিয়ে পুরো হল মুখরিত করে রাখেন। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কোন নামে বা সংগঠনের নামে শ্লোগান দিতে নিষেধ করার পরও যুবলীগের নেতা-কমীরা মাঝে-মধ্যেই নানা শ্লোগান তোলে। যুবলীগের এই কর্মকান্ড দেখে এক সহকর্মী মন্তব্য করলেন- এটা ‘মিসবাহ-ফরিদ’ নেতৃত্বাধীন যুবলীগের শো ডাউন ছাড়া আর কিছু নয়। তাদের শ্লোগানে কেন্দ্র মনোনীত তারিকুল-সবুজ নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির অবস্থান ছিলো নিষ্প্রভ।
ভিতরে আ.লীগ-বাইরে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে হিলটন হোটেলের ভিতরে চলছিলো যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নানা শ্লোগান। অপরদিকে হোটেলের বাইরে বিএনপি ও বিএনপি সমমনা নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ চলছিলো। এনিয়ে সচেতন প্রবাসীদের বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা যায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা’র টুকিটাকি

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৩:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

নিউইয়র্ক: জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো চলতি বছরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্বর্ধিত করা হলো। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এবং সর্বজনীন নাগরিক সংবর্ধনা কমিটির ব্যানারে ২৭ সেপ্টেম্বর রোববার অপরাহ্নে বিলাসবহুল নিউইয়র্ক হিলটন হোটেলের বলরুমে সর্বজনীন নাগরিক সম্বর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। ব্যাপক আয়োজনের এই সম্বর্ধনা সভার টুকিটাকি নিয়েই এই বিশেষ প্রতিবেদন।
সংবর্ধনা সভার ‘সর্বজনীনতা’ নিয়ে প্রশ্ন: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এবং সর্বজনীন নাগরিক সম্বর্ধনা কমিটির ব্যানারে সম্বর্ধনা সভার আয়োজন করা হলেও এই কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব থেকে শুরু করে সিংহভাগ কর্মকর্তা-সদস্য যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। এর বাইরেও যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টি ও জাসদ-এর (একাংশ) নেতা-কর্মীর নাম রয়েছে। সম্বর্ধনা মঞ্চেও ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এমন অবস্থায় এক সহকর্মী জানতে চাইলেন এটা সর্বজনীন নাগরিক সম্বর্ধনা হয় কি করে? এটা তো আওয়ামী লীগের সম্বর্ধনা!
মঞ্চে উঠতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত: ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন আহমেদের কর্ম ক্ষেত্র মূলত: ওয়াংিশটন ডিসি এলাকা। তার অফিসও ডিসিতে। কদাচিৎ তার নিউইয়র্ক আসা। স্বাভাবিক কারণেই অনেকের কাছেই তিনি অপরিচিত। তখনও সংবর্ধনা সভার কাজ শুরু হয়নি। রাষ্ট্রদূত সভাস্থলে আসলেন। বিশাল হল রুমের দর্শকদের আসনের মঞ্চের সামনে কোন চেয়ার না পেয়ে চুপচাপ বসে পড়লেন সাংবাদিকদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সর্ব ডানে। সভা শুরুর আগে এক পর্যায়ে মঞ্চে ডাক পড়লো রাষ্ট্রদূতের। মঞ্চ থেকে ডাক পেয়ে নিরাপত্তা জোন পেরিয়ে এগুতেই বাধাগ্রস্ত হলেন আমেরিকান সিকিউরিটি অফিসারের। এসময় খানিকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় দেখা গেলো রাষ্ট্রদূত জিয়াকে। কি করবেন? সিকিউরিটি কর্মকর্তাকে মঞ্চের দিকে দেখতে বললেন। পরে মঞ্চের ঈশারায় নিরাপত্তা জোন পেরিয়ে মঞ্চে আসন নিলেন।
মঞ্চের এক পাশে কেন্দ্রীয় অপর পাশে স্থানীয় নেতাদের আসন: প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফরকালীন সময়ে এই একটিমাত্র দিনের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীরা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকেন। কেননা, এই দিনই নেত্রীর কাছাকাছি আসার সুযোগ পাওয়া যায়। সেই চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্ব দিয়েই এবার সম্বর্ধনা সভার বিশাল মঞ্চের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসনের বাঁ পাশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের র্শীষস্থানীয় নেতা আর প্রধানমন্ত্রীর ডান পাশে তাঁর সফরসঙ্গী মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সাবেক মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতারা আসন গ্রহণ করেন। আর প্রধানমন্ত্রীর পিছনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, নিউইয়র্ক ষ্টেট ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে আসন দেয়া হয়। দেখা গেলো অনুষ্ঠান শুরুর আগেই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর এক নেতা/নেত্রী মঞ্চের মাঝামাঝি (প্রধানমন্ত্রীর আসন থেকে এক আসন দূরে) আসন নিয়ে ‘যার জন্য সংরক্ষিত তার নেমপ্লেট’ সরিয়ে ফেললেন। ফলে তার পরে আসন নিতে হলো দলের সহ সভাপতিদের। বিষয়টি অন্যদের কাছে দৃষ্টিকটু লাগলেও ঐ নেতা/নেত্রীর চোখে দৃষ্টিকটু তো লাগলই না, বরং তিনি ঠিকঠাক মতো আসন গেড়ে বসে রইলেন সভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত।
আরেক নেতার কান্ড: প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা সভামঞ্চে আসন ছিলো সীমিত, সংরক্ষিত। দেখা গেলো সভার কাজ শুরুর আগেই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী যুবলীগের এক সাবেক নেতা নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে দর্শক সারি থেকে একাধিক চেয়ার নিজেই তুলে নিয়ে মূল মঞ্চের পিছনে রেখে তার ঘনিষ্ঠ নেতাদের বসার ব্যবস্থা করে দিলেন।
সময় মাত্র এক মিনিট: সংবর্ধনা সভায় স্থানীয় নেতাদের বক্তব্য দেয়ার সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয় মাত্র এক মিনিট। কিন্তু এই সময়ে কারো পক্ষেই বক্তব্য শেষ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে দর্শক-শ্রোতারা স্থানীয় নেতাদের বক্তব্য শুনতেও আগ্রহী ছিলেন না। দর্শক-শ্রোতারা স্থানীয় নেতাদের বক্তব্য চলাকালে হৈচৈ করে উঠেন। এতে কোন কোন বক্তা বিব্রতও হন। এমনকি সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানকেও এক পর্যায়ে সভাপতির বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে হয়।
ভুয়া ভুয়া শ্লোগান: প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা সভায় বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকগণ বক্তব্য রাখার সময় কোন কোন নেতাকে ‘ভূয়া ভূয়া’ বলে শ্লোগান উঠে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর কোন কোন শাখার কমিটি গঠনে ‘অসাংগঠনিক ও অনৈতিকতার’ অভিযোগ রয়েছে।
যুবলীগ শ্লোগানে মুখর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনা স্থলে মিসবাহ-ফরিদ নেতৃত্বাধীন যুবলীগের অবস্থান আর কর্মকান্ড ছিলো চোখে পড়ার মতো। তারা একটু পর পররই শ্লোগান দিয়ে পুরো হল মুখরিত করে রাখেন। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কোন নামে বা সংগঠনের নামে শ্লোগান দিতে নিষেধ করার পরও যুবলীগের নেতা-কমীরা মাঝে-মধ্যেই নানা শ্লোগান তোলে। যুবলীগের এই কর্মকান্ড দেখে এক সহকর্মী মন্তব্য করলেন- এটা ‘মিসবাহ-ফরিদ’ নেতৃত্বাধীন যুবলীগের শো ডাউন ছাড়া আর কিছু নয়। তাদের শ্লোগানে কেন্দ্র মনোনীত তারিকুল-সবুজ নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির অবস্থান ছিলো নিষ্প্রভ।
ভিতরে আ.লীগ-বাইরে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে হিলটন হোটেলের ভিতরে চলছিলো যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নানা শ্লোগান। অপরদিকে হোটেলের বাইরে বিএনপি ও বিএনপি সমমনা নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ চলছিলো। এনিয়ে সচেতন প্রবাসীদের বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা যায়।